Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তাই-ই নয়, ফ্লোরিডার পাম বিচে ‘প্রমোদভবন’ মার-এ লাগোতে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প অকপটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তিনি ‘একনায়ক’ হতে চান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এরিক কোর্টেলেসাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘স্বৈরাচারী’ হতে চাওয়াকে অনেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মতাদর্শ বলে মনে করতে পারেন, কিন্তু বহু আমেরিকান ট্রাম্পের মুখে এমন কথা শুনতেই পছন্দ করেন। কারণ, তিনি আমেরিকানদের মনের কথা বলেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, গদিতে বসলে এক পয়সাও ইউক্রেনকে দেবেন না। তিনি মনে করেন, ন্যাটোতে আমেরিকার অর্থ ঢালার কোনও মানেই হয় না। বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও ট্রাম্প যে তাঁর আগের অবস্থানেই আছেন, তা বুঝতে বাকি ছিল না টাইম ম্যাগাজিনের সেই সাংবাদিকের।
সেদিন প্রমোদভবন মার-এ লাগোর পার্টি দেখে কে বলবে, একের পর এক মামলায় ট্রাম্প জর্জরিত। ট্রাম্পের কাছেই বসেছিলেন নির্বাচনী খরচের বড় জোগানদার ধনকুবের স্টিভ ওয়াইন। আমেরিকার বড় বড় ব্যবসায়ী তখন আমোদে মেতে। ওয়াগিউ স্টিক আর গ্রিল করা সামুদ্রিক মাছের স্বাদে বুঁদ হয়ে উঠেছিল ‘মাগা অব মক্কা’ (‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানটিকে এক শব্দে বলে ‘মাগা’)। টেবিলে রাখা আইপ্যাডে ট্রাম্পের তর্জনী তখন নতুন একটি গান খুঁজছিল। একটু পরেই সাউন্ড সিস্টেমে বেজে ওঠে, ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত কারাবন্দিদের গাওয়া ‘দ্য স্টার স্প্যাঙ্গলড ব্যানার’ (আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত), যা ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। কোনও রাখঢাক না রেখেই ট্রাম্প বলেন, আমি তাঁদের ‘জে-সিক্স প্যাট্রিয়ট’ (৬ জানুয়ারির দেশপ্রেমিক) বলে ডাকি।
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা, আমেরিকাকে প্রতারণায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করা, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক গোপনীয়তাকে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা এবং পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার তথ্য লুকানোর জন্য ব্যবসার রেকর্ডকে বিকৃত করাসহ কয়েক ডজন অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্রাম্পকে বিচলিত মনে তো হয়ইনি, বরং এসব অভিযোগকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক সম্মানের মুকুটের একেকটি সম্মানসূচক পালক বানানোর চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা কেলিয়ানি কোনওয়ে সেদিন বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই। তবে তিনি যে ধরনের তৎপরতা নিয়ে তাঁর পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করবেন, তা দেখে গোটা দুনিয়া হয়তো ধাক্কা খাবে।’  ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জনতুষ্টিবাদী কর্তৃত্বপরায়ণ নেতাদের মুখের ভাষা বড় অস্ত্র। অলঙ্কারও বলতে পারেন। ‘কালচারাল ব্যাকল্যাশ: ট্রাম্প, ব্রেক্সিট, অ্যান্ড অথরিটেরিয়ান পপুলিজম’ বইয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পিপা নরিস ও রোনাল্ড ইঙ্গেলহার্ট অন্তত তা-ই বলেছেন। তাঁদের বক্তৃতা ‘আমি’ কেন্দ্রিক। ‘আমি’ এটা করেছি, ওটা করেছি, আমিই, আমিই সে। মুখে জনগণের জন্য জান দিয়ে দেন, কিন্তু পরিষেবা পান শুধু অনুগত গোষ্ঠীরাই। বিরোধী দলের নেতাদের অন্য দেশের ‘এজেন্ট’ বলা আর জাতীয়তাবাদের প্রচার করাই এদের উদ্দেশ্য। ব্যাপক সমালোচনার মুখেও তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেন না, মিথ্যে কথা বলায় লজ্জিতও হন না। স্বৈরতান্ত্রিক নেতাদের এই অসত্যের ফুলঝুরি সমাজবিজ্ঞানীদের ভাষায় বলে ‘পোস্ট ট্রুথ’।
কিন্তু এত কিছুর জানার পরও ট্রাম্পের সঙ্গে ধনকুবেরদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা ‘দ্য গার্ডিয়ান’–এর কলামিস্ট মারিনা হাইড। তিনি লিখছেন, প্রথম পর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্দিষ্ট রুটিন ছিল। প্রতি সন্ধ্যায় সাড়ে ছ’টা নাগাদ বড় একটি চিজ বার্গার এবং একটি বালতি সাইজের ডায়েট কোক নিয়ে বিছানায় বসতেন। তাঁর সামনে অনেকগুলি টিভি চলত। যে টিভিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হতো, রিমোট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শুধু সেই চ্যানেলগুলি তিনি দেখতেন।
টিভি দেখতে দেখতে বিলিয়নেয়ারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ভালোবাসতেন। তৃতীয় কোনও শিল্পপতির নামে কুৎসা গাইতেন, অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতেন এবং এমন অনেক গোপন কথা বলে দিতেন, যা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বলার কথা নয়। ট্রাম্পের ফোন শেষ হতেই অপর প্রান্তের সেই ধনকুবের ভদ্রলোক হয়তো অন্য কোনও ধনকুবেরকে ফোন করতেন এবং ট্রাম্পের কথাবার্তা নিয়ে তাঁরা হাসাহাসি করতেন।
এক সন্ধ্যায় ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর মিডিয়া-ব্যারন রুপার্ট মারডক মন্তব্য করেছিলেন, ‘কী ধরনের একটা নির্বোধ লোক!’ সেদিন মারডক ট্রাম্পকে বুঝিয়েছিলেন, সিলিকন ভ্যালির ধনকুবেররা আসলে তাঁর (ট্রাম্পের) সাহায্যের ধার ধারেন না। কারণ প্রায় আট বছর ধরে ওবামা প্রশাসনকে কার্যত তাঁরাই চালিয়ে এসেছিলেন। রুপার্ট মারডক এমনিতেই একজন বদমেজাজি, ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। হলিউডের ‘মিন গার্লস’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘রেজিনা জর্জ’ (যিনি ক্ষমতা দিয়ে সবাইকে প্রভাবিত করতে চান)-এর সঙ্গে মারডকের তুলনা করা চলে। তবে মারডক ট্রাম্পের ‘ক্লিয়ার্ড কলার’-এর তালিকায় ছিলেন। অর্থাৎ, তিনি চাইলেই যেকোনও সময় ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।
ট্রাম্প জমানার শুরু থেকেই এই ‘বিলিয়নিয়াররা’ আমেরিকার ক্ষমতার বলয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন এবং ট্রাম্পের সমর্থনে বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। মারিনা হাইড লিখছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই ক্ষমতাধর ধনকুবের রাজনীতিকেরা জটিল প্রকৃতির হবে, কিন্তু তাঁরা আসলে তা নন। তাঁদের পার্টিতে শুধু ডলারের লেনদেন আর গল্পগুজব ছাড়া কিছুই হয় না।’ শো বিজে গসিপ বা গল্পগুজবকে সাধারণত হালকা ও ঠুনকো মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তবে ‘মোগল’ শ্রেণির মধ্যে গসিপের ব্যাপকতা অনেক বেশি। অর্থ সুখ কিনতে পারে না ঠিকই, তবে এটা এমন উন্নতমানের গসিপের পথ তৈরি করে দেয়, যেখানে মারডক, বেজোস, স্টিভ উইন, স্টিফেন শোয়ার্জম্যানসহ অন্য ধনকুবেররা প্রায় ‘অস্ত্রসজ্জিত পর্যায়ের’ গসিপ চালান। এই ক্ষমতাশালীদের মধ্যে গসিপ ও শক্তির খেলা অনেকটাই নিষ্ঠুর ও কৌশলে ভরা। এটা তাঁদের মধ্যে একধরনের ‘হাই-কোয়ালিটি গসিপ’ বা প্রভাবশালী তথ্যবিনিময়ের সংস্কৃতি তৈরি করে।
