Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।  স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৭৭ বছরে বারংবার দেখা গিয়েছে এরকম নানাবিধ রাজনৈতিক যুগলবন্দি। 
যাঁদের নাম বলা হল, তাঁদের পাশাপাশি ভারতে একাধিকবার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক অভিঘাত নিয়ে এসেছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক জুটি। সবথেকে বিপজ্জনক জুটি কয়েক বছরের জন্য দেখা দিয়েছিল সাতের দশকে। ইন্দিরা গান্ধী-সঞ্জয় গান্ধী। তাঁরা আদৌ প্রথম থেকে রাজনৈতিক জুটি ছিলেন না। কিন্তু ১৯৭৪ সালের পর থেকে অন্ধ মাতৃস্নেহে ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীকে অতিরিক্ত প্রশ্রয়ে অতি অধিকার দিয়ে ফেলায় তার পরিণাম পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে ভোগ করেছেন। এই জুটি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত যা যা করেছেন অথবা করার চেষ্টা করেছেন, সেগুলির মধ্যে যেমন বহু ভালো উদ্দেশ্য ছিল, তেমনই আবার ভারতের ভাগ্য বদলে দিয়ে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের প্ল্যানও নেওয়া হয়েছিল। অন্যতম উদারহণ হল, জরুরি অবস্থা চলাকালীন একবার ১৯৭৬ সালের শেষার্ধে সঞ্জয় গান্ধী নিজের মাকে বলেছিলেন, এসব নির্বাচন টির্বাচন বাতিল করে দিতে। সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় ব্যবস্থা বন্ধ করে পার্লামেন্টকে সংবিধান সভায় পরিণত করা হোক। আর ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে আজীবনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিন। একটি রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। যে রিপোর্ট লিখেছিলেন এ আর আন্তুলে। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন। এতটা বাড়াবাড়ি করতে চাননি। বরং কিছু এক অজ্ঞাত কারণে ১৯৭৬ সালের শেষ থেকেই তিনি নির্বাচনের একটা তোড়জোড় করছিলেন। কারণ, তাঁকে তাঁর অফিসাররা বলেছিলেন, দেশবাসী নাকি তাঁর কাজে সাংঘাতিক খুশি। অতএব ভোট হলে তিনি বিপুলভাবে জয়ী হবেন। অতএব বিরোধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ভারতের গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলার অপরাধে ভারতবাসী তাঁকে পরাস্ত করে। 
আবার জননেতা নয় কেউই, ব্যক্তিগত গ্ল্যামার অথবা ক্যারিশমায় দলকে জিতিয়ে দেবেন একাই, এরকম জনপ্রিয়তাও নেই কারও, তথাপি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক জুটির নাম নরসিমা রাও-মনমোহন সিং। তাঁরা দুজনে ১৯৯১ সালে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সরকার হয়েও। ভারতের অর্থনীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন উদারীকরণের হাওয়ায়। বস্তুত আজ আমরা আন্তর্জাতিকতা ও প্রযুক্তির যতরকম আধুনিক সুবিধা পাচ্ছি, তার জন্মদাতা মনমোহন সিং-নরসিমা রাওয়ের জুটি। 
১৯৪০ সালের জুলা‌ই মাসে বম্বে এসে জওহরলাল নেহরু কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, সর্দার প্যাটেলের বিরুদ্ধাচারণ আমি সহ্য করব না। সর্দারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন আপনারা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাফল্য পেতে হলে ভারতের দরকার প্যাটেলের নেতৃত্ব। 
আবার তারও আগে ১৯৩৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর গান্ধীজিকে বল্লভভাই প্যাটেল চিঠি লিখে বলেছিলেন, এই যে ইস্তাহার তৈরি হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ জওহরলাল করেছেন। এটা এক বিশেষ কৃতিত্ব। ওয়ার্কিং কমিটির কাজটা জওহরলাল এমনই অসাধারণ করেছেন ঩যে, আমাদের কারও তাঁর আনা বিষয়গুলিকে মেনে নিয়ে একমত হতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। 
দেশের ১৩ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি চেয়েছিল প্যাটেল হন দলের সভাপতি। কিন্তু গান্ধীজি চেয়েছিলেন নেহরুকে। একদিকে মৌলানা আজাদকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হল। আবার প্যাটেলকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল প্রায় গান্ধীজির প্ল্যানে। কেন? কারণ, প্যাটেল সভাপতি হওয়ার অর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ও স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবেন প্যাটেল। যা গান্ধীজি চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। প্যাটেলকে দেখতে চেয়েছিলেন দেশের সুরক্ষা সমন্বয় এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনাপতি রূপে। প্যাটেল কি ক্ষুণ্ণ হননি? নিশ্চয়ই হয়েছেন। কিন্তু মেনে নিয়েছেন বাপুর ইচ্ছা। জওহরলালের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা ও মিত্রতা সামান্য কমেনি। 
বাজপেয়ি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উদার নীতির মুখ। আর আদবানি ছিলেন কট্টরপন্থী আরএসএস, জনসঙ্ঘ, বিজেপির আদি অকৃত্রিম এজেন্ডা প্রতিষ্ঠাকারী। বহু বার তাঁদের মধ্যে নীতি নির্ধারণ নিয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। সর্বশেষ যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটি ছিল ২০০২ সালে। গুজরাত দাঙ্গার দায় মাথায় নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ির মনোবাসনা ছিল এরকমই। কিন্তু গুজরাতের সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু ছিলেন অরুণ জেটলি। আর আদবানি ছিলেন রাজনৈতিক গুরু। দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার পথে  জেটলি আদবানিকে বুঝিয়েছিলেন যে, এভাবে নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে বলা হলে বিরোধীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। আর হঠাৎ গুজরাতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই এটা সঠিক হবে না। আদবানিও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু বাজপেয়ি এই নরম মনোভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তবু বাজপেয়ি ও আদবানির পারস্পরিক সম্পর্কে মালিন্য আসেনি। 
