Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না। তবে প্রায়ই বিলাসবহুল গাড়ি ঢুকতে ও বের হতে দেখা যেত। ওই বাগানবাড়িতে নাকি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের অনেকের যাতায়াত ছিল। সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকেও মাঝেমাঝে দেখা যেত। তবে বাগানবাড়ির মালিক আক্তারুজ্জামান নাকি বছরের বেশিরভাগ সময় আমেরিকায় থাকে। দেশে ফিরলে সেই বিলাসবহুল বাগানবাড়ি হয়ে উঠত আমোদ-ফুর্তির লীলাক্ষেত্র!
আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে আনোয়ারুল আজিমের সম্পর্ক কী? জানা গিয়েছে, দু’জনই ছোটবেলায় দারুণ ফুটবল খেলত। সেই সূত্রেই একসময় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। পরে আনোয়ারুলের মাধ্যমে সোনা চোরাচালানে যুক্ত হয় আক্তারুজ্জামান। সোনা পাচারে দু’জনের গুরু ছিল পরিতোষ চক্রবর্তী। ঝিনাইদহ শহরের সোনার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত পরিতোষ মারা যায় ২০১৩ সালে। এরপর আনোয়ারুল ও আক্তারুজ্জামান ঝিনাইদহ সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালানের বড় নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে। আনোয়ারুল রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ভিসিআর-ভিসিডির ব্যবসা করত। জাপান থেকে ভিসিআর ও ভিসিডি আমদানি করে ভারতে পাচার করত। ভারতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। পাচারে হাত পাকানো সেই শুরু...।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের রাজনৈতিক উত্থানও দলবদল ও ক্ষমতার বলয়ের মাধ্যমে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা ও পরে আওয়ামি লিগের সাংসদ আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসে। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলার নির্বাচিত হয় বিএনপি নেতা হিসেবে। ১৯৯৫ সালে আবদুল মান্নান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামি লিগে যোগ দেন। তখন আনোয়ারুলও তাঁকে অনুসরণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল ভারতে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, তোলাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্টও জারি করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল ‘নির্বাসন’ থেকে বাংলাদেশে ফিরে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে পায়নি। মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবদুল মান্নান। কিন্তু ২০১৪ সালে আবদুল মান্নানকে কোণঠাসা করে আনোয়ারুল মনোনয়ন পায়। তখন থেকেই গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আবদুল মান্নান মারা যাওয়ার পর কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ সদরের একাংশে আওয়ামি লিগের রাজনীতিতে আনোয়ারুলই হয়ে ওঠে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। তবে চোরাচালানের দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি। তার সোনাপাচারের কারবার দিনের পর দিন ফুলে ফেঁপে ওঠে। আনোয়ারুলকে নাকি বাংলাদেশের অনেকে ‘সোনার আনার’ বলে ব্যঙ্গ করতেন। আর সেই সোনাপাচারের চক্রে জড়িয়েই নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে সাংসদ আনোয়ারুলকে। শুধু এই একটি খুনের তদন্তেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে চোরাচালানের ভয়ঙ্কর দুনিয়ার কাহিনি! জানা গিয়েছে একাধিক রুটের কথাও।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আখতারুজ্জামান আমেরিকাপ্রবাসী হলেও তারও প্রধান ব্যবসা সোনা চোরাচালান। আবুধাবি থেকে সোনা নিয়ে এসে ভারতে বিক্রি করাই ছিল তার ব্যবসা। এই কাজে তাকে সাহায্য করত আনোয়ারুল আজিম। গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছেন, সম্প্রতি কয়েকটি চালান নাকি আনোয়ারুল গায়েব করে দিয়েছে, যার দাম হবে অন্তত ২০০ কোটি টাকা। এই টাকার জন্যই আখতারুজ্জামান পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে খুন করেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে সোনা চোরাচালান ওপেন সিক্রেট। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সবাই ভাগ পায়। শুধু যশোর অঞ্চল নয়। বখরা যায় খুলনা পর্যন্ত। আনোয়ারুল আজিম টোকেন সিস্টেম চালু করেছিল। টোকেন দেখালে পুলিস–বিজিবি ধরবে না। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তে একের পর এক আক্তারুজ্জামানের সোনার চালান ধরা পড়ছিল। তাতে আক্তারুজ্জামানের গ্যাং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি মহেশপুরে সাড়ে চার কেজি সোনার একটি চালান ধরিয়ে দেয়। ওই চালান ছিল আনোয়ারুলের। এর জেরে আনোয়ারুলের সহযোগী তরিকুল ইসলাম (আকেলে) ওই দিনই মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে দু’জনকে গুলি করে 
খুন করে ভারতে পালিয়ে আসে। আক্তারুজ্জামান এরপর আনোয়ারুলের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু করে আনোয়ারুলকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ঘাতক প্ল্যান...।
অভিযোগ, সোনার চোরাচালান, মাদক পাচার ও হুন্ডি মাফিয়াদের কাছ থেকে সাংসদ আনোয়ারুল প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা পেত। এই টাকার ভাগ নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এর মধ্যে একজন প্রভাবশালী নেতা আনোয়ারুলের মাধ্যমে প্রতি মাসে দুই কোটি টাকা করে পেত। কিন্তু ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার পর থেকে আনোয়ারুল এই টাকার ভাগ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই অঞ্চলে সোনা চোরাচালান, মাদক ও হুন্ডি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য দেবেন বলে ধরা হয় তাদেরও একই পরিণতি ঘটে। ফলে এসব মামলায় কেউ সাক্ষী হতে চায় না। গোয়েন্দাদের দাবি, চিকিৎসার কারণ দেখিয়েও গত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন বাংলাদেশি বিপুল টাকা ভারতে এনে তা বিনিয়োগ করেছেন সোনা পাচারের মতো বেআইনি কারবারে। এমনকী সেই টাকার একাংশ অপরাধ জগতেও লগ্নি করা হয়েছে। এই ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’-কে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের পিছনেও কাজ করত আনোয়ারুলের মাথা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতে পাচারের সময় এই রুটগুলিতে প্রায়ই সোনার বড় বড় চালান ধরা পড়ে। ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ। জানা গিয়েছে, এক বছরে ওই তিন জেলার সীমান্তে অন্তত ১৩০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যার বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৮ কোটি টাকা। মামলা হয়েছে ৫৩টি। তবে গ্রেপ্তার হয় শুধু সোনা পাচারকারী বেকার তরুণ, ভ্যান-রিকশাচালক ও গ্রামের সাধারণ মানুষ। মামলার রায় হলে সাজাও হয় শুধু তাদেরই। 
যারা সোনা ক্যারিয়ার, তারা উপর বা নিচু স্তরের কাউকে তেমন চেনে না। যে কারণে তাদের 
কাছ থেকেও সেভাবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে চোরাচালানের মূল হোতারা থেকে যায় 
নাগালের বাইরেই।
২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল ইকোনমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) মোট ৮৩৩ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু এত সোনা ভারতে পাচার হচ্ছে কেন? ইকোনমিক টাইমস বলছে, ভারতে সোনার উপর শুল্ক-কর মোট সাড়ে ১৮ শতাংশ। এতে চোরাচালানকারীরা উৎসাহিত হয়। চোরাচালানের মাধ্যমে ঢোকা প্রতি কেজি সোনার দাম ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১-১৩ লাখ) কম পড়ে। মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে সেই সোনা আনা হয়। তারপর তা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। সোনা চোরাকারবারির পাশাপাশি পাচার হয় ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা। সোনা ও মাদক পাচারের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়। স্বভাবতই এই মাফিয়াদের হাতে সোনা চোরাচালানের রুটের নিয়ন্ত্রক ছাড়াও হুন্ডির লেনদেনের একটি হিসেব রয়েছে। এই হিসেব অনুযায়ী এই মাফিয়াদের হাতে বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা হুন্ডিতে লেনদেন হয়।
সোনা চোরাকারবারির রুটও আন্তর্জাতিকভাবে কাটআউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। দুবাই থেকে ঢাকা অথবা দুবাই থেকে কাঠমান্ডু হয়ে ঢাকায় আকাশপথে সোনা বাংলাদেশে আসার পর এই চালান ভারতের বিভিন্ন শহরে নিরাপদে পৌঁছানোর দায়িত্ব থাকে এক একজন মাফিয়ার উপর। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন। এদের মধ্যে ঢাকা থেকে সড়কপথে ঝিনাইদহ দিয়ে যশোর প্রবেশের রুটটি স্থানীয় এক প্রাক্তন এমপি নিয়ন্ত্রণ করে। ঢাকা থেকে বরিশাল অথবা পিরোজপুর হয়ে সাগরপথে ফিশিং বোট দিয়ে সোনা চোরাকারবারির রুটটি নিয়ন্ত্রণ করে প্রথম নির্বাচিত একজন সাংসদ। মাত্র পাঁচ-ছয় বছরে সেই সাংসদ এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। তার বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে সোনা ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
পিরোজপুর থেকে বরগুনা হয়ে বাগেরহাট দিয়ে ওই চালান আবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। ভারতে সোনা চোরাচালান ও হুন্ডির নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশে একটি গ্রুপ অব কোম্পানিজ। বছর বিশেক আগেও ঝিনাইদহ এলাকা থেকে আলোচিত হুন্ডি কাজলের মাধ্যমে ওই গ্রুপটি ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিল। হুন্ডি কাজল ভারতে আত্মগোপন করার পর ওই রুটটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সাংসদ আনোয়ারুল। ঢাকা থেকে রুটটি নিয়ন্ত্রণ করে বাগেরহাটের আরেক রাজনৈতিক নেতা। এই রুটটির মাধ্যমে দুবাই থেকে আকাশপথে ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে সোনার চালান পৌঁছায়। এইসব রুট বিজিবি-বিএসএফের অজানা থাকার কথা নয়।
প্রশ্ন হল, দিনের পর দিন এই রুট টিকে থাকে কীভাবে? বিজিবি-বিএসএফের ভূমিকা কী? কোথায় যায় পাচার হওয়া সোনা? সীমান্তে এত নিরাপত্তাব্যূহ, এত কড়াকড়ি, সেটা কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য? ভারতের ভিসার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মেডিকেল ভিসার জন্যও সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হয়। অথচ, খুনি, মাফিয়ারা অনায়াসে ভিসা পেয়ে যায় কী করে? অনেক তদন্ত সত্যের কাছাকাছি এসেও থমকে যায়। সাংসদ আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে সেটাই হবে না তো?
27th  June, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
একনজরে
১৫ দিনে সাতবার! ফের বিহারে সেতু বিপর্যয়। এবারের ঘটনাস্থল সিওয়ান জেলা। জেলায় কয়েকদিন আগেই ভেঙে পড়েছিল একটি ব্রিজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার ভোরে ...

ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশেষে বিজেপিকে রাজভবনের সামনে শর্তসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে পারবে বিজেপি। ...

স্কুলের পরিকাঠামো থেকে পরিবেশ-পরিস্থিতি জানতে এবার সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা পরিষদ। বুধবার জেলাজুড়ে ওই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এনিয়ে মঙ্গলবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন হুগলি ...

কালিম্পংয়ে ধস ও নদী ভাঙনে বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার নতুন করে ধস না নামলেও সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে
১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান জর্জ ওয়াশিংটন 
১৮১৭: স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়
১৮২৮: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন
১৮২৯: লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু
১৮৮১: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়
১৮৮৬: ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯০৪: পানামা খালের খনন কাজ শুরু হয়
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৪৩: সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
১৯৬৩: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মৃত্যু
১৯৬৮: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির জন্ম
১৯৭২: পুনরায় দুই কোরিয়া একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবার সরকারিভাবে যৌথ ঘোষণা করা হয়
১৯৮৭: প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইমরান খান
২০২২: বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৯ টাকা ১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী ২/১৮ প্রাতঃ ৫/৫৫ পরে চতুর্দশী ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৪/৫৮। মৃগশিরা নক্ষত্র ৫৭/১৮ রাত্রি ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৫/০/২৭, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/৩৮ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৪/৩৮। মৃগশিরা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২১। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/১ মধ্যে।  
২৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাড়খণ্ডে আগামী ৮ জুলাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট

08:03:14 PM

মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভিক্ট্রি প্যারেড

07:55:00 PM

শিক্ষা দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য ...বিশদ

07:35:19 PM

মেরিন ড্রাইভে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

07:17:32 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ট্রফি হাতে হার্দিক পান্ডিয়া

06:49:35 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছল টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল

06:35:34 PM