Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য।  ইতালিয়ান ভাষায় বেলভিডিয়ার শব্দের অর্থ মনোরম দৃশ্য।
ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি এই ভবনের গায়ে রয়েছে অতিলৌকিক তকমাও। নিজের বাসভবন হিসেবে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস নির্মাণ করিয়েছেলেন  প্রিন্স আজিম উস খান। প্রিন্স আজিম উস খান ছিলেন বাংলা-বিহার-ওড়িশার সুবেদার। আওরঙ্গজেবের নাতি প্রথম বাহাদুর শাহ জাফরের ছেলে প্রিন্স আজিমের বেলভিডিয়ার বাসভবন ছিল  স্থাপত্য কীর্তি এবং বিলাসব্যসনের অন্যতম নিদর্শন। নিজেদের প্রয়োজন মিটে যাওয়ায় ব্রিটিশরা তাঁদের হাতের পুতুল নবাব মীরজাফরকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে পেনশনভোগী হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন। কলকাতায় বেশ কিছু প্রাসাদ ও সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন মীরজাফর। শোনা যায় নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে  ‘আলিপুর’–এর নামকরণ করেছিলেন  মীরজাফর। এই বেলভিডিয়ার এস্টেট ছিল মীরজাফরের বাসভবন। যেখানে তাঁর সঙ্গে থাকতেন পত্নী মুন্নি বেগমও।
এই প্রসঙ্গে আসে ওয়ারেন হেস্টিংস-এর নাম। ব্রিটিশ শাসনের ভিত মজবুত করতে সুচতুর প্রশাসক হেস্টিংসের ভূমিকা অন্যতম। ১৭৭২-১৭৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তিনি ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেলও ছিলেন সময়কাল ১৭৭৩-১৭৮৫।
ওয়ারেন হেস্টিংস আর মীরজাফরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার দৌলতেই ১৭৬০ নাগাদ এই বেলভিডিয়ার এস্টেট ওয়ারেন হেস্টিংসকে উপহার স্বরূপ দেন মীরজাফর। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশদের জয়ের পরে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান। পুনরায় তিনি ভারতে ফেরেন ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে। সঙ্গে তাঁর সুন্দরী জার্মান ব্যারনেস মারিয়ান ইনহফ। সাধের বেলভিডিয়ার হয়ে উঠল তাঁদের বাসভবন। পরবর্তীতে ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে বেলভিডিয়ার হাউসকে মেজর টলির কাছে বিক্রি করে দেন হেস্টিংস। পরবর্তীকালে ১৮০২ সালে মেজর টলির পরিবার এই সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। 
এরপর নানা হাত ঘুরে অবশেষে লর্ড ডালহৌসির আমলে বেলভিডিয়ার হয়ে ওঠে ভারতের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবন। ১৮৫৪ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত এই বেলভিডিয়ার হাউস ছিল বহু ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবন। তারপর ১৯১১ সালে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। এই ঐতিহাসিক ভবনের আজকের পরিচয় জাতীয় গ্রন্থাগার। ১৯৫৩ সালে যা উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।
১৮৩৬ সালের ২১ মার্চ হেয়ার স্ট্রিট আর স্ট্র্যান্ড রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত মেটক্যাফে হলে স্থাপিত হয় কলকাতার প্রথম লাইব্রেরি— ‘ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি’। ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি’। এই দুই পাঠাগার  ছিল  শুধুমাত্র  উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী এবং অভিজাত শ্রেণির মানুষদের জন্য। কিন্তু তৎকালীন ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন দু’টি গ্রন্থাগারকে মিলিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি’। যার প্রথম ঠিকানা ছিল মেটক্যাফ হল। পরবর্তীতে ১৯২৩ সালে গ্রন্থাগারটি স্থানান্তরিত হয় ৬ নম্বর এসপ্ল্যানেড ইস্ট ঠিকানায়।
সারা পৃথিবীর দুষ্প্রাপ্য, দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহের পাশাপাশি এই জাতীয় গ্রন্থাগারের সঙ্গে জড়িয়ে রহস্যময় কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনাও! এর আনাচে-কানাচে আজও ভেসে বেড়ায় নানা কাহিনি। আজকের যে স্থানে গ্রন্থাগার, সেই স্থানের ইতিহাস রোমাঞ্চকর রক্তাক্তও বটে। যেখানে আজ নীরবতা বিরাজ করে সেখানে একসময় দ্বৈরথে বিদীর্ণ হয়েছিল অখণ্ড নীরবতা। এই বেলভিডিয়ার ভবন সাক্ষী এক ঐতিহাসিক ডুয়েলের। যখন ১৭৭৩ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল হন, তখন তিনি মেরিয়ান ইমহফের সঙ্গে সম্পর্কে। কিন্তু অন্যদিকে আবার মারিয়ানের পাণিপ্রার্থী ছিলেন হেস্টিংসের আইনি কর্মকর্তা ফিলিপ ফ্রান্সিস। কয়েক বছর পর ব্যারনেস মারিয়ানকে কেন্দ্র করেই হেস্টিংস ও ফ্রান্সিসের মধ্যে সেই ঐতিহাসিক ডুয়েল হয়। এক শীতের রাতে বেলভিডিয়ার এস্টেটের মাঠে একটি গাছের নীচে হওয়া সেই ডুয়েলে হেস্টিংসের গুলিতে আহত হন ফিলিপ ফ্রান্সিস। তাঁর ঘাড়ে গুলি লাগে। এরপরের ঘটনা পরিষ্কার নয়। কেউ বলেন বেলভিডিয়ার হাউসেই নাকি ফ্রান্সিসের শুশ্রূষা হয়েছিল। আবার শোনা যায়, আহত ফ্রান্সিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গভর্নর জেনারেল হেস্টিংস একটি পালকির ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সেই পূর্ণিমার রাতে আদিগঙ্গার তীরে পৌঁছে পালকিবাহকরা দেখেন জোয়ার এতটাই বেশি যে পারাপার হওয়া সম্ভব না। তবে কি আহত ফ্রান্সিস বিনা চিকিৎসায় মারা যান? উত্তর স্পষ্ট নয়।  তবে এটা স্পষ্ট ব্রিটিশ আর নবাবরা আজ না থেকেও রয়ে গেছেন ইতিহাসে। যে ইতিহাস কিংবদন্তির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলছে। 
তাই আজ দুই শতাব্দীর পরও পূর্ণিমার রাতে জনৈক প্রহরীর চোখে দৃশ্যমান হয় একটি পালকি মাঠ অতিক্রম করছে, যার মধ্যে রয়েছে রক্তাক্ত দীর্ঘদেহী এক যুবক। সেই জ্যোৎস্নার মধ্যেই যা আবার মিলিয়ে যায়। রক্তের দাগ মুছে গিয়েছে কবেই কিন্তু ইতিহাস রয়ে গিয়েছে। বেলভিডিয়ার হাউস এমনই সব ইতিহাস ও কিংবদন্তির সাক্ষী, যেখানে এলে মনে হয় সময় পিছিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বছর।
ইতিহাস আর কিংবদন্তিতে ভারী এখানকার হাওয়া। অনেক পড়ুয়াদের দাবি তাঁরা অনেক সময় শুনেছেন চলাফেরার চাপা শব্দ, কখনও বা হালকা গুঞ্জন কিন্তু তাঁদের চোখে পড়েনি কিছুই। কেউ কেউ বলেছেন, পড়ার সময় ঘাড়ে অদৃশ্য কারওর নিঃশ্বাস অনুভব করেছেন। অনেকের দাবি, লর্ড মেটক্যাফের স্ত্রীর আত্মা নাকি এখনও যাতায়াত  করে এই লাইব্রেরিতে। লর্ড মেটক্যাফের স্ত্রী ছিলেন পরিচ্ছন্নতার  ব্যাপারে অত্যন্ত খুঁতখুঁতে। তাই লাইব্রেরিতে কোনও বই নিয়ে সেটা আবার ঠিক না রাখলে আপনি ঘাড়ের কাছে কারও ভারী নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনলেও শুনতে পারেন! 
অনেকে আবার শুনেছেন লাইব্রেরির নির্দিষ্ট হল থেকে ভেসে আসা কনসার্টের সুর। যেখানে হেস্টিংস দম্পতি বলডান্স করতেন এস্টেটের হলরুমে। সঙ্গে ব্রিটিশ সমাজের অন্যান্য অভিজাতরা। সেই হলঘরই দীর্ঘ দিন ছিল জাতীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুম। পরে তা ভাষা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। হেস্টিংস সাহেব নাকি আজও এই বেলভিডিয়ার এস্টেটের টানে বারেবারে এখানে ফিরে আসেন প্রায়ই। আজও নাকি ইংরেজি বর্ষবরণের গভীর রাতে নির্জন এস্টেটের পার্টিতে বলডান্সে অংশ নিতে আসেন গভর্নর জেনারেল হেস্টিংস! অনেকেই নাকি ওয়ারেন হেস্টিংসকে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। কেউ কেউ দাবি করেন হেস্টিংস সাহেব আজও নাকি নিজের হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কালোবাক্সের খোঁজে কখনও আসেন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে, কখনও বা হেস্টিংস হাউসে। 
এমনই সব জনশ্রুতিতে ভরপুর জাতীয় গ্রন্থাগার। তাই নাকি ন্যাশনাল লাইব্রেরির কিছু কর্মী নিজেদের সঙ্গে রাখেন হনুমান চালিশা। আবার ২০১০ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কাজ চলার সময় আবিষ্কার হয় ২৫০ বছরের পুরনো একটি চেম্বারের। যেই রহস্যময় কক্ষের বিষয়ে আগে কেউই জানত না। যেই কক্ষের নেই কোনও প্রবেশদ্বার বা জানলা। এমনকী কোনও গোপন ট্র্যাপডোরও নেই। এই কক্ষটি কোনও হতভাগ্যের টর্চার 
চেম্বার নাকি এখানে রয়েছে গুপ্তধন— সেই নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা। তাই চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করতে আসতেই পারেন কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে। 
28th  July, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় এসেছিলেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বিধানসভার কমিটির বৈঠকে যাওয়ার জন্য তাঁকে সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ...

নিউইয়র্কের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলার নিন্দা করলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। এই ঘটনাকে ‘ধর্মান্ধতা এবং নিন্দা’র বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। ...

হাইকোর্ট থেকে জামিনের আবেদন হঠাৎই প্রত্যাহার করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। আদালত সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন করতে চলেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এর আগে নতুন করে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ...

সুহেল ভাটের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে জেমি ম্যাকলারেনের শট জালে জড়াতেই কোচ হোসে মোলিনার চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি। মরশুমের শুরু থেকেই তারকা অজি স্ট্রাইকারের চোট ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার স্বাধীনতা দিবস
বিশ্ব নৌ দিবস
১৫০২- কোস্টারিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস
১৮৯৯- সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ রাজনারায়ণ বসুর মৃত্যু
১৯০৫- সুয়েডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বোর জন্ম
১৯২৩- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়
১৯২৪- হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন শুরু করেন
১৯৫০- অভিনেত্রী শাবানা আজমির জন্ম
১৯৭৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
২০০৬- ফুটবলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা ৬/৩৩ দিবা ৮/৫ পরে কুম্ভ প্রতিপদ ৫৭/১০ রাত্রি ৪/২০। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৩/৫০ দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৫/২৭/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৭/৫৩ পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩২ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৩১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। 
১ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা দিবা ৮/৪৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১২/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে ও ১১/৩২ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
১৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত একটি মালগাড়ি

11:18:00 PM

এখনও এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি

10:46:00 PM

বিহারের কৃষ্ণনগরে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের, হতাহতের খবর নেই

10:36:00 PM

নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষ

09:47:00 PM

এসিএল-২ : মোহন বাগান বনাম রাভশানের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

09:26:00 PM

ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী

09:25:00 PM