২০০২ সাল থেকে গুজরাত দেখেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভারত দেখছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের জুটির কার্যকলাপ। দেশ পরিচালনায় তাঁদের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় কেউ খুশি, কেউ ক্রুদ্ধ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জুটির মধ্যে কোনও বিভেদ আসেনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, তাঁদের কোনও চ্যালেঞ্জারই ছিল না ১০ বছরে। বিরোধীরা ছিল ছত্রভঙ্গ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই তাঁদের বারংবার রুখে দিয়েছেন। নবীনবাবু ছিলেন ওড়িশায়। তাঁর প্রতিরোধ এবার ভেঙে পড়ল। সবথেকে বেহাল দশা কংগ্রেসের। 
দেশবাসীর একাংশ ধরেই নিচ্ছিল যে, বিজেপির ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ স্লোগান এবার হয়তো কিছু বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। অতি আত্মবিশ্বাস কখনও ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়। তৃণমূলস্তরে কাজ করে আসা নরেন্দ্র মোদি কীভাবে এই দম্ভ ও দর্পের ফাঁদে পড়লেন, সেটা এক রহস্য। তিনি যে তার ফলাফল পেলেন এবারের লোকসভা ভোটে, সেটা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য হলেও তার থেকেও অনেক বৃহৎ এক রাজনৈতিক নব ইতিহাসের জন্ম হতে চলেছে। সেটি হল, অপরাজেয় মোদি-শাহ জুটির চ্যালেঞ্জার হিসেবে ২০২৪ সালে আবির্ভূত হয়েছে আর একটি জুটি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। 
যে রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে অভিহিত করে হাসিঠাট্টা করে এসেছে বিজেপি নেতাকর্মীরা, আজ তিনি আচমকা কঠোর পরিশ্রমের আশাতীত সাফল্য পেলেন। ৪ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা। ভারতসফর। ব্যঙ্গবিদ্রুপ সহ্য করেও দাঁতে দাঁত চেপে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। রাহুল গান্ধীকে দেখে যে শিক্ষাটি প্রতিটি ভারতবাসীর আত্মস্থ করা দরকার, সেটি হল, শতবার পরাস্ত হয়ে, অসংখ্য ব্যর্থতার শিকার হয়ে, চরম ব্যঙ্গ আর সমালোচনায় বিদ্ধ হলেও ফোকাস থেকে সরে না আসা। এবং ময়দান ছেড়ে না পালানো। অর্থাৎ পরিশ্রমের বিকল্প নেই। 
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু তাঁর পাখির চোখ ছিল একটিই। আমেথি জয় করে আবার গান্ধী পরিবারের হৃতসম্মান ফিরিয়ে আনা। ২০১৯ সালে আমেথিতে রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে। তারপর থেকে বহু অপমান অসম্মান সহ্য করেছে গান্ধী পরিবার বিজেপির কাছে। এবার একজন সাধারণ কংগ্রেস নেতাকে আমেথি থেকে জিতিয়ে এনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীরা মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উত্তরপ্রদেশের ফুরসৎগঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের আমেথির গ্রামে  তাঁর প্রচার সভা দেখতে গিয়ে মে মাসে অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম উত্তরপ্রদেশের অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে। জগদীশপুর পঞ্চায়েত থেকে আসা দেহাতি মহিলারা প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কেঁদে ফেলে বলেছিলেন, ইন্দিরাজিকে আবার দেখতে পেলাম তোমার মধ্যে। ইন্দিরাজিকে প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। মরার আগে তোমাকেও দেখতে চাই! 
নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সবথেকে বড় সমস্যা হল তাঁদের তূণে আর বেশি অস্ত্র নেই। সিংহভাগ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে এবারের লোকসভা ভোটে। ধর্ম, এজেন্সি, জনকল্যাণ, হিন্দু মুসলমান। একসঙ্গে এত অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বহু রাজ্যে। আবার পক্ষান্তরে কংগ্রেস তথা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার উত্থানে একটা নতুন আকর্ষণের জন্ম হয়েছে। সর্বোপরি মোদিকে যে হারানো যায়, মোদি যে দুর্বল হতে পারেন, মোদি যে গরিষ্ঠতাহীন সরকার চালাতে বাধ্য হতে পারেন, এসবই আজ থেকে এক মাস আগে ভাবাই যেত না। চোখের সামনে এখন কিন্তু সেই সবই ঘটছে। অতএব লক্ষণীয়, মোদি-শাহের ইমেজ অনেকটাই দুর্বল তথা নিম্নগামী হয়েছে। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ইমেজ ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। মোদি-শাহের সব ফর্মুলা ফ্লপ করেছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ফর্মুলা সাফল্য পেয়েছে। 
কেরলের ওয়েনাড় থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভার উপ নির্বাচনে জিতে এলে এই রাজনৈতিক যুগলবন্দি আরও শক্তিশালী হবে। পার্লামেন্টের মধ্যে একদিকে মোদি-শাহ। আর তাঁদের ঠিক উল্টোদিকে বিরোধী আসনে বসে আছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সরকারে মোদি-শাহ। বিরোধিতায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই গোটা দৃশ্যাবলী এক নতুন টানটান রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যায় নির্মাণ করবে। জুটি বনাম জুটি। 
যে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক সন্ন্যাস ও নির্বাসনই ছিল মোদি ও শাহের প্রধানতম উচ্চাভিলাষ, আজ সেই গান্ধী পরিবারের নবতম দুই সদস্য, রাজনৈতিক যুগলবন্দি হিসেবে মোদি ও শাহের কেরিয়ারে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর মোদি-শাহ দুর্বলতর চ্যাম্পিয়ন। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার। এরকম চূড়ান্ত আকর্ষণীয় রাজনৈতিক সংগ্রামের সাক্ষী বহু বছর ভারত হয়নি। 
21st  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
একনজরে
ফুলবাড়ির সিমবক্সকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ পেল শিলিগুড়ি মোট্রোপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। ওই ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্ত আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর এই ব্যাপারে পুলিস নিশ্চিত হয়েছে। ...

ভোট আসতে এখনও বাকি প্রায় চার মাস। তার আগেই একটি চ্যানেল আয়োজিত বিতর্কসভায় হাজির হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প। ...

হুগলির উত্তরপাড়ায় গঙ্গার জলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাশ পড়ছে না। শুক্রবার ভোরবেলা ফের এক যুবক উত্তরপাড়ার রামঘাটে গঙ্গায় তলিয়ে যান। ভারতীয় দল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ...

মুখ বন্ধ রাখতে নির্যাতিত নাবালিকা ও তার মাকে টাকা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শীর্ষ বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৩– লন্ডনে শেক্সপিয়ারের বানানো গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়
১৭৫৭– লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন
১৮৬৪– শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩– মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যু
১৮৯৩– বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্ম
১৯১৩ - নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৩৬– সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.১৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৭৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী ২৩/২৫ দিবা ২/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/৭। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ১/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তবিধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী দিবা ৩/৩৫। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১০/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/২৯ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
২২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি

11:59:47 PM

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:45:00 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

11:39:08 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৪ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৮/৮ (১৯.৫ ওভার) টার্গেট ১৭৭

11:37:11 PM

ইউরো কাপ: ইতালিকে ২-০ গোলে হারাল সুইৎজারল্যান্ড

11:32:33 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ২১ রানে আউট মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬১/৭ (১৯.১ ওভার) টার্গেট ১৭৭

11:30:55 PM