Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। গাড়ি চালিয়ে ওপারে যাবে কি? ভাবছে ও। সাঁকোটা তো লজঝড় মার্কা। কোন কালে তৈরি হয়েছিল, কে জানে! কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
গাড়ির দরজা খুলে নেমে এল। চোখের সামনে কাঠের পুল। পুলের আগে দু’ফুটের স্তম্ভ। পরিষ্কার রাস্তার পাশে সবুজ ঘাসের উপর মাটিতে পোঁতা। স্তম্ভের গায়ে লেখা নদীর নাম। অল্প আলোয় অস্পষ্ট কিন্তু পড়া যাচ্ছে। চোখ কুঁচকে লেখাটা পড়ল বিপুল। মাগুরমারি। অদ্ভুত নাম! মনে মনে কয়েকবার আউরে সাঁকোর উপর উঠে এল। সাঁকো আর এই নদী আগে দেখেনি বিপুল। এই পথে আসেইনি কোনও দিন।
আজ প্রথম। গিয়েছিল পাশের গঞ্জে এক মিটিংয়ে। গঞ্জ নয়, মহকুমা। নতুন পাওয়া তকমা। সাব ডিভিশনের নামী হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল বিজনেস মিট। ওর আন্ডারে এবছর নাম লিখিয়েছে ছাব্বিশ জন। ওদের নিয়েই গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ট মিটিং। পুরনো দু-তিন জনকেও ডাকা হয়েছিল। ইউনিটের কাজ আরও জোরদার করে কোম্পানির লাভ বাড়াতে হবে। সবাইকে সে কথাই বোঝাচ্ছিল বিপুল। মূল কথা, আউটপুট বাড়াতে হবে। দরকার আরও অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং। টাইম ইজ মানি। বেগার খাটা চলবে না। অল্প সময়ে বেশি জিনিস বেচতে হবে। মাল বিক্রিতে দরকার সাহস আর আত্মবিশ্বাস। কনভিন্স করতে হবে গ্রাহকদের। মনের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রাখবে না। একদম সোজাসুজি কথা বলে নিজের প্রোডাক্ট বেচে দেবে। কাউকে খাতির নয়। কারওর সঙ্গে ভালোমানুষি করবে না। এরকম নানান পরামর্শ দিল।  
—স্যার, কাস্টমার না কিনতে চাইলে কী করব?
কম বয়সি একটি মেয়ে লেকচারের মাঝখানেই প্রশ্ন করে বসল। 
—ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকবে। বারবার রিকোয়েস্ট করতে হবে। আর সাহস রাখবে।
বেশ জোর দিয়ে কথাগুলো বলেছিল বিপুল। বক্তৃতা শেষে এজেন্টদের হাততালিতে বড় ঘরটা ফেটে পড়ছিল। একটু পরে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে লেকচার রুমের বাইরে এসে দাঁড়াল। করিডর পেরিয়ে ঘাসের লন। গাড়ির ভিড়ে লনের শেষ প্রান্তে নিজের গাড়ি। ধীর পায়ে ওদিকে এগতেই এক এজেন্ট চিন্তিত মুখে কাছে এসে দাঁড়াল। ছেলেটির নাম কাশী। কাশী বক্সী। সরল টাইপের। খুব পরিশ্রমী কিন্তু আউটপুট কম। কোম্পানির প্রোডাক্ট ভালো বিক্রি করতে পারে না। কাছের এক গ্রামে বাড়ি। মুখ নামিয়ে নরম গলায় ধীর ধীরে কাশী বলল, ‘স্যার, বিকেল হয়ে গেল। একটু পরেই প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়বে। আপনার বাড়ি পৌঁছতে তো অনেক রাত হয়ে যাবে!’
—তা তো হবেই। উপায় কী?
—রাত করবেন না স্যার। বৃষ্টিও আসতে পারে। আপনি শর্টকাট ধরুন। 
—কোন রাস্তা?
—এখান থেকে সোজা দু’কিলোমিটার, তারপর পাকুড়তলা মোড়। চায়ের দোকান-টোকান আছে। ওখান থেকে বাঁদিক ধরবেন। মাটির রাস্তা কিন্তু খারাপ নয়।
—গাড়ি চলবে কি?
বিপুলের স্বরে উদ্বেগ। 
—চলবে স্যার। ছয় কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। সময়ও বাঁচবে। টাইম ইজ মানি স্যার! 
এজেন্টের কথা মেনে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট করেছিল বিপুল। খানিক পরে মাটির রাস্তায় গাড়ি চালাতে চালাতে কাশী বক্সীকে মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছিল। রাস্তা ভালো। পিচ ঢালাই করা হবে হয়তো। তার আগে সাফাই হয়েছে। রোলার চলেছে। জংগুলে মাটির রাস্তার বেশ পরিপাটি রূপ। শক্তপোক্ত আর মসৃণ। ধুলো নেই একটুও। ঘন গাছপালা রাস্তার দু’পাশে। লোকজন নেই। গোরু ছাগলও পথ আটকে দাঁড়ায়নি। গড়ানো বিকেলে কমে আসা আলোয় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটা তরতর করে ছুটছিল। মনের আনন্দে এতক্ষণ গাড়ি চালিয়ে সাঁকোর কাছে এসে কপাল কুঁচকে দাঁড়িয়ে পড়ল বিপুল রায়। বিট্টাল ফিনান্স কোম্পানির সিনিয়র এগজিকিউটিভ। এখন কী করণীয় কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।  
ব্রিজের উপর দিয়ে কি গাড়ি চালাব? ভাবতেই বুকটা ধক করে উঠল। পুরনো সেতু! যদি ভেঙে পড়ে? শঙ্কা আর দ্বিধা দুটোই একসঙ্গে জাপটে ধরল। বিপুলের সতর্ক মগজটা হঠাৎ টাল খেয়ে গেল। ভয় আর দনোমনো ভাব, এদুটোই বড় আপদ। একবার মাথায় ঢুকলে সব বরবাদ। ‘মনের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে এই লাইনে কাজ করা যায় না।’ আজকের মিটিংয়ে নিজের বলা কথাটা মনের মধ্যে ভুস ভুস করে ভেসে উঠছিল। কিন্তু এখন বিপুল নিজেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জর্জরিত। গাড়ি নিয়ে ওই নড়বড়ে সেতু ওঠা উচিত কি না ঠিক করতে পারছে না।
গাড়ি থেকে নেমে চারদিকে তাকাল বিপুল। ব্রিজের উপর সতর্ক পা ফেলে কয়েক কদম হাঁটল। তারপর গতি বাড়িয়ে নিজের ছন্দে। বেশ দ্রুত। ওপারে পৌঁছনোর আগে হঠাৎ সূর্য ডুবে গেল। মেঘের আড়ালে নাকি পশ্চিম পটে, বিপুলের টাল খাওয়া মগজ তখন খেয়াল করতে পারেনি। এখন আধো অন্ধকার। বাতাসে সন সন শব্দ। তার মধ্যে কানে ঢুকল খস খস আওয়াজ। মনে হল পায়ের শব্দ। কেউ একজন এগিয়ে আসছে পেছন পেছন। ঘাড় ঘুরাল। দেখতে পেল না কাউকে। খানিক পরে সাঁকো পেরিয়ে আবার পিছনে তাকাল। কেউ নেই। 
এপারের বাতাসটা কেমন যেন! ঠান্ডা কনকনে। বেশ অন্য রকম। শরীরটা কুঁকড়ে উঠল। ঠক ঠক করে উঠল দাঁতের পাটি দুটো। বাতাসের হিম মাথায় কপালে ব্যথা ধরিয়ে দিচ্ছে। গায়ে সোয়েটার নেই। মোটা একটা সুতির জামা পরনে। কান দুটো চেপে ধরল বিপুল। এই ঠান্ডা যেন সহ্য করতে পারছে না সে।
ওপারে তেমন শীত ছিল না। নরম রোদে ঠান্ডার হালকা আমেজ ছিল। ঘন গাছপালা ছিল পথের দু’পাশে। অথচ এপারে রোদ নেই। গাছপালা নেই। অন্ধকার নামছে ন্যাড়া মাঠে। প্রবল শীত সঙ্গে বাতাস। বাতাসে শীতের কামড়। শরীরটা হি হি করে কাঁপছে বিপুলের। 
ব্রিজের ওপারে গাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করল সে। খানিক এগতেই গাছের ফাঁকফোকর দিয়ে নজরে এল। পায়ে চলা পথ ধরে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে একটা লোক। অল্প আলো কিন্তু বোঝা যাচ্ছে। বেঁটেখাটো, কালচে রং। গাট্টাগোট্টা শরীর মানুষটার। খালি গা। পরনে লুঙ্গি। গলায় প্যাঁচানো গামছা বুকের উপর নেমে এসেছে। লোকটা কাছে আসতেই বিপুল বলে উঠল, ‘দাদা ওপারে যাব?’
—যাবেন কি যাবেন না, আপনি জানেন।
বেশ রুক্ষ গলায় ঝাঁঝিয়ে উঠল লোকটা। 
খুব মেজাজি লোক। মনে মনে বলছে বিপুল, এমন মানুষের সঙ্গে কতক্ষণ যে কথা চালানো যাবে! খুব নরম গলায় সম্মান দেখিয়ে এদের ডিল করতে হয়। স্বরে মাখন মাখিয়ে দুই হাত জোড় করে বিপুল বলল, ‘না দাদা। বলছিলাম, গাড়ির ভার কি সইতে পারবে সাঁকোটা?’  
—ওহ, তাই বলেন। শুনেন, গাড়িটা আমি ঠেলে দিই। আপনি ওঠেন।
—ভয় লাগছে যে! 
—গাড়ি চলবে টুকুস টুকুস। শামুকের মতো। সাঁকো ভাঙবে না। আর যদি একান্ত মটমট করে!
—তাহলে কী করব? যদি সত্যিই সাঁকো মটমট করে!
—আমি বলে দেব। স্যাট করে দরজা খুলে সামনে দৌড় লাগাবেন। 
—আর আপনি?
—আমি! চোখের পলকে হাওয়া হয়ে যাব। আমাকে নিয়ে আপনাকে কোনও চিন্তা করতে হবে না।
ভয়ে ভয়ে গাড়িতে উঠে স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখল বিপুল। ইঞ্জিন বন্ধ। চাকা ঠিক দিকে রাখতেই স্টিয়ারি ধরে রেখেছে। গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে লোকটা কথা বলছে, ‘বুঝলেন... এই রাস্তায় গাড়ি আসে না। আর যদি বা চলে আসে কখনও, আমিই ঠেলে ঠুলে পার করে দিই।’ 
টুকুস টুকুস করে এগতে এগতে সাঁকো পেরল চার চাকার যান। এবার স্বস্তি। বড় একটা শ্বাস ফেলল বিপুল। ওর সামনে বিপদ মুক্ত পথ। যদিও ভাঙাচোড়া। পথের পাশে গাছপালা নেই। একেবারেই অন্য রকম এদিকটা। বেশ ফাঁকা। রুক্ষ ধরনের। অনেক দূরে কয়েকটা বাড়ির আলো টিম টিম করে জ্বলছে। 
—দাদা অনেক উপকার করলেন।
গাড়ি থেকে নেমে নরম গলায় কথাটা বলল বিপুল। তারপর বুক পকেটে রাখা একটা একশো টাকার নোট বের করে এগিয়ে ধরল।
লোকটা বলল, ‘টাকা দিচ্ছেন কেন?’  
—কত কষ্ট করলেন। সময় দিলেন! এর একটা দাম নেই? 
—দামের কী আছে! বসেই তো থাকি। মাঝে মাঝে কেউ এলে একটু বেগার খাটি।
কথাটা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েই ফিরে চলে গেল। হঠাৎ যেন অন্ধকারে মিলিয়েই গেল মানুষটা। 
মানুষ এত দ্রুত হাঁটতে পারে! মনে মনে কথা বলছিল বিপুল। অদ্ভুত লোক! টাকা দিলে নেয় না। এরকম আজকাল হয় নাকি! ভুরু কুঁচকে গেল ওর। কপালে ভাঁজ নিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন চালু করল বিপুল। গিয়ার বদল করে সামনের ঢিবিটা পার হল। তারপরই সরু পথ। হেডলাইটের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে— এবড়ো খেবড়ো, খোয়া ওঠা রাস্তা। ওই সড়ক ধরেই ঘণ্টা দুয়েক পরে পৌঁছে গেল মিত্তিরপাড়া মোড়। চেনা জায়গা। হাসি ফুটল বিপুলের মুখে। ওখানেই এসে মিলেছে রাজ্য সরকারের চওড়া সড়ক। মোড়ের মাথায় ঝন্টুর চায়ের দোকান, ‘ঝন্টু চায়ে ওয়ালা’। শিঙাড়া চপ বিরিয়ানিও পাওয়া যায়।
এদিকে এলে রাজ্য সড়কের গায়ে ঝন্টুর দোকানে ঢুঁ মারে বিপুল। সস্তায় ভালো চা আর শিঙাড়া খায়। আজ ঢুকতেই ঝন্টু প্রায় চিৎকার কর উঠল, ‘দাদা, এত রাতে?’
—এই তো, মিটিং ছিল। 
—কোথা দিয়ে এলেন?
ঝন্টুর স্বরে বিস্ময়। দোকানে খরিদ্দার কম থাকলেই গল্প শুরু করে দেয় ঝন্টু। 
—এই দিক দিয়ে।
সরু রাস্তার দিকে ডান হাত তুলে দেখাল বিপুল। 
—সব্বোনাশ! রাতের বেলা মাগুরমারি সাঁকো...! ওটা পেরিয়ে এলেন? 
—হ্যাঁ। সত্যিই সাঁকোটা একটু নড়বড়ে। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে, ওই সাঁকোতে গাড়িতে তুলব কি না। নইলে আবার ফিরে গিয়ে ঘুর পথে আসতে হতো। ভাগ্যিস একটা লোকের সঙ্গে দেখা হল। তিনিই গাড়িটা ঠেলে দিলেন। কিছুতেই টাকা নিলেন না, জানো।... অদ্ভুত মানুষ!
—কে গাড়ি ঠেলে দিল? মনাদা নাকি! 
—নামটা তো জানি না।  
—ওই মনাদাই হবে। রাতের বেলা গাড়িসুদ্ধু ব্রিজ থেকে নীচে পড়ে গেছিল মানুষটা। 
—মানে? কী বলছ! 
—সকালবেলা মাগুরমারির জলে ডুব দিয়ে কাদা পাঁক ঘেঁটে বডি উদ্ধার করেছিল পুলিস। তারপর সেটা মর্গে পাঠানো হয়। হইহই ব্যাপার। খবরটা বেরিয়েছিল কাগজে। 
শিঙাড়ায় কামড় দিল বিপুল। চায়ের ভাঁড় এগিয়ে দিয়ে ঝন্টু বলল, ‘মনাদা সাঁকোর কাছেই থাকত। ট্যাক্সি চালাত। মালিকের গাড়ি।’ 
একটু থেমে ঝন্টু আবার, ‘জানেন, খুব ভালো ছিল মানুষটা। একটু মেজাজি। মৃত্যুর পর অনেকেই সাঁকোর কাছে ওর দেখা পেয়েছে। তবে কারওর ক্ষতি করে না কিন্তু।’ 
—দূর, কী যে বল! জলজ্যান্ত মানুষ।
এত বড় উপকার করল। তাকে ভূত বানিয়ে দিলে?
ঘাড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে চলে গেল ঝন্টু। এক কাস্টমার ডাকছে টাকা নিতে। ফিরে এসে উত্তরটা ছুঁড়ে দিল, ‘দাদা, ভূত না হলে এই জমানায় কেউ বেগার খাটে?’ 
04th  August, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
সুহেল ভাটের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে জেমি ম্যাকলারেনের শট জালে জড়াতেই কোচ হোসে মোলিনার চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি। মরশুমের শুরু থেকেই তারকা অজি স্ট্রাইকারের চোট ...

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় এসেছিলেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বিধানসভার কমিটির বৈঠকে যাওয়ার জন্য তাঁকে সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ...

হাইকোর্ট থেকে জামিনের আবেদন হঠাৎই প্রত্যাহার করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। আদালত সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন করতে চলেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এর আগে নতুন করে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ...

নিউইয়র্কের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলার নিন্দা করলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। এই ঘটনাকে ‘ধর্মান্ধতা এবং নিন্দা’র বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার স্বাধীনতা দিবস
বিশ্ব নৌ দিবস
১৫০২- কোস্টারিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস
১৮৯৯- সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ রাজনারায়ণ বসুর মৃত্যু
১৯০৫- সুয়েডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বোর জন্ম
১৯২৩- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়
১৯২৪- হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন শুরু করেন
১৯৫০- অভিনেত্রী শাবানা আজমির জন্ম
১৯৭৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
২০০৬- ফুটবলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা ৬/৩৩ দিবা ৮/৫ পরে কুম্ভ প্রতিপদ ৫৭/১০ রাত্রি ৪/২০। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৩/৫০ দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৫/২৭/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৭/৫৩ পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩২ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৩১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। 
১ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা দিবা ৮/৪৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১২/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে ও ১১/৩২ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
১৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত একটি মালগাড়ি

11:18:00 PM

এখনও এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি

10:46:00 PM

বিহারের কৃষ্ণনগরে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের, হতাহতের খবর নেই

10:36:00 PM

নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষ

09:47:00 PM

এসিএল-২ : মোহন বাগান বনাম রাভশানের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

09:26:00 PM

ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী

09:25:00 PM