Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস। গেরুয়া মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’য় রাজ্যের নির্বাচনী ফল নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেই নিবন্ধে রাজ্যে বিজেপির লজ্জাজনক হার নিয়ে গেরুয়া নেতাদের একটু শান্তিপুরী ধোলাই দেওয়া হয়েছে। সেখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও নেতা এখনও রাজ্য বিজেপিতে তৈরি হয়নি।  অপদার্থ নেতাদের জন্যই দলের ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূল যেখানে আড়াই শতাংশ ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে বিজেপির ভোট কমে গিয়েছে দেড় শতাংশ। এর কারণ রাজ্য বিজেপিতে কোনও যথার্থ এবং গ্রহণযোগ্য নেতা নেই। তাই পরপর কয়েকটা ভোটে এরাজ্যে বিজেপি সেভাবে কিছুই করতে পারেনি। আগামী ২০২৬-এ বিজেপির শেষ অ্যাসিড টেস্ট। অর্থাৎ প্রকারান্তরে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, দু’বছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে হয় ঘুরে দাঁড়াবে, নাহলে ফিনিশ হয়ে যাবে।   
ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এ রাজ্যে আসলে পজিটিভ ভোটই হয়েছে। মানুষ মমতাকেই ভোট দিয়েছেন। মানুষ দুর্বল সংগঠন বিজেপির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি। তাছাড়া প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ভুলভাল প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্যও বিজেপিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। এখনও মানুষ বিশ্বাস করেন, রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে গেলে তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে। সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে মানুষ তাঁদের ভোট নষ্ট করতে চাননি। তাই ছ’টা সিট হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। 
অর্থাৎ আরএসএস রাখঢাক না করে সোজা তিরটি মেরেছে। যাকে বলে বুলস আইয়ে হিট করেছে তির। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের অপদার্থতাকে বেশ মোলায়েম ভাবেই ধোলাই করা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্রে। রাজ্যের তেলেঝোলে থাকা নেয়াপাতি মার্কা নেতাদের দিয়ে যে এরাজ্যে বিজেপি কোনও লড়াই করতে পারবে না, তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপির কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। সঙ্ঘ পরিবারের শিকড়কে অস্বীকার করে মোদিবাহিনীর লাটসাহেবি মেজাজকে মোটেই তোয়াক্কা করছেন না সঙ্ঘ নেতারা।  এতদিন মোদির প্রভাবের রমরমা দেখে তাঁরা চুপ থেকেছেন। এখন মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমেই খাদের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে মুখ খুলেছে আরএসএস। কিছুদিন আগেই মোদিকে লক্ষ্য করে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘একজন সঙ্ঘ সদস্যের মধ্যে কখনওই ঔদ্ধত্য থাকতে পারে না। সকলকে নিয়ে চলাটাই গণতন্ত্রের লক্ষণ।’ সম্প্রতি সঙ্ঘের নিজস্ব পত্রিকা ‘অর্গানাইজার’-এ একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখক রতন সারদা। তিনি লিখেছেন, ‘দেশে ৫৪৩ আসনেই মোদির নামে ভোট করাটা আত্মহননের শামিল হয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে শুধু আত্মপ্রচার করে ভোটে জেতা যায় না। মোদির অলৌকিক শক্তির বুদ্বুদে মোহগ্রস্ত হয়েই দলের পতন হয়েছে। অহং-মত্ত কোনও নেতাই মানুষের প্রকৃত কণ্ঠস্বর শুনতে পাননি।’ বিরোধীদের মতো দীর্ঘদিন ধরে মোদির ঔদ্ধত্য হজম করতে হয়েছে আরএসএসকেও। এখন তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। ভারতীয় গণতন্ত্র বুঝিয়ে দিয়েছে, এখানে অবতার সাজার চেষ্টা করলে মানুষ তাঁকে নামিয়ে আনবেন জনতার ভিড়ে।  
কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য কোনওরকমে ক্ষমতায় এসে বিজেপি যত বড় হাবভাব দেখাক না কেন, ভিতরে ভিতরে তারা অর্ধমৃত হয়ে রয়েছে।  এভাবেই এখন প্রতি মুহূর্তে সঙ্ঘ পরিবার মোদি অ্যান্ড কোম্পানির আত্মম্ভরিতায় আঘাত হানবে। বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত আরএসএসের মুখপত্রে দলের নেতাদের সবক শেখানো হচ্ছে। প্রতিটি বাক্য আর শব্দের মধ্য থেকে উঠে আসছে চাবুকের সপাং সপাং শব্দ। সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন দেশের মানুষও।
শুধু তো মুখপত্রে নয়, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। এরাজ্যে নিচুতলার কর্মী, যাঁরা আবেগ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে দলের জন্য ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁরাও আজ উপরতলার গাবলু মার্কা নেতাদের দিকে আঙুল তুলে বলছেন, আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁরা অনেকেই এখন নির্বাচনের জন্য আসা টাকা তছরূপ করার অভিযোগ তুলছেন নেতাদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রচারের জন্য এরাজ্যে বিজেপি পাঠিয়েছে শত শত কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে, কারা খরচ করেছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। বহু প্রার্থীও বলছেন, ‘যে টাকা আমাদের প্রচারের জন্য এসেছে, আমরাও সেই টাকার মুখ দেখিনি। কারা সেই টাকা খরচ করলেন, তাও জানি না। সেই টাকার হিসেব চাই।’ ভোট প্রচারের অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপির বহু নেতাই। কিন্তু উপর মহল থেকে কোনও উত্তর নেই। নির্বাচনী প্রচারে যাঁরা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর’ বলে চেঁচাতেন, তাঁরা আখের গুছিয়ে এখন ঘরে ঢুকে পড়েছেন।  মুখে তাঁদের আর কোনও কথা নেই। সব জেনেও জাতীয় নেতৃত্বও এবিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রথমত এই টাকা নির্বাচনী তহবিল থেকে আসা হয়তো তোলাবাজির টাকা। তাই ‘কেলেঙ্কারি’র তদন্তে তারা বিশেষ আগ্রহী নয়। তাছাড়া তদন্তে কেউটে বেরিয়ে পড়লে মুখ পুড়বে বহু তেল চুকচুকে নেতার। তাই ভোটের পর হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। এখন ওদের সবথেকে বড় গলাবাজি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে। ‘সন্ত্রাস সন্ত্রাস’ বলে বাজার গরম করা ছাড়া এখন বিজেপি নেতাদের আর কোনও কাজ নেই। নির্বাচনে রাজ্যে হারের পর পুরো দলটাই এখন ছত্রভঙ্গ। 
মোদিজি ওদিকে ক্ষমতায় বসেও স্বস্তিতে নেই। তিনি ভালো করেই জানেন, চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমারের ঠেকনায় প্রধানমন্ত্রী হলেও যেকোনও সময় চিৎপটাং হয়ে যেতে পারেন। সংসদে প্রথম দিনেই মোদির অসহায় ছবিটা বারবার ধরা পড়েছে। তিনি ভালো করেই জানেন, বিজেপি ২৪০ হলেও বিরোধীরা সংখ্যায় ২৩৭। একটা সুতোর ওপর ঝুলছে তাঁর ক্ষমতার ‘লাড্ডু’। সংসদ অধিবেশনের প্রতিদিন বিজেপিকে নানা বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে। চাপের মুখে মোদির পক্ষে সংসদ চালানোই কঠিন হতে পারে। 
ঠিক সেখান থেকেই মো-শা জুটির প্রথম রণকৌশল, বিজেপির কোনও সাংসদকে স্পিকার পদে বসানো। এরমধ্যে সবথেকে বিশ্বস্ত ওম বিড়লা। আগের সংসদে তিনি ভালোই সার্ভিস দিয়েছেন। তাই এবারও মোদিরা তাঁকেই চাইছেন। কেননা সংসদে স্পিকার হলেন আম্পায়ার। তাঁরই নির্দেশে সংসদ চলে। এখানে কোনও থার্ড আম্পায়ার বা রিভিউ নেই। তাই নানাভাবে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমারকে ছেলেভুলানোর খেলা চলছে। বহুমূল্যের খেলনা দিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে বলে দিল্লির রাজনৈতিক মহলের খবর।  
এখন সংসদের তপ্ত পরিবেশ কোনদিকে গড়ায়, তার দিকেই নজর রাখছে বিজেপি। নিট কেলেঙ্কারি, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের প্রহর গুনছে বিজেপি। এই কেলেঙ্কারির অন্যতম পান্ডা গুজরাতের বিনীত আর্য ধরা পড়ার আগেই বিদেশে পালিয়েছেন। আমরা এর আগে দেখেছি নীরব মোদি সহ বেশ কিছু গুজরাতি ব্যাঙ্ক লুট করে মোদির আমলে বিদেশে পালিয়েছিলেন। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’র কমেডি শো এভাবেই চলে আসছে। এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আছড়ে পড়ল আর এক কেলেঙ্কারি। সেটা হল রামমন্দির কেলেঙ্কারি। ১৮০০ কোটি টাকায় নির্মিত রামমন্দির নির্মাণে প্রচুর গলদ ধরা পড়েছে। বছরের প্রথম বর্ষণেই ভেসে গেল রামমন্দির। রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাসকালে যেভাবে বৃষ্টিতে ভিজতেন, সেভাবেই ভিজলেন সুরম্য, ব্যয়বহুল মন্দিরের ভিতরেও। গর্ভগৃহের ছাদ থেকে ঝরঝর করে পড়ল জল। একেই অযোধ্যা সহ প্রতিটি রাম-বলয়ে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।  এবার রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আর একবার মুখ পুড়ল তাদের। রামমন্দিরের বিজ্ঞাপন করে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসেনি। এখন মন্দির নির্মাণে টাকা তছরূপের অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। অযোধ্যার মানুষ বলছেন, ‘হায় রাম! তোমার মন্দির নির্মাণ থেকেও টাকা চুরি! কার পকেটে গেল রে বাবা!’ 
সুতরাং মোদির সুখের দিন যে সমাপ্ত, তা বোঝাই যাচ্ছে। এখন ক্ষমতা যে কণ্টকশয্যার শামিল, সেটাও তিনি মালুম পাবেন। তাঁর লড়াইটা এখন ঘরে ও বাইরে। আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ। সেই অনুষ্ঠান দেশে বড় করেই পালিত হবে। এই একবছরে উদভ্রান্ত মোদিকে লাগাম পরাতে তৎপর আরএসএস। মোদিও জানেন, তিনি এখন কাদায় পড়েছেন। তাই চুপ করে মেনে নেবেন নীতীশ, চন্দ্রবাবুর আবদার, মেনে নেবেন আরএসএসের শাসন। এই নার্ভের লড়াই চলবে। কিন্তু মোদি এবং অমিত শাহ জুটি বারবার চেষ্টা করবেন, সুযোগ পেলেই উল্টো চাল মেরে সবাইকে মাত করে আবার স্বমেজাজে ফিরে আসা। তারও সলতে পাকানোর চেষ্টা চলছে।
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
একনজরে
ফিজিক্যাল এডুকেশন অব ইন্ডিয়া পরিচালিত তৃতীয় সর্বভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবারের খেলায় গুজরাতকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলা। ম্যাচটি তারা ৫-০ গোলে জেতে। ...

পাঁচ বছর পর অবশেষে মুক্তি। মার্কিন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এই শর্ত অনুসারেই ব্রিটিশ কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ...

অভিযোগ মুদির দোকান থেকে পাঁচ হাজার টাকা চুরি করেছিল দুই নাবালক ভাই। শাস্তিস্বরূপ তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হল। ...

বেনজির সংঘাতের ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে আজ, বুধবার! বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজ, বেলা ১২টায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়া বনাম রোমানিয়ার ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

11:35:48 PM

ইউরো কাপ: ইউক্রেন বনাম বেলজিয়ামের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

11:33:53 PM

ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়া ১: রোমানিয়া ১ (হাফটাইম)

10:25:53 PM

ইউরো কাপ: ইউক্রেন ০: বেলজিয়াম ০ (হাফটাইম)

10:25:02 PM

ইউরো কাপ: ইউক্রেন ০: বেলজিয়াম ০ (৭ মিনিট)

09:44:49 PM

ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়া ০: রোমানিয়া ০ (৭ মিনিট)

09:43:30 PM