Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। ভোট মিটতেই রামলালা ভিজছেন অযোধ্যায়, ভেঙে পড়ছে বিপুল ব্যয়ে তৈরি দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, অথচ মোদিজির এখন আর হুঁশ নেই। অসম সাহসী অন্যজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুক চিতিয়ে ঘোষণা করছেন, আইনের শাসন রক্ষায় তিনি দল, রং কিছুই দেখবেন না। হকারদের তিনি বন্ধু, তাঁদের রুটিরুজিতে হাত দেবেন না, কিন্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে সবাইকে। সময় একমাস। গত সোম ও বৃহস্পতিবার, মমতার ঘণ্টাখানেকের দু’টি সাংবাদিক সম্মেলন রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। শাসক তৃণমূলের ভিতরে বাইরে, পুলিস-প্রশাসন এবং অবশ্যই এরাজ্যের বিরোধী শক্তি মুখ্যমন্ত্রীর এই রুদ্র অথচ স্নেহমাখা বরাভয় মূর্তি দেখে দিশাহারা। মমতার সাংবাদিক সম্মেলনের ধ্রুবপদ একটাই, দল, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। এটাই তাঁর পবিত্র রাজধর্ম। সব শাসক তা পালন করলে দেশে দাঙ্গা হতে পারে না। বিলকিসের ধর্ষকদেরও গারদের বন্দিজীবন থেকে বাইরের আলো দেখার স্পর্ধাকে মনে ঠাঁই দিতে পাঁচশোবার ভাবতে হয়। এইখানেই মমতার নৈতিক জয়। 
কোনও রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো এভাবে নিজের দলেরই নেতা-কর্মীদের অনৈতিক কাজকর্মের হাঁড়ি প্রকাশ্য হাটে ভেঙে দিয়েছেন, এমন নজির ভূভারতে ক’টা আছে? মমতা সেই বিরল ব্যক্তিত্ব যিনি লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন জয়ের অভাবনীয় সাফল্য সত্ত্বেও আত্মতুষ্টিতে না ভুগে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়েছেন। এই মুহূর্তে সেটাই বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। একটার পর একটা কাগজ তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধি কে কোথায়, কী করছেন, তার খুঁটিনাটি সব তাঁর নখদর্পণে। দলনেত্রী যে-কথা বলেছেন, তা নরেন্দ্র মোদিও অনেক চেষ্টা করেও বলতে পারবেন না। যদি পারতেন তাহলে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে জেলের বাইরে বীরের সংবর্ধনা পেতেন না। হাতরাসের নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচারের জন্য মাথা কুটে মরতে হতো না। বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেও দেশের প্রথম সারির কুস্তিগীরদের শূন্যহাতে ফিরতে হতো না। গত দশবছরে এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে, মোদিজির মন গলেনি। 
তৃণমূলের স্বার্থান্বেষী মহল বেশ বুঝতে পারছে, সর্বোচ্চ নেত্রীর নজর যখন পড়েছে তখন তাঁদের বেআইনিভাবে করে খাওয়ার দিন শেষ। ‘তৃণমূল করি’ বলে যা খুশি করা আর চলবে না। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি পেতেই হবে। আবার পরাজয়ের ভারে নুইয়ে পড়া বিরোধীরা ভাবছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই যদি শাসক দল ও সরকারের জঞ্জাল সাফ করতে নামেন, অবাধ্য নেতাদের ধরিয়ে দেন, তাহলে তাঁদেরই বা কী করার থাকবে। নেতিবাচক বিরোধিতার পরিসর শূন্যে গিয়ে থামবে। দলবদলুরা সব বেকার হয়ে যাবে। লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর একমাসও কাটেনি। মোক্ষম ঝাঁকুনি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষীয়ান নেতা থেকে দলের সাধারণ কর্মী সকলেই একবাক্যে বলছেন, নেত্রী প্রমাণ করে দিলেন, একমাত্র তিনিই পারেন অভিযোগ লুকিয়ে না রেখে ঘটা করে প্রকাশ্যে আনতে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানকে মমতা সবুজ পতাকা দেখাতেই শিলিগুড়ির ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডাবগ্রামে দেখেছেন তো আমি জেলা প্রেসিডেন্টকে অ্যারেস্ট করিয়ে দিয়েছি। সরকারি জমি ৩ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করে দিচ্ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মলয় (পড়ুন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক) আমাকে বলেছে, কোনও একটা পলিটিক্যাল পার্টি পুকুর ভরাট করে বাড়ি করে নিয়েছে। আসানসোলে এমনটা হয়েছে। পুকুর বুজিয়ে এটা করেছে আরএসএস। ল্যান্ড রেকর্ডে যদি পুকুর থাকে তাহলে সেই পুকুর ভরাট করা হল কীভাবে? তৃণমূলের পার্টি অফিস যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ওই পার্টি অফিসও ভেঙে দেওয়া হবে না কেন?’
এটাকে শুধু মমতার ভোকাল টনিক বললে গোটা বিষয়টিকে লঘু করে দেখানো হবে। মানতেই হবে, সরকার ও দলকে তিনি একসঙ্গে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। পুলিসকেও সতর্ক করেছেন। তৎপরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তোলাবাজির আগে নেতারা দু’বার ভাববেন। হাত বাড়িয়ে পয়সা নিলে কাঠগড়ায় উঠতে হবে পুলিসকেও। শুধু দলীয় পদ, সরকারি দায়িত্বই যাবে না, জেলবাসও অবধারিত। নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের স্বার্থ আগে। সাধারণের আশীর্বাদই তাঁর শক্তি। কেউ যদি নিজের স্বার্থ দেখতে যান, তাহলে দল তাঁকে ছেঁটে ফেলতে দু’বার ভাববে না। ব্যক্তির থেকে দল বড়, দলের থেকে মানুষ। নেতা-কর্মীদের এমন কোনও আচরণ হওয়া উচিত নয়, যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে। কেননা তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে ভোট বাক্সে। মোদিজি যখন শরিকদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ত, জোট সরকারের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার চূড়ান্ত করতে তৎপর,  মমতা তখন মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে মরিয়া। এর চেয়ে বড় বিজয় উৎসব আর কী হতে পারে ভারতীয় গণতন্ত্রে?
মমতাকে গত চার দশক ধরে দেখছি। সাফল্যে যেমন তাঁর মাথা ঘুরে যাইনি, প্রতিবন্ধকতা তাঁকে আরও জেদি করেছে। লক্ষ্যপূরণ হলেই আরও বড় লড়াইয়ের সংকল্পে পরের মুহূর্ত থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে গিয়েছেন অক্লান্ত নিষ্ঠায়। বিরোধী নেত্রী থেকে রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধান, এই দীর্ঘ যাত্রাপথ কোনওদিনই গোলাপ ফুল ছড়ানো ছিল না। সংগ্রাম, নির্যাতন, অপমান, কটাক্ষ, কালীঘাটের দোচালাকে নিশানা করে তথাকথিত প্রতিষ্ঠিতদের বিষ চাউনি ছিল তাঁর চলার পথের নিত্যসঙ্গী। জ্যোতি বসু সহ সিপিএমের তাবড় নেতানেত্রীদের হুঙ্কার, লাল পার্টির হার্মাদপুষ্ট নিশ্ছিদ্র জেলা সংগঠন, স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় থেকে শুরু করে অধুনা মোদি-অমিত শাহ ও আরএসএসের বারংবার বাংলা দখলের ষড়যন্ত্র বানচাল করে তিনি আজও অপ্রতিরোধ্য। কোনও কিছুই মানুষের থেকে তাঁকে দূরে ঠেলতে পারেনি। প্রতিপক্ষ যতই ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করেছে, এবার মমতা ম্যাজিক শেষ বলে নিদান হেঁকেছে, তিনি ততই একটার পর একটা হার্ডল পেরিয়ে ‘ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে’ জয়তিলক কপালে সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটিতে সমুজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রীর ডেলি প্যাসেঞ্জারি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিত্য আসা-যাওয়া ও দলবদলুদের শূন্যগর্ভ আস্ফালনকে হারিয়ে এবারের লোকসভা ভোটেও রাজ্যের সিংহভাগ আসনে জয়ী। এবং গোটা পূর্বভারতের মধ্যে একমাত্র বাংলায় গেরুয়া পতাকাকে রুখে দিতে সফল বেনজির এক স্ট্রিট ফাইটার। এই ট্র্যাক রেকর্ডই বলে দিচ্ছে বাংলায় আগামী ছাব্বিশ সালের বিধানসভা ভোটেও এই পরিণামের বিশেষ হেরফের হবে না। টানা ১৩ বছর একান্তভাবেই রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পরও যা ঈর্ষণীয়। তাঁর এই সাফল্যের কারণ একটাই, মাটির সঙ্গে যোগ কখনও ছিন্ন হয়নি এতটুকু। অ্যান্টি ইনকামবেন্সি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আঁচ তাই মমতার গ্রহণযোগ্যতাকে পেড়ে ফেলতে ব্যর্থ। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে, প্রতিটি জেলার আলাদা আলাদা সমস্যা ও সমীকরণের সঙ্গে এখনও তাঁর নাড়ির যোগ। জেলা সফরেও প্রত্যেক নেতাকে তিনি নাম ধরে ডেকে ধমক দিতে পারেন। সম্প্রতি ভোট প্রচারে বেরিয়ে দেখেছেন, পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ আছে। দলীয় নেতা, জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্ম অনেকক্ষেত্রেই সাধারণের না-পসন্দ। বেআইনিভাবে জমি দখল থেকে বিভিন্ন স্তরে টাকা খাওয়ার অভিযোগও পৌঁছেছে সুপ্রিমোর কানে। বহু কেন্দ্রে তার ফলে জয়ের ব্যবধান কমেছে। রাজ্যের অনেক পুরসভায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল। সেই খামতি দূর করতেই মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে ভীমরবে নেমেছেন তিনি। 
আসলে দূরবিনে দেখা বিরোধীদের সঙ্গে নয়, জননেত্রী মমতার লড়াই এই বঙ্গে আজ একান্তভাবে তাঁর নিজের সঙ্গে। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেত্রী। একদিকে ফল বেরনোর পর ঝগড়া ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি এবং অন্যদিকে ক্রমাগত রক্তক্ষয়ে কাহিল হীনবল সিপিএম। মধ্যিখানে কংগ্রেস। তাই মুখ্যমন্ত্রী থেকেও ক্রমেই শূন্য হয়ে যাওয়া বিরোধী পরিসর দখল করতে তিনি আঙুল তুলছেন নিজেরই দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কোনওরকম রাখঢাক গুড়গুড় না করেই। একাজ মুখে বলা যত সহজ করে দেখানো ততটাই কঠিন। সবাই পারে না। করতে গেলে সাহস লাগে, বুকভর্তি দম লাগে আর লাগে দল ও সরকারের উপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা উন্নততর বামফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়ে নিজেরাই হারিয়ে গিয়েছেন অসীম শূন্যে। অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার নামক রসালো আমটি গাছ থেকে পেড়ে আনতে পারেনি কেউ। গাছেই তা শুকিয়ে গিয়েছে কখন। আজ থেকে তিন দশক আগে কলকাতা শহরে হকার উচ্ছেদের নামে ‘অপারেশন সানশাইন’ শুরু হয়েছিল। তাও চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। কলকাতা জেলা কমিটির অধীন হকার সংগঠন আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। আর আজ এই বঙ্গে সর্বহারার দল কার্যত বিপ্লবকে বন্দি করেছে ফেসবুকে। নেতৃত্ব আহ্লাদিত হলেও ভোটযন্ত্রে তার যে কোনও প্রভাব নেই, তা প্রমাণিত। 
অধিকাংশ আসনেই জামানত জব্দ হচ্ছে। নামতে নামতে বামেরা আজ রাজ্যের চতুর্থ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত। আত্মবিশ্লেষণে সেই চেনা বুলি, ‘মানুষকে বোঝানো যায়নি’। বলি, বোঝাবেন কী করে? আপনারা তো লড়াইটা কার সঙ্গে তাই ঠিক করতে পারেননি। উল্টে বিজেপির বুলি আওড়াতেই ব্যস্ত থেকেছেন। ২০১৬ সালের পর থেকে যেই কংগ্রেসের হাত ধরেছেন সেই মুহূর্ত থেকেই সংখ্যালঘু ভোট পাকাপাকিভাবে আপনাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। আবার জোট করলেও কংগ্রেসের ভোট লাল দলের পক্ষে আসেনি। তাই এরাজ্যে সিপিএম আজ না ঘরকা না ঘাটকা! রাম বাম এক হয়েও কিছুই করতে পারেনি। ভোটের আগে দেড় ডজন সভা করেও বাংলায় মমতার কাছে হারতে হয়েছে মোদিজিকে। সে তো গেল ভোট পাটিগণিতের হিসেব। শুধু নির্বাচন নয়, দল মত রাজনীতি সবকিছু ঝেড়ে ফেলে মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর তৎপরতাতেও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। মোদিজির একচোখো হিন্দুত্ব অনুশীলন ও রামমন্দির বিক্রমকে তাই বাংলার নেত্রীর কাছে পদে পদে হার মানতেই হবে। কারণ দল নয়, সঙ্কীর্ণ রাজনীতিও নয়, গরিব মানুষকে নিয়ে চলা এবং নারীর ক্ষমতায়নই মমতার প্রথম ও শেষ অগ্রাধিকার। তাই মন্দির নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তাঁর প্রচারের অভিমুখ।
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
একনজরে
বিচারপ্রক্রিয়া হোক বা হাই প্রোফাইল বিতর্ক— স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দেখা যায়নি প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে। আদৌ তাঁদের সম্পর্কের গতিপথ ‘মসৃণ’ আছে কি না, ...

গত বছর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় দু’টি সোনা ও একটি রুপোর পদক পেয়েছিলেন শ্যামপুরের আমড়দহ অঞ্চলের সীতাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ঞ্জনা জানা। ...

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের দেওয়া অর্ডারের বিভ্রাটে অসময়েই চাকরি খোয়াতে বসেছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ি। ইতিমধ্যেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের জন্য রাজ্যপাল নিযুক্ত অধ্যাপক তাপস চক্রবর্তী তাঁকে রিলিজ অর্ডার দিয়েছেন। ...

শনিবার বারাসতের অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সেরা পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ল অ্যান্ড জাস্টিসের স্নাতক শ্বাশত কপাট নামে এক ছাত্র দুবাইয়ের এক বহুজাতিক সংস্থায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস
আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্যপাঠ দিবস
১৭১৭ - বাংলার প্রথম নবাব নবাব মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যু
১৭৫৭ - বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে ইংরেজ অধিকৃত কলকাতা দখল করেন
১৭৫৭ - নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা তাঁর স্ত্রী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন
১৮১৭- ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৮৫৫ - ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়
১৮৯৪ - লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়
১৯১৭- দাদাভাই নওরজির মৃত্যু
১৯৩৪ - জার্মানিতে ফ্যাসিবাদী হিটলারের বিরোধীতা করায় প্রায় এক হাজার লোককে হত্যা করা হয়
১৯৩৭ - বিশ্বে প্রথম আপৎকালীন টেলিফোন নম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয় লণ্ডনে
১৯৪১ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার পিটার পোলকের জন্ম
১৯৫৭ - লোককথা সংগ্রাহক ও লেখক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের মৃত্যু
১৯৫৯- বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬২ - বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রমীলা নজরুলের মৃত্যু
১৯৬৬- বিশিষ্ট বক্সার মাইক টাইসনের জন্ম
১৯৬৭- অভিনেতা অরবিন্দ স্বামীর জন্ম
১৯৬৯ –শ্রীলংকান তারকা ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ  সনথ জয়সুরিয়ার জন্ম
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম
১৯৯১ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে
১৯৯৭ - বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৩ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪। নবমী ১৮/২৩ দিবা ১২/২০। রেবতী নক্ষত্র ৬/২৮ দিবা ৭/৩৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৬গতে ১২/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৯ মধ্যে। 
১৫ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪। নবমী দিবা ১/১০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২০ মধ্যে। 
২৩ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়াকে ২- ১ গোলে হারাল ইংল্যান্ড

12:13:50 AM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ২-স্লোভাকিয়া ১ (১০৫ মিনিট)

11:53:34 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (৪৬ মিনিট)

10:44:21 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (হাফ টাইম)

10:25:40 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (২৬ মিনিট)

10:02:25 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০ : স্লোভাকিয়া ০ (১মিনিট)

09:37:17 PM