Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

সোনার কেল্লা ৫০

১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ছবি মাইলস্টোন। পঞ্চাশ বছর আগের শ্যুটিংয়ের স্মৃতিচারণা করলেন ছবির ‘তোপসে’ সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ‘মুকুল’ কুশল চক্রবর্তী এবং পরিচালক-পুত্র সন্দীপ রায়।

বাবা তো রেগে আগুন: সন্দীপ রায়
 
সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্বটা ছিল একটা আস্ত অ্যাডভেঞ্চার। সেটার অভিজ্ঞতা নিয়েই একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি বানানো যায়। শিল্পী, কলাকুশলী মিলিয়ে আমরা প্রায় পঁয়ত্রিশজন একটা গোটা বগিকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘোরাঘুরি করে কুড়ি-বাইশ দিন ধরে শ্যুটিং করেছিলাম। ওই বগিটা বিভিন্ন ট্রেনে জুড়ে দেওয়া হতো। সে এক দুর্দান্ত মজার সফর। সিনেমায় গল্প যেভাবে এগিয়েছে ঠিক সেই রুট ধরেই শ্যুটিং হয়েছিল। আমরা শুরু করেছিলাম দিল্লি থেকে। লালকেল্লার সামনে শ্যুটিং সেরে গেলাম জয়পুরে। সেখানে নাহারগড় কেল্লায় আসল ডঃ হাজরাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল। তারপরে আমরা গেলাম যোধপুর। সেখান থেকে জয়সলমির। ওখান থেকে বিকানির। তারপর আবার জয়সলমির ফিরে এসে শ্যুটিং শেষ করে যোধপুরে ফিরে এলাম। ওখান থেকে দিল্লির ট্রেন ধরা হল। সেখান থেকে কলকাতা। বাবা খুব সুন্দর পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। ফলে আমরা নির্ধারিত দিনের মধ্যেই শ্যুটিং শেষ করতে পেরেছিলাম। এই ব্যাপারে আরও একজনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, তিনি আমাদের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অনিল চৌধুরী। আমরা যেখানে শ্যুটিং করব, উনি তার আগের দিন সেখানে পৌঁছে গিয়ে সমস্ত কিছু রেডি করে রাখতেন। উট জোগাড় করতে সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছিল ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে উঠের পিঠে চড়িয়ে শ্যুটিং করার সময়। ওই ট্রেনকে ধাওয়া করার দৃশ্যটা তোলা খুব ঝামেলার ব্যাপার ছিল। এমন একটা লোকেশন খুঁজে বের করতে হয়েছিল, যাতে একটা ফ্রেমেই ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে আসছে গোটা ট্রেন, সেই ট্রেনকে ধরার জন্য সওয়ারি নিয়ে বালির উপর দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চারটে উট দৌড়চ্ছে— সব একসঙ্গে ঠিকঠাক ধরা যায়। আবার পাশে পিচের রাস্তাও থাকতে হবে। যাতে শটটা তোলার সময় ক্যামেরা না নড়ে। অনেকটা জায়গা জুড়ে লম্বা শট। অত বড় তো ট্রলি পাতা মুশকিল। অনেক ভেবেচিন্তে বুদ্ধি করে একটা জিপ গাড়িতে ক্যামেরা বসানো হল। ঠিক হল ক্যামেরা সহ চার-পাঁচজন জিপে থাকবেন। আর সেটাকে আর কয়েকজন ঠেলবে। কারণ না হলে ট্রেন, উট এদের গতির সঙ্গে জিপ গাড়ির গতি মিলবে না। সব রেডি। এদিকে ট্রেন আর আসে না।  বেলা পড়ে যাচ্ছে। তখন তো এখনকার মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে কোথায় ফোন, কোথায় দৌড়ে গিয়ে খোঁজ নেবার উপায়। যাইহোক, সেই ট্রেন তো অবশেষে এল। কিন্তু ট্রেনের কর্মীরা শ্যুটিং  দেখতে এতই ব্যস্ত যে, ইঞ্জিনে কয়লা ভরতেই ভুলে গেলেন। বাবা তো রেগে আগুন। ধোঁয়া না বেরলে শটটাই তো জমবে না। এদিকে আলো পড়ে আসছে। ফের ট্রেনটাকে ব্যাক করানো হল, কয়লা ভরা হল, ধোঁয়া ওড়ানো হল, তারপর সেই ঐতিহাসিক শটটা তোলা হল। একটা বাঁচোয়া, দৃশ্যটা এক শটেই ওকে হয়ে গিয়েছিল। আর একটা কঠিন দৃশ্য তোলা হয়েছিল মন্দার বোসের চলন্ত ট্রেনের রড ধরে এক কামরা থেকে আর এক কামরায় পালিয়ে যাওয়ার সময়। বাবা সোনার কেল্লায় দুটো অ্যারিফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল। এক কামরা থেকে আর এক কামরায় যাওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল রামদেওরার কাছে লাঠি স্টেশনে। কারণ ওখানে মাল্টিপল লাইনস ছিল। একটা লাইনে ইনস্পেকশন ট্রলির উপর ক্যামেরা বসানো হল। আর একটা ক্যামেরা চলন্ত ট্রেনের ছাদে হাতে ধরে মুখটা নিচু করে রাখা হল। কামুকাকু (মুখোপাধ্যায়) ট্রেনটা দাঁড়ানো অবস্থায় একবার রিহার্সাল দিয়ে নিয়েছিলেন। রাত। ভয়ঙ্কর ঠান্ডা। শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কামুকাকু ট্রেনের রড ধরতে গিয়ে কারেন্ট খাবার মতো ছিটকে উঠলেন। তবুও এই শটটাও একবারে উতরে গিয়েছিল। তার পেছনে ছিল কামুকাকুর সাহস আর জেদ। সব মিলিয়ে সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্ব আজীবন মনে রাখার মতো ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। পঞ্চাশ বছর পরেও ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়। 

