Bartaman Patrika
 

দুটি চেয়ার কেন? 

 অগ্রজকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা শিখেছিলেন বিভাস চক্রবর্তীর থেকেই। তাঁর আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।

শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় … বাংলা থিয়েটারে এই সব দিকপালদের পরে যাদের নাম সগর্বে উচ্চারিত হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম বিভাস চক্রবর্তী। আমার থিয়েটার জীবনের শুরুতে বিভাসদার কী অসাধারণ সব কাজ দেখেছি! মুগ্ধ হয়েছি আর চেষ্টা করেছি শিক্ষিত হতে। ‘রাজরক্ত’, ‘চাকভাঙ্গা মধু’, ‘নাজীর বিচার’, ‘পাঁচু ও মাসী’, ‘নরক গুলজার’ ইত্যাদি। সেসব ছিল শুধু দর্শক হিসাবে দেখা আর দূর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা করা। ‘শোয়াইক গেলো যুদ্ধে’-র সময় আমার সৌভাগ্য হলো বিভাসদার কাছে যাওয়ার। ঐ নাটকে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করার আমন্ত্রণ পেলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। স্বাতীলেখা নান্দীকারের সদস্য, আর আমি তখন নান্দীকারের সম্পাদক। তখন শোয়াইক-এর রিহার্সালে আমি মাঝে মাঝে স্বাতীদির সঙ্গে যেতাম। কখন যে ঐ বিরাট মানুষটি আমার কাছে শুধুই বিভাসদা হয়ে গেলেন বুঝতেই পারলাম না। সেই থেকে বিভাসদার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। বিভাসদা মাটির মানুষ, যার সঙ্গে একটু আলাপেই খুব কাছে চলে আসা যায়।
১৯৮৮ সাল। আমি নান্দীকার ছেড়ে দিলাম। আমার সঙ্গে সোমনাথ, বিমল, পাঁচু, দীপঙ্কর, কল্যাণ, রিঙ্কু আরও অনেকে। আমরা নতুন দল তৈরি না করে নীলাভদের নান্দীপটেই যোগ দেওয়া মনস্থ করলাম। নাটক তৈরি হলো, কার্ত্তিক লাহিড়ীর লেখা ‘মঙ্গলসূত্র’। বিমল (চক্রবর্তী) তখন ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি’ থেকে যুব নির্দেশক হিসাবে কিছু টাকা পেয়েছিল নতুন প্রযোজনা করার জন্য। আমরা সবাই খুবই পরিশ্রম করে নাটকটি করলাম। বিভাসদাকে অনুরোধ করলাম নাটকটি দেখার জন্য। গিরিশ মঞ্চে বিভাসদা এলেন, নাটক দেখলেন। নাটক দেখার পর কৌতুহল বশতঃ জিজ্ঞেস করলাম , ‘কেমন লাগল?’ উনি বললেন, ‘তোমাদের অনেকের বেশ ক্ষমতা আছে অভিনয় করার, গান গাওয়ার, শরীরও ভালো। তবে এরকম বাজে নাটক করো কেন? ভালো নাটক করতে পারো না?’ আমরা বললাম ভালো নাটক পাচ্ছি না তো! শুনে উনি বললেন, পড়াশোনা করো না তো। ভালো নাটক পাবে কী করে? আমার কাছে একটা নাটক আছে, কাল এসে নিয়ে যাবে আর পড়বে।’ সেই অনুযায়ী পরেরদিন বিভাসদার বাড়ি গেলাম। উনি নাটক দিলেন ‘শ্বেত সন্ত্রাস’। নাট্যকার ক্যারেল চাপেক, অনুবাদক আসিতবরন দে। আমরা পড়লাম। তারপর বিভাসদা জানতে চাইলেন, ‘পড়েছ’? আমরা বললাম, হ্যাঁ, খুব ভালো লেগেছে। উনি বললেন, তাহলে শুরু করে দাও। আমরা বললাম, আপনি যদি নির্দেশনা দেন তো আমরা করতে পারি। উনি বললেন, এই প্রযোজনা করতে অনেক খরচ হবে, তোমরা পারবে? জানতে চাইলাম, কত খরচ হবে। উনি বললেন তা প্রায় ষাট হাজার টাকা। দলে তখন টাকা নেই। কিন্তু বিভাসদা আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন এই আনন্দে আমরা রাজী হয়ে গেলাম। সবাই টাকা ধার করে নেমে পড়লাম। বিভাসদা নাটকটি সম্পাদনা করলেন, শুরু