Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

বিপ্লবীদের প্রেরণার  উজ্জ্বল
অগ্নিশিখা শ্রীমা সারদা দেবী

বিপ্লবী ছেলেদের আগলে রেখেছিলেন মা সারদা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লিখছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
 
১৯১৭-এর ঝিমঝিম এক সন্ধ্যার কাল, গরাদে মাথা রেখে জেলের মধ্যেই অনশন করেছেন ননীবালা দেবী, বিপ্লবী অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিধবা পিসিমা। চারদিকে আন্দোলন আর বিপ্লব। ভারত ছাড়তে হবে ইংরেজকে। স্বামী বিবেকানন্দের জ্বালাময়ী বাণীতে উদ্দীপ্ত বাংলার মানুষ। স্বাধীনতা চাই। কেমন করে জেলে বন্দি হলেন ননীবালা? শ্রীমা সারদা দেবীর শিষ্য রামচন্দ্র মজুমদার সক্রিয় বিপ্লবী ছিলেন। ১৯১৫ সালে তাঁকে বন্দি করে ব্রিটিশ সরকার। বিপ্লবীগণ মুশকিলে পড়েন, কারণ তাঁর কাছে একটি মাউজার রাইফেল আছে। এই রাইফেলটি কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন রামচন্দ্র, সে সংবাদ জানা অন্যান্য বিপ্লবীদের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাঁদের আগে ব্রিটিশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যদি রাইফেলের সন্ধান পেয়ে যায় তবে রামচন্দ্রের ফাঁসি কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু কে রামচন্দ্রের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, যাকে পুলিশ একেবারে সন্দেহ করবে না! কোনও পুরুষ সদস্যের পক্ষে এই বিপদ কাঁধে নেওয়া সম্ভব নয়। আর মেয়েদের মধ্যে বিপ্লবীদের গুপ্ত ভাষা জানার মতো কেউ নেই। এই দোদুল্যমান অবস্থায় বিধবা ননীবালা এই গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিলেন। বিধবা হয়েও রামচন্দ্রের স্ত্রী সেজে শাঁখা সিঁদুর পরে উপস্থিত হলেন জেলে। কিন্তু রামচন্দ্রের সঙ্গে দেখা করার সময়ই পুলিশের কড়া নজরে ধরা পড়েন ননীবালা। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। চলে অকথ্য অত্যাচার, কিন্তু একটি কথাও তার মুখ থেকে বের করতে পারেনি পুলিশ। উপরন্তু বিনা কারণে তাঁকে বন্দি করা হয়েছে, এই অভিযোগ নিয়ে ননীবালা কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে অনশন শুরু করেন। এই সংবাদে চারদিক উত্তাল হয়ে উঠল। জনমত গেল ননীবালার দিকে। গোয়েন্দা পুলিশের স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট গোল্ডি একটু পিছু হটলেন। তিনি ননীবালাকে ডেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বললেন ‘আমরা চাই আপনি আহার গ্রহণ করুন, তার জন্য আপনার যে কোনও ইচ্ছাপূরণ করব।’ বারংবার বলার পর ননীবালাদেবী জানান, ‘আমাকে বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্ত্রীর কাছে রেখে দিন। তাহলেই খাব।’ এই কথা শোনার পর গোল্ডি তাকে বলেন এই আবেদনটি কাগজে লিখে দিতে হবে। ননীবালা দেবী তা লিখে দিলেন। কিন্তু গোল্ডি ব্যাপারটা না বুঝে দরখাস্তটি দলা করে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে যা ঘটল তার জন্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা পুলিশ গোল্ডি একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না! কাগজের দলা ছুঁড়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে ননীবালা তাঁর গালে সপাটে চড় কষিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় চড়টি মারতে উদ্যত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারীরা তার হাত চেপে ধরে বলে উঠলেন, ‘আরে পিসিমা করেন কী?’ পিসিমা ননীবালা দৃপ্তকণ্ঠে জবাব দিলেন, ‘ছিঁড়ে ফেলবি তো লিখতে বলেছিলি কেন?’ এই অতুলনীয় তেজের উত্‌সধারা যে বাগবাজারে অবস্থিত রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্ত্রীর তা বোঝার আর অবকাশ থাকে না। এই নারীর কাছে সারদাদেবী কেবল গৃহী বা ভক্ত আদর্শ নন, তিনি বিপ্লবের অগ্নিশিখা। ছাই চাপা আগুন। অবগুণ্ঠনবতী, কিন্তু প্রজ্জ্বলিত অগ্নি ছিল সেই অবগুণ্ঠনের আড়ালে। সেই দীপশিখা থেকে যে আগুন বিচ্ছুরিত হতো তাতে জ্বলে উঠেছেন অনেক নারী, অনেক পুরুষ। 
প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির ছিল তত্‌কালের বিপ্লবীদের প্রেরণার উত্‌সভূমি সেখানে বিরাজ করেছেন একজন মৃন্ময়ী, আরেকজন চিন্ময়ী। এক ভবতারিণী, অপর শ্রীমা সারদাদেবী। এ তথ্য প্রমাণে কার কার নাম উল্লেখ করব? শ্রীঅরবিন্দ, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, বাঘাযতীন, প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ— আরও অনেকে! আর মেয়েদের মধ্যে সবথেকে বড় উদাহরণ ভগিনী নিবেদিতা। যিনি ভারতের নবজাগরণ তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। 
সঙ্ঘ গঠনের সময় স্বামী বিবেকানন্দ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখি যে সব বিপ্লবীগণ স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরে রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসী হিসেবে যোগদান করেন, ব্রিটিশ সরকারের কুনজর থাকা সত্ত্বেও শ্রীমা তাঁদের আশ্রয় দান করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করেননি। ১৯১৪-এর ২২ এপ্রিল সি.এ চার্লস টেগার্টের একচল্লিশ পৃষ্ঠার নোটের মধ্যে লেখা আছে রাজনীতির সঙ্গে মিশনের কোনও যোগাযোগ নেই, একথা তাঁরা বিশ্বাস করতে পারেননি। স্বামী বিবেকানন্দের অবর্তমানে শ্রীমাই ছিলেন বহু দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অনুপ্রেরণার উত্‌স, তাঁদের জীবনে শান্ত স্নিগ্ধ মরূদ্যান।
স্বদেশী ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় (১৯০৫-১৯১১) বহু তরুণ বিপ্লবী মঠে যোগদান করেন। অনুশীলন সমিতির যে সব সদস্য শ্রীমায়ের কাছে মন্ত্র দীক্ষা নিয়ে যোগদান করেছিলেন তাঁদের মধ্যে দেবব্রত বসু (স্বামী প্রজ্ঞানন্দ), শচীন্দ্র নাথ সেন (স্বামী চিন্ময়ানন্দ), নগেন্দ্রনাথ সরকার (স্বামী সহজানন্দ), প্রিয়নাথ দাশগুপ্ত (স্বামী আত্মপ্রকাশানন্দ), রাধিকামোহন গোস্বামী (স্বামী সুন্দরানন্দ) সতীশ দাশগুপ্ত (স্বামী সত্যানন্দ) ধীরেন দাশগুপ্ত (স্বামী সম্বুদ্ধানন্দ), অতুল গুহ (স্বামী অভয়ানন্দ বা ভরত মহারাজ) উল্লেখযোগ্য। পুলিশের অত্যাচারে যখন প্রিয়নাথ দাশগুপ্তকে স্থানত্যাগ করতে হয়, শ্রীমা তাঁকে বলেছিলেন, ‘ভয় করো না, ঠাকুর সব ঠিক করে দেবেন।’
এই সময় শ্রীমায়ের কাছে বেশ কয়েকজন বিপ্লবী দীক্ষাগ্রহণও করেছিলেন। বিভূতিভূষণ ঘোষ, বিজয়কৃষ্ণ বসু, সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার, রজনীকান্ত প্রামাণিক প্রমুখর পাশাপাশি ছিলেন যোগেন্দ্র নাথ গুহঠাকুরতার মেয়ে প্রফুল্লমুখী দেবী। বিয়ের আঠাশ দিনের মধ্যে তিনি বিধবা হন। শ্রীমায়ের কাছে গিয়ে জীবনের ধারাই পরিবর্তিত হয় তাঁর। অধুনা বাংলাদেশের কুমিল্লায় তিনি সারদাদেবী মহিলা সমিতি তৈরি করেন। তাঁর উত্‌সাহে কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালার এক অংশে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। যা এখনও বর্তমান। এছাড়া ঢাকার আউটশাহি গ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শ্রীমায়ের অনুরাগী রাজেন্দ্রভূষণ গুপ্তের কন্যা গিরিজা গুপ্ত শ্রীমায়ের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি পরে নারী সংগঠন তৈরি করেন। 
