Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। মাঝেমাঝে হিমহিমে একটা বাতাস কোথা থেকে বয়ে বয়ে কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। গাছের পাতা হলুদ থেকে খয়েরি হচ্ছে। সামনের বকুল গাছটায় শীতের পরিযায়ী পাখিরা বাসা বেঁধেছে। মর্নিং ওয়াকে মানুষের সংখ্যা কমেছে, কুয়াশা বেড়েছে। অন্ধকারের পাতলা সর সরে যেতে না যেতে মাফলার জড়িয়ে ব্যাগ হাতে বাজারুদের ভিড়। আমার ছেলেবেলায় উঁচু তাকে উঠিয়ে রাখা লাল লাল লেপ নেমে আসত এই সময়। লেপ শুকোতে দেওয়া হত ন্যাড়া ছাদে। সারাদিন রোদে তাপিয়ে সন্ধ্যে হতেই পড়াশুনো ছেড়ে ঠাকুরদার লেপের ওমে নিজেকে সেঁকে নিতাম। ঠান্ডা ঠান্ডা হাত পা। গায়ে লাগলে নিজেই চমকে উঠতাম।
তখন কারেন্ট যেত খুব। বাইরে রান্নাঘরের বেড়ার ফাঁকফোকরে জমাটবাঁধা অন্ধকার ফিসফিস করে কীসব যেন কথা বলত। আমি শিউরে শিউরে উঠতাম। দাদুকে বলতাম, ‘ভূতের গল্প শোনাও...।’ উদ্বাস্তু দাদু ফেলে আসা বিক্রমপুরের একেবারে নিয্যস সত্যি ভূতের গল্প শোনাতেন। মা ঠিক জানত, এরপরে আর উঠোন পেরিয়ে রান্নাঘরে যাব না আমি। তাই কানাওঠা থালায় ভাত মেখে চটকে আধা ঘুমন্ত আমাকে একরকম জোর করেই খাওয়াত। আমি খেতে চাইতাম না। দাদু বলত, ‘থাউক, আর খাওয়াইও না।’ যদি অল্প বাকি থাকত, তখন বলত, ‘খাইয়া লও দাদুভাই, চাঁছিমুছি স্বর্গবাসী।’ রেডিওতে চলত বিবিধ ভারতী। নাটক। কখনও সিবাকা গীতমালা... রাত ঘনিয়ে আসত। আর আমি চোখ বুজে এক অলীক ঘুমে ঢলে পড়ার আগে দিন গুনতাম। দিন গুনতাম শহরে সার্কাস আসার।
আমাদের এই আধা মফস্সল শহরে বাৎসরিক উত্তেজনা বলতে ছিল ওই বৎসরান্তের সার্কাস। সত্যি বলতে কি, বহুদিন অবধি আমি জানতাম ওলিম্পিক আসলে একটা সার্কাসের নাম। সেই যেবার হরিপুর মাঠে ফেমাস সার্কাস এল, তার দিন পনেরো আগে থেকেই হই হই কাণ্ড, রই রই ব্যাপার। গোটা অশোকনগর-হাবড়াজুড়ে উজ্জ্বল লাল, হলুদ আর সবুজে পোস্টার। উপরে উড়ে যাচ্ছে স্বল্পবসনা দুই নারী, মাঝে কাগজ ফুটো করে এম জি এম-এর মতো বিরাট হাঁ করা এক সিংহ যেন দেখলেই গিলে খাবে। আশেপাশে রিকশ টানা কাকাতুয়া, টুপি পরা বাঘ, শুঁড় তোলা হাতি আর বেঁটে জোকার। নীচে বড় করে লেখা, ‘শো শুরু ২৫শে ডিসেম্বর। ১টা- ৪টে- ৭টা।’ পাড়ায় পাড়ায় সাইকেল রিকশ চেপে চোঙামুখে প্রচার করে যেত একজন ‘জগৎবিখ্যাত ফেমাস সার্কাস এবার হরিপুর ময়দানে। আছে বাঘের খেলা, ট্র্যাপিজ, বলের উপরে হাতির ব্যালেন্স, দুর্ধর্ষ সিংহ আর মনমোহিনী ট্র্যাপিজ।’ আমরা যারা খুব ছোট ছিলাম, সেই রিকশর পিছন পিছন দৌড়তাম। তাতে অবশ্য ফলও মিলত। এক ঝাঁক শীতালি পাখির ডানার মতো মাঝে মাঝেই সেই ঘোষক ছড়িয়ে দিত গোলাপি, হলুদ, সবুজ পাতলা লিফলেট। তাতে ছাপা সার্কাসের তারিখ, স্থান আর ব্লকে ছাপা বাঘের ছবি। হুড়োহুড়ি করে সে কাগজ নিয়ে এসে যত্ন করে রেখে দিতাম বইয়ের ভাঁজে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে উল্টে দেখতাম, আর বাবার কাছে ঘ্যানঘ্যান—‘কবে নিয়ে যাবে আমাকে?’
