Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল। লাখো লাখো নরনারী বাধ্য হয়েছিলেন সাতপুরুষের ভিটেমাটি ছাড়তে। অসহায় মানুষগুলি, অতঃপর, কোথায় যাবেন জানতেন না। সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরায় উঠে এসেছিলেন বেশিরভাগ উদ্বাস্তু লোকজন। কিন্তু এই তরিও যে ছোট এবং ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রবই সর্বত্র। অতএব স্বাধীনতার শিকার হাজার হাজার বাঙালি ছুটলেন আন্দামান, দণ্ডকারণ্য, বিলাসপুর, ভাইজাগ, বম্বে, নাগপুর, দিল্লি প্রভৃতি দূর দূর জায়গায়ও।
যাঁরা নিজেদের ‘স্বাধীনতার ভগীরথ’ বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা অতিদ্রুত ভুলে গিয়েছিলেন বাঙালি শরণার্থীদের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার-দায়িত্ব-কর্তব্য। প্রচারসর্বস্ব দানখয়রাতি কিছু জুটলেও ‘পুনর্বাসন’ কত বাঙালি উদ্বাস্তু পরিবার পেয়েছিল, সেই উত্তর সেকালে মেলেনি, আজও তা অধরা, অথচ দিল্লি ও কলকাতায় একযোগে চালু ছিল এই সংক্রান্ত দপ্তর। স্বাধীনতার নামে চেপে বসা দেশভাগের বলি হয়েছিল পশ্চিম প্রান্তের রাজ্য পাঞ্জাবও। পশ্চিম পাঞ্জাব থেকেও এপারে উঠে আসেন কয়েক লক্ষ উদ্বাস্তু নারী-পুরুষ। তাঁদের পুনর্বাসন সমস্যা দ্রুত মেটানো হলেও চূড়ান্ত বৈষম্যের বলি হন বাঙালিরা। একযাত্রায় এই পৃথক ফলের জন্য উদ্বাস্তু বাঙালিকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ওইসঙ্গে ছিল নেতাজির সঙ্গে জাতীয় নেতৃত্বের বঞ্চনা-শঠতার যন্ত্রণা। সব মিলিয়ে কংগ্রসকে কোনোদিনই তার রাজনৈতিক শক্তি বলে বাঙালি মনে করেনি। একমাত্র বিধানচন্দ্র রায়ের কর্মদক্ষতা বাঙালিকে মুগ্ধ করেছিল। ১৯৬২-তে কর্মরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু না-হলে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো কি না জানার সুযোগ নেই। তবে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই যে বাঙালির মন থেকে কংগ্রেসের বিসর্জনের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল তাতে বিতর্কের অবকাশ কমই।
প্রফুল্ল ঘোষ, প্রফুল্ল সেন ও অজয় মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে রাইটার্স যে-ক্ষমতার রাজনীতি প্রত্যক্ষ করেছে, তাতে কংগ্রেসের মহিমা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী, বাহাত্তরে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়কে দিয়ে রাইটার্স দখল করেও বঙ্গে কংগ্রেস আর শক্তিশালী হয়নি, ঘটেছিল বরং উল্টোটাই—দলের মূলোচ্ছেদের বন্দোবস্ত! কারণ ‘সিদ্ধার্থশঙ্কর’ শব্দটি তাঁরই হাতযশে ‘গণতন্ত্র’-এর বিপরীতার্থক হয়ে উঠেছিল। ওইসঙ্গে দিল্লি লাগাতার উপহার দিয়ে গিয়েছে বাংলার প্রতি বঞ্চনার রকমারি। উদ্বাস্তু জনগণের ক্ষোভের আগুনে বাংলার প্রতি বঞ্চনা সুসিদ্ধ করে ভোটের বাজারে সহজপাচ্য পথ্যের মতোই পরিবেশন করেছেন মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বামপন্থীরা। সাতাত্তর থেকে টানা সাতবার কেল্লা ফতে হয়েছে ওই এক টোটকাতেই।
