বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্কিইংয়ের শেষ সীমানা পাড়ি দেওয়ার পরই বরফের চাঁইয়ের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁর। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরে পড়ে। দর্শকদের আনন্দধ্বনি বিষাদে পরিণত হয়। বরফের নীচে আংশিক চাপা পড়েন তিনি। বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়েই দ্বিধায় পড়ে যায় দর্শকরা। সামান্য সময় পরই হাত তুলে দাঁড়ান মিলি, বরফ তাঁকে দমাতে পারেনি।
মিলির এই দুর্ঘটনা ক্রীড়া বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে। আর আলোড়ন তৈরি করবে না কেন? ব্লাইন্ড স্কিয়িং দৌড়বিদ মিলি নাইট, যার দৃষ্টিশক্তি মাত্র পাঁচ ভাগ, প্রায় দৃষ্টিশক্তিহীন এই নারী। পাঁচ বছর বয়স থেকে চোখে তেমন কিছুই দেখেন না।
নিজের অদম্য ইচ্ছা আর মা-বাবার উৎসাহে দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা সত্ত্বেও স্কিইং শিখেছেন। ২০১২ সালে ১২ বছর বয়সে লন্ডনের প্যারা-অলিম্পিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর।
মিলি সেই আগ্রহের জোরেই ২০১৪ সালের সোচি শীতকালীন প্যারা-অলিম্পিকে সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিয়ান হিসেবে অংশ নেন। অপ্রতিরোধ্য মিলি শুধু খেলেনই না, মাত্র পাঁচ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি নিয়েই ২০১৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। চোখের আলো না থাকা দমাতে পারেনি মিলির এগিয়ে চলা।