শ্রীমায়ের সন্তান জ্ঞানানন্দকে নজরবন্দি করে রাখার সংবাদ পেয়ে শ্রীমা ইংরেজ শাসনের উচ্ছেদ কামনা করেছিলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন, ‘আহা কীসব চাঁদের ছেলে, দেশের জন্য কতই না দুঃখলাঞ্ছনা ভোগ কচ্ছে।’ ১৯১৭ সালে সাবাজপুর গ্রামের দুই সিন্ধুবালাকে গ্রেপ্তার করে হাঁটিয়ে বাঁকুড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সন্তানসম্ভবা। এই সংবাদ শুনে শ্রীমা শিউরে উঠে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বলেন, ‘বল কী ! এটা কী কোম্পানির আদেশ না পুলিশ সাহেবের কেরামতি? নিরাপরাধ স্ত্রীলোকের উপর এত অত্যাচার মহারানি ভিক্টোরিয়ার সময় কই শুনিনি! এ যদি কোম্পানির আদেশ হয় তবে আর বেশিদিন নয় আচ্ছা, এমন কোন ব্যাটাছেলে কি সেখানে ছিল না, যে দুই চড় দিয়ে মেয়ে দুটিকে ছাড়িয়ে আনতে পারত?’ কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদ এল দু’জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই সংবাদ শুনে স্বস্তি পেয়ে শ্রীমা বলেছিলেন, ‘এ খবর যদি না পেতাম তবে আজ রাত্রে ঘুমুতে পারতাম না।’ 
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণাদাত্রীরূপে শ্রীমায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গভীর। যদিও এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলতেই হবে, স্বদেশীর নামে ডাকাতি শ্রীমা পছন্দ করতেন না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘরে-বাইরে উপন্যাসে স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের যে বিচ্যুতি দেখিয়েছেন সে সম্বন্ধে শ্রীমা সারদাদেবী সচেতন ছিলেন। জয়রামবাটীর কিছু দূরেই কোয়ালপাড়া গ্রাম। সেইগ্রামে ভক্ত ছেলেরা স্বদেশী করে, শ্রীমা তাদের বললেন, ‘এবার ওখানে ঠাকুরকে বসিয়ে দিয়ে যাব, শুধু স্বদেশী করে কী হবে? আমাদের যা কিছু সবার মূল ঠাকুর, তিনিই আদর্শ।’ 
কোয়ালপাড়া আশ্রমে সত্যই ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা করে একটি মঠের জন্ম দেন শ্রীমা। এটি ছিল তাঁর বৈঠকখানা, যেখানে তিনি মাঝে মাঝেই এসে বাস করতেন। এই মঠটির দিকে পুলিশের কড়া নজর ছিল। তবু শ্রীমা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন অন্ত্যজ গ্রামবাসীদের নিয়ে, বিধর্মী বাস্তুচ্যূত অসহায় গ্রামবাসীদের নিয়ে। তিনি তাঁদের সমাজ সচেতন করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন আবার চরকায় সুতো বুনে বস্ত্র উত্‌পাদন হোক, লোকে বস্ত্রের কষ্ট না পাক! তিনি এ কথা প্রসঙ্গে বলেছেন ,‘রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট হয়। হিংসা, খলতা, ব্রহ্মহত্যা—এই সব পাপ।...’
