Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। সেই জন্য দলের এমপি সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে ২৯ হওয়া সত্ত্বেও উল্লসিত না হয়ে মুখোমুখি হয়েছেন বাস্তবের। তিনি ত্রুটি ঢাকার চেষ্টা না করে দলীয় নেতাদের আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। নজিরবিহীন। শুধু বাংলায় নয়, দেশেও। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁর দলের ও প্রশাসনের ফাঁকফোকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তাতে ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়’ বলার জন্য সেই শিশুটির দরকার হবে না।
উনিশের তুলনায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা এরাজ্যে তৃণমূলকে কোনও নম্বরই দিতে চাননি। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম, এমনকী ‘দিদিকে বলো’র স্রষ্টা প্রশান্ত কিশোর পর্যন্ত আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের চেয়েও বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সবকিছুকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে মমতা তাঁর দলের আসন গতবারের চেয়ে অনেকটাই বড়িয়ে নিয়েছেন। 
নরেন্দ্র মোদি চারশো আসন পার করার হুঙ্কার ছেড়ে আটকে গিয়েছেন তিনশোর আগেই। ‘শরিকী ক্র্যাচে’ ভর দিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। তাতেও হম্বিতম্বি কমেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই তাঁর দলের এই জয়কে অনেক বড় করে মেলে ধরতে পারতেন। তিনি বলতেই পারতেন, টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার পরেও ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করেনি। উল্টে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দৃঢ় করতে তৃণমূলের হাত আরও শক্ত করেছে বাংলা। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাননি। উল্টে হেঁটেছেন আত্মসমালোচনার পথে। তাতে ঘর ছোট হলেও ভিতটা হবে মজবুত।
নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছেন, দেশের সরকার গড়ার ভোটেও বাংলা যেভাবে সমর্থন জুগিয়েছে তাতে ছাব্বিশে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে তাঁর অন্তত কোনও সংশয় নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করলেও শহরে তা হয়নি। রাজ্যের ১২১টি পুরসভার অর্ধেকেরও কিছু বেশি এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে। একমাত্র ‘কৃষকবন্ধু’ ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পই গ্রামের ও শহরের মানুষ পেয়ে থাকে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার শহুরে মানুষ উপকৃত হবে, এমন কিছু করেনি। তাহলে কীসের জন্য গ্রাম ও শহরের এই ফারাক?
পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত কারণ তুলে ধরেছেন। সেদিন যে তিনি তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েই বসেছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর সাফ কথা, রাজ্য সরকার নাগরিকদের যে পরিষেবা দিতে চাইছে, তা মানুষ পাচ্ছে না। 
উল্টে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দলের বহু নেতা ও কিছু সরকারি অফিসার ফুলেফেঁপে উঠেছেন। কার কোথায় ত্রুটি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। যাকে বলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন।
অনেকে বলছেন, সেদিনের সভায় অগ্নিকন্যা অগ্নিবর্ষণ করেছেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জনসেবার নাম করে যারা আখের গোছাচ্ছে, তারাই মুখ্যমন্ত্রীর টার্গেট। মোদ্দা কথায়, যারা দু’হাতে টাকা লুটছে। সেইজন্যই তিনি বলেছেন, ‘টাকা তোলার মাস্টার চাই না। জনসেবক চাই। কাজ না করলে ছুড়ে ফেলে দেব।’ তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে থেকেও অনেকে বিজেপিকে টাকা দিচ্ছে।’
কেন তিনি একথা বললেন? নির্বাচন এলেই ‘হাওয়া মোরগ’রা দল বদল করে। আর কিছু ‘মোরগ’ আরও চালাক। তারা ঝুঁকি না নিয়ে পাঁচিলে উঠে বসে থাকে। তলায় তলায় বিরোধী শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় এজেন্সির হুজ্জুতি এড়াতে যথাস্থানে ‘প্রণামী’ও দেয়। সেই তালিকায় আছে তাঁরই দলের কিছু নেতা। অফিসাররা প্রণামী দেন না, তাঁরা দেখান আনুগত্য। তাঁরা বোঝাতে চান, আমি তোমাদেরই লোক। কিন্তু ঠেকায় পড়ে সব মুখ বুজে সহ্য করছি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সেই খবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি এই সমস্ত কথা গোপনে না বলে প্রকাশ্যে আনলেন কেন?
ইতিহাস বলছে, তৃণমূলে থেকে করেকম্মে খাওয়া লোকজন বিজেপিতে গেলেও তার কৃতকর্মের বোঝা বইতে হয় পুরনো দলকেই। মানুষের ক্ষোভ সেই ব্যক্তির বদলে গিয়ে পড়ে দলের উপরেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন, দুর্নীতির দায় একান্তই ব্যক্তিগতভাবে সেই নেতার। তারসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্নীতি ইস্যুতে ডোজটা এবার একটু বেশি হলেও করেকম্মে খাওয়া নেতাদের আক্রমণ এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের এই বলে সতর্ক করেছেন, ‘একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে? সোনাদানা, টাকা পয়সা কি চিবিয়ে খাবি?’ তারপরেও তাদের সম্বিত ফেরেনি। কারণ টাকার নেশা হেরোইনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এই নেশায় আক্রান্ত হলে মানুষ হয়ে যায় দু’কান কাটা। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা মিটিংয়ে বলা কথায় সব বদলে যাবে, এমনটা ভাবার মতো মূর্খ পাওয়া কঠিন। কারণ এরপরেও পুকুর বুজিয়ে বহুতল উঠবে। বহুতলের প্ল্যান পাশ করাতে গেলে যথাস্থানে ‘প্রণামী’ দিতে হবে। রাস্তা তৈরির কাজ নির্বিঘ্নে করতে গেলে শাসক দলের মাতব্বরদের খুশি করতে হবে। এমনকী, ফুটপাতে কিংবা সরকারি জায়গায় ব্যবসা করতে গেলে ইউনিয়নের নেতাকে চাঁদা দিতে হবে। তবে, আপাতত কিছুদিন হলেও তাতে কিছুটা লাগাম পড়বে। নেতারা কিছুটা হলেও ভয় পাবেন। ঘাড়ধাক্কা খাওয়ার ভয়। আর তা যে অমূলক নয়, সেটা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের সভাপতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বেআইনি জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে কি কাক মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া শুরু করে দিলেন?
তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্টের 
দমন, শিষ্টের পালন নীতি নিতে চাইছেন। আর বিরোধীদের চোখে এটা নিছকই ‘আইওয়াশ’। কিন্তু এসব বলে কি একজন দলনেত্রী ও প্রশাসনিক প্রধানের শুদ্ধিকরণের চেষ্টাকে খাটো করা যাবে? 
এর আগে দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের দলের বা সরকারি অফিসারদের খোলাখুলি সমালোচনা করার সাহস দেখাননি। উল্টে সব সময় আড়াল করে গিয়েছেন।
তবে, এব্যাপারে সকলের উপর রয়েছে বিজেপি। তারা কোনও অভিযোগকেই আমল দেয় না। তাই সংশোধনের প্রশ্নই ওঠে না। উল্টে প্রতিবাদের সুর চড়লে নেতৃত্ব এমন আচরণ করে যাতে মনে হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করাটাই অপরাধ। এই যেমন নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে হইচই হচ্ছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্পিকটি নট! উল্টে বিরোধীরা যাতে এই ইস্যুতে বেশি হইচই না করে তারজন্য তাঁর সতর্কবার্তা, ‘সংসদ নাটক করার জায়গা নয়।’ একথা বলে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন? নাটক করার অধিকার তাঁর একার!
আসলে বিরোধীদের পাত্তা না দেওয়াটাই বিজেপির ট্র্যাডিশন। মহিলা কুস্তিগীরদের প্রবল চাপের মুখেও যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নেয়নি। একই স্ট্যান্ড নিয়েছিল অজয় মিশ্রের ক্ষেত্রেও। আন্দোলনকারী চাষিদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন অমিত শাহের ডেপুটি অজয় মিশ্রের ছেলে। অজয় মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু কান দেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরেও অজয় মিশ্রকে এবার টিকিট দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপির আশায় পড়েছে চোনা। খেরি লোকসভা আসনে সমাজবাদী প্রার্থীর কাছে হেরেছেন অজয় মিশ্র। লখিমপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, দল আড়াল করলে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নেয় জনতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অগ্নিবর্ষণ যে শহরে পিছিয়ে থাকার কারণেই, তাতে সন্দেহ নেই। তবে তিনি সিপিএমের স্টাইলে ‘মানুষ ভুল করেছে’ এমন মন্তব্য করেননি। উল্টে নিজের দলের ও সরকারের ত্রুটি চিহ্নিত করে তা এনেছেন প্রকাশ্যে। অনেকের কাছে তা ‘বেফাঁস’ মনে হতেই পারে। কিন্তু সরকার তো জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। তাই জবাবদিহির দায় একমাত্র জনতার কাছে। আর সেটা তিনি বারবার করে এসেছেন। তাই তিনি ‘দলনেত্রী’ থেকে হয়ে উঠেছেন ‘জননেত্রী’।
29th  June, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
একনজরে
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের দেওয়া অর্ডারের বিভ্রাটে অসময়েই চাকরি খোয়াতে বসেছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ি। ইতিমধ্যেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের জন্য রাজ্যপাল নিযুক্ত অধ্যাপক তাপস চক্রবর্তী তাঁকে রিলিজ অর্ডার দিয়েছেন। ...

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালকে সেরার শিরোপা দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যের মধ্যে সেরা এই হাসপাতালকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তিনটি প্রকল্পে পাশ করে খেতাব এসেছে জেলা হাসপাতালে। ...

গত বছর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় দু’টি সোনা ও একটি রুপোর পদক পেয়েছিলেন শ্যামপুরের আমড়দহ অঞ্চলের সীতাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ঞ্জনা জানা। ...

উপর থেকে বস্তায় চোখ রাখলে মনে হবে, বাচ্চাদের খেলনা রয়েছে। কিন্তু তা সরাতেই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিসের। রয়েছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা। সেই গাঁজা বাংলাদেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে পুলিস প্রায় দেড় কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস
আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্যপাঠ দিবস
১৭১৭ - বাংলার প্রথম নবাব নবাব মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যু
১৭৫৭ - বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে ইংরেজ অধিকৃত কলকাতা দখল করেন
১৭৫৭ - নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা তাঁর স্ত্রী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন
১৮১৭- ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৮৫৫ - ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়
১৮৯৪ - লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়
১৯১৭- দাদাভাই নওরজির মৃত্যু
১৯৩৪ - জার্মানিতে ফ্যাসিবাদী হিটলারের বিরোধীতা করায় প্রায় এক হাজার লোককে হত্যা করা হয়
১৯৩৭ - বিশ্বে প্রথম আপৎকালীন টেলিফোন নম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয় লণ্ডনে
১৯৪১ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার পিটার পোলকের জন্ম
১৯৫৭ - লোককথা সংগ্রাহক ও লেখক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের মৃত্যু
১৯৫৯- বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬২ - বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রমীলা নজরুলের মৃত্যু
১৯৬৬- বিশিষ্ট বক্সার মাইক টাইসনের জন্ম
১৯৬৭- অভিনেতা অরবিন্দ স্বামীর জন্ম
১৯৬৯ –শ্রীলংকান তারকা ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ  সনথ জয়সুরিয়ার জন্ম
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম
১৯৯১ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে
১৯৯৭ - বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৩ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪। নবমী ১৮/২৩ দিবা ১২/২০। রেবতী নক্ষত্র ৬/২৮ দিবা ৭/৩৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৬গতে ১২/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৯ মধ্যে। 
১৫ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪। নবমী দিবা ১/১০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২০ মধ্যে। 
২৩ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়াকে ২- ১ গোলে হারাল ইংল্যান্ড

12:13:50 AM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ২-স্লোভাকিয়া ১ (১০৫ মিনিট)

11:53:34 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (৪৬ মিনিট)

10:44:21 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (হাফ টাইম)

10:25:40 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০-স্লোভাকিয়া ১ (২৬ মিনিট)

10:02:25 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ০ : স্লোভাকিয়া ০ (১মিনিট)

09:37:17 PM