জ্যোতি বসুর সরকারকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপের হুংকার একাধিকবার দিয়েছিলেন গনিখান চৌধুরী। রাজীব গান্ধীও আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘এই হতাশা ভাঙতে চাই, নতুন বাংলা গড়তে চাই’। কিন্তু তাঁর ডাকে সেদিন তো বটেই, বাংলা তার পরেও কখনও সাড়া দেয়নি। ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বাঙালি সবচেয়ে হতাশ হয়েছিল প্রণববাবুর প্রতি বঞ্চনা দেখে। এমনকী দু-দুটি ইউপিএ সরকারেও সোনিয়া গান্ধী যোগ্য সম্মান দেননি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে রাষ্ট্রপতি (২০১২-১৭) পদের ‘ললিপপ’ বাঙালি মুখেই তোলেনি। ততদিনে রাইটার্স থেকে পগার পার হয়ে গিয়েছে সিপিএম। কিন্তু সেই বিশাল শৃন্যস্থান পূরণে, ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭-এর পর, কংগ্রেসের আর ডাক পড়েনি। ২০ মে, ২০১১ থেকে দাপটে রাজপাট সামলাচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের জনপ্রিয়তম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বিধানসভাতেও বিগ জিরো হয়ে গিয়েছে সিপিএম, সঙ্গে দোসর কংগ্রেস। ঠিক কার ‘সঙ্গদোষে’ যে কার এই সর্বনাশ হল, এটা রাজনীতির ছাত্রদের একটি সময়োচিত গবেষণার বিষয়। তবে স্বাধীনোত্তর ৭৭ বছরের রাজনীতির চর্চায় এটুকু পরিষ্কার যে, তাকে বঞ্চনার নায়ককে বাংলা কখনোই তার নিকনো দাওয়ায় বড়পিঁড়ি পেতে দেবে না।
সামনে এত সুন্দর সহজপাঠ রয়েছে, মোদি-শাহ জুটি তা পড়ে দেখতে আগ্রহী হলেন না, কিছু না দিয়েই বাংলার মন জয়ের খোয়াব দেখলেন তাঁরাও! অন্তত নরেন্দ্র মোদি ভেবেছিলেন, ভোটের বাজারে রবীন্দ্রনাথ সাজা কিংবা ভাষণের মাঝে মাঝে বিকৃত বাংলায় দু-চারটি বাক্য আওড়ানোই যথেষ্ট, বাঙালি গলে জল হয়ে যাবে। এহেন গেরুয়া শো একুশের ভোট থেকেই ফ্লপ হতে শুরু করেছে, চব্বিশে এসে তো সুপার ফ্লপ! হবে নাই-বা কেন? উনিশে বাংলা মোদিকে ১৮ জন এমপি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিদানে পেয়েছিল কী? ফিরে যাওয়া যাক চোদ্দোয়, দেশে মোদিযুগের সূচনা পর্বে। সেবার বাংলা থেকে দুটি আসন পেয়েছিল বিজেপি—আসানসোল এবং দার্জিলিং। বাংলার মানুষ ভোলেনি আসানসোলের ভোটদাতাদের কাছে মোদির সেদিনের দাবি—‘মুঝে ... চাহিয়ে!’ প্রথম মন্ত্রিসভার সূচনাতেই মন্ত্রী করা হয় আসানসোলের এমপিকে এবং বছর দুই বাদে মন্ত্রিসভায় জায়গা পান আলুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, তাঁরা দু’জনেই ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০৯-এ বাংলা থেকে বিজেপি এমপি হন একজনই। কিন্তু দার্জিলিঙের যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে বাঙালির তেমন আবেগ ছিল না। এগারোয় রাজ্যে পালাবদলের পর বিরোধীরা বাংলার মাটিকে তাদের দুর্জয় ঘাঁটি ভাবা ছেড়ে দেয়। ২০১৪ সালে বামফ্রন্ট ১৫ থেকে মাত্র ২-এ নেমে আসে! তারই বিপরীতে, ওই কঠিন মাটিতেও বিজেপি দখল করে বাংলার সাবেক শাসক সিপিএমেরই সমান সংখ্যক আসন (২)। স্বভাবতই, বাংলার মানুষের বিশেষ প্রত্যাশা ছিল মোদির কাছে, কেননা কেন্দ্রে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (২০১২-তে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী) পর বাংলা আর কোনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি। কিন্তু সেই আক্ষেপ-হতাশা দূর করার কোনও উদ্যোগ মোদি নেননি।
এরপর ২০১৯। প্রবল মোদি-বিরোধী ঢেউ উপেক্ষা করেই, বাংলার বহু কোটি মানুষ মোদির প্রতিনিধিদের ভোট দেন। একলপ্তে নির্বাচিত হন ১৮ জন, দলের রাজনৈতিক দাবি যাই থাক, বিজেপির ইতিহাসে সে ছিল এক অভাবনীয় ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা! কিন্তু অতঃপর বাংলার মানুষ আরও অবাক হয়ে দেখল, সেবারও মন্ত্রিসভায় কোনোরকম গুরুত্ব পেল না বাংলা। মন্ত্রী করা হল মাত্র দু’জনকে। আসানসোলের এমপি নগরোন্নয়ন এবং রায়গঞ্জের দেবশ্রী চৌধুরী নারীকল্যাণ মন্ত্রক পেলেন। দু’জনকেই করা হল নিয়মরক্ষার রাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বও দেওয়া হল না তাঁদের! ২০২১-২২-এ আসানসোলের এমপি গেরুয়াবেশ ত্যাগ করেন। পরে অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন দেবশ্রীও। ফলে, দেশের মন্ত্রিসভায় ১৮ এমপির বাংলার প্রতিনিধিত্ব পুরো ‘শূন্য’ হয়ে যায়! দেখেশুনে এই বিভ্রম হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ নামক সবচেয়ে রাজনীতি সচেতন রাজ্যটি বোধহয় ভারতের মানচিত্র থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছে! অতঃপর, মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন অন্য চারজন—শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, নিশীথ অধিকারী এবং জন বারলা। শেষদিন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় তাঁরাই থেকে গিয়েছিলেন, তবে রাষ্ট্রমন্ত্রী (বিরোধী কটাক্ষে যা ‘অর্ধ’ কিংবা ‘সিকি’ মন্ত্রী) পরিচয়ে। 
সব মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের কাছে যাহাই ২ তাহাই ১৮! অতএব, বারোজন গেরুয়া এমপির বাংলা এবার যে আরও গুরুত্ব হারাতে চলেছে, এই সহজ অনুমান রাজনৈতিক মহল আগেই করেছিল। ৯ জুন পরিষ্কার তাতেই সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে জায়গা পেলেন মাত্র দু’জন এবং যথারীতি রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই—একজন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যজন মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর। অর্থাৎ অর্ধ বা সিকি মন্ত্রীর সংখ্যাটিও হাফ হয়ে গেল! লক্ষণীয় যে, এমনও একাধিক নেতা মন্ত্রিসভায় সমাদৃত হয়েছেন, যাঁরা সংসদের কোনও কক্ষেরই সদস্য নন। যেমন ভোটে গোহারা হয়েও মন্ত্রী হয়েছেন পাঞ্জাবের রভনীত সিং বিটু। মন্ত্রিসভায় আরও ঢুকেছেন তামিলনাডুর প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এল মুরুগান। তিনিই গত মন্ত্রিসভার একমাত্র পরাজিত সদস্য (তবে রাজ্যসভার এমপি), যিনি এবারও মন্ত্রিত্ব ফিরে পেলেন। অন্যদিকে, সুরেশ গোপীর সৌজন্যে এবারই কেরলে খাতা খুলেছে বিজেপি, মোদি তাঁকেও মন্ত্রী করেছেন। সেখানে দলের খ্রিস্টান নেতা জর্জ কুরিয়েন মন্ত্রী হয়েছেন ভোটে না লড়েও! সুদূর দক্ষিণী রাজ্যটিতে প্রভাব বাড়াতেই এই কৌশল। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ধরাশায়ী। তবু মন্ত্রিসভায় সর্বাধিক (৯) সদস্য ইউপি থেকেই। এরপরেই বিহার (৪ জন পূর্ণমন্ত্রীসহ মোট ৮) এবং মহারাষ্ট্র (দু’জন পূর্ণমন্ত্রীসহ মোট ৬)। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান পাঁচজন করে মন্ত্রী পেয়েছে। গুজরাতে ক্যাবিনেট মন্ত্রীই চারজন—তার মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ! 
অর্থাৎ বিজেপি নেতৃত্ব বেশ জানেন, ভোটবৃদ্ধির জন্য সংগঠন মজবুত করা জরুরি। দিয়েথুয়ে মন জয় করতে না পারলে কোনও সমাজ তাদের সংগঠনমুখী হবে না। রাজ্যের নেতা-প্রতিনিধিরা দিল্লির দরবারে ওজনদার পদ না পেলে বাংলার জন্য দু’হাত ভরে আনবেন কী করে? দশ বছর যাবৎ সত্যিই উল্লেখযোগ্য কিছু আসেনি এরাজ্যে, আসার মধ্যে এসেছে কিছু কেন্দ্রীয় নজরদার টিম এবং সিবিআই, ইডি, আইটি, এনআইএ প্রভৃতি। তারা বরং বাংলা থেকে ঝেঁটিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মোদ্দা কথা হল, সবার জন্যই ‘গিভ অ্যান্ড টেক’, বাদ কেবল বাংলা! এরই পাশে রাখতে হচ্ছে, দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গ নিয়ে বাংলার অখণ্ডতার পক্ষে উদ্বেগজনক গোপন গেরুয়া এজেন্ডাটিকে। 
এসবেরই অনিবার্য পরিণতি দেখতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি—ক্ষয় ও ভাঙন—পতনের পোক্ত সড়ক। বিজেপিওয়ালাদের হালফিল মনোভাব অবশ্য মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের জন্য একদিক থেকে স্বস্তিদায়ক। হলফ করে বলা যায়, বাংলায় প্রভাব বিস্তারের সমস্ত আশাই মোদি অ্যান্ড কোং ছেড়ে দিয়েছেন। মমতাকে টক্কর দিতে দু’শো পারের হুংকার, ছবি হয়ে গিয়েছে উনিশেই। না-হলে লাগাতার আর্থিক বঞ্চনা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশে মন্ত্রিত্ব নিয়েও এমন ধ্যাষ্টামো চলে! লেনাদেনার এই হতশ্রী মার্কা প্ল্যান নিয়ে কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল অন্তত বাংলার বুকে রাজনীতি করতে পারে না।
19th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
একনজরে
ভোট আসতে এখনও বাকি প্রায় চার মাস। তার আগেই একটি চ্যানেল আয়োজিত বিতর্কসভায় হাজির হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প। ...

মুখ বন্ধ রাখতে নির্যাতিত নাবালিকা ও তার মাকে টাকা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শীর্ষ বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করা ...

ফিজিক্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তৃতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। ...

শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫কিলোমিটার দূরে কালনার ধর্মডাঙা গ্রামে পুকুর থেকে এক নবম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার নাম নার্গিস মণ্ডল(১৫)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৩– লন্ডনে শেক্সপিয়ারের বানানো গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়
১৭৫৭– লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন
১৮৬৪– শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩– মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যু
১৮৯৩– বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্ম
১৯১৩ - নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৩৬– সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.১৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৭৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী ২৩/২৫ দিবা ২/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/৭। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ১/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তবিধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী দিবা ৩/৩৫। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১০/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/২৯ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
২২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি

11:59:47 PM

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:45:00 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

11:39:08 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৪ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৮/৮ (১৯.৫ ওভার) টার্গেট ১৭৭

11:37:11 PM

ইউরো কাপ: ইতালিকে ২-০ গোলে হারাল সুইৎজারল্যান্ড

11:32:33 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ২১ রানে আউট মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬১/৭ (১৯.১ ওভার) টার্গেট ১৭৭

11:30:55 PM