একান্তে থেকেও শ্রীমা সমাজ পরিবর্তনের যে ইচ্ছা আর পথনির্দেশ দান করেছেন, তা এককথায় অসাধারণ। বিপ্লবী ছেলে লুকিয়ে এসেছে তাঁর কাছে দীক্ষা নিতে, তাকে ঘরে রাখতে পারেননি, রাস্তার এক আঁটি খড়ের উপর বসিয়ে মন্ত্র দিয়ে দিয়েছেন। ছেলে মন্ত্র নিয়ে আবার আত্মগোপন করেছেন। স্বামী সারদানন্দজিকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, মঠের যেসব সদস্য যোগদানের আগে বিপ্লবী ছিলেন তাদের পুলিশ উত্‌পাত করুক, তবু তিনি তাঁদের ত্যাগ করতে পারবেন না। কারণ, তাঁরা এখন সত্যস্বরূপ শ্রীরামকৃষ্ণকে আশ্রয় করেছেন। শ্রীঅরবিন্দ যথার্থই বলেছিলেন, ‘জাতীয়তাবাদ কেবলমাত্র নিছক একটি রাজনৈতিক কার্যক্রম নয়। জাতীয়তাবাদ হল ঈশ্বরপ্রদত্ত একটি ধর্ম।’
১৯১৪ থেকে ১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কালে খাদ্যাভাব ও বস্ত্রাভাব চরমে ওঠে। শ্রীমা একদিন মেয়েরা বস্ত্রাভাবে বাইরে বের হতে পারছে না ও কোনও স্থানে আত্মহত্যাও করছে এই সংবাদ পেয়ে উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠেন, ‘পরনের কাপড় না পেলে মেয়েরা কী করবে গো ! … ওরা কবে যাবে গো , কবে যাবে গো!’ তারপর কিছু শান্ত হয়ে বলেন, ‘তখন ঘরে ঘরে চরকা ছিল, ক্ষেতে কাপাস চাষ হত, সকলেই সুতো কাটত, নিজেদের কাপড় নিজেরাই করিয়ে নিত, কাপড়ের অভাব ছিল না। কোম্পানি এসে সব নষ্ট করে দিলে। কোম্পানি সুখ দেখিয়ে দিলে – টাকায় চারখানা কাপড়, একখানা ফাও। সব বাবু হয়ে গেল – চরকা উঠে গেল। এখন বাবু সব কাবু হয়েছে।... আমাকেও একখানা চরকা এনে দাও, আমিও সুতো কাটব।’ কোয়ালপাড়া আশ্রমের ছেলেদের বলতেন, ‘বাবা, তোমরা বন্দেমাতরম্ করে হুজুগ করে বেড়িও না ... তাঁত কর, চরকা কর, আগে তো তাঁতের কাপড়ই সবাই পড়ত, চরকা পেলে আমিও সুতো কাটি।’ মনে রাখবেন এ ছিল গান্ধীজির চরকা আন্দোলনের আগের ঘটনা। 
আরেকটি বিষয়ে শ্রীমা অর্থনীতিবিদের মতো বক্তব্য রেখেছেন। আগে যজমানী ব্যবস্থার মাধ্যমে ধান বণ্টিত হতো, কিন্তু ধান যখন বিক্রয়ের দ্রব্য হয়ে গেল তখন কৃষকের হাতে টাকা এল কিন্তু জীবনধারণের স্বাচ্ছন্দ্য অনিশ্চিত হয়ে গেল। মা চাইতেন কৃষকরা বীজ ধান বিক্রি না করে শান্তিতে বাস করুক। কিন্তু পরিস্থিতি বিরূপ! বদনগঞ্জ স্কুলের হেডমাস্টার প্রবোধবাবু ,‘ইংরেজ সরকার আমাদের দেশের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়েছে’ একথা বললে মা তার উত্তরে বলেছেন, কিন্তু বাবা, ঐসব সুবিধা হলেও আমাদের দেশের অন্নবস্ত্রের অভাব বড় বেড়েছে। আগে এত অন্নকষ্ট ছিল না। ‘বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স’, ‘অনুশীলন সমিতি’ আলিপুর বোমার মামলা— স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল স্তম্ভগুলিতে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীগণ শ্রীমায়ের কাছে আসতেন শক্তিময়ীর কাছ থেকে প্রাণশক্তি লাভ করার জন্য।
তবে সর্বশেষে একথাও বলতেই হয় যে, তিনি ইংরেজ শাসনের প্রতি বিরক্ত ছিলেন, দেশের স্বাধীনতার প্রত্যাশী ছিলেন কিন্তু তাঁর বিরক্তি ইংরেজ জাতির উপর ছিল না। এখানেই তাঁর যে চারিত্রিক উর্ধ্বায়ন আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা এই প্রকাশ যখন দেখি তখন তাঁকে দেবী রূপেই বন্দনা করি। কারণ তিনি শত বিরক্তি সত্ত্বেও বলতে পেরেছিলেন, ‘ওরাও তো আমার সন্তান!’ আসলে মাতৃরূপেই তাঁর বিশেষ অধিষ্ঠান ও বিস্তৃতি। সমাজের নানাবিধ বিষয়ের আঙিনায় বিচরণ করলেও তিনি আদতে ছিলেন বিশ্বজননী। তাই সেই স্বাধীনতা-পরাধীনতার প্রবল দ্বন্দ্ব মধ্যেও তিনি উচ্চারণ করতে পারেন, ‘যদি শান্তি চাও তবে কারো দোষ দেখ না, দোষ দেখবে নিজের।’
13th  August, 2022
বীণা দাস
সশস্ত্র সংগ্রামের বিপ্লবী নেত্রী 

 

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে বক্তৃতা দিতে উঠেছেন অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল স্যার ফ্রান্সিস স্টানলি জ্যাকসন। সেই জ্যাকসন যিনি ক্রিকেটার হিসাবে কুড়িটা টেস্ট ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডকে অনেক জয়ের মুকুট পরিয়েছিলেন। বিশদ

13th  August, 2022
গণেশ জননী

১৪ বছর বয়স থেকে হাতি ধরতে ওস্তাদ। আজও হাতির সঙ্গেই কাটে অধিকাংশ সময়। ‘ওয়ার্ল্ড এলিফ্যান্ট ডে’-র আগে জঙ্গুলে জীবনের দীর্ঘ কাহিনি ভাগ করে নিলেন পার্বতী বড়ুয়া। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।   বিশদ

06th  August, 2022
এখন মেয়েরা
 

নানা রূপে নারকেল: নারকেল দিয়ে তেল বানিয়ে তা থেকে নানারকম প্রসাধনী বানান বিদিশা বসু। পাশাপাশি নারকেলের খোলা দিয়ে বানিয়ে ফেলেন অন্দরসজ্জার বিভিন্ন সামগ্রী।  বিশদ

06th  August, 2022
অনলাইনে কেন সক্রিয় পাচার চক্র

আজ, আন্তর্জাতিক মানব পাচার-বিরোধী দিবস। এই পাচার চক্রের শিকার হতে হয় অগুনতি দেশের নাবালিকা অথবা পরিণত বয়সের তরুণীদের একটা বড় অংশকে। বিশদ

30th  July, 2022
বয়সকালের বাঁচা

বয়স্ক মহিলাদের স্বনির্ভর ও রোজগেরে করে তুলছে হেল্পেজ ইন্ডিয়া। কীভাবে? খোঁজ নিলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

30th  July, 2022
‘লেখিকার তুলনায় লেখক
নিয়ে যেন বেশি হইহই!’

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ‘বেস্ট সেলিং অথর’-দের তালিকায় তাঁর নাম থাকে। মার্কিন প্রবাসী সেই লেখিকা সায়ন্তনী দাশগুপ্ত ন্যারেটিভ মেডিসিন, দ্য ইন্সস্টিটিউট ফর কম্পারেটিভ লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি, দ্য সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব এথনিসিটি অ্যান্ড রেস— সবকিছু নিয়ে পড়ান কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। গল্প উপন্যাস লেখা ছাড়াও জাতি, লিঙ্গ, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক বিষয়ে নানাবিধ লেখা ও বক্তৃতায় ব্যস্ত থাকেন। তাঁর সঙ্গে কথায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

23rd  July, 2022
নবতিপর হয়ে সোনার সাফল্য

বয়স ৯৪। হ্যাঁ, খাতায় কলমে তিনি বেশ সিনিয়র সিটিজেনই বটে। তবে স্বভাবে বা মনে এখনও যেন কলেজের তরুণী! তিনি ভাগওয়ানি দেবী ডাগর। সদ্য ফিনল্যান্ডের পশ্চিমে ট্যাম্পেরে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-এ ১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছেন।
বিশদ

23rd  July, 2022
ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত 
রিজা এবার ফ্যাশন শো-এ

ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত বছর ২৩-এর রিজা রেজি। কিন্তু অসুস্থতা তাঁর কাছে কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। বেঙ্গালুরুর এই কন্যে এবার পাড়ি দেবেন আমেরিকা। কলোরাডোর ডেনভারে গ্লোবাল ডাউন সিনড্রোম ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
বিশদ

23rd  July, 2022
শাড়িতে হাজির হাজার নারী

ঘন নীল রঙের সিল্কের জমি। তাতে সাদা, লালের মতো বাহারি সুতোয় ফুটে উঠেছে এক টুকরো কলকাতা এবং লন্ডন। ইংল্যান্ডের রানির মুখ, লন্ডন টাওয়ার, বিগ বেন ধরা পড়েছে সূক্ষ্ম সুতোর কাজে। বিশদ

23rd  July, 2022
হাড়গিলে রক্ষায় নাইনির উদ্যোগ

অসমে ছবির মতো গ্রাম দাদারা। সে গ্রামের আকাশে উড়ে বেড়াত সরু গলা, লম্বা ঠোঁটের এক বিশেষ প্রজাতির পাখি। স্থানীয় নাম হাড়গিলে। হ্যাঁ, উড়ে বেড়াত। অতীত। সেই অতিকায় পাখি এখন বিলুপ্ত প্রজাতির।  বিশদ

23rd  July, 2022
ঘরকন্নার টুকিটাকি

বর্ষায় অনেক সময় দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ ইত্যাদি মিইয়ে যায়। সেক্ষেত্রে একটা শুকনো চাটু গরম করে নিন। তারপর আঁচ বন্ধ করে এই মশলাগুলো তাতে ফেলে ঢাকা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর তা এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রাখতে পারেন। দেখবেন অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। বিশদ

23rd  July, 2022
অমলিন অমলা

অমলা শঙ্করের জন্ম এক সম্ভ্রান্ত, সংস্কৃতিমনস্ক পরিবারে। সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের পরিসর বাড়ানোর জন্য  পিতা অক্ষয় কুমার নন্দী তাঁকে নিয়ে গেলেন প্যারিসের আন্তর্জাতিক ঔপনিবেশিক প্রদর্শনী দেখাতে। তখন তিনি ছিলেন অমলা নন্দী। প্যারিসেই অমলা নন্দীর সঙ্গে উদয় শঙ্করের প্রথম সাক্ষাৎ। বিশদ

16th  July, 2022
একাকী ভ্রমি

এযুগের মেয়েরা একা বেড়াতে ভালোবাসেন। সত্যি বলতে কী, সোলো উইমেন ট্র্যাভেলার বা একক মহিলা পর্যটক চলতি ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই যে মেয়েদের একা বেড়ানো, এর পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ আছে কী? সমাজতত্ত্ববিদ মালিনী সমাদ্দার বলেন, এর পিছনে মূল কারণ, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা। বিশদ

16th  July, 2022
উটে চড়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন লিন্ডা

উট কি কাঁটা বেছে খায়? ফেলুদাকে চেনেন, অথচ লালমোহনবাবুর এই সংলাপ জানেন না, তা তো হতেই পারে না। রাজস্থান বা দুবাই বেড়াতে গেলে উটের পিঠে চড়ার ইচ্ছেপূরণ করে বাঙালি। কিন্তু অনেকেই উঠতে পারেন না, ভয় পান বা পড়ে যান। বিশদ

16th  July, 2022
একনজরে
দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। তার আগে জিম্বাবোয়ে সফরে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো মহতারকাদের পাশাপাশি কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ...

শনিবার ঝাড়গ্রাম থানার রঘুনাথপুর লক্ষ্মীপল্লি এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়।  পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত শীলের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ...

ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের ইউনিফর্ম তুলে দিতে প্রস্তুত অধিকংশ জেলা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি জেলায় প্রথম সেট তৈরির কাজ শেষ। আরও দু’টি জেলায় তা একেবারে শেষের ...

বেলঘরিয়াতে একটি খাটাল তুলে দিয়ে সেখানে বহুতল নির্মাণের চেষ্টা চলছে। খাটালের একজন মালিক বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কামারহাটি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়া থানার মোহিনী মিল কোয়ার্টার এলাকায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৩৭ - মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার
১৮২৫ - অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও গবেষণার পর বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মাইকেল ফ্যারাড অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন
১৮৮৫ - জাপান জং প্রতিরোধক রং প্যাটেন্ট করে
১৯৪৭- পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস
১৯৪৮- শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলনে ডন ব্র্যাডম্যান
১৯৫৬- জার্মা নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখটের মৃত্যু
১৯৫৭ – বিশিষ্ট বলিউড অভিনেতা জনি লিভারের জন্ম
১৯৬১ – বিশিষ্ট অভিনেতা মণিষ বহলের জন্ম
১৯৬২ - পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজার জন্ম
১৯৮৩ - জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সুনিধি চৌহানের জন্ম
২০১১- অভিনেতা শাম্মি কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৭.৮৪ টাকা ৮১.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৮০ টাকা ৯৯.৪১ টাকা
ইউরো ৮০.২১ টাকা ৮৪.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
13th  August, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৯,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৯,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ শ্রাবণ, ১৪২৯, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২। তৃতীয়া ৪৩/১৯ রাত্রি ১০/৩৬। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪১/৩৮ রাত্রি ৯/৫৬। সূর্যোদয় ৫/১৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৭ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৬ গতে ৯/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
২৮ শ্রাবণ, ১৪২৯, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২।  তৃতীয়া রাত্রি ২/৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/১৫। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১২ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ১/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৬ গতে ৭/২২ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/২৯ মধ্যে।
১৫ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এখানে ওসব চলবে না: মমতা

07:26:30 PM

বিজেপি নেতারা, মীরজাফররা শুধু হুমকি দিচ্ছে: মমতা

07:18:32 PM

আমাদের অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছে, ওদের ডেকে পাঠিয়েছে: মমতা

07:10:56 PM

কেউ ভয় পাবেন না, এদের বিচার হবে জনতার আদালতে: মমতা

07:04:20 PM

২০২৪-এ মোদি জিতবে না, তাই ওরা খেলা শুরু করেছে: মমতা

06:57:18 PM

পরশুদিন কেষ্টকে কেন গ্রেপ্তার করেছেন, ও কী করেছে: মমতা

06:57:08 PM