Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? ভাবছিলেন সম্রাট শাহজাহান। কয়েকজন উজির বলছিলেন, লাহোর হলে কেমন হয়? শাহজাহান কয়েকজন প্রতিনিধিকে পাঠালেন লাহোর। যাচাই করে দেখে আসার জন্য যে, ঠিক তিনি যেমন চাইছেন, সেরকম একটি কেল্লা এবং তার পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাকে কেল্লারই এক সম্প্রসারিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব কি না। বিশেষ করে সেই প্রতিনিধি দলে গেলেন উস্তাদ আহমেদ লোহরি ও উস্তাদ হামিদও। এই দু’জনের মতামত বিশেষ জরুরি। কারণ তাঁরা এই আগ্রাতেই তৈরি করছেন আর একটি বিরাট অট্টালিকাসম সমাধিস্থল। যার নাম দেওয়া হবে তাজমহল। তাঁদের  পরিচালনায় যেভাবে কাজ হচ্ছে তাজমহলের, সেটি দেখে শাহজাহান সন্তুষ্ট। অতএব পরবর্তী রাজধানীর প্রধানতম হর্ম্য যে প্রাসাদ তথা কেল্লা, সেটা এই দু’জনই করবে। কিন্তু লাহোর তো খুবই ছোট এলাকা হয়ে যাচ্ছে! বাদশাহ যেমন চাইছেন, সেটা কিন্তু ওখানে করা সম্ভব নয়। সকলেই জানালেন সেকথা। অতএব নতুন স্থান নির্বাচন করতে হবে। 
হিন্দু জ্যোতিষী ও মুসলিম হেকিমদের সঙ্গে আলোচনা করে শাহজাহান বললেন, একটা কোনও শুভ স্থান চিহ্নিত করুন। কোথায় নতুন রাজধানী করা হলে মুঘল সাম্রাজ্যের সৌভাগ্য চিরকালীন বজায় থাকবে। অনেক ভেবেচিন্তে অধিকাংশই বলল, দিল্লিই সবথেকে ভালো হবে। দিল্লি? শাহজাহানের একটু দ্বিধা রয়েছে। কারণ দিল্লি খুব একটা সুখকর নয় মুঘলদের জন্য। হুমায়ুন আগ্রা ছেড়ে দিল্লিতে এসেছিলেন। নিজের রাজধানী নির্মাণ করে দীন পনাহ নামও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিহারের শেরশাহ সুরি সেই রাজধানী দখল করলেন। 
জ্যোতিষী আর হেকিমরা তো বটেই, স্থপতিরাও ঘুরে এসে বললেন, যেখানে হুমায়ুনের দীন পনাহ তৈরি হয়েছিল, সেখানে নয়। আমরা বরং সেলিমগড় আর ফিরোজাবাদের মাঝামাঝি স্থানে নতুন কেল্লা আর নগরীর পত্তন করতে পারি। ওই জায়গাটার কাছেই যমুনা নদী। সেলিমগড় একটা দ্বীপের মতো। শেরশাহের পুত্র সেলিম শাহ এই গড় নির্মাণ করেছিলেন। 
অতএব ওই স্থানই নির্বাচন হল। ১৬২৮ সালে শাহজাহান সিংহাসনে বসেছিলেন। আর ১৬৩৯ সালে মহরমের নবম দিনে ১২ মে নতুন রাজধানীর কেল্লা নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল। যমুনার অদূরেই। মাটি খুঁড়ে প্রথম প্রস্তর দু’টি রাখলেন উস্তাদ হামিদ ও উস্তাদ আহমেদ। সম্রাট নির্দেশ দিলেন, দেরি করা কিন্তু চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ করতে হবে। 
ভারী মুশকিল। উস্তাদ হামিদ, উস্তাদ আহমেদের স্বপ্নের মহল তাজমহল এখনও পুরোপুরি সমাপ্ত হয়নি। অনেক কাজ বাকি। তার মধ্যেই আবার আর একটি কেল্লা। আর শুধুই কেল্লা নয়। একেবারে রাজধানী নগরীই স্থাপন করতে হবে। তাঁদের তো আগ্রায় থাকতে হবে। তাই স্থির হল, তাঁরা দু’জন সামগ্রিকভাবে দেখভাল করবেন। কিন্তু সারাক্ষণ পরিচালনার কাজটি করবেন অন্য একজন। 
ইজ্জত খান।  
তৎকালীন এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাকা হল কর্মী শ্রমিক স্থপতিদের। মিয়ামার, সঙ্গতারাশ, মুনাবকতার, পারছিনসাজ  সকলে এসে যুক্ত হল কেল্লা নির্মাণে। এই শব্দগুলি দিয়ে কাদের সম্বোধন করা হতো? স্থপতি, ভাস্কর, হস্তশিল্পী,  কুমোর, প্রস্তরশিল্পী। হঠাৎ দিল্লির এই ফিরোজাবাদ আর সেলিমগড় অঞ্চলে একটা যেন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এখানে সেভাবে কোনও জনবসতিই নেই। জঙ্গল এলাকা। অরণ্যে যাতায়াত করা কিংবা মাঝিমাল্লার দল খুব নগণ্য অংশে বসবাস করে। 
এই অঞ্চলটির কাছে চেনাজানা স্থান বলতে তো সেই বুলবুলিখানা। যেখানে এক পুরনো প্রায় ভুলে যাওয়া শাসকের সমাধি রয়েছে।  কে তিনি? রাজিয়া সুলতানা। আর শাহ তুর্কমানের সমাধি ও মসজিদ। তাঁরই ভক্ত ছিলেন রাজিয়া। অতএব তাঁরই ইচ্ছানুসারে হয়তো এখানে ওই অতীত বিস্মৃতপ্রায় শাসকের সমাধি। কিন্তু বাকি সর্বত্র জঙ্গলে আকীর্ণ। সেই পরিত্যক্ত অংশ ক্রমেই প্রবল এক মহাযজ্ঞে নির্মিত হতে শুরু হল, একটি নতুন নগরাঞ্চল। যে শহর বহু প্রাচীন। একসময় যার নাম ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ। বহু শাসক এসেছে এই শহরে। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে নিজেদের রাজধানী নির্মাণ করেছে। ক্রমেই নগরীর দক্ষিণ অংশ থেকে এই রাজধানী সরে এসেছে অন্যদিকে। 
৯ বছর সময় লাগল। ১৬৪৮ সালে সম্রাট শাহজাহানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি লিখে মকরামাত খান বললেন, কেল্লার কাজ প্রায় শেষ।  দৌলতখানা ই বাদশাহি (রাজপ্রাসাদ) ও  দিওয়ান ই হজরত জিল ই লাহির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সম্রাটের পদার্পণের অপেক্ষায়। আর দিওয়ান ই আম, দিওয়ান ই খাস, হামামের কাজ সম্পূর্ণ হবে, একবার সম্রাট নিজের চোখে দর্শনের পর। কারণ যমুনা থেকে জল খালের মাধ্যমে এখানে নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা সম্রাট করেছেন, সেই নহর ই বেহস্ত সম্পন্ন করার শুভকাজটি সম্রাটের হাত দিয়েই সূত্রপাত হোক। অতএব সম্রাট যদি একবার পদার্পণ করেন! ইজ্জত খান পুরো সময়টা ছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর হাতে থেকে কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন, আলিবর্দি খান। যিনি চলে গিয়েছিলেন বাংলার সুবেদার হয়ে। অতঃপর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এই মকরামাত খান। 
পদার্পণ করার আবেদন আবার কী? শাহজাহান তো এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন আকুল হয়ে। তিনি ছিলেন কাবুলে। দ্রুত ঘোড়া ছোটালেন। পৌঁছনোর পর দেখা গেল উৎসবের পরিবেশ। একটা সিংহাসন বহন করছে বেহারারা। সেখানে বসেছেন সম্রাট শাহজাহান। ঠিক পিছনে বড় পুত্র দারা শিকোহ। যেটা ছিল জঙ্গলাকীর্ণ এক এলাকা, সেই স্থান আজ ভোজবাজিতে যেন পাল্টে গিয়েছে। মনোরম গাছে পূর্ণ বাগান, নদী থেকে টেনে আনা জলাশয়, অসংখ্য ফুলের বাগিচা। দেওয়ান ই আমের ঠিক সামনেই একটি বিরাট তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সম্রাটের অবস্থানের জন্য। যতক্ষণ না গৃহপ্রবেশের আচার সম্পন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ তো আর তিনি ভিতরে গিয়ে কেল্লায় গিয়ে বিশ্রাম করবেন না। তাই ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই তাঁবু নির্মিত। যার বাইরেটা সোনা দিয়ে কারুকাজ করা। তাঁবুর সামনে সামিয়ানা। চারটি রৌপ্যনির্মিত স্তম্ভ দিয়ে সেটি ধরা রয়েছে। 
চারটি প্রবেশদ্বার। সম্রাট শাহজাহান প্রথম বার যে তোরণদ্বার হয়ে প্রবেশ করলেন তাঁর সাধের কেল্লায়, সেটি হল, খিড়জি দরওয়াজা। ১৮ এপ্রিল ১৬৪৮। দিল্লিতে স্থাপিত হল নতুন রাজধানী। নাম শাহজানাবাদ। কেল্লার নাম কিলা ই মুবারক। ইতিহাসের আশ্চর্য এক নিয়তি নির্ধারণ! ঠিক ওই দরজা দিয়েই ১৮৫৭ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর চিরতরে মুঘল সাম্রা঩জ্যের বিদায় ঘটেছিল। শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর এই দরওয়াজা পেরিয়ে বেরিয়ে যান বার্মা মুলুকে নির্বাসনে! 
এই হল কিলা ই মুবারক। ইতিহাসের লালকেল্লা! 
04th  August, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
হাইকোর্ট থেকে জামিনের আবেদন হঠাৎই প্রত্যাহার করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। আদালত সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন করতে চলেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এর আগে নতুন করে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ...

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় এসেছিলেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বিধানসভার কমিটির বৈঠকে যাওয়ার জন্য তাঁকে সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ...

প্লাবিত এলাকায় কোনও মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য সিউড়ির বিধায়ককে ফোন করে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মাতলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বামনগোলা থানা সংলগ্ন টাঙন নদীতে বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল নামে। বামনগোলা ও গাজোল ব্লকের মাঝামাঝি টাঙন নদীতে এই প্রতিযোগিতায় দুটি ব্লকের প্রচুর মানুষ জমায়েত হন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার স্বাধীনতা দিবস
বিশ্ব নৌ দিবস
১৫০২- কোস্টারিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস
১৮৯৯- সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ রাজনারায়ণ বসুর মৃত্যু
১৯০৫- সুয়েডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বোর জন্ম
১৯২৩- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়
১৯২৪- হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন শুরু করেন
১৯৫০- অভিনেত্রী শাবানা আজমির জন্ম
১৯৭৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
২০০৬- ফুটবলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা ৬/৩৩ দিবা ৮/৫ পরে কুম্ভ প্রতিপদ ৫৭/১০ রাত্রি ৪/২০। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৩/৫০ দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৫/২৭/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৭/৫৩ পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩২ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৩১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। 
১ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা দিবা ৮/৪৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১২/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে ও ১১/৩২ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
১৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত একটি মালগাড়ি

11:18:00 PM

এখনও এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি

10:46:00 PM

বিহারের কৃষ্ণনগরে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের, হতাহতের খবর নেই

10:36:00 PM

নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষ

09:47:00 PM

এসিএল-২ : মোহন বাগান বনাম রাভশানের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

09:26:00 PM

ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী

09:25:00 PM