হলো মহলা। সেই সময় সামনে থেকে দেখলাম একজন বড় মাপের পরিচালকের কাজ। কীভাবে একটু একটু করে একটা প্রযোজনা তৈরি করতে হয়। উনি বললেন, মিউজিক হবে স্টক থেকে। চলো একদিন কল্যাণের বাড়ি যাই। কল্যাণদার (চৌধুরী) কাছে বহু বিদেশী মিউজিকের রেকর্ড ছিল। একদিন রেকর্ড শুনে উনি কিছু রেকর্ড বেছে রাখলেন। বললেন, রেকর্ডিংয়ের দিন এগুলো নিয়ে এস। রেকর্ডিং শুরু হলো মৌলালিতে গোবিন্দবাবুর স্টুডিওতে। মাত্র তিন ঘণ্টায় রেকর্ডিং শেষ। বিভাসদা চলে গেলেন। সেদিন আমাদের খুব মন খারাপ হয়েছিল। কারণ, এর আগে দেখেছি মিউজিক রেকর্ডিং করতে কত সময় লাগে। আজ বলতে বাধা নেই যে সেদিন মনে হয়েছিল, উনি তো আমাদের দলের নন, তাই বেশি সময় দিলেন না। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে স্টেজ রিহার্সালে দেখলাম কী সুন্দরভাবে মিউজিক নাটকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে! সেদিন বুঝেছিলাম বিভাসদার মাথাটা কম্পিউটার। ‘শ্বেতসন্ত্রাস’ নাটকে মুখ্য চরিত্রে কল্যাণ সরখেল। সেই প্রথম ওর বড় চরিত্রে অভিনয়। কিন্তু বিভাসদার হাতে পড়ে কী সুন্দর অভিনয় করল... এবং অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। শ্বেতসন্ত্রাস নাটক দেখতে শম্ভু মিত্র এলেন রবীন্দ্রসদনে। খুব প্রশংসা করলেন প্রযোজনার। প্রায় আধ ঘণ্টা উনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। উনি চলে যাওয়ার পরে, যখন আমরা সেটের সমস্ত মালপত্র তুলে বেরতে যাব, দেখি বাইরে তখনও দাঁড়িয়ে আছেন অসিত মুখোপাধ্যায়, সলিল বন্দ্যোপাধ্যায় আর দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁরা অপেক্ষা করছেন আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে। শম্ভুদা ছিলেন বলে এতক্ষণ ভিতরে যাননি। ওঁরা বললেন, তোমরা কী করে এইরকম একটা প্রযোজনা করতে পারলে? আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি, আর সেটা তোমাদের জানাব বলেই এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি। নান্দীপটকে তখন তেমন কেউ চিনত না। আমাদেরও তেমন কোনও পরিচয় ছিল না। কিন্তু এতসব দিকপাল মানুষদের প্রশংসায় আমরা বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম। বললাম, সবই বিভাসদার কৃতিত্ব, আমরা শুধু তাঁর আদেশ পালন করেছি। সেই প্রথম নান্দীপট পায়ের তলায় মাটি পেল, বিভাসদার পরিশ্রমে।
এরপর ১৯৯৪ সাল। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হলো। বিভাসদা আমাদের ডেকে বললেন, ‘স্যাস’ পত্রিকায় ‘তীর্থযাত্রা’ নাটক ছাপা হয়েছে, সেটা পড়তে। নাটকটা আমরা পড়লাম। সেটাকে নাটক না বলে প্রবন্ধ বলা যায়, লিখেছেও নতুন একটি ছেলে, শেখর সমাদ্দার। উনি বললেন, চলো, এই নাটকটা করব। প্রচুর ছেলেমেয়ে দরকার। বিভাসদার নাম শুনে বহু ছেলেমেয়ে নান্দীপটে আসতে শুরু করল, শুরু হলো ‘তীর্থযাত্রা’ নাটকের রিহার্সাল। একদিন উনি বললেন, শোনো, তোমাদের দেশভাগের ইতিহাসটা জানতে হবে, শুধু সংলাপ বললে হবে না। সময়কে জানতে হবে। উনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক ডঃ অমলেন্দু দে মহাশয়কে আমাদের দলের ঘরে নিয়ে এলেন। দুদিন উনি আমাদের ক্লাস নিয়েছিলেন। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গার ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস, দেশভাগের কথা উনি আমাদের পড়ালেন। তখন যেন নাটকটা অন্য একটা মাত্রা পেয়ে গেল আমাদের কাছে। বুঝলাম, নাটক করতে গেলে পড়াশোনাটা কত জরুরি। খুব সাফল্য পেয়েছিল সেই নাটক। অসিত মুখোপাধ্যায় নাটক দেখে বলেছিলেন, ‘এই প্রযোজনা বিভাসের পক্ষেই করা সম্ভব। আমরা কেউই এটা করতে পারতাম না।’