মুকুলকে নিয়ে ছবি করব: কুশল চক্রবর্তী

এখন তোমরা ছোটরা আমাদের ছোটবেলার চেয়ে অনেক স্মার্ট। তোমরা যতটা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে জানো, সত্যি বলছি আমি অতটা জানি না। ১৯৭৪ সালে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে আমার বয়স ছিল সাত। তখন আমাদের হাতের কাছে দু-একটা বই ছাড়া কিছুই ছিল না। আর এত ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন বা প্রচারের প্রচলন ছিল না। তাই কে সত্যজিৎ রায়, তিনি কত বড় মাপের ব্যক্তিত্ব,  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই বা কত জনপ্রিয় নায়ক, সেই সম্বন্ধে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। স্কুলেই ভর্তি হইনি তখন। এইটুকু মনে আছে সবাই মিলে দলবল বেঁধে রাজস্থানে যাওয়া হচ্ছে সিনেমার শ্যুটিং করতে। সঙ্গে বাবা গিয়েছিলেন। খুব ঠান্ডা তখন। আগে থেকে কোনও ওয়ার্কশপ বা রিহার্সাল কিচ্ছু হয়নি। শ্যুটিং স্পটে মানিকজেঠু (সত্যজিৎ রায়) যেমন যেমন বলতেন, ‘এদিকে তাকাও, ওদিকে দেখ, এই কথাটা এইভাবে বল,’ আমি ক্যামেরার সামনে তেমন তেমন করে যেতাম। উনি আমাকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতেন আর কী। একটা জিনিস মনে আছে, মানিকজেঠু সবাইকে খুব এনকারেজ করতেন। কখনও কাউকে বকাঝকা করতেন না। আর খেয়াল রাখতেন কামুজেঠু। মানে মন্দার বোস। আমার ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা উনিই করতেন। আর খুব মজা করতেন। এমন অঙ্গভঙ্গি করতেন যে, না হেসে উপায় থাকত না। কামুজেঠু বিশেষ করে আমার আর তোপসেদা মানে সিদ্ধার্থদার খেয়াল রাখতেন। আগেই বলেছি, তখন আমার মাত্র সাত বছর বয়স। পঞ্চাশ বছর পর সেই দিনগুলোর ছবি অনেকটাই ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আমার একটাই আক্ষেপ— বড় হয়ে আর মানিকজেঠুর কোনও ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। পারলে মানুষটাকে কাছ থেকে খানিকটা বোঝার সুযোগ পেতাম। ওই বয়সে উনি আমাকে কী বানিয়ে দিয়েছিলেন সেটা টের পেলাম ২০১৬ সালে সোনার কেল্লায় ‘ফেলুদা চল্লিশ’ করতে গিয়ে। কেল্লার বাসিন্দারা আমাকে নিয়ে কী করবে ভেবে উঠতে পারছেন না। আমাকে পাগড়ি পরিয়ে, মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিলেন। যেন মুকুল বড় হয়ে ফিরে এসেছে তার নিজের জায়গায়। 
এইরকম ভাবনা নিয়ে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’ ছবিতে আমাকে মুকুলের চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়েছিল। আমি রাজি হইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন, মুকুলকে নিয়ে আমি নিজে ছবি করব।

