Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

স্বস্তিকের সাইকেল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

কী রে সতু, অঙ্কে কত পেলি? আজ তোর রেজাল্ট বেরিয়েছে তো?’
জেঠিমার প্রশ্নটা শুনে স্বস্তিকের মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেল। কোনও উত্তর না দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল ওদের ঘরের দিকে।
‘কী রে, বললি না তো অঙ্কে কত পেয়েছিস? ফেল করেছিস নাকি?’ জেঠিমা আবার প্রশ্ন করল স্বস্তিককে। 
আজ স্বস্তিকের হাফ- ইয়ারলি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। ও এখন ক্লাস সিক্সে পড়ে। ওর দুই জেঠতুতো দাদা দেবায়ন আর শুভায়ন। দু’জনেই লেখাপড়ায় খুব ভালো। দেবুদা গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। জয়েন্ট এন্ট্রাসে পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। দেবুদা এখন হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে। ছুটিতে যখন বাড়ি আসে, তখন সবাই ওকে মাথায় করে রাখে। শুভদাও লেখাপড়ায় ভালো। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। জেঠুর খুব ইচ্ছা ছোট ছেলে ডাক্তার হোক। শুভদা তাই এখন থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে। সারাদিন একটুও খেলাধুলা করে না, কারও সঙ্গে গল্প করে না। যতক্ষণ জেগে থাকে, ততক্ষণ শুধুই পড়া আর পড়া।
স্বস্তিকও চায় দেবুদা আর শুভদার মতো ভালো ছেলে হতে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। চেষ্টাও করে অনেক। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় সব উল্টেপাল্টে যায়। রেজাল্ট বেরলে দেখা যায়, ওর কোনও চেষ্টাই সফল হয়নি। রেজাল্ট ভালো হয়নি একেবারে।
‘সতু, এই সতু! কোথায় গেলি? এদিকে আয় একবার। দেখ, তোর জন্য কী এনেছি।’
বাবার গলা শুনতে পেয়ে ঘর থেকে এক ছুট্টে বেরিয়ে পড়ে স্বস্তিক। বাবা আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছে। বারান্দায় এসে স্বস্তিক দেখে বাবা একগাল হেসে ওর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। আর বাবার সঙ্গে রয়েছে একটা নতুন সাইকেল। যেমনটা সতু চেয়েছিল, ঠিক তেমনটা। টুকটুকে লাল সাইকেল। সতু দৌড়ে গিয়ে একবার বেশ ভালো করে দেখে নেয় সাইকেলটাকে। কী সুন্দর রং। কেমন চকচকে। সতু মনের আনন্দে সাইকেলটায় বারবার হাত বোলায়। সাইকেলের বেলটা বাজিয়ে দেখে দু’-একবার। ও যদি সাইকেল চালাতে জানত, তাহলে এখনই এই নতুন সাইকেলটায় চেপে অনেক অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরে আসত। 
‘কী রে সাইকেল পছন্দ হয়েছে? এটা তোর জন্মদিনের গিফট।’
সত্যিই তো! আর চারদিন পরেই স্বস্তিকের জন্মদিন। পরীক্ষা আর রেজাল্টের আশঙ্কায় প্রতি বছরই জন্মদিনের কথাটা ভুলে যায় স্বস্তিক। কিন্তু বাবা-মা ঠিক মনে রাখে। মনে করে ঠিক সেই উপহারটাই আনে, যেটা স্বস্তিক আগে কখনও বাবার কাছে চেয়ে রেখেছিল। আর মা প্রতি বছর স্বস্তিকের জন্মদিনে ওর পছন্দের ডালপুরি-আলুর দম আর সিমাইয়ের পায়েস বানিয়ে দেয়। 
‘কী রে, কিছু বলছিস না যে? সাইকেল পছন্দ হয়নি?’
বাবার প্রশ্ন শুনে চিন্তায় ছেদ পড়ল স্বস্তিকের। একগাল হেসে  ‘থ্যাঙ্ক ইউ বাবা। সাইকেলটা খুব সুন্দর হয়েছে’ বলে স্বস্তিক আর একবার সাইকেলের বেলটা বাজিয়ে দিল।
বাবাকে হাসিমুখে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বললেও স্বস্তিকের মনে এখন থেকেই একটা আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ও ঠিকঠাক সাইকেল চড়া শিখতে পারবে তো? নাকি অঙ্ক শেখার মতোই সাইকেলে চড়াও আর ভালো করে শেখা হবে না ওর?  
দুই
‘বাবু, এই রবিবারে একবার দাদুর বাড়ি যেতে হবে। দেবু আর শুভ দু’জনে মিলে ঠিক করেছে দাদুর বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দেবে। প্রোমোটার ওখানে একটা ফ্ল্যাটবাড়ি বানাবে। সেই বাড়িতে আমাদেরও একটা ফ্ল্যাট দেবে।’ মায়ের কথা শুনে পরীক্ষার খাতা থেকে মুখ তুলে মায়ের দিকে তাকাল স্বস্তিক। 
কিছুদিন আগেই স্কুলের হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ক্লাস সিক্সের ছাত্রদের অঙ্ক পরীক্ষার খাতা দেখছিল স্বস্তিক। ও এখন একটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই। ছাত্ররা সবাই ওকে খুব ভালোবাসে। কারণ, অঙ্ক না পারলে স্বস্তিক কোনও ছাত্রকে বকাবকি করে না। বরং, আরও একবার যত্ন করে অঙ্কটা বুঝিয়ে দেয়। যাতে পরের বার আর ভুল না হয়।
মায়ের কথামতো রবিবারে সকাল সকাল চা-জলখাবার খেয়ে নিজের চার-চাকা গাড়িটা নিয়ে দাদুর বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল স্বস্তিক। ও যে স্কুলে পড়ায় সেটা ওর পৈতৃক বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। ওখান থেকে রোজ যাতায়াত করা খুবই অসুবিধের। তাই স্বস্তিক 
এখন মাকে নিয়ে স্কুলের কাছাকাছি একটা দু’কামরার ফ্ল্যাটে থাকে। 
আজ সকাল থেকেই বাবার কথা খুব মনে পড়ছে স্বস্তিকের। হয়তো দাদুর বাড়ি যাচ্ছে বলেই। বাবার কথা মনে পড়লেই স্বস্তিকের মনখারাপ হয়ে যায়। ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাবা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন। 
আবছা হয়ে যাওয়া চোখটা মুছে নিয়ে আবার গাড়ি চালানোয় মন দিল স্বস্তিক। এই ক’বছরে মফস্‌স঩লের এই অঞ্চলটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। ফাঁকা মাঠ, ছোট ছোট বাড়িঘর, সে সব আর কিছুই নেই এখন। রাস্তার দু’ধারেই উঁচু উঁচু আবাসন। তবে রাস্তার অবস্থাটা সেই আগের মতোই আছে। এবড়ো-খেবড়ো, খানা-খন্দে ভর্তি। সাবধানে গাড়ি চালিয়ে দাদুর বাড়িতে পৌঁছল স্বস্তিক।
দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর শুভদা বলল, ‘চল সতু, তোদের ঘরগুলো একবার দেখে নিবি। এরপর বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দিলে তো আর ভালো করে দেখার সুযোগ পাবি না।’
দেবুদা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেঙ্গালুরুতে চাকরি করে। ওখানেই থাকে। এখানে ফিরে আসার আর তেমন ইচ্ছা নেই দেবুদার। শুভদা ডেন্টিস্ট। ওর দাঁতের ডাক্তারখানাটা স্টেশনের কাছে। এই অঞ্চলে দাঁতের ডাক্তার হিসেবে শুভদার খুব খ্যাতি। বেশ ভালো পসার। তাই শুভদার এখান থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই। তবে একা হাতে এত বড় বাড়ির তদারকি করা খুব মুশকিল। তাই ওরা দু’ভাই মিলে ঠিক করেছে বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দেবে।
‘তুই সব ভালো করে দেখে নে। আমি ততক্ষণে তৈরি হয়ে নিই। আমাকে আবার একটু পরেই বেরতে হবে। ডাক্তারদের তো আর রবিবারে ছুটি নেই। ছুটির দিনগুলোতেই বরং বেশি কাজ,’ বন্ধ ঘরগুলো খুলে দিয়ে চলে গেল শুভদা।
অনেক দিন বন্ধ ছিল। তাই ঘরটার মধ্যে কেমন একটা ভ্যাপসা গন্ধ। ঘরটাকে দেখে খুব মায়া হল স্বস্তিকের। জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানেই কেটেছে ওর। সেইসব ফেলে আসা দিনের কথা আবার নতুন করে মনে পড়ে গেল। আধো অন্ধকারে ঘরটাকে ভালো করে দেখতে লাগল স্বস্তিক। ড্যাম্পের জন্য ঘরের দেওয়ালে কেমন নোনা ধরে গিয়েছে। আর সেই নোনা ধরা দেওয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে একটা সাইকেল। স্বস্তিকের সাইকেল। সেই 
লাল টুকটুকে সাইকেল, যেটা বাবা ওকে জন্মদিনে উপহার দিয়েছিল। যে সাইকেলটা বদলে দিয়েছিল ওর জীবনের গতিপথ। এই সাইকেলটার জন্যই হয়তো সেদিনের সেই ‘অঙ্কে খারাপ’ সতু আজ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক।
দু’কামরার ফ্ল্যাটে সাইকেল রাখার জায়গা কোথায়! তাই ইচ্ছা থাকলেও বাবার দেওয়া সাইকেলটাকে তখন সঙ্গে নেওয়া যায়নি। কিন্তু আজ স্বস্তিক সাইকেলটাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে। রং চটা, পুরনো সাইকেলটার গায়ে পরম যত্নে হাত বোলায় স্বস্তিক। মনে পড়ে যায় বাবার বলা সেই কথাগুলো।  
সেদিন অনেক চেষ্টার পরেও সাইকেল চড়া শিখতে না পেরে, বারবার সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে সারা গায়ে ব্যথা নিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল স্বস্তিক। জেঠিমা ওকে দেখেই বলে উঠেছিল, ‘এ কী করেছিস সতু! সাইকেল চড়া শিখতে গিয়ে এবার শরীরের সব হাড়গোড় ভেঙে ফেলবি নাকি! রক্ষে কর বাবা! এই সাইকেল চড়া, অঙ্ক করা এসব তোর দ্বারা হবে না।’ জেঠিমার কথা শুনে দুঃখে কেঁদে ফেলেছিল স্বস্তিক। পাছে ওর চোখে জল দেখতে পেয়ে জেঠিমা আবার কিছু বলে বসে তাই এক ছুট্টে ঢুকে পড়েছিল ঘরের ভেতর। তখন বাবা ওর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিল, ‘আমাদের জীবনটা একটা সাইকেলের মতো। প্রথমে হাফ প্যাডেল শিখতে হয়। তারপর ফুল প্যাডেল। তারপরে সাইকেলের সিটে বসে এগিয়ে যেতে হয়। রাস্তায় অনেক উঁচু-নিচু থাকবে, খানা-খন্দ পড়বে। আঘাতও লাগবে অনেক। তবে সে সবে ভেঙে পড়লে চলবে না। একমনে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সাফল্য নামের গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে।’
08th  December, 2024
ক্লোস্টারমানের বাড়ি

বিশ্ববিদ্যালয়টা জার্মানির হাইডেলবার্গে। সকালের ফ্লাইটে ফ্রাঙ্কফুর্ট। আর ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ট্রেনে করে হাইডেলবার্গ। মোটামুটি রাতের মধ্যে ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউসে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তারপর বিশ্রাম নিয়ে পরপর তিনদিন আমার সেমিনার
বিশদ

ফুসফুসের ছাঁকনি

আমরা বেঁচে থাকার জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন নিই। আর কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ি। কিন্তু বাতাসে তো অক্সিজেন ছাড়াও আরও অনেক গ্যাস রয়েছে। এরমধ্যে নাইট্রোজেনই থাকে শতকরা ৭৮ ভাগ। আর অক্সিজেন শতকরা ২১ ভাগ। আর থাকে আর্গন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস।
বিশদ

বিভ্রান্তিকর মানচিত্র

বিশ্বের মানচিত্রের সঙ্গে নিশ্চয়ই তোমাদের পরিচয় আছে? চোখ বন্ধ করলেই মনের মধ্যে ভেসে উঠবে বিভিন্ন দেশের ছবি। প্রত্যেকটির দেশে আকার-আয়তন ভিন্ন। এবার যদি বলা হয়, মানচিত্রে যা দেখানো হয়েছে সেটা পুরো সত্য নয়! শুনে অবাক হচ্ছ তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
বিশদ

বড়দিনে ঐক্যের বার্তা

দিন বড় হোক মিলেমিশে। এই ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে কলকাতার রুবি পার্ক পাবলিক স্কুল আয়োজন করেছিল বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম—‘জেনেসিস’। বড়দিনের ছুটি পড়ার আগে শীতের হিমেল পরশ গায়ে মেখে গোটা স্কুল সেজে উঠেছিল লাল রঙে।
বিশদ

পৃথিবীর প্রাচীনতম ক্যালেন্ডার
সোমা চক্রবর্তী

পরিক্রমণের পথে আমরা পার করছি আরও একটি বছর। ২০২৪ শেষ হতে আর দু’দিন! ২০২৫ আগত। নতুন বছরে নতুন ক্যালেন্ডার, নতুন ডায়েরি ইতিমধ্যে আমাদের হাতে চলে এসেছে। ইংরেজি বছরের মতো বাংলা নববর্ষেও পঞ্জিকা, বাংলা ক্যালেন্ডার এগুলো আমরা সংগ্রহ করি। বিশদ

29th  December, 2024
বিচিত্র বর্ণমালা
অনির্বাণ রক্ষিত

ভাষা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ভাষা শিক্ষার মানসিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় মানুষ। একবার ভাষার মূলসূত্রগুলি আয়ত্ত করে ফেলার পর অসংখ্য নতুন নতুন বাক্যের সৃষ্টি হয়। একটা দেশের সংস্কৃতি বা সেই দেশের চরিত্র হয়ে ওঠে তাদের ভাষা। বিশদ

29th  December, 2024
নামের খোঁজে
সাগর দাস

পঞ্চদশ শতকে ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি তাঁর নোট বইয়ে লিখেছিলেন, ‘বাতাসে কোনও একটা উপাদান আছে, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উপাদানটি ছাড়া মোমবাতি জ্বলতে পারে না।’ কিন্তু সেই উপাদানটি যে কী, সেটি ভিঞ্চি বা অন্য কেউ বলতে পারেননি সে সময়। বিশদ

29th  December, 2024
মেরি ক্রিসমাস

‌আগামী বুধবার বড়দিন। প্রভু যিশুর জন্মদিন মানেই কেক, আলো, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজ। কেমনভাবে কাটবে বড়দিন জানাল সিঁথি আর বি টি বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা।
বিশদ

22nd  December, 2024
হাতে তৈরি  রঙিন পর্দা

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

22nd  December, 2024
দাবার  কনিষ্ঠ সম্রাট

সালটা ২০১৩। চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে বসেছে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আসর। কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দের মাথায় আরও একবার মুকুট ওঠার প্রহর গুনছে দেশবাসী। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে ভারত থেকে খেতাব ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন।
বিশদ

22nd  December, 2024
বুমরাহের সিঁড়ি ভাঙার গল্প

আমেদাবাদের অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম। ছোট বয়সেই হারান বাবাকে। অদম্য জেদ তাঁকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে সেরা পেসারের তকমা! যশপ্রীত বুমরাহের লড়াইয়ের গল্প শোনালেন  সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

15th  December, 2024
পরিত্যক্ত মহাকাশযানের সমাধিস্থল
উৎপল অধিকারী

সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ অপার আগ্রহে মহাশূন্যের দিকে চেয়ে থাকে। পাখির মতো ওড়ার ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। তারপর ধীরে ধীরে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে মানুষ নানা যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছে। এমনভাবে সে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বিশদ

15th  December, 2024
ঠান্ডা আলো
স্বরূপ কুলভী

রাতের নিকষ কালো অন্ধকারে বনে-জঙ্গলে, গাছের শাখায় শাখায়, পুকুর পাড়ে খুদে আলোর হুল্লোড়। তা দেখে কার না ভালো লাগে! আমরা সবাই জানি, এভাবে আলোর দীপ জ্বেলে কারা ঘুরে বেড়ায়। ওরা জোনাকি। ছোট্ট হলে কী হবে, বড় বিচিত্র প্রাণী ওরা। বিশদ

15th  December, 2024
খাঁচা ভর্তি গাছ

একটা অন্য ধরনের হাতের কাজ আজ শেখাবেন তোমাদের ডিজাইনার বিদিশা বসু। নাম ‘কেজ প্লান্টিং’। খাঁচার ভেতর গাছের ছায়া। অবাক হলে নাকি? ভাবছ, খাঁচায় আবার গাছ কবে থেকে রাখা হয়? খাঁচা তো পাখির জন্য। কিন্তু তা মোটেও বিশ্বাস করেন না এই ডিজাইনার। বিশদ

08th  December, 2024
একনজরে
শনিবার ব্রেইল পদ্ধতির আবিষ্কারক লুই ব্রেইলের ২১৫তম জন্মদিন। সারা বিশ্বে এই দিনটি আন্তর্জাতিক ব্রেইল দিবস হিসেবে পালন হয়। এদিন উলুবেড়িয়ার জগৎপুরের আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলে দিনটি পালন হয়। ...

৯৮ বলে ৪০, স্ট্রাইকরেট ৪০.৮১। এরপর ৩৩ বলে ৬১, স্ট্রাইকরেট ১৮৪.৮৪। সিডনি টেস্টে দুটোই ঋষভ পন্থের ইনিংস। সুনীল গাভাসকরের থেকে ‘নির্বোধ’ তকমা ও ড্রেসিং-রুমে কোচ ...

ইসলামপুর পুলিস জেলায় ভিআইপিদের নিরাপত্তায় যাতে গাফিলতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে জেলা পুলিস। মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের পর ইসলামপুরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস ও প্রশাসন। পুলিস যাদের নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে, তাদের সতর্ক করে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। ...

বয়সের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৬ বছর আগেই। দেখেছেন দু’টি বিশ্বযুদ্ধ। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই মহিলার। নাম টোমিকো ইটুকা। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯২: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম
১৬৯১: ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়
১৯১৯: জার্মান ওয়াকার্স পার্টি (পরে যা নাৎসি পার্টি নামে খ্যাত হয়)-র জন্ম
১৯৪০: এফ এম রেডিও-র প্রদর্শন হয় ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে
১৮৬৭: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়
১৯০২ - গওহর জানের কণ্ঠের গান দিয়ে কলকাতায় প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করা শুরু করে
১৯২২: কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়
১৯২৮: প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্ম
১৯৩৪: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়
১৯৩৪: কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে
১৯৪১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির জন্ম
১৯৫২: পতৌদির অষ্টম নবাব ও ভারতীয় ক্রিকেটার ইফতিখার আলি খান পতৌদির মৃত্যু
১৯৬৮: সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ায় ক্ষমতায় আসেন আলেকজান্ডার দুবচেক, ‘প্রাগ বসন্ত’র সূচনা হয়
১৯৭১: প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
১৯৭৩: অভিনেতা উদয় চোপড়ার জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম
২০১৩: বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩৪/৪৫ রাত্রি ৮/১৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/৫০ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৬/২১/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৪/২০ মধ্যে। বারবেলা ১০/২১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে।
২০ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/৩ মধ্যেো। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আদিবাসী মেলার উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী চরণ মাঝি

11:05:01 PM

রবিবার রাতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর

10:15:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০ – ১ গোলে জয়ী কেরল

09:38:00 PM

ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজায় মৃত ৯

09:23:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব ০ – কেরল ১ (৭৪ মিনিট)

09:06:00 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর চতুর্থ দিন
ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। আজ, রবিবার ছিল ...বিশদ

08:47:00 PM