বেশ কিছু বছর পর আবার বিভাসদার শরণাপন্ন হলাম। নাটক করব, গিরিশ কারনাডের লেখা বিভাসদার অনুবাদ ‘অগ্নিজল’। বিভাসদা বেশ কয়েকটা রিহার্সালে এলেন। তখন আমাদের দলে ছেলেমেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। কিছুদিন পর বিভাসদা বললেন, না, তোমাদের দিয়ে ‘অগ্নিজল’ নাটক করা যাবে না। তোমাদের দলে সেই ছেলেমেয়ে নেই। আমরা মাথায় হাত দিয়ে বসলাম। এবার তবে আমরা কী করব? আবার মুশকিল আসান হলেন বিভাসদা স্বয়ং। সাতদিনের মধ্যে উনি ইতালীর নাট্যকার দারিও ফো-র নাটক ‘আক্সিডেন্টাল ডেথ অব অ্যানার্কিস্ট’ রূপান্তর করে নিয়ে এলেন। আমাদের দলের সৌমিত্র , বিভাসদার বাড়ি গিয়ে নাটকটা লিখত। শুরু হলো ‘মৃত্যু না হত্যা’-র মহলা। বিভাসদা যে কী ভীষণ পরিশ্রম করেছিলেন তা বলার নয়। প্রত্যেকটা চরিত্র উনি অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন। উনি যা দেখিয়েছিলেন, তার হয়তো ৬০-৭০ ভাগ আমরা করতে পেরেছিলাম আর তাতেই দর্শক মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। নাটকের রূপসজ্জা, মঞ্চসজ্জা, আলোর ব্যবহার সব উনি নিজে সাজিয়েছিলেন। এমনকি পোশাকের কাপড় কিনতেও আমাদের সঙ্গে দোকানে দোকানে ঘুরেছিলেন। দলে তখন ছেলেমেয়ে বেশি নেই, প্রত্যেকেই অভিনয় করছে। আমার স্ত্রী রিঙ্কু সেই প্রথম বড় চরিত্রে অভিনয় করবে। আমি ভীষণ নার্ভাস। কী করবে? ঠিকমতো করতে পারবে তো? বারবার বলতাম, দেখো, বিভাসদার নাম ডুবিও না যেন। এই কথা আবার বিভাসদাকে বলে দিল রিঙ্কু। উনি খুব বকলেন, বললেন নাটকের নির্দেশক কে? আমি বলছি তুমি পারবে। সত্যিই ঐ নাটকে রিঙ্কু ভালোই অভিনয় করল। নান্দীপটও একজন অভিনেত্রী পেয়ে গেল।
তার বহুদিন পর, আবার বিভাসদা আমাদের দলে নির্দেশনা দিলেন। এবারের নাটক ‘শৃন্বন্তু কমরেডস’। কী পরিশ্রম করে উনি নাটকটার নির্দেশনা দিলেন, তা লিখে বোঝানো যাবে না। সোমনাথ মুখোপাধ্যায় নাটকটি অনুবাদ করেছিলেন। বিভাসদা সম্পাদনা করলেন আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে নাটকের গান লেখালেন। আর সেই গানে সুর দিয়ে নিজেই গাইলেন সুমন মুখোপাধ্যায়। ওই সময় এই নাটকটি খুব প্রয়োজনীয় ছিল।
বিভাসদা নান্দীপটের শুধু কয়েকটা নাটকের নির্দেশক ছিলেন না। তিনি কতভাবে যে আমাকে বা নান্দীপটকে সাহায্য করেছেন, তা এই অল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না। ২০০৪ সালে নান্দীপটের রজতজয়ন্তী বর্ষ। আয়োজন করা হলো ‘যুব নাট্য উৎসব’। উদ্বোধন করার কথা ছিলো তাপস সেনের। কিন্তু উদ্বোধনের দিন সকালে জানতে পারলাম যে, তাপসদা অসুস্থ আসতে পারবেন না। অগত্যা আবার শরণাপন্ন হলাম বিভাসদার এবং উনি রাজী হলেন এবং উদ্বোধন করলেন। কিন্তু উদ্বোধক –এর জন্য আমাদের যা যা উপহার সামগ্রী ছিল সব তাপসদার বাড়িতে পৌঁছে দিলেন। বললেন এগুলি সব তাপসদার প্রাপ্য, আমি তো প্রক্সি দিয়েছি। এই হলেন বিভাসদা।
১৯৯২ সালে আমার বন্ধু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্যে ‘পদ্মা-গঙ্গা উৎসব’ করার সুযোগ পেল নান্দীপট। সোমনাথ তখন ভি এস টি কোম্পানির অফিসার। প্রচুর সাহায্য করেছিল আমাদের। বিভাসদাই এই উৎসবের নামকরণ করলেন ‘পদ্মা-গঙ্গা উৎসব’। দুই বাংলার নাটক, চলচ্চিত্র, গান নিয়ে হয়েছিল এই উৎসব। উৎসব উদ্বোধন করতে রাজি হলেন স্বয়ং শম্ভু মিত্র। উদ্বোধনের দিন মঞ্চসজ্জার দায়িত্ব ছিল আমাদের দলের সুমনের উপর। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিভাসদাকে মঞ্চে এনে দেখালাম যে সব ঠিক আছে কি না। মঞ্চে মাঝখানে ছিল দুটি বড় বেতের চেয়ার। উনি বললেন দুটি চেয়ার কেন? আমরা বললাম একটি শম্ভুদার আর অন্যটি আপনার। শুনেই উনি প্রচন্ড রেগে গেলেন। বললেন তোমাদের কি বোধবুদ্ধি সব হারিয়েছে? শম্ভুদা আর আমি একই চেয়ারে বসবো!! এখনই একটা চেয়ার সরিয়ে দাও। বলে উনি নিজেই শিশির মঞ্চের গ্রিন রুম থেকে একটা টিনের চেয়ার এনে মঞ্চের এককোণে রাখলেন। এইভাবে উনি অগ্রজকে সম্মান জানালেন আর আমাদেরও বোঝালেন কীভাবে অগ্রজকে সম্মান জানাতে হয়। এই ঘটনার বছর দুয়েক পরের কথা। সেদিন আমাদের দলের ঘরে ‘তীর্থযাত্রা’ নাটকের রিহার্সাল ছিল। উনি আমাকে বললেন, তুমি সাড়ে পাঁচটায় তথ্যকেন্দ্রের দোতলায় চলে আসবে, তুমি এলে আমি চলে আসব। যথারীতি আমি সাড়ে পাঁচটায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। উনি মিটিং থেকে বেরিয়ে আমাকে বললেন, ‘কিছু মনে কোরো না, একটু দাঁড়াও। আমার আরও দশ মিনিট সময় লাগবে’। আমি তো দাঁড়িয়েই থাকতাম। কিন্তু উনি আমার মতো একজন সাধারণ নাট্যকর্মীকে এইভাবে সম্মান জানালেন।
বিভাস চক্রবর্তী যে কত বড় মাপের নির্দেশক, অভিনেতা, নাট্যকার তা আপনারা আমার থেকে অনেক বেশী জানেন। তা নিয়ে আলোচনা করবেন বিদগ্ধ মানুষেরা। বিভাসদা যে কতবড় সংগঠক তার দু-একটা উদাহরণ দিই। তিনি নান্দীকার থেকে বেরিয়ে থিয়েটার ওয়ার্কশপ তৈরি করলেন। আবার থিয়েটার ওয়ার্কশপের চূড়ান্ত সাফল্যের পর তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘অন্য থিয়েটার’। সেখানে শুধু নাট্য প্রযোজনাই নয়, তৈরী করলেন ‘অন্য থিয়াটার ভবন’। খুব বড় মাপের সংগঠক না হলে করা সম্ভব! তিনি শুধু নাট্যদল নয়, তৈরী করলেন ‘বঙ্গ নাট্য সংহতি’। দুঃস্থ, অসুস্থ নাট্যকর্মীদের সাহায্যের জন্য। এই সংস্থা এখনও পর্যন্ত নাট্যকর্মীদের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা সাহায্য করতে পেরেছে। এইসব করা সম্ভব হয়েছে বিভাসদার নেতৃত্বে। এইরকম বহু ঘটনা বলা যায়, যা এই সল্প পরিসরে লেখা গেল না।
এসবই বিভাসদার থেকে শেখা। বিভাসদার থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু শিখেছি। অনেককিছু পেয়েছে আমার নাট্যদল নান্দীপটও। বিভাসদাকে পাশে না পেলে নান্দীপট আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারত না। ২৩শে সেপ্টেম্বর বিভাসদার জন্মদিন। জন্মদিনে বিভাসদাকে প্রণাম। আপনি এইভাবে আমাদের পাশে থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই কামনা করি।
21st  September, 2019
পশুতে মানুষে... 

আমরা প্রায়শই কারও দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে বলে থাকি — তুই তো জন্তুর মতো ব্যবহার করছিস! প্রশ্ন হল, সত্যি কি এখন এই উপমাটি ব্যবহার করা চলে? কেন না, বর্তমানে এই সমাজবদ্ধ জীবটি, অর্থাৎ মানুষ, সবচেয়ে বেশি হিংস্র, ভয়ঙ্কর, স্বার্থপর এক প্রাণী। যার সঙ্গে কোনও জন্তুরই তুলনা চলে না। 
বিশদ

12th  October, 2019
ধর্মের নামে ব্যবসার এক জ্বলন্ত ঘটনা তুলে ধরে এ নাটক 

ধর্ম ও মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে সারা পৃথিবীজুড়ে এক ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে, নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে কাজে লাগাচ্ছে সাধারণ মানুষের এই আবেগকে। 
বিশদ

12th  October, 2019
রংমহল ছাড়েননি 

সামনেই দুর্গাপুজো। ফি বছর মা আসেন পতিগৃহ থেকে পিতৃগৃহে। তেমনই একবার দুর্গা মর্তে আসার প্রাক্কালে পতিদেব মহাদেবের কাছে আর্জি জানালেন যে তিনি মর্তবাসীর দুঃখ-দুর্দশা সইতে পারছেন না। মহাদেব এমন কিছু করুন যাতে মর্তের লোকেদের দুর্গতি দূর হয়।  
বিশদ

12th  October, 2019
রঙরূপের ৫০ পূর্ণ 

পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করে একান্নে পা রাখল নাট্যদল রঙরূপ। শারদোৎসবের প্রাক্কালে এই উপলক্ষে তারা আয়জোন করেছিল দুই দিনব্যাপী এক উৎসবের। পয়লা ও দোসরা অক্টোবর, এই দুই দিন বাাংলা অ্যকাডেমি ও অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও নাটক।  
বিশদ

05th  October, 2019
সমীর সেন-উৎপল রায় যুগলবন্দি সাথীহারা ভালোবাসা 

ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের হড়পা বান যতই আছড়ে পড়ুক না কেন, বঙ্গ জীবনের অঙ্গে পরম্পরা ঐতিহ্যকে মান্যতা দিতে এখনও অভাব হয়নি আন্তরিকতার। তার নমুনা মিলবে বিশ্বভারতী অপেরার ১৪২৬ সনের নয়া পালাগান ‘সাথী হারা ভালোবাসা’য়। নিবেদনে শুভজিৎ সেন। 
বিশদ

05th  October, 2019
বীরত্ব ও আত্মবলিদানের গল্প 

সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি নাট্যাঙ্গিকে মঞ্চস্থ করল হাওড়া শিল্পী সংঘ। নাটকে অবশ্য শিশুর বীরত্বর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজরের এক মর্মস্পর্শী কাহিনী মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। বিষয়টি অন্যরকম এবং হৃদয়বিদারক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 
বিশদ

05th  October, 2019
থিয়েলাভার্সের দুটি নাটক 

থিয়েলার্ভাস প্রযোজিত দুটি ভিন্নধর্মী নাটক ‘অনার্যবারতা ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক সহায়তায় কর্মশালা ভিত্তিক ‘গাজনাচরের বাজনা’ মঞ্চস্থ হল গিরিশ মঞ্চে। সময়, কাল ও নিয়তি— এই তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সকলের ভাগ্য। এরাই নির্ধারণ করে প্রত্যেকের গন্তব্য।  
বিশদ

05th  October, 2019
পেশাদারিত্ব না এলে ভালো থিয়েটার হবে না 

...বলতেন প্রয়াত নট ও পরিচালক অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর ৮৬তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁকে স্মরণ করলেন তাঁর শিষ্য প্রকাশ ভট্টাচার্য। 
বিশদ

05th  October, 2019
চণ্ডীতলা প্রম্পটারের কলাকেন্দ্র 

হুগলি জেলার বরিজাহাটি অঞ্চলে নাটকের দল চণ্ডীতলা প্রম্পটারের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে একটি নাট্যগৃহ ‘কলাকেন্দ্র’-র। আদতে এটি একটি মুক্তমঞ্চ। গত ৮ সেপ্টম্বর নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু এটির উদ্বোধন করেন। 
বিশদ

21st  September, 2019
নট চিন্ময় রায় 

‘চিন্ময় রায় কিন্তু নাটকেরও মানুষ ছিলেন’— মনে করিয়ে দিয়েছেন বিভাস চক্রবর্তী। আসলে ব্যবসায়িক সিনেমায় কমেডিয়ান হিসেবে চিন্ময় রায়ের নামডাকের আড়ালে তাঁর নাটকের সত্তা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। নান্দীকারের সদস্য হিসেবে শুরু করেছিলেন অভিনয় জীবন। পরে ১৯ জন মিলে সে দল ছেড়ে গড়ে তোলেন ‘থিয়েটার ওয়ার্কশপ’। 
বিশদ

21st  September, 2019
বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে ভ্রান্তিবিলাস 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম বাংলার নবজাগরণের একেবারে উপরের সারিতে রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সমাজ সংস্কারের কাজ ছাড়াও তিনি বেশকিছু সুখপাঠ্য গল্প, উপন্যাস লিখেছিলেন। তারই একটি ভ্রান্তিবিলাস। শেক্সপিয়রের লেখা ‘কমেডি অব এররস’ অবলম্বনে কাহিনীটি লিখেছিলেন বিদ্যাসাগর। 
বিশদ

21st  September, 2019
নতুন নাটক আজীর 

মহাশ্বেতা দেবীর লেখা গল্প ‘আজীর’ অবলম্বনে ‘নব বারাকপুর কোরাস থিয়েটার’ নির্মাণ করেছে তাদের নতুন নাটক ‘আজীর’। এ গল্প হল সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার নিষ্ঠুরতার এক জ্বলন্ত দলিল।  
বিশদ

21st  September, 2019
আশুতোষ মুখোপাধ্যায় স্মারক নাট্যোৎসব 

সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ আগতপ্রায়। সেই উপলক্ষে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে কালীঘাটের যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমি মঞ্চে। 
বিশদ

21st  September, 2019
তাপসদাকে আজ
বড় প্রয়োজন ছিল

তাঁকে বলা হত আলোর জাদুকর। আলোকশিল্পী হিসেবে বিশ্বজোড়া তাঁর খ্যাতি। গত ১১ সেপ্টেম্বর ছিল সেই প্রয়াত তাপস সেনের জন্মদিন। তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে স্মৃতিচারণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য। বিশদ

14th  September, 2019

Pages: 12345

একনজরে
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সংসার টানতে দীর্ঘ তিন বছর ধরে গঙ্গারামপুর শহরে টোটো চালাচ্ছেন স্কুলপাড়ার বাসিন্দা রীতা সরকার। চার বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে, সোনার দামবৃদ্ধি। অন্যদিকে, আর্থিক মন্দা। সব মিলিয়ে সোনার বাজার মোটেই ভালো গেল না দেশে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সোনার যে চাহিদা দেখা গিয়েছে, ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হবু শিক্ষকদের নিয়োগ করার আগে বহু চাকরিদাতা সংস্থাই তাঁদের ডিগ্রি যাচাই করে নেয়। এনসিটিই বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের মাধ্যমেই তা করা হয়। এতদিন এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করেছিল এনসিটিই।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরিকাঠামোয় নজর দেওয়ার পরেও অতীতের তুলনায় পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। রাজস্ব আদায়ও তলানিতে। সম্প্রতি সিএজি’র রিপোর্টেও একথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে বিনোদন কর বিভাগ। কলকাতা পুরসভার রাজস্বের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমানে বিভাগটি গুরুত্ব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন
১৯০১: পরিচালক ও অভিনেতা ভি শান্তারামের জন্ম
১৯৭৩: ভারতের জাতীয় পশু হল বাঘ
১৯৭৮: পরিচালক ও অভিনেতা ধীরেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  November, 2019

দিন পঞ্জিকা

১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৮/৮ রাত্রি ৫/১০। পুষ্যা ৪১/৫ রাত্রি ১০/২১। সূ উ ৫/৫৪/৪৩, অ ৪/৪৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে ৩/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৫ গতে ৩/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২৪/১৭/৩৬ দিবা ৩/৩৯/২৭। পুষ্যা ৩৯/১৯/৩৪ রাত্রি ৯/৪০/১৫, সূ উ ৫/৫৬/২৫, অ ৪/৪৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ১১/১ মধ্যে ও ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে, বারবেলা ২/৫/৪৫ গতে ৩/২৭/১৮ মধ্যে, কালবেলা ৭/১৭/৫৮ গতে ৮/৩৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৪/১১ গতে ১১/২২/৩৮ মধ্যে।
২০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। বৃষ: কর্মরতদের শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭২৭: অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিং জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করলেন১৯০১: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

05:36:00 PM

খড়্গপুরের এসডিপিও সুকমল দাসকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন 

05:34:00 PM

হাসপাতালে ভর্তি নুসরত জাহান
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সংসদ সদস্য ...বিশদ

04:58:35 PM

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অপারেশন করা হয়েছে: মমতা 

04:46:00 PM