কাঁকড়াবিছেটা পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়

সোনার কেল্লায় তোপসে সেজেছিলাম চোদ্দো বছর বয়সে। বাবা-মাকে ছেড়ে প্রথম একা রাজস্থানের মতো সুদূর এক জায়গায় সবাই দল বেঁধে শ্যুটিং করতে যাচ্ছি। অথচ শ্যুটিং কী জিনিস তখনও ভালো করে জানিই না। বড়দের সঙ্গে কলকাতার বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি, ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ মজার ছিল। নিজেকে খুব স্বাধীন স্বাধীন মনে হচ্ছিল। প্রত্যাশার চাপ নেই। তাই গোটা শ্যুটিং পর্বটাই ছিল আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর। জীবনে প্রথম কেল্লা দেখেছি। মনে হতো যেন সবাই মিলে দূরে কোথাও পিকনিক করতে গিয়েছি।

কাঁকড়াবিছে

তখনকার দিনে শহিদ মিনারের লাগোয়া ময়দানে একটা মেলা বসত। সেখানে বিভিন্ন মানুষ নানা রকমের অদ্ভুত জিনিস বিক্রি করত। কেউ জ্যান্ত টিকটিকি, কেউ গিরগিটি, আরশোলা এইসব। একজন কাঁকড়াবিছেওয়ালার কাছে দুটো জ্যান্ত কাঁকড়াবিছে কেনা হয়েছিল। ওই দুটোকে রাজস্থানেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে দৃশ্যটায় ফেলুদার বিছানায় কাঁকড়াবিছে দেখে আমি ‘ফেলুদা’ বলে চিৎকার করে উঠছি, সেটা টেক করা হয়েছিল ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। তখন এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। কাঁকড়াবিছে ছাড়া অবস্থায় ফেলুদা বিছানায় শুলো। হঠাৎ লোডশেডিং। তখন শহরে যখন তখন লোডশেডিং হতো। ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে এমার্জেন্সি জেনারেটরেরও ব্যবস্থা ছিল না। গোটা ফ্লোর ঘুটঘুটে অন্ধকার। সৌমিত্রজেঠু তো এক লাফে ফ্লোরে বাইরে বেরিয়ে জ্যাকেট-ট্যাকেট ঝাড়াঝাড়ি শুরু করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ বাদে আলো আসার পর আর কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে অনেকের সন্দেহ হল কাঁকড়াবিছেটা নির্ঘাত ফেলুদার জামাকাপড়ের মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে। জ্যাকেট, জামা সব খুলে সৌমিত্রজেঠু তিড়িংবিড়িং করে কিছুক্ষণ লাফালেন। হুলস্থুল কাণ্ড। শেষে কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া গেল বিছানায় তোশকের তলায়। এইবার কে সেটাকে ধরবে? এখানেও উদ্ধারকর্তা কামুকাকু। হাত দিয়ে, হ্যাঁ স্রেফ খালি হাতে কাঁকড়াবিছেটাকে ধরে সেটাকে জায়গা মতো রেখে দিলেন। তারপর ফের শ্যুটিং চালু হল। এমন দুঃসাহস, ভাবা যায় না! আমি তো ভয়ে ঘামছি। কারণ, তারপরের শটেই কাঁকড়াবিছেটাকে আমায় পা দিয়ে পিষে মারতে হবে। কিন্তু শটে সেটা দেখানো হয়নি। অথচ আমি অভিনয় করে দেখাচ্ছি যে সেটাকে পা দিয়ে মারছি। আসল ঘটনা হল, কাঁকড়াবিছেটা তখনও আমার পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমাদের গল্পের মতো করে বলছি, আর সেদিনের সেই শ্যুটিংয়ের ঘটনাটা ছবির মতো চোখের সামনে ভাসছে। পঞ্চাশ বছর পরেও সারা শরীরটা শিরশির করে উঠছে।

উট
উট অবশ্যই  জটায়ুর ভাষায় একটা ‘ভয়ঙ্কর জানোয়ার’। অথচ ভয় পেয়েছি কিছুতেই বোঝানো যাবে না। কারণ, ক্যামেরার সামনে দেখাতে হবে আমি খুব সাহসী ও স্মার্ট। উল্টে উটের পিঠে  লালমোহনবাবুকে ভয় পেতে দেখে সাহস বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কী, ভয় আমারও করছিল। মাটি থেকে অত উঁচুতে চড়ে বসা। শরীরটাকে আগুপিছু করে উটের চলার সঙ্গে তাল মেলানো। সেইসঙ্গে সংলাপ বলা। পুরো ব্যাপারটাই ছিল ভয়ানক। প্রথম প্রথম আমারও গলা শুকিয়ে আসছিল। বুক ঢিপ ঢিপ করছিল। উটের পিঠে চড়তে হবে, মরুভূমির মধ্যে দিয়ে আমাদের পিঠে নিয়ে উট দৌড়বে, এসব জানা ছিল। কিন্তু সত্যি সত্যিই উটের পিঠে চড়লে কী হয়, সেটা তো জানা ছিল না। তবে ওই মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল বলেই হয়তো কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ভয়টা কেটে গেল।