এই গসিপ ও অর্থের চক্রের কাছে ট্রাম্প ‘নির্বোধ’ হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন, যাঁর মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায়। সেই কারণেই তাঁরা ট্রাম্পের যতই সমালোচনা করুন, শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে ট্রাম্পের গসিপ বা খোশগল্প চলতেই থাকবে। এই মোগল শ্রেণি মনে করে, অর্থ অর্জনের সবচেয়ে সহজ উপায়, সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ও তার প্রশাসনকে ব্যবহার করে কর হ্রাস করা। আর ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মতো ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও লাভজনক হল, সরকারের বড় বড় ঠিকাদারির কাজ পাওয়া। এদের কাছে ট্রাম্প আসলে ‘বোকা রাজা’। আর তাই ট্রাম্পকে জেতাতে উজার করে দিয়েছেন রিপাবলিকানদের নির্বাচনী তহবিল। মার্কিন আদালতে রায় ঘোষণার পর ধারণা করা হয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ট্রাম্পের সমর্থনে হয়তো ভাটা পড়বে। কিন্তু সেই ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্প শিবিরে যোগ হয়েছিল ৫২.৮ মিলিয়ন ডলার। আর সেই অর্থ এসেছিল এই শিল্পপতি, ধনকুবেরদের পকেট থেকেই। ভোট প্রচারের সময় ডেমোক্র্যাটদের তহবিল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যত প্রচার হয়েছে, ততই বেড়েছে রিপাবলিকানদের অর্থ ভাণ্ডারও।
মার্কিন বিনিয়োগকারী নেলশন পেল্টজের কথাই ধরুন। তিন বছর আগে বলেছিলেন, ৬ জানুয়ারির মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালানোর জন্য ট্রাম্পকে আজীবন কলঙ্ক বইতে হবে। পেল্টজ সেই সময় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু বছর পার হতেই দেখা যায়, সেই পেল্টজই আবার ট্রাম্পের প্রচারের জন্য তাঁর বাসভবনে অর্থ সংগ্রহের আয়োজন করেছেন। এতেই বোঝা যায়, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সুবিধার জন্য পেল্টজ নিজের অবস্থান বদলাতে দ্বিধা করেননি। পেল্টজের মূল উদ্দেশ্য ছিল, জেফ বেজোসের অ্যামাজনের উপর একটি অ্যান্টি-ট্রাস্ট তদন্ত চালানোর জন্য ট্রাম্পকে প্রভাবিত করা। কারণ, অ্যামাজন আমেরিকার ডাক বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও ট্রাম্প অ্যামাজনের বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত শুরু করেননি। তবে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ট্যুইট করেছিলেন। এমন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পর্কগুলি অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে।
পেল্টজের এই দ্বৈত মনোভাব আসলে এক বৃহত্তর চিত্রের অংশ। এখানে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে দ্বিধা করেন না। এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কখনও সমালোচনা হালকা হয়ে যায়, আবার কখনও নতুন মিত্র তৈরি হয়। এর বড় উদাহরণ টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক। মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থ টেসলা বৈদ্যুতিক যান থেকে শুরু করে স্পেসএক্স রকেট ও নিউরালিঙ্ক ব্রেন চিপ আমেরিকার