হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এলাকার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, এই নিয়ে দুই পক্ষের রেষারেষি দীর্ঘদিনের। দুই পক্ষকেই স্থানীয় শাসকদলের দুই নেতা মদত দেন বলে স্থানীয়দের অভিমত। দুই নেতাই কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নন। ফলে হামেশাই এলাকার রাশ ধরে রাখতে উত্তেজনা ছড়ায়। মাস তিনেক আগেই দুই পক্ষের মাঝে গণ্ডগোল বাধে। সেই গণ্ডগোল তখনকার মতো মিটে যায়। তবে সোমবার ফের একবার দুই পক্ষের মধ্যে আচমকাই ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুরনো গণ্ডগোলের বদলা নিতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ইটবৃষ্টির সঙ্গে চলে ব্যাপক বোমাবাজিও। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন তৃণমূলের কর্মী মির জালালুদ্দিন। বোমার আঘাতে তাঁর দুই পা মারাত্মকভাবে জখম হয়। জখম যুবকের ভাইপো হাসিবুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় বোমাবাজির আওয়াজ পেয়ে কাকু তাড়াতাড়ি গোরু, ছাগলগুলোকে গোয়ালঘরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই কাকুকে লক্ষ্য করে ওরা বোমা ছোড়ে। গত পঞ্চায়েত ভোটে কাকু তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোট করেছিল বলেই কাকুকে ওরা বোমা মেরে খুনের পরিকল্পনা করেছিল।
সামশেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সহিদুল ইসলাম বলেন, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় আমাদের এক কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিস দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করেছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইমাম শেখ বলেন, এখন তো কোনও ভোট নেই, দলীয় কোনও বিষয়ও নেই। তাই সেখানে রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রশ্ন আসে না। আসলে সব বিষয়েই রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রমিশা বিবি বলেন, এখন ব্যস্ত রয়েছি। এবিষয়ে যা বলার, পরে বলব। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য আনারুল হক বিপ্লব বলেন, ছেলেকে নিয়ে বিশেষ প্রয়োজনে কলকাতায় ছিলাম। রাতে বাড়ি ফিরেছি। শুনেছি ছোট একটা গণ্ডগোল হয়েছে। তবে ঝামেলা মিটে গিয়েছে বলেও শুনেছি। বর্তমানে এলাকায় কোনও সমস্যা নেই।