মন্দার বোসের ডিম

মন্দার বোস মানে কামু মুখোপাধ্যায় গল্পে ভিলেন হলে কী হবে, এমনিতে দারুণ মজার মানুষ ছিলেন। আমার আর মুকুলের খুব খেয়াল রাখতেন। আর যত বিপজ্জনক কাজ, অবলীলায় করে দিতেন। শ্যুটিংয়ে উনি করতেন কী, মাঝপথে মরুভূমি বা ধু ধু রাস্তাঘাটে যদি খিদে পায়, সেই আশঙ্কায় ব্রেকফাস্টের সময়ই হোটেল থেকে জ্যাকেটের পকেটে বেশ কয়েকটা সেদ্ধ ডিম ভরে নিতেন। একটা, দুটো নয় বেশ কয়েকটা। নাহারগড় কেল্লায় একটা দৃশ্য ছিল, মন্দার বোস মুকুলকে বলছে, উট যদি তাদের ল্যাগব্যাগে ঠ্যাং দিয়ে পেটে মারে বলে যেই দু’পাশে পা ছুড়ে মারার ভঙ্গিটা দেখাচ্ছেন, তখন সিদ্ধ ডিমগুলো চেপটে থেঁতলে জ্যাকেট থেকে বেরিয়ে পড়ল অন ক্যামেরা। দেখে কামুকাকুকে মানিকজেঠুর এক ধমক, ‘তোমার পেটের ভেতর থেকে ওটা কী বেরচ্ছে কামু?’ কামুকাকু বেজায় অপ্রস্তুত। কাঁচুমাচু মুখে মাথা চুলকিয়ে বললেন, ‘না... মানে... মানিকদা...কয়েকটা ডিম সেদ্ধ নিয়ে এসেছিলাম।’ মানিকজেঠু বললেন, ‘এনেছ বেশ করেছ। তা জায়গা পেলে না রাখবার!’ আমি দেখছি আর হো হো করে হাসছি। গল্পের দুষ্টু লোক। মাথায় চকচকে টাক। বয়স্ক লোক বাচ্চাদের মতো জ্যাকেটে ডিম লুকিয়ে রাখার জন্য ডিরেক্টরের কাছে বকা খাচ্ছে, লজ্জা লজ্জা মুখে জ্যাকেট ফাঁকা করছে আর বিভিন্ন পকেট থেকে একটার পর একটা ডিম বেরিয়েই যাচ্ছে। সেই দেখে মানিকজেঠু থেকে শুরু করে সবাই হাসছেন।
অনুলিখন: প্রিয়ব্রত দত্ত
20th  October, 2024
কীভাবে আবিষ্কার হল স্টেথোস্কোপ
স্বরূপ কুলভী

সাদা অ্যাপ্রন। গলায় বা হাতে স্টেথোস্কোপ। তা দেখেই বোঝা যায় মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপের একপ্রান্ত গোলাকার। আর অন্য প্রান্ত দু’ভাগে বিভক্ত। ওই বিভক্ত প্রান্তটির দু’টি মাথা কানে দিয়ে রোগীর হৃদস্পন্দন শোনেন চিকিৎসকরা। বিশদ

20th  October, 2024
দুগ্গা এল ঘরে

 আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা। ভোরের বাতাসে শিউলি ফুলের সুমিষ্ট সুঘ্রাণ। আর হাওয়ার দাপটে কাশফুলের এলোমেলো দুলুনি। এর মধ্যেই প্যান্ডেল বাঁধার তোড়জোড়— ঠুকঠাক শব্দ কানে এলেই মনে হয় পুজো এসে গেল। বিশদ

06th  October, 2024
কোন প্রাণীর কামড়ের জোর সবচেয়ে বেশি?
স্বরূপ কুলভী

মহালয়ার দিন মামাবাড়ি এসেছে তিতাস। পাশেই কুমোরপাড়া। সেখানে দুগ্গা ঠাকুর তৈরির সে কী ব্যস্ততা। বিকেলে মামাতো দাদা বিলুর সঙ্গে গিয়ে দেখে এসেছে সে। ফিরে এসেই দু’জনের মহা তর্ক শুরু হয়েছে। সিংহ না বাঘ— কার কামড়ে শক্তি সবচেয়ে বেশি, তা নিয়েই চলছে তর্ক। বিশদ

06th  October, 2024
পরোপকারী
প্রদীপ আচার্য 

ঝিমধরা স্টেশনে এই লাস্ট ট্রেন থেকে নামল হাতেগোনা ক’জন প্যাসেঞ্জার। তারা ছুটল বাস আর অটো ধরার জন্য। বিভূতিবাবু গুছিয়ে বসলেন। একজন গায়ে পড়ে আলাপ করলেন বিভূতিবাবুর সঙ্গে। ‘আপনি যাবেন না? এরপর আর বাস, অটো কিছুই পাবেন না।’ বিভূতিবাবু বললেন, ‘আমার অফিসের জিপ আসবে।’  বিশদ

29th  September, 2024
চাঁদের মানচিত্র
উৎপল অধিকারী

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। মানুষের কাছে চির কৌতূহলের বিষয় এই চাঁদ। কোথায় চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে, তা জানার আগ্রহ ছোট থেকে বুড়ো সবার। চাঁদের মাটি বিশদ

29th  September, 2024
পশু-পাখিদের মজার রেস
কালীপদ চক্রবর্তী

চীনকালেও ছিল ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। জানা যায়, ৬৬৪ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে প্রাচীন গ্রিসে প্রথম ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হয়েছিল। প্রাচীন ওলিম্পিক্সে এটি ছিল জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। আজকাল একইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশু-পাখি নিয়ে অদ্ভুত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  বিশদ

29th  September, 2024
হিংসা থামাল ফুটবল!

ফুটবলারদের আবেদনে থেমে গিয়েছিল আইভরি কোস্টের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। দু’দশক আগের সেই গল্প বললেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়। বিশদ

22nd  September, 2024
গল্পের চরিত্ররা
মানস সরকার 

দীপেশকাকুর পড়ার ঘরে ঢুকে টেবিলের পাশেই গুছিয়ে রাখা ব্যাগটা নজরে পড়ল মিলির। তার মানে কাকুর আবার কোথাও বেরিয়ে পড়ার প্ল্যান। টেবিলের উপর রাখা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে সাত-আটটা খবরের কাগজ। রবিবারে এতগুলো করেই নেয় কাকু। বিশদ

22nd  September, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: পুজোর ঘরে  রঙিন জার

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

22nd  September, 2024
বুধ ও শুক্রের উপগ্রহ নেই কেন?

সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে ছ’টির উপগ্রহ রয়েছে। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম বুধ ও শুক্র। এই দুই গ্রহের কেন উপগ্রহ নেই? কারণ খুঁজলেন স্বরূপ কুলভী।
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির উৎসব

বারাকপুর অম্বিকা বিমলা মডেল হাইস্কুল জেলার অন্যতম প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেবলমাত্র বালকদের এই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় এক হাজার তিনশো। আর শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যা প্রায় ৫০।
বিশদ

15th  September, 2024
হিমালয়ের রহস্য ইয়েতি

মালয় পর্বতমালা। যা দুর্গম, সেখানেই রহস্য, আর যেখানে রহস্য সেখানেই ভয়। আর যেখানে ভয় সেখানেই অজস্র কাহিনি। হিমালয় এবং নিজেদের জনজাতিকে জুড়ে নেপালের আনাচেকানাচে এমন অনেক গল্পকথা ভেসে বেড়ায় যার ইতিহাস কোথায়, সত্যতাই বা কী তার ইয়ত্তা মেলে না।
বিশদ

15th  September, 2024
তিতলি আর তুন্দ্রা বিন হাঁস

দিন ধরে খুব মনখারাপ তিতলির। সবার বাড়িতে ‘পেট’ আছে। প্রায় সব বাড়িতেই আছে নানা জাতের পুষ্যি কুকুর। স্প্যানিয়েল-পোমেরিয়ান-ফ্রেঞ্চ বুলডগ থেকে ল্যাব্রাডর-রিট্রিভার-ডাচসুন্ড-অ্যালসেশিয়ান। কিন্তু মা একদম রাজি নয়। কুকুরকে মায়ের খুব ভয়। 
বিশদ

08th  September, 2024
হ্যাঙার অর্গানাইজার

শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ ‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকছে তারই হদিশ। এবারের বিষয় হ্যাঙার অর্গানাইজার। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে।
বিশদ

08th  September, 2024
একনজরে
মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM