Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। তাতে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হলেও ‘বিরোধী দলের নেতা’র (লিডার অব দি অপোজিশন)’ পদ অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। অন্যসব অবিজেপি দল জিতেছিল আরও কম আসন। বিজেপি এবং তার প্রাক-নির্বাচন ও অঘোষিত মিত্রদের (ওয়াইএসআরসিপি ও বিজেডি) সংখ্যা এবং হল্লার নীচে চাপা পড়ে যেত বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। 
হারিয়ে গিয়েছিল সংখ্যার ভারসাম্যতা। তারপরেও সংসদের পবিত্র ঐতিহ্য বজায় রাখা উচিত ছিল। কীভাবে সেটা করা সম্ভব সেই দিকটি নিয়ে বিজেপি ভাবেনি। এমনটা যে ঘটে চলেছে, তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বারংবার অভিযোগও করেছে। তবু সংসদীয় ঐতিহ্য কোনোভাবেই পালিত হয়নি। অনেক নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের মতে, এর ফলে সংসদের দুটি কক্ষই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল।  
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সংসদের সেই মহান হৃত ঐতিহ্যের ফেরানোর দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগটা সরকার এবং বিরোধী পক্ষ, উভয়েরই জন্য বটে। এটা নিছক গঠনগত দিকটা নিশ্চিত করেনি, এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য-মাহাত্ম্য। ২৩৬টি আসন নিয়ে বিরোধী পক্ষ একটি মজবুত জায়গায় রয়েছে। সংসদ কক্ষে বাধাদান একটি বৈধ সংসদীয় হাতিয়ার এবং সেটা গণতন্ত্রেরই স্বার্থে—বিরোধীদের উচিত অরুণ জেটলির এমন তত্ত্বটিকে কবর দেওয়া। কারণ তত্ত্বটি নিছকই এক কল্পকাহিনি, বরং এর উল্টোটাই সত্যি।

উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি
কংগ্রেসের ২০২৪-এর ইস্তাহার ‘ন্যায়পত্র’ দিয়েই শুরু করতে পারত বিরোধীরা। এতে রয়েছে নীচের প্রতিশ্রুতিগুলি:
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সংসদের দুটি কক্ষ 
প্রতি বছরে ১০০ দিনের জন্য বসবে। সংসদের অতীত দিনের প্রচলিত মহান ঐতিহ্যগুলিকে 
ফিরিয়ে আনা হবে, আর এগুলি পালিত হবে যথাযথ নিষ্ঠার সঙ্গেই। 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, প্রতিটি কক্ষে সপ্তাহে একদিন করে বিরোধী পক্ষের প্রস্তাব মতো কোনও বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে। 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে দুই কক্ষের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের আর সম্পর্ক থাকবে না। তাঁরা সম্পূর্ণরূপে হবেন দল নিরপেক্ষ। ‘স্পিকার ডাজ নট স্পিক’ বলে বহু পুরনো যে প্রথাটি রয়েছে পালিত হবে সেটিও। 
‘ইন্ডিয়া’ ব্লক প্রতিশ্রুতিগুলি স্বাগত জানিয়ে, পূরণ করার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করার কথাও ভাবতে পারে। 
সংসদের উভয় কক্ষের প্রতিটিতে ১০০ দিনের অধিবেশন, বিরোধীদের প্রস্তাবের উপর আলোচনার জন্য সপ্তাহে একটি দিন বরাদ্দ করা এবং সেখানে একজন নিরপেক্ষ প্রিসাইডিং অফিসারের প্রস্তাবে বিজেপির কোনও আপত্তি থাকতে পারে না। 

দলত্যাগ রোধের ব্যবস্থা
বিজেপি ৩৭০ এবং এনডিএ চারশোর বেশি আসনে জিতবে, এই ছিল প্রচার পর্বের লক্ষ্যমাত্রা। সেই জায়গায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৪০। নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁরই সৌজন্যে বিজেপি এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন বলে মনে হচ্ছে। শাসক এটাই উদযাপন করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিজেপির তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের মন মেজাজ একদম ভালো ছিল না।  ‘সংখ্যালঘু’ তকমাটি বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে হজম করার সত্যিই কঠিন। এই অসম্মানজনক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তারা মরিয়া চেষ্টা চালাবেই। লক্ষ্য হিসেবে বিজপিকে প্রলুব্ধ করছে—ওয়াইএসআরসিপি (৪ সদস্য), আপ (৩), আরএলডি (২), জেডিএস (২), অগপ (১), এজেএসইউ (১), এইচএএম (১) এবং এসকেএম (১)। এমনকী, ১২ এমপির জেডিইউ দলটিও আপাতত নিরাপদ নয়। এই দলগুলির মধ্যে কয়েকটি আগের থেকেই এনডিএর শরিক। তবু তারা বিজেপিকে রুখতে পারবে বলে মনে হয় না। ভুলে যাবেন না, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার কী দশাই না করেছে মোদিজির পার্টি! সংবিধানের দশম তফসিলের ছিদ্রপথে এমন গহ্বর রয়েছে যে, ছোট দলের এমপিরা সেখানে একবার পড়ে গেলে ভোকাট্টা হয়ে যেতে পারেন! কংগ্রেসের এবারের ইস্তাহারে একটি মার্জিত ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যেটি মানলে বিজেপির এই অগণতান্ত্রিক প্ল্যান ভেস্তে যাবে: 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সংবিধানের দশম তফসিল সংশোধন করা হবে। তার বলে দলত্যাগীর (অর্থাৎ, মূল যে দলের প্রতীকে তিনি বিধায়ক বা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন সেটি ছেড়ে বেরিয়ে গেলে) বিধানসভা বা সংসদের সদস্যপদ আপনা থেকেই বাতিল হয়ে যাবে।
দশম তফসিলে সংশোধন আনতে হবে বিরোধী পক্ষকেই। এই সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করলে সরকার পক্ষ ভোটারদের চোখে হীন হয়ে যাবে।

কর্মসংস্থানের উদ্যোগ
দেশের অর্থনীতির সামলানোর ব্যাপারেই বিজেপি সবচেয়ে দুর্বল। আর্থিক বিচক্ষণতা বা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিরোধিতা কেউই করতে পারে না। সব ধরনের অর্থনৈতিক নীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হল—বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জিনিসপত্রের দাম সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রেখে দেওয়া। কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রশ্নে কিছু করে দেখানোর জোড়া লক্ষ্যেই আবর্তিত হয় সবার অর্থনীতি। আর এই দু’দিকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বিজেপি-এনডিএ এবং লোকসভা নির্বাচনে তারই মাশুল গুনতে হয়েছে তাদের। বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের কর্মধারা এবার বদলাবেন কি না তার আঁচ অবশ্য পাওয়া যাবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেটে। এদিকে কর্মসংস্থান বিষয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারে যেসব প্রস্তাব রয়েছে—কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’ ব্লককে সেগুলি তুলে ধরে অবশ্যই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ইস্তাহার থেকেই এজেন্ডা উদ্ধৃত করছি: 
•আমরা মনোপলি, ওলিগোপলি এবং ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের বিরোধিতা করব। 
•প্রতিটি উদ্যোক্তার যেসব বস্তুগত সংস্থান বা আর্থিক সুবিধা বা ব্যবসায়িক ছাড়ের সুযোগ পাওয়া উচিত, কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি সেসব নিয়ে কোনোরকম দাপট দেখাতে পারবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করব। 
•যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে, আমাদের অগ্রাধিকার প্রদানের নীতি থাকবে তাদের পক্ষে। 
•কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে অনুমোদিত ৩০ লক্ষের মতো শূন্যপদ তাদের দ্রুত পূরণ করতে হবে ...
•সরকারকে একটি নতুন ‘এমপ্লয়মেন্ট-লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম’ (ইএলআই) চালু করতে হবে। স্থায়ী পদে অতিরিক্ত চাকরির ব্যবস্থার পুরস্কার হিসেবে ইএলআইয়ের মাধ্যমে কর্পোরেটদের করছাড়ের সুযোগ দেওয়া যাবে।
•নগর পরিকাঠামোর পুনর্গঠন ও পুনর্নবীকরণের কাজ ত্বরান্বিত করতে সেখানকার গরিব মানুষের জন্য কাজের গ্যারান্টি কর্মসূচি চালু করব।  
•গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির মাধ্যমে জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং পতিত জমিকে আবাদিকরণের কর্মসূচি নেওয়া হবে। সেখানে কাজ পাবেন স্বল্প-শিক্ষিত এবং স্বল্প-দক্ষ যুবরা।   
বিরোধী দলগুলোকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তারাও সরকারে রয়েছে। সুযোগগুলো তারাও কাজে লাগাবে এবং সরকারের সামনে স্থাপন করবে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নতুন এবং শক্তিশালী এমন বিরোধীদের সামনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নীচে চলে যাওয়া বিজেপির প্রতিক্রিয়াটি কেমন হয়, সেটা এবার বেশ দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় হবে। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
24th  June, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
একনজরে
লো ভোল্টেজের সমস্যার মাঝে আচমকাই ভোল্টেজ হাই হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুশো পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘি থানার বালিয়া পঞ্চায়েতের নয়নডাঙা গ্রামে রাতে এই ঘটনা ঘটে। ...

ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশেষে বিজেপিকে রাজভবনের সামনে শর্তসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে পারবে বিজেপি। ...

কালিম্পংয়ে ধস ও নদী ভাঙনে বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার নতুন করে ধস না নামলেও সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনি। ...

১৫ দিনে সাতবার! ফের বিহারে সেতু বিপর্যয়। এবারের ঘটনাস্থল সিওয়ান জেলা। জেলায় কয়েকদিন আগেই ভেঙে পড়েছিল একটি ব্রিজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার ভোরে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে
১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান জর্জ ওয়াশিংটন 
১৮১৭: স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়
১৮২৮: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন
১৮২৯: লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু
১৮৮১: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়
১৮৮৬: ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯০৪: পানামা খালের খনন কাজ শুরু হয়
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৪৩: সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
১৯৬৩: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মৃত্যু
১৯৬৮: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির জন্ম
১৯৭২: পুনরায় দুই কোরিয়া একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবার সরকারিভাবে যৌথ ঘোষণা করা হয়
১৯৮৭: প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইমরান খান
২০২২: বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৯ টাকা ১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী ২/১৮ প্রাতঃ ৫/৫৫ পরে চতুর্দশী ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৪/৫৮। মৃগশিরা নক্ষত্র ৫৭/১৮ রাত্রি ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৫/০/২৭, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/৩৮ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৪/৩৮। মৃগশিরা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২১। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/১ মধ্যে।  
২৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাড়খণ্ডে আগামী ৮ জুলাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট

08:03:14 PM

মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভিক্ট্রি প্যারেড

07:55:00 PM

শিক্ষা দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য ...বিশদ

07:35:19 PM

মেরিন ড্রাইভে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

07:17:32 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ট্রফি হাতে হার্দিক পান্ডিয়া

06:49:35 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছল টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল

06:35:34 PM