Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই। মাঠের কাজ সেরেই ছুটবে সে পড়তে। মাকে বলত, একদিন আমার অনেক পয়সা হবে। অস্বাভাবিক ছিল না। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবচেয়ে মেধাবী, বুদ্ধিমান, আর পরিশ্রমী। বাড়ির লোকজনও জানত, এ ছেলে বড় হয়ে কিছু একটা হবে। কিন্তু কী হবে? ডাক্তার। ওটাই ছিল স্বপ্ন। কষ্ট করে হলেও বাবা তাকে পাঠিয়েছিল কোটায়। পড়তে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। আর কোটায় যাওয়ার এক বছরের মধ্যেই সেই মেধাবী ছেলেটি স্বাদ পেয়ে গিয়েছিল টাকার। প্রক্সি পরীক্ষার্থী। নাম অন্য কারও। কিন্তু কলম তার। একলপ্তে অনেকগুলো টাকা। আর তারপর? প্রশ্নপত্র ফাঁস। স্টেট ব্যাঙ্কের পরীক্ষা, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে হাত পাকানোর পর নিট-ইউজি। তাকে গ্রেপ্তার করার পর উত্তরপ্রদেশের পুলিস বলেছে, এই ছেলেই নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড। নাম? রবি অত্রি।
২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গিয়েছে এক লহমায়। বছরের পর বছরের রাতজাগা পরিশ্রম, নাওয়া খাওয়া ভুলে মক টেস্ট দিতে ছোটা, প্রত্যেকটা বিষয়ের খুঁটিনাটি বারবার ঝালিয়ে যাওয়া... লক্ষ্য ছিল তাঁদের একটাই—নিটে ভালো র‌্যাঙ্ক করতে হবে। তাহলে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। তা না হলে ডেন্টাল। যদি পৈতৃক সূত্রে অনেক সম্পদ ও সম্পত্তির সংস্থান থাকে, তাহলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। কারণ, প্রতি সেমেস্টারে অন্তত ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করার ক্ষমতা সব বাবামায়ের থাকে না। তাই পরিশ্রম... অন্তহীন। যে বাড়ির ছেলেটা বা মেয়েটা নিটে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ক্লাস ইলেভেন থেকেই তার ছুট শুরু হয়ে যায়। আর সেটা হাড়ে হাড়ে বোঝেন তার বাবা-মা। নিত্য টেনশন, জলের মতো খরচ, আর অশান্তি—দৈনিক রুটিনে পরিণত হয় সেইসব মধ্যবিত্ত পরিবারে। তারপর এঁরা যদি দেখেন, স্রেফ টাকা খাইয়ে কেউ কেউ র‌্যাঙ্ক করে গেল এবং তাঁদের সন্তানরা ভালো প্রস্তুতি সত্ত্বেও আজ ট্র্যাকের বাইরে... মেনে নিতে পারবেন কি? না, পারেননি সেই অভিভাবকরা। পারেননি সেই পড়ুয়ারা। প্রার্থীরা। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার আজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে... হ্যাঁ, অনিয়ম হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস, টাকার বিনিময়ে নম্বর পাইয়ে দেওয়া, ভুয়ো পরীক্ষার্থী, গ্রেস নম্বর। এই সবের জন্য তাহলে ওই একজন দায়ী? রবি অত্রি? নাকি সে শুধুই একটা ঘুঁটি মাত্র? স্রেফ বলির পাঁঠা? একজনের পক্ষে সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষার পাত্রে লাগাতার ছিদ্র করে যাওয়া সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। সিবিআইয়ের ভাষায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। এত সহজে ধরা হয়তো পড়ত না। কিন্তু প্রশ্নটা তুলে দিয়েছেন ওই ৬৭ জন। তাঁরা ৭২০ পূর্ণমানের মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন। ৬৭ সংখ্যাটা কি সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো? আর এতজন ৭১৮ বা ৭১৯ পায় কীভাবে? আর ওই নম্বর পাওয়াটাও কীভাবে সম্ভব? কারণ, প্রত্যেক প্রশ্নে ৪ নম্বর করে রয়েছে। কেউ যদি একটি প্রশ্ন ছেড়ে আসেন, তাহলে বাকি সব ঠিক হলেও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৬। যদি একটি প্রশ্ন ভুল করেন, তাহলে এক নম্বর নেগেটিভ। সেক্ষেত্রে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৫। অর্থাৎ, ৭১৬ এবং ৭২০’র মাঝে কোনও নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কি গ্রেস? কত নম্বর গ্রেস দেওয়া হয়েছে? কী ভিত্তিতে ১৫৬৩ জনকেই গ্রেস নম্বর দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের মইতে তুলে দেওয়া হয়েছে? প্রশ্ন অনেক। আর তার উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে আন্দোলন। কয়েকমাস আগে হলেও মোদি সরকার হয়তো এসবে গা করত না। নম্বর যে তখন তাদের কাছেও ছিল। আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষামন্ত্রককে এই ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করতে হয়েছে। তারা জানে, যুব সম্প্রদায় এবং মধ্যবিত্ত খেপলে সরকার বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হবে। আর তাদের সঙ্গে যদি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ থাকে। 
মৌচাক যে একটা আছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। আর সেটা রয়েছে নিটের জন্মলগ্ন থেকেই। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিম্নবিত্ত থেকে বিলিওনেয়ার, সবার সন্তানেরই থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই স্বপ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার মতো মেধা থাকে ক’জনের? এখানে যদি একটা পলিসি হয় যে, উচ্চ মাধ্যমিক বা সম পর্যায়ের দ্বাদশ উত্তীর্ণ যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় মোটামুটি একটা নম্বর পেলেই ডাক্তারির এন্ট্রান্সে বসা যাবে? বাকিটা করে দেবে মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন এবং ‘বাইরে থেকে সমর্থন’। তাহলেই বহু পয়সাওলা ঘরের ছেলেমেয়ে মেধা না থাকলেও গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে ঘুরতে পারবে। তাই যোগ্যতামান কত ধার্য হল? ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক বা আইএসসির মতো বোর্ড পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই বসা যাবে নিট-ইউজি’তে। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স-মেইন পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্যতামান কত? ৭৫ শতাংশ। আইআইটি পড়তে গেলেও ৭৫ শতাংশের নীচে নম্বর থাকলে চলে না। তাহলে ডাক্তারির ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কেন? সাধারণ জ্ঞান বলে, ডাক্তারি পড়তে হলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের থেকে মেধা কম কিছু লাগে না। বরং বেশি। তাহলে যোগ্যতামান এত কম কেন? যে ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ টপকাতে হিমশিম খেয়েছে, সে ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে উঠতে পারবে কি? এই প্রশ্ন কেন নীতি নির্ধারকদের মনে আসবে না? 
কোথাও একটা শিল্প গড়ে উঠলে তার আশপাশে এবং তার সঙ্গে তালমেল রাখার জন্য গড়ে ওঠে বহু অনুসারী শিল্প। এরা মূল শিল্প বা কারখানাটির সহায়ক। কিন্তু অনুসারীরা কি মূল শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? শিক্ষার ক্ষেত্রে আজ সেটাই হয়তো হচ্ছে। কার্যত ব্যবসায় পরিণত হয়ে যাওয়া এই মৌলিক অধিকারকে এবং তার নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করছে, শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত এবং তার বাইরে থাকা কর্পোরেটদের একাংশ। মহামান্য ভারত সরকারও শুনে চলছে তাদের কথা। সেইমতো ভাঙাগড়া চলছে যোগ্যতামানে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, যথেষ্ট মেধা না থাকা সত্ত্বেও পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে পড়ছে কেউ কেউ। তার জন্য বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে যোগ্য প্রার্থীদের। তা সে ভিন রাজ্যেরই হোক না কেন! বাংলা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতি বছর এই রাজ্য থেকে চার হাজার ডাক্তার এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকেই কিন্তু অন্য রাজ্যের। নিটের নিয়ম অনুযায়ী, মোট আসনের মধ্যে রাজ্যের ৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সুযোগ পাবেন। বাকি ১৫ শতাংশ সর্বভারতীয় কোটা। কিন্তু যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাসে গিয়ে দেখতে পারেন, ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার হার ওই ১৫ শতাংশের অনেক বেশি। কীভাবে? বাইরে থেকে প্রার্থীরা আসছেন, ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন, আর বসে পড়ছেন পরীক্ষায়। যোগ্যতামান ৫০ শতাংশ থাকলেই তো হল! রাজ্য সরকার তাঁর পিছনে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা খরচ করছে। আর পাশ করার পর তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিজের রাজ্যে। এতে একদিকে যেমন রাজ্যের মানুষ সেই ডাক্তারের পরিষেবা পাচ্ছে না, অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার যোগ্য পড়ুয়ারা। এই নিয়মে বদল আনা কি একেবারেই অসম্ভব? অন্তত বোর্ডের দ্বাদশের পরীক্ষা ওই রাজ্য থেকে না দিলে নিটের জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না—এই নিয়ম কার্যকর করাটা একান্তই প্রয়োজন। তাহলে একমাত্র আইনের ফাঁক গলে চলতে থাকা বৈষম্য ঘুচবে। 
উচ্চ মেধার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়বে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাদের হাতে একজনের বাঁচা মরা নির্ভর করে। একজন রোগীর ভুল চিকিৎসা হলে ফল যে কত মারাত্মক হতে পারে, সেই উদাহরণ আমরা আকছার দেখে থাকি। এরপর কোন ভরসায় আমরা ডাক্তারের কাছে যাব? কী দেখব মরণাপন্ন কাছের মানুষটাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে? ডিগ্রি? কোটা? তারপরও কি ভরসা পাওয়া যাবে? চিকিৎসায় গাফিলতি কিংবা রেফার বাড়তে থাকলে তার দায় তখন কে নেবে? ভারত সরকার নেবে তো? তখন স্বীকার করবে তো... আমাদের ভুল নীতি এবং গা ছাড়া মনোভাবই সমাজকে এমন ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে? বছর বছর শুনে আসছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তাহলে এত বড় দুর্নীতিটা তাঁর নজরে আসছে না? দেশজুড়ে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটছে, মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তে নেমেছে... তারপরও প্রধানমন্ত্রী একটিও বিবৃতি দেননি। তিনি হয়তো এখনও বুঝতে পারছেন না, তৃতীয় ইনিংসটা তাঁর আগের দুটোর মতো মসৃণ নয়। তার শুরুটা হয়ে গিয়েছে। ওই ৪ জুন। সেদিন ভোটের ফল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহঙ্কারকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল। ওইদিনই কিন্তু ফলপ্রকাশ হয়েছিল নিট-ইউজি’র। সমাপতন? নাকি পতনের সূচনা?
25th  June, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
একনজরে
স্কুলের পরিকাঠামো থেকে পরিবেশ-পরিস্থিতি জানতে এবার সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা পরিষদ। বুধবার জেলাজুড়ে ওই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এনিয়ে মঙ্গলবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন হুগলি ...

লো ভোল্টেজের সমস্যার মাঝে আচমকাই ভোল্টেজ হাই হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুশো পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘি থানার বালিয়া পঞ্চায়েতের নয়নডাঙা গ্রামে রাতে এই ঘটনা ঘটে। ...

১৫ দিনে সাতবার! ফের বিহারে সেতু বিপর্যয়। এবারের ঘটনাস্থল সিওয়ান জেলা। জেলায় কয়েকদিন আগেই ভেঙে পড়েছিল একটি ব্রিজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার ভোরে ...

শ্যামপুরের প্রিয়ঞ্জনা জানা, উদয়নারায়ণপুরের সুস্মিতা দেবনাথের পর এবার আমতার খড়িয়পের তৃষা মান্না। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে জাতীয় স্তরের এক যোগাসন প্রতিযোগিতায় সোনার পদক জিতে এনেছে আমতার খড়িয়প ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে
১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান জর্জ ওয়াশিংটন 
১৮১৭: স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়
১৮২৮: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন
১৮২৯: লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু
১৮৮১: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়
১৮৮৬: ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯০৪: পানামা খালের খনন কাজ শুরু হয়
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৪৩: সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
১৯৬৩: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মৃত্যু
১৯৬৮: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির জন্ম
১৯৭২: পুনরায় দুই কোরিয়া একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবার সরকারিভাবে যৌথ ঘোষণা করা হয়
১৯৮৭: প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইমরান খান
২০২২: বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৯ টাকা ১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী ২/১৮ প্রাতঃ ৫/৫৫ পরে চতুর্দশী ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৪/৫৮। মৃগশিরা নক্ষত্র ৫৭/১৮ রাত্রি ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৫/০/২৭, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/৩৮ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৪/৩৮। মৃগশিরা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২১। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/১ মধ্যে।  
২৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাড়খণ্ডে আগামী ৮ জুলাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট

08:03:14 PM

মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভিক্ট্রি প্যারেড

07:55:00 PM

শিক্ষা দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য ...বিশদ

07:35:19 PM

মেরিন ড্রাইভে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

07:17:32 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ট্রফি হাতে হার্দিক পান্ডিয়া

06:49:35 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছল টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল

06:35:34 PM