Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে। 
‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’-এর স্রষ্টা জর্জ অরওয়েল লিখেছেন, ‘প্রথমে হিটলার ছিলেন মানুষের কাছে এক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। হিটলার জার্মান শ্রমিক আন্দোলনকে একদম নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ায় সম্পত্তিবান ধনী শ্রেণি খুব খুশি ছিল। ...এ কথা আমি অন রেকর্ড স্বীকার করতে চাই, হিটলার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথমে তাঁকে অপছন্দ করার কোনও কারণই আমি খুঁজে পাইনি। ওঁর মধ্যে একটা প্রচণ্ড আবেদন আছে। তাই কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষও খুঁজে পাইনি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মনে হতে লাগল, খুব কাছাকাছি পেলে আমি ওঁকে মেরেই ফেলব।’ অরওয়েল লিখেছেন, ‘আই অফার ইউ স্ট্রাগল, ডেঞ্জার অ্যান্ড ডেথ’— বলেছিলেন হিটলার। আর এই কথায় গোটা জাতি ওর পায়ে পড়ে গিয়েছিল, দেশের জন্য কষ্ট করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকের দিনে ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে অরওয়েলের ব্যাখ্যার কোনও সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন? নোট-বাতিল? সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? জিএসটি? সেই ভাষ্য: কষ্ট করুন এক নতুন ভব্য ভারত গঠনের জন্য...। 
এভাবেই তো জার্মানির মাটিতে চোদ্দো বছর ধরে সলতে পাকানো চলেছিল। ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবুও বিরোধী এবং সহযোগী রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে বড় বড় পণ্ডিত, রাজনীতিবিশারদরা চোদ্দো বছর ধরে বলে গিয়েছেন— দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। গণতন্ত্র আছে। নির্বাচন আছে। সংবিধান আছে। সেই সংবিধানসম্মত নির্বাচনী গণতন্ত্রের কাঠামো মেনেই তো হিটলারকে কাজ করতে হবে, ভয় কীসের? 
১৯৩২ সালের ভোট। অনেকেই মনে করেছিল সে বার নাৎসি পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। বরং কমিউনিস্টদের শক্তি খানিক বেড়েছিল। কিন্তু নাৎসি দল কিছু শরিক জোগাড় করে সরকার তৈরি করল। ৩০ জানুয়ারি ১৯৩৩ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিলেন। কিন্তু সেদিনও ‘সংবিধান’ মেনে যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা হিটলারের হাতে বা নাৎসিদের হাতে ছিল না। হিটলার আবার নির্বাচনের দাবি করলেন। ঠিক হল, ৫ মার্চ ১৯৩৩ আবার নির্বাচন হবে। ঠিক তার আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় খবর এল, রাইখস্ট্যাগে আগুন লেগেছে। রাইখস্ট্যাগ জার্মানির সংসদ ভবন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির চ্যান্সেলর হিটলার, প্রচার সচিব গোয়েবলস। রাত ১১.৫০ নাগাদ আগুন নিভল। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই। ২০টা পোড়া মৃতদেহ বের হল।
জার্মানির সংসদভবনে সেদিন আগুন কে লাগিয়েছিল, তার নিশ্চিত উত্তর আজও মেলেনি। কিন্তু সেই রাত্রেই ওই বহ্নিমান রাইখস্ট্যাগের একটি ব্যালকনিতে দাঁড়ানো, এক মাস আগে চান্সেলরের আসনে বসা হিটলারের ঘোষণা শোনা গেল, ‘আর কোনও দয়া দেখানো হবে না... প্রতিটি কমিউনিস্ট নেতাকে যেখানে দেখা যাবে গুলি করে মারা হবে। কমিউনিস্ট ডেপুটিদের আজ রাত্রেই ফাঁসিকাঠে ঝোলানো চাই।’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সর্বাধিনায়কের এই ইচ্ছে নথিভুক্ত হল সরকারি বিবৃতিতে। হিটলারের ডান হাত, জার্মানির বৃহত্তম প্রদেশ প্রুসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারমান গোয়রিং-এর বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ল: এই অগ্নিকাণ্ড ‘জার্মানির ইতিহাসে জঘন্যতম বলশেভিক সন্ত্রাস’, এ হল ‘এক রক্তাক্ত বিদ্রোহ ও গৃহযুদ্ধের সঙ্কেত’। ততক্ষণে অবশ্য এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক তারবার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, আগুনটা নিঃসন্দেহে হিটলারের লোকেরাই লাগিয়েছে, এবং তারা সম্ভবত রাইখস্ট্যাগের স্পিকারের আবাসন থেকে একটি টানেল দিয়ে অকুস্থলে পৌঁছেছিল।
পরের দিন, ২৮ ফেব্রুয়ারি, বেলা এগারোটায় হিটলারের ক্যাবিনেট বিশেষ বৈঠকে বসে। ‘জনসাধারণ এবং রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য’ ডিক্রি জারি হয়। তার মোদ্দা কথা, রাষ্ট্রের হাতে আপৎকালীন ক্ষমতা চাই। অতএব সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিক অধিকারগুলিকে খর্ব করা হবে। সরকার যাকে রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক মনে করবে তাকে বিনা বিচারে বন্দি করা যাবে। পুলিস কোনও পরওয়ানা ছাড়াই যেকোনও জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারবে। বাক্‌স্বাধীনতা ছাঁটাই হবে। বাতিল হবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে এই সবই দরকার, খুব দরকার। আর রাষ্ট্র সুরক্ষিত না থাকলে দেশের সুরক্ষা বজায় থাকবে কী করে? জার্মানির মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হল, হিটলারের হাতে গিয়ে জমা হল সব ক্ষমতা। ৫ মার্চের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতল নাৎসিরা। প্রথমে কমিউনিস্টদের ধরপাকড় শুরু হল, তারপর ইহুদিদের। যেকোনও সামান্য বিরোধিতায় দরজায় কড়া নাড়া। এল গেস্টাপো, এসএস, নাৎসি বাহিনী। এবং জার্মানিতে গণতন্ত্রের পরিসমাপ্তি। একনায়ক হয়ে উঠলেন হিটলার! এই ক্রোনোলজি কি আপনাদের চেনা চেনা লাগছে?
নাৎসিদের ইহুদি নিধনের ইতিহাসের মতোই আরএসএস-হিন্দু মহাসভা, জনসঙ্ঘ, বিজেপি— তাদের পথচলার শুরুতেই আছে এই ঘৃণা। সেও লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, একেবারে প্রকাশ্যে। এ দেশ হিন্দুদের, মুসলিমদের দেশ পাকিস্তান। হিন্দুরাষ্ট্র না মানলে দেশ থেকে বিদেয় হও। এ দেশ যাদের পুণ্যভূমি নয়, তারা এদেশের নাগরিক নয়। এসব কথা ভাষণে, লিফলেটে, সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা বলেই চলেছে। আর তার রেশ এসে পড়ছে জাতপাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা বিশাল সংখ্যক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ, বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির চাপে নুয়ে পড়া হতাশ মানুষের উপর। যাদের প্রতিদিন ভাবানো হচ্ছে, মুসলিমরা জনসংখ্যায় নাকি এতটা বেড়েছে যে আর ক’দিন পরে তারাই দেশের মাথায় চড়ে বসবে। সেদিন আমাদের মা বোনেদের ইজ্জত থাকবে না। তাদের আসল দেশ পাকিস্তান, তারা এখানে আছে কেন? প্রত্যেক মুসলিম টেররিস্ট। অতএব, হিন্দুদের বাঁচতে হলে অস্ত্র ধরতে হবে। দেশের সব সম্পদ তুলে দেওয়া হবে মুসলিমদের হাতে। কারা ছড়াচ্ছে এসব প্রোপাগান্ডা? তাদের নাম কাজল হিন্দুস্তানি হতে পারে, নূপুর শর্মা হতে পারে, শ্রীকান্ত নিরালা ওরফে মুস্তাক আলি, বিকাশ কুমার ওরফে রাশিদ খান, পুনিত মেরহল্লি, সঞ্জয় জাঠ হতে পারে কিংবা বিজেপির শীর্ষনেতারাও হতে পারেন। আসলে আজকের ‘পোস্ট ট্রুথ’ যুগে স্বৈরতন্ত্র আসে গণতন্ত্রের হাত ধরে, বজ্রনির্ঘোষে। আর এখন তো চারদিকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গোয়েবলস জন্ম নিয়েছে। একে বলা হচ্ছে ‘দ্য রাইজ অব দ্য মিস-ইনফর্মেশন ইন্ডাস্ট্রি’। গোটা পৃথিবী জুড়েই এখন ‘পোস্ট ট্রুথ’-এর জয়জয়কার। হিটলারের দর্শন, ভয় (হরর) তবুও ভালো। কারণ, তারও শেষ আছে। অন্তহীন ভয়ের চেয়ে পাকাপাকি ভয়মুক্ত হওয়ার জন্য কিছুদিনের জন্য ভয়কে সহ্য করা ভালো। এর সাক্ষী মার্কিন ইতিহাসবিদ বেঞ্জামিন কার্টার হেট-এর লেখা বই: দ্য ডেথ অব ডেমোক্র্যাসি, হিটলার’স রাইজ টু পাওয়ার!
নরেন্দ্র মোদির শাসনে গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে ভারতের দ্রুত অবনমন নিয়ে এই মুহূর্তে বহু দেশে গভীর উদ্বেগ। গত দশ বছরে তৈরি হয়েছে পর্বতপ্রমাণ গুরুতর অভিযোগ। সেই তালিকাটা বেশ লম্বা। নাগরিকের স্বাধীনতা হরণ। সরকারের সমালোচনাকে দেশদ্রোহ বলে কঠোর শাস্তিপ্রয়োগ। বিচারবিভাগের উপর কর্তৃত্বপ্রসারের প্রচেষ্টা। সংখ্যাগুরুবাদ প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর বৈষম্য ও নির্যাতন। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে সেই বৈষম্য জোরদার করার পদ্ধতি। নোটবন্দির মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রপ্রসার। এবং বৃহদাকার আর্থিক জাল বিছিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার প্রয়াস। হয়তো তাই সুইডেনের এক গণতন্ত্র-নজরদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালের রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত এখন বিশ্বের সঙ্কটময় একনায়কতন্ত্র। ‘বিজেপি বনাম গণতন্ত্র’: ব্রিটেনের শীর্ষ সংবাদপত্রের এখন সংবাদ শিরোনাম। কেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সর্ষের ভিতরে আছে অন্য বিদ্বেষের ভূত। আজকের ভারতে ধর্মপরিচয় মোক্ষম বিভেদাস্ত্র, বিশেষত শাসক ও তাঁর অনুগামী ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে। তার জোরে যে কোনও ব্যক্তিস্বরকেই দমিয়ে বা চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। ঘরে গোমাংস রাখার মনগড়া অভিযোগে এ দেশে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়। ব্যক্তির ধর্মপরিচয় বা ধর্মনিরপেক্ষতা, দুই-ই আজকের ভারতে আক্রান্ত, তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে ধর্মের রঙে রাঙিয়ে নিজ স্বার্থসিদ্ধিই এই বিভেদপন্থী রাজনীতির কাজ। এখানেই শেষ নয়...। মোদি জমানায় সরকারের সমালোচক বা স্বাধীনচেতা সাংবাদিকমাত্রেরই হেনস্তা হওয়া প্রায় স্বাভাবিকতায় পর্যবসিত হয়েছে। মোদির ভারতে ‘ডিসটোপিয়া’ শব্দটিও যেন তার অভিঘাত হারিয়েছে— এই দেশ তার প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত যাপন করে সেই ভয়াবহতায়। যে কল্পনাটি নাগপুর প্রকৃত ‘ভারত’ বলে চালাতে চায়, সেটা অসত্য— ভারত নামে দেশটি কখনও এমন একশৈলিক, অসহিষ্ণু ছিল না। সেই বৃহৎ অসত্যের পাশাপাশি— সেই অসত্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই— ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছোট-বড় অজস্র মিথ্যার বিষ। যার প্রতিটিরই অভীষ্ট ভারতের বহুত্বকে আক্রমণ করা, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার মাত্রা বৃদ্ধি। আসলে একনায়কতন্ত্র এ ভাবেই নিজের অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে!
ভারতীয় রাজনীতির এই দৃশ্যপটের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, হিটলার অতীত নয়। তিনি যেন ফিরে এসেছেন এই ভারত-ভূমিতে!
16th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একনজরে
ঘাটালের দু’বারের সাংসদ দেবের (দীপক অধিকারী) এবারের প্রতিপক্ষ আর এক অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ...

টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলছেন, রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ারে এমন কেউ বসুন, যাঁর ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। এই মন্তব্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোনও ভারতীয় ...

তাপপ্রবাহে বেহাল দশা দেশের একাধিক শহরের। স্বস্তি পেতে পর্যটকদের গন্তব্য শৈলশহর। ভিড় সামলাতে পরিচিত গন্তব্যের পাশাপাশি নতুন পর্যটনস্থল বেছে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে কেন্দ্র। এই উদ্যোগের পোশাকি নাম ‘কুল সার্মাস অব ইন্ডিয়া।’ ...

পরিত্যক্ত কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল দুই চা শ্রমিকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও এক চা শ্রমিক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের কমলা চা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৩৬০ - ফ্রান্সের একদল নাবিক এবং নৌ অভিযাত্রী গিনি উপসাগর আবিষ্কার করেন
১৭৫১: বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা হ্যালহেডের জন্ম
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
১৯৮৯: গর্বাচভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম প্রশাসনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করে
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৩৫/৫ রাত্রি ৬/৫৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১২/০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৬/৪২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৩ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গুজরাতের রাজকোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

09:05:11 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে গাড়ি দুর্ঘটনা, ৪ জনের মৃত্যু, জখম ৩

08:13:53 PM

দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২৬টি ইঞ্জিন

08:10:49 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (ষষ্ঠ দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত দেশে কত শতাংশ ভোট পড়ল
আজ, শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট। এই দফায় দেশের ...বিশদ

07:38:07 PM

২০২৪-এ আরও বেশি ভোটে হারাব: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:32:00 PM

বজবজের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:31:00 PM