অবশেষে আসত সেই প্রতীক্ষিত দিন। আগের রাতে ঘুম নেই। বুক ঢিপঢিপ। বাবার হাত ধরে মাঠে পৌঁছবার আগেই চোখে পড়ে বিরাট বড় বড় পোস্টার আর তার চেয়েও বড় লাল, সাদা কাপড়ের তাঁবু। লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট কেটে দাঁড়াতে হতো লোহার বন্ধ গেটের সামনে। সময় হলেই দরজা খুলবে। যেন আলিবাবার গুহার মুখ। মিনেজারির ভিতর থেকে ভেসে আসত সিংহের গর্জন, বাঘের ডাক, হাতির বৃংহন। বাবা সেই ফাঁকে কানের সামনে গুনগুনিয়ে বলতেন বাঙালির সার্কাসের গল্প—
‘সে অনেককাল আগের কথা। ১৮৭২ সাল। কলকাতায় রমরমিয়ে খেলা দেখাচ্ছে ইউরোপের দল উইলসন্স গ্রেট ওয়ার্ল্ড সার্কাস। হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠাতা নবগোপাল মিত্রের সাধ জাগল সার্কাসের দল খুলবেন। উঠল বাই তো কটক যাই। নবগোপালের কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের বাড়িতেই শামিয়ানা খাটিয়ে বাদ্যি বাজিয়ে শুরু হয়ে গেল বাঙালির প্রথম সার্কাস। কিন্তু উইলসন সাহেবের সার্কাসের কাছে সে কিছুই না। খেলা বলতে ব্যায়াম, জিমন্যাস্টিক্স আর হাড় জিরজিরে একখানা টাট্টু ঘোড়া। নবগোপালের বন্ধু মনমোহন বসুর ছেলে প্রিয়নাথের এই সার্কাস দেখেই মাথায় এক অদ্ভুত আইডিয়া এল। একটা সার্কাসের দল খুললে কেমন হয়? ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির মত নেই। ১৮৮৭ সালে নবগোপালের সার্কাস মুখ থুবড়ে পড়লে কাউকে না জানিয়ে টাট্টু ঘোড়া সমেত গোটা দলটাই কিনে নিলেন তিনি। শুনে বাবা তো রেগে ব্যোম! ধমকি দিলেন ত্যাজ্যপুত্তুর করবেন। কিন্তু প্রিয়নাথকে রোখা তখন শিবের অসাধ্য। জাগলিং শিখছেন। প্যারালাল বার-হরাইজন্টাল বারের উপরে কসরত শিখছেন। শিখছেন জন্তু জানোয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পন্থা। সেবছরই নতুন দল খুললেন প্রিয়নাথ। নাম দিলেন ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’।
প্রথম দিকে দলে লোক কম ছিল। খেলা দেখাতেন মশালের আলোয়। মাটিতে চাটাই পেতে বসত 
দর্শকরা। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে লাগল। নতুন নতুন খেলোয়াড় আসতে শুরু করল দলে। ডালপালা মেলতে থাকল প্রিয়নাথের সার্কাস-সংসার। রংপুরের রাজবাড়িতে খেলা দেখিয়ে খুব নামডাক হল প্রিয়নাথের। রেওয়ার মহারাজা খেলা দেখে খুশি হয়ে উপহার দিলেন একজোড়া বাঘ। তাদের নাম রাখা হল লক্ষ্মী আর নারায়ণ। আর এরাই হয়ে উঠল গ্রেট বেঙ্গলের দুই তারকা! চমক এখানেই শেষ না, প্রথমবার বাঙালির সার্কাসে মেয়েদের নিয়ে এলেন প্রিয়নাথ। সুশীলাসুন্দরী আর তাঁর বোন কুমুদিনী। একজোড়া বাঘ নিয়ে খেলা দেখাতেন। খালি হাতে খাঁচায় ঢুকতেন, সামান্য লাঠি পর্যন্ত থাকত না। খেলা দেখাতে দেখাতে বাঘের গালে চুমু খেতেন। ট্র্যাপিজ আর জিমন্যাস্টিক্সেও দারুণ পারদর্শী। আরও একটা বিপজ্জনক খেলা দেখাতেন— সুশীলাকে মাটিতে সমাধি দেওয়া হতো। তারপর একটা ঘোড়ার খেলা। সেটা হয়ে গেলে আবার মাটি খুঁড়ে তোলা হতো তাঁকে। একবার খেলা দেখানোর সময় প্রবল ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়, যে যেদিকে পারে ছুটে পালায়। সুশীলা মাটিতে সমাধিস্থ ছিলেন, তাঁর কথা কারও মনে ছিল না। দুর্যোগ শেষের পর খেয়াল হয় সবার। তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই দেখা যায় সুশীলা একটা খুঁটির গায়ে হেলান দিয়ে শুয়ে কাঁপছেন, পা দুটো তখনও মাটির মধ্যে। নিজের চেষ্টায় বেরিয়ে এসেছেন। একবার নতুন বাঘ নিয়ে খেলা দেখানোর সময় বিগড়ে যায় পশুটি। তাঁকে আক্রমণ করে। রক্তাক্ত শরীরে গড়িয়ে গড়িয়ে কোনওমতে বাঘের নাগাল থেকে বেরিয়ে আসেন সুশীলা। সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত। কলকাতায় এনে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। সুস্থ হতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
আর ছিলেন যাদুকর গণপতি চক্রবর্তী। সার্কাসে যোগ দেন বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকার জন্য। কিন্তু অল্প সময়েই প্রিয়নাথ বসুর নজরে আসে তাঁর প্রতিভা। গণপতি সার্কাস রিঙের খোলা জায়গায়, তিনদিকে দর্শক রেখে খেলা দেখাতেন। তাঁর একটি প্রসিদ্ধ খেলা ছিল ‘ইলিউশন বক্স’। গণপতিকে পিছমোড়া করে বেঁধে একটা থলেতে পোরা হতো। সেই থলের আবার মুখ বেঁধে ঢোকানো হতো কাঠের বাক্সে। তারপর সেটিকে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে, তাতে বিশাল এক তালা লাগাত সহকারীরা। চাবিটা দেওয়া হতো কোনও এক দর্শককে। এরপর বাক্সের উপর তবলা আর আর একটা ঘণ্টা রেখে চারপাশে পর্দা ফেলে দিত সহকারীরা। এবার দর্শকদের মধ্যে কেউ কোনও তালের নাম বললে পর্দার পিছনে তবলা বেজে উঠত সে‌ই তালে। খেলার শেষে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে পর্দার বাইরে আসতেন গণপতি। তারপর দর্শকদের কাছ থেকে চশমা, ভিজিটিং কার্ড, আংটি ইত্যাদি সংগ্রহ করে বাক্সটা তিনবার প্রদক্ষিণ করে পর্দা তুলে ভিতরে ঢুকে পড়তেন। সঙ্গে সঙ্গে পর্দা তুলে দেখা যেত, তিনি নে‌ই। বাক্স খুললে ভিতরে থলিতে পোরা গণপতিকে পাওয়া যেত। সঙ্গে দর্শকদের থেকে সংগৃহীত জিনিসপত্র। আর একটা খেলা ছিল— ‘ইলিউশন ট্রি’। গণপতিকে হাতকড়া, পায়ে বেড়ি পরিয়ে শিকল দিয়ে বাঁধা হতো একটা ক্রুশের সঙ্গে। সামনে একটা হারমোনিয়াম রেখে চারদিকে পর্দা ফেলে দেওয়া হতো। এবার এক-দুই-তিন বলা মাত্র ভিতরে হারমানিয়াম বেজে উঠত। বাজনা শেষে আবার এক-দুই-তিন বলার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা তুলে দেখা যেত গণপতি শিকলে আগের মত‌োই বাঁধা।
গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস একবার খেলা দেখাতে যায় বড়লাটের বাসভবনে। বড়লাট তখন লর্ড ডাফরিন। আখড়ার ছেলেপুলেদের সঙ্গে প্রিয়নাথ নিজেও পুরোদমে কসরত করছেন মঞ্চে। হঠাৎ ডাফরিন প্রশ্ন করে বসলেন, ‘হু ইজ দ্যাট প্রফেসর?’ সকলে হইহই করে গুরুর নাম জানাল সাহেবকে। আর সেই থেকে প্রিয়নাথ হয়ে গেলেন প্রফেসর বোস। আর দলের নাম—‘প্রফেসর বোসে’জ গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস।’
আর একজন ছিলেন কৃষ্ণলাল বসাক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে শোভাবাজার রাজবাড়িতে কসরত দেখিয়ে নাম কেনেন। ১৯০০ সালে বিশ্বভ্রমণে বেরলেন এক ইউরোপীয় সার্কাস দলের সঙ্গে। তাঁর জাগলিং, প্যারালাল বার, ফ্লাইং ট্র্যাপিজ, জাপানি টপ স্পিনিংয়ের খেলা দেখে সাহেবদেরও চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! দেশে ফিরেই কৃষ্ণলাল খুলে বসলেন নিজস্ব দল—‘দ্য গ্রেট ইস্টার্ন সার্কাস’, বা ‘হিপোড্রোম সার্কাস’। সেই দলের সবচেয়ে পরিচিত সদস্য ছিলেন ভবানীচরণ সাহা ওরফে ভীমভবানী। তিনি নাকি দাঁত দিয়ে তিনটে মোটরগাড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। চিৎ হয়ে শুয়ে বুকের উপর 
একসঙ্গে তুলতে পারতেন তিন-তিনখানা হাতি।’
এদিকে, সার্কাসের ফাইনাল বেল বেজে গিয়েছে। এবার সবাইকে ভিতরে ঢুকতে হবে। পরের দু’ঘণ্টা যে কেমন করে কেটে যেত, জানি না। একদিকে হাতের নাগালে সব বাঘ-সিংহ, অন্যদিকে ঘোড়ার দলের পিঠে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সব খেলা। দূরে রাখা গোলপোস্টে তাক করে বল মারছে লোমশ সাদা কুকুর আর ব্ল্যাক বোর্ডে হাতি কষছে নির্ভুল অঙ্ক! একগাদা রং-বেরঙের পাখি আর চোখধাঁধানো ব্যালেন্সের খেলা। দড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছে একের পর এক ছেলেমেয়ে আর সেখানেই দু’হাতে রঙিন বোতল কিংবা চাকতি নিয়ে চলছে জাগলিং। টানটান উত্তেজনা। আর মাঝে কমিক রিলিফের মতো জোকারের মজার মজার কাণ্ডকারখানা। একবার তো যা-তা হল। সেই অঙ্ক কষা হাতির বাহ্যের বেগ এসে গিয়েছিল। সে একেবারে আমার মুখের সামনে পিছনের দুই পা সামান্য মুড়ে ফুটবলের মত গোলাকার মলখানি ত্যাগ করল। কিছু বোঝার আগেই পাশ থেকে কে যেন চিৎকার করে উঠল, ‘এই হাতিটা নিশ্চয়ই গোটা বেল খেয়েছিল। তাই আস্ত বেল বার করল।’ অনেক পরে জেনেছি, এসব ভুল, মিথ্যে কথা। তবু সেই মিথ্যের মধ্যেই অদ্ভুত এক রূপকথার বুনন ছিল।
এখনও শীত আসে। কিন্তু হরিপুরের মাঠে সার্কাস আর আসে না। যেবার শুনলাম আর প্রাণীদের ব্যবহার করা যাবে না, তখন থেকেই জৌলুস হারাল সার্কাস। প্রথমে বাঘ-সিংহ। তারপর বিদায় নিল হাতিরাও। ছেঁড়া তাঁবু, চলটা ওঠা পোস্টারে জিমন্যাস্টিক্স, ব্যালেন্সিং আর ম্যাজিশিয়ানের ম্লান ছবি। চারিদিকের বিনোদনের আলোতে খাঁ খাঁ করে সার্কাসের এরিনা। ফাইনাল বেল বেজে যায়। দর্শক আসে না। গুটিকয় যুবক-যুবতী খুনসুটি করে দূরে দূরে গ্যালারিতে বসে। ওরাও জানে, এখানে ওদের কেউ বিরক্ত করতে আসবে না। মাঝে আলোর বৃত্তে দাঁড়িয়ে খেলা দেখিয়ে চলে পেটের টানে সব খোয়ানো কিছু মানুষ। কে যেন ওদের শিখিয়েছিল, ‘লাইভ শো নেভার এন্ডস!’
05th  January, 2025
রাজা হবুচন্দ্রের বংশধর

যদি বলি, এটি আমারই পূর্বজদের নিয়ে লেখা একটা ছড়া, আমার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার? তখন তা শুধু রসে-বশে গল্পের খোরাকই নয়, একপ্রকার আত্ম-পরিচয়ের স্মারকও হয়ে ওঠে নাকি? এ ছড়া তো মাত্র গত শতকের কথা। ইতিহাসের আরও গভীরে আর্যপূর্ব যুগের লোককাহিনীতে যদি নিজের পূর্বজদের সন্ধান পাওয়া যায়, তবে কেমন হবে? তখন কী আমাদের দু’দেশের সমবর্তী সংস্কৃতি, কল্পনা, এবং ঐতিহ্যকে আর রাজনৈতিক সীমারেখায় আটকে রাখা যাবে?
বিশদ

09th  February, 2025
কম্বলদাদু,  হনুজেঠু ও  লেপসাহেব

আমাদের  পাশের বাড়িতে থাকতেন অমরদাদু। শীত পড়লেই তিন-তিনটে নানা রঙের কম্বল নিয়ে বাড়ির ছাতে গিয়ে কম্বলমুড়ি দিয়ে বসে পড়তেন  দাদু। পাড়ার সবাই দাদুকে ‘কম্বলদাদু’ নামে একডাকে চিনতেন।
বিশদ

02nd  February, 2025
সাধারণতন্ত্র  ৭৫

একমাস আগে, ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুলাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সামনে বসে থাকা বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা এতকাল আমাকে আক্রমণ করে বলতেন আমি নাকি ডিক্টেটর। স্বৈরাচারী। অথচ আমি মোটেই স্বৈরাচারী ছিলাম না।’ একটু থেমে তাকালেন  সকলের দিকে।
বিশদ

26th  January, 2025
মেহফিল-এ ডোভার লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...

কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM