অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলা কারাগারে এখন বৃদ্ধা অপরাধীদের ভিড় জমেছে। এমন অনেকেই সেখানে রয়েছেন যাঁদের বয়স ৬৫ বা তারও বেশি। ২০০৩ সাল থেকে ২০২২ সালের হিসেবে এই সংখ্যাটা চার গুণ বেড়ে গিয়েছে। জাপানে বয়স্ক জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাঁদের একাকিত্বও। রিপোর্টে দাবি, এই একাকিত্বের সঙ্গে যুঝতে না পেরেই জেনেশুনে অপরাধ করে কারাগারের অন্দরে আসতে চাইছেন অধিকাংশ বৃদ্ধা। সেখানে থাকলে তাঁদের মনে হচ্ছে, তাঁরা একা নন। যেমন জেনেবুঝেই জেলখানার ঠিকানা বেছে নিয়েছিলেন অশীতিপর আকিয়ো, খাবার চুরির করার মতো সাধারণ অপরাধে ধরা পড়েছিলেন তিনি। আকিয়ো বলছেন, ‘জেলখানায় খুব ভালো ভালো মানুষ। এখানে আমার জীবন বেশ ঠিকঠাক চলছে বলতে পারি।’
আকিয়োর কথা ফেলার মতোও নয়। কারাগারে ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশও রয়েছে। এখানকার কারখানায় কাজ করার সুযোগ মেলে। কারাগারের তরফে অফিসার তাকিয়োশি শ্রীরানাগা বলছেন, ‘এখানে এমন অনেক বৃদ্ধাও আছেন যাঁরা ২০-৩০ হাজার ইয়েন ব্যয় করে আমৃত্যু থেকে যেতে আগ্রহী। প্রবল ঠান্ডায় খেতে না পেয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করে এখানে আশ্রয় খুঁজছেন ওঁরা। এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাও রয়েছে। তাই এখানে থেকে যাওয়া তাঁদের কাছে ভালো উপায়।’
অতএব অপরাধই এখন বাঁচার রাস্তা এই বৃদ্ধাদের কাছে। ফলে দেখা যাচ্ছে ৬৫-র বেশি বয়সের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ২০ শতাংশ দারিদ্র্যের শিকার। ২০২২ সালের এক রিপোর্টে দাবি, বৃদ্ধা অপরাধীদের ৮০ শতাংশই জেলে আসছেন চুরির দায়ে।