সরকারি নিয়মকানুন, ভর্তুকি সুবিধা বা নীতির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তাঁর প্রশাসনকে মাস্ক কঠোর নিয়মকানুন বা বিধিনিষেধ কাটানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন, যাতে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইলন মাস্ক এত বেশি করে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়ায় তাঁর শিল্প–সাম্রাজ্যকে ‘গিল্ডেড এজ’ (১৮৭০–এর দশকের শেষের দিক থেকে ১৮৯০–এর দশকের শেষের দিক)-এর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ওই সময় জে পি মরগান ও জন ডি রকফেলারের মতো শিল্পপতিরা তাঁদের ব্যবসা ও সম্পদ বাড়িয়ে নিতে সরকারি নীতির উপর প্রভাব বিস্তার করতেন।
কেনেডি জুনিয়র প্রাক্তন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাইপো। এবারের নির্বাচনে প্রথমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর জন্য তাঁকে আমেরিকার খাদ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একচ্ছত্র ক্ষমতা দিতে চান ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে বলেছেন একথা। ফলে কেনেডি জুনিয়রের ব্যবসা যে রমরমিয়ে উঠবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কে এই কেনেডি জুনিয়র? যিনি টিকা নেওয়াকে তুলনা করেছিলেন নাৎসি জার্মান যুগের সঙ্গে। বলেছিলেন, জলে মেশা রাসায়নিক নাকি শিশুদের সমকামী করে তোলে।
ইতিহাস বলছে, আমজনতাকে উন্মত্ত করা নেতা অ্যাডলফ হিটলার আবির্ভূত হয়েছিলেন জার্মানির ‘ফুয়েরার’ হিসেবে। আমরা দেখলাম, আমজনতাকে আতঙ্কিত করা নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প আবির্ভূত হয়েছেন আমেরিকার ‘মাগা-ম্যান’ হিসেবে। আমেরিকার প্রাক্তন সহকারী প্রতিরক্ষাসচিব ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোসেফ এস নাই বলেছেন, পতন নিয়ে আমেরিকানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার ইতিহাস দীর্ঘ। আমেরিকা এবার সত্যিই পতনের মুখে!
10th  November, 2024
রাজা হবুচন্দ্রের বংশধর

যদি বলি, এটি আমারই পূর্বজদের নিয়ে লেখা একটা ছড়া, আমার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার? তখন তা শুধু রসে-বশে গল্পের খোরাকই নয়, একপ্রকার আত্ম-পরিচয়ের স্মারকও হয়ে ওঠে নাকি? এ ছড়া তো মাত্র গত শতকের কথা। ইতিহাসের আরও গভীরে আর্যপূর্ব যুগের লোককাহিনীতে যদি নিজের পূর্বজদের সন্ধান পাওয়া যায়, তবে কেমন হবে? তখন কী আমাদের দু’দেশের সমবর্তী সংস্কৃতি, কল্পনা, এবং ঐতিহ্যকে আর রাজনৈতিক সীমারেখায় আটকে রাখা যাবে?
বিশদ

09th  February, 2025
কম্বলদাদু,  হনুজেঠু ও  লেপসাহেব

আমাদের  পাশের বাড়িতে থাকতেন অমরদাদু। শীত পড়লেই তিন-তিনটে নানা রঙের কম্বল নিয়ে বাড়ির ছাতে গিয়ে কম্বলমুড়ি দিয়ে বসে পড়তেন  দাদু। পাড়ার সবাই দাদুকে ‘কম্বলদাদু’ নামে একডাকে চিনতেন।
বিশদ

02nd  February, 2025
সাধারণতন্ত্র  ৭৫

একমাস আগে, ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুলাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সামনে বসে থাকা বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা এতকাল আমাকে আক্রমণ করে বলতেন আমি নাকি ডিক্টেটর। স্বৈরাচারী। অথচ আমি মোটেই স্বৈরাচারী ছিলাম না।’ একটু থেমে তাকালেন  সকলের দিকে।
বিশদ

26th  January, 2025
মেহফিল-এ ডোভার লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM