Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। তাঁর হাতেই ছড়িটা থাকবে। তিনি সেটা যেভাবে দোলাবেন, সেইমতো বাজবে ভায়োলিন, গিটার বা স্যাক্সোফোন। ফারাকটা হল, কোনও পাওয়ার সেন্টার শুধুই কাঠামোটাকে ধরে রাখার জন্য তৈরি হয়, আর কোনওটা সিস্টেমকে দুমড়ে-মুচড়ে নিজের মতো করে ব্যবহারের জন্য। নরেন্দ্র মোদি গত বিশ বছরে যে পাওয়ার সেন্টারটি তৈরি করেছেন, তা দ্বিতীয় শ্রেণির মধ্যে পড়ে। ২০০২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই তিনি জানতেন, তাঁর চেয়ারটাকে ঘিরে একটা অভেদ্য বলয় তৈরি করতে হবে। গুজরাত বিজেপি তখন দু’ভাগে ভেঙে গিয়েছে। একটা অংশ কেশুভাই প্যাটেলের। আর একটা তাঁর বিরোধী। নরেন্দ্র মোদি চেয়েছিলেন, দুটো লবিকেই নিজের হাতের তালুর নীচে রাখতে। সেটা করার জন্য ক্ষুরধার একটা মস্তিষ্ক প্রয়োজন ছিল। আটের দশকে আমেদাবাদেই সঙ্ঘের কর্মসূচিতে যে ছেলেটির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, মোদি জানতেন... তখনকার সেই কলেজছাত্রটিই হতে পারে ব্রহ্মাস্ত্র—অমিত শাহ। 
রাজ্য, আর তারপর দেশ। কেউ যদি মনে করে, এই রাজত্বে নরেন্দ্র মোদির কোনও অংশীদার নেই, তাহলে সে এখনও মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। মোদিজি চিরকালই এই পাওয়ার সেন্টারের মুখ হয়ে থেকেছেন। আর প্লেব্যাক সিঙ্গারের মতো নেপথ্য কণ্ঠ দিয়ে গিয়েছেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই শাহকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কী কী দপ্তর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে? স্বরাষ্ট্র, আইন, কারা, সীমান্ত সুরক্ষা, সিভিল ডিফেন্স, শুল্ক, পরিবহণ, হোম গার্ড, গ্রাম রক্ষক দল, পরিষদীয় দপ্তর। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার ছিল, পাওয়ার সেন্টার দু’জনে মিলেই চালাবেন। শুধু অমিত শাহ প্রচারের মুখ হবেন না। ইঙ্গিতপূর্ণ কথাটা বছর দশেক আগে বলেছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিং বাঘেলা—‘শাহ একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর উপর মোদি ভরসা করেছিলেন। আর তাঁরা দু’জনই একসঙ্গে ধারণ করেছেন ক্ষমতার পাত্র। কিন্তু দল হিসেবে নয়, ব্যক্তিতন্ত্রে। কারণ, গুজরাতে বিজেপিকে সাংগঠনিক ও আদর্শগত দিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছেন তাঁরা।’
প্রথমে গুজরাত। আর এখন দেশ। মঞ্চ বদলেছে, বদলায়নি পদ্ধতি, পাওয়ার সেন্টার। এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৩ বছর, আর অমিত শাহের ৫৯। মোদি জনতা পার্টির এই দুই কাণ্ডারী কোনওকালেই দলের নিয়ম-কানুনকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। লোকসমক্ষে দেখান, তাঁরা সবটাই মেনে চলছেন। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যায়, সবটাই তাঁদের প্রয়োজন মতো আকার নিয়ে ফেলেছে। এবার খানিক মুশকিল হয়েছে। কারণ, সামনে এসে গিয়েছে বিজেপির সংবিধান। ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে আর কোনও দায়িত্বের পদে থাকা যাবে না। নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৪ পূর্ণ করবেন। অর্থাৎ ৭৫’এ পা। আর ৭৫ পূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেও আগামী বছরের সেপ্টেম্বর। তারপর কী? এই প্রশ্নটা বাজারে কয়েক মাস যাবৎ আকাশে ঘোরাফেরা করলেও ভোটের ময়দানে এনে ফেলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পরের দিন হনুমান মন্দিরে প্রণাম করেছেন। আর বেরিয়ে দেখেছেন, গোটা দিল্লি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ, ওই স্পট থেকেই শুরু হচ্ছে কেজরিওয়ালের রোড শো। গলায় উত্তরীয় ঝোলানো ‘আয়োজিত’ ভিড় নয়, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে তাঁর প্রচারে যোগ দিতে। আর সেই প্রচারমঞ্চ থেকে কেজরিওয়াল তোপ দাগছেন, ‘আপনারা আসলে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিচ্ছেন না। আপনাদের সমর্থন যাচ্ছে অমিত শাহের দিকে। এক বছর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। বাকি চার বছর শাহ। এবার ভেবে নিন, কাকে ভোট দেবেন।’
মানুষের মনে নাড়া দেওয়ার মতো সমীকরণ বটে। কেজরিওয়াল শিক্ষিত, বুদ্ধিমান রাজনীতিক। কোমরের নীচে ঠিক কোথায় মারলে ব্যথাটা মোক্ষম হবে, সেটা ভীষণভাবে জানেন। আর সেটাই করেছেন। তিনি জানেন, মোদি হাওয়া যতটুকু আছে, সেটাই বিজেপির সম্বল। গোটা দেশে মোদির গ্যারান্টির ভ্যারেন্ডা ভেজে ভোটভিক্ষা চলছে। উন্নয়নের দিশা না পেয়ে ধর্মের সেফ হাউসে ঢুকে পড়েছেন গেরুয়া কর্তারা। তাই ‘মোদিকে দেখে ভোট’—এই মিথটা ভাঙতে পারলে সত্যিই বিজেপি ২০০’র নীচে নেমে আসবে। সেটাই করেছেন তিনি। আর ঢিলটা যে সঠিক চাকে লেগেছে, তার প্রমাণ বিজেপির ত্রাহি রব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বয়ং অমিত শাহকে আসরে নামতে হয়েছে। তিনি সাফাই দিয়েছেন, এসব ভুল কথা। মোদিজিই আমাদের নেতা। তাহলে কি জিতে এলে পাঁচ বছর তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকছেন? এই গ্যারান্টি কেউ দিচ্ছে না। আর এখানেই মুচকি হাসছেন কেজরিওয়াল। ভোটপর্বের মাঝে তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানোর পাল্টা দিতে ময়দানে নেমেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যেমন প্রমাণ না হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ আছে, ঠিক তেমনই আছে পরিষেবা। মানুষের জন্য করেছেন, এমন পাঁচটা কাজ তিনি অবলীলায় বলতে পারবেন। বিদ্যুৎ বিলে ছাড়, পানীয় জল, দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোড়-বিজোড় নীতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুকরণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার... আরও অনেক কিছু। কেজরিওয়াল বলেই থাকেন, বাকি বহু দপ্তর আমার হাতে নেই। কেন্দ্রের অধীনে। থাকলে ওখানেও করে দেখাতাম। মানে চ্যালেঞ্জটা পরিষ্কার—লড়তে এসো পরিষেবায়। ভোট ওই অঙ্কেই হোক। দেখি কীভাবে সামাল দিতে পারো। 
সামলানো যে কঠিন, সেটা বিজেপিও জানে। কিন্তু তা বলে ভোটের মাঝে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার? শুধু তো তিনি নন, হেমন্ত সোরেনও। বিরোধীদের ঝেঁটিয়ে খাঁচায় পোরার ট্রেন্ডটা যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা কেজরিওয়ালে এসে থামতে পারে... এটা সম্ভবত ভয়ানক ভক্তও ভাবেননি। কিন্তু এখানে আরও যে গুরুতর প্রশ্নটা সামনে আসছে তা হল, বুদ্ধিটা কার? অমিত শাহ কি জানতেন না, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলবন্দি করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারে? এটা তো হতে পারে না। দেড় বছর ধরে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাহলে এতদিন পরে গ্রেপ্তার কেন? তাও ভোট চলাকালীন! বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাটা নিশ্চিতভাবে বিজেপির ড্যামেজ করেছে। আর অমিত শাহকে এতটা অবিবেচক মনে হয় না, যে তিনি ভোটের মাঝে এতটুকুও ঝুঁকি নেবেন। তাহলে নেপথ্যে কে? স্বয়ং মোদি? নাকি ড্যামেজ করার মনোবাসনা নিয়ে পাওয়ার সেন্টারের মধ্যেই কেউ বসে আছেন! 
মোদ্দা কথাটা হল, এজেন্সির অতিসক্রিয়তা, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, আম জনতাকে ভিতরে ভিতরে খেপিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে ড্যামেজটা কোনও দল বা সংগঠনের হচ্ছে না। ধাক্কা খাচ্ছেন একজন—নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি যদি চব্বিশের মহারণ উতরে যায়, তাহলে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যেমন তাঁর হবে, ধরাশায়ী হলেও তার দায় অন্য কারও হবে না। অমিত শাহেরও না। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারলে হার হবে নরেন্দ্র মোদির। আর জিতলে বছর দেড়েক পর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটা অপেক্ষায় থাকবে অমিত শাহের। সমীকরণ পরিষ্কার। নরেন্দ্র মোদি নিজেও সেটা জানেন। তাই আজ তিনি মরিয়া। ৩৭০, মহিলা সংরক্ষণ, জি-২০ সম্মেলন... কোনওটাই আর তাঁর ভাষণে নেই। আছে শুধু ধর্ম, এসসি-এসটি, মেরুকরণ। মহাজোট ক্ষমতায় এলে সবার থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নাকি মুসলিমদের দিয়ে দেবে। এটাও কি হতে পারে? দেশে সংবিধান নেই? সুপ্রিম কোর্ট নেই? নাকি সংসদ নেই? তাও মোদি বলছেন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হিন্দু ভোটটাকে এক ছাতার তলায় আনার। আর সেই দাবির পক্ষ সমর্থনে প্রকাশ করছেন রিপোর্ট... বলছেন, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের সময়সীমা পর্যন্ত হিন্দু জনসংখ্যা নাকি কমে গিয়েছে। বেড়েছে মুসলিমরা। কেন, কোন পরিস্থিতিতে, সেইসব ব্যাখ্যা পিএমও থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে নেই। যদি এটাই সত্যি হয়, এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি সেন্সাস করাতে দিলেন না কেন? ২০২১ সালে না হয় কোভিডের দাঁত-নখ বেরিয়ে ছিল। তারপরও তো তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেইসব না করে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করলেন। তাও ভোটের মাঝে। এবেলা আদর্শ আচরণবিধি ভাঙল না? আসলে তাঁর সরকার বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে চলা ভুলে গিয়েছে। বা আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ওই গলিতে পা দিতে চায় না। তাহলেই যে ব্যর্থতার হাড়-কঙ্কাল বেরিয়ে পড়বে! তাই মোদিজি রামমন্দিরের কথা বলেন, আর বর্তমানকে এড়িয়ে ’৪৭ সালের পরিকল্পনা দেন। এর সঙ্গেও বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। ২০০৮ সালের একটি অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ছে। মঞ্চে উপস্থিত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দর্শকের আসনে রাহুল গান্ধী, প্রকাশ জাভড়েকর, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো রাজনীতিক। আর বক্তা? শাহরুখ খান। রাহুল গান্ধী দর্শকাসন থেকে শাহরুখকে বলেন, ‘রাজনীতিকদের যদি একটা পরামর্শ দিতে হয়, কী বলবেন?’ শাহরুখ হেসে ফেলেন, খানিক ইতস্তত করেন, আর তারপর বলেন, ‘খুব সহজ প্রশ্ন। সোজাসাপ্টা প্রশ্ন।’ একটু থেমে শাহরুখের মন্তব্য, ‘একটা পরামর্শ, যা রাজনীতিকরা মেনে চলবেন... আমাদের দেশ বিশ্বসেরা হবে...। দেখুন কাকে আপনারা প্রশ্নটা করলেন। যার পেশাটাই হল কিছু মিথ্যা, কিছু স্বপ্নকে পর্দায় তুলে ধরা। আমি একজন অভিনেতা। কিন্তু আপনারা নন। আপনারা যাঁরা দেশ পরিচালনা করেন, তাঁদের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। নাগরিক হিসেবে আপনাদের একটাই কথা বলতে পারি... টেবিলের নীচে হাত পেতে টাকা নেবেন না। যতটা সম্ভব সৎ থাকবেন, আর অবশ্যই বাস্তবের মাটিতে পা রাখবেন। তাহলে আমাদের দেশ বিশ্বসেরা হবেই।’
আজ নরেন্দ্র মোদির জমানায় আমরা বড়পর্দার বাইরে অভিনেতা দেখছি। তাঁরা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে পা রাখছেন না। আর সেই শাহরুখ খান বড়পর্দায় জনগণের উদ্দেশে বলছেন, ‘একটা পেন কিনতে গেলেও পাঁচবার কাগজে ঘষে দেখেন ঠিকমতো কালি পড়ছে কি না... চাল, ডাল, আটা, তেল কেনার সময় কত প্রশ্ন করেন আপনারা। শুধু নিজের দেশের সরকার নিয়ে একটা প্রশ্নও করেন না। কেন? পাঁচ ঘণ্টা চলে, এমন মশার কয়েল নিয়ে একগাদা প্রশ্ন করেন, কিন্তু পাঁচ বছর যে সরকার ক্ষমতায় বসে থাকে, তাদের নিয়ে? ভোট দেওয়ার আগে প্রশ্ন করুন, কী করেছ দেশের জন্য? কী করেছ আগামী প্রজন্মের জন্য? আমার জন্য? আগে উত্তর দাও। তারপর ভোট।’ এই প্রশ্নগুলো কি ১০ বছর রাজত্ব করা শাসককে করা যায় না? আলবাৎ যায়। এটা আমাদের অধিকার। গত কয়েক দশকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছিল বাজপেয়ি জমানায়—৬০ লক্ষ। পরিকাঠামো উন্নয়নও হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তাঘাট, সামাজিক প্রকল্প...। তারপরও ধসে গিয়েছিল তাঁর সরকার। আগের ভোটের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ ভোট কম পড়েছিল। সেটাই বদলে দিয়েছিল রাজনীতির সমীকরণ। কেন? মধ্যবিত্ত কিছুই পায়নি ওই জমানায়। চাকরি হয়েছে, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি কমেনি, আয়করের স্ল্যাবেও মেলেনি ছাড়। প্রতিদিন ধুঁকতে হয়েছে আম জনতাকে। তার ফল ভোটে পড়েছে। এবার কিন্তু চার দফাতেই প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ করে ভোট কম পড়েছে। ইস্যুও ফিরে এসেছে... মূল্যবৃদ্ধি, আয়কর, বঞ্চিত মধ্যবিত্ত। আর সঙ্গে জুড়েছে বেকারত্ব।
মোদি হাওয়া থাকলেও সেটা ভোটযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে তো?
14th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪-এর সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার খুনে সামনে আসছে একের পর এক হাড়হিম করা তথ্য। দেহ খণ্ড করার জন্য মুম্বই থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ভাড়াটে কসাই জিহাদকে। অতীতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছিল অভিযুক্ত। ...

আজ, শনিবার দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পাঁচ লোকসভা আসনের নির্বাচন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন দীপক অধিকারী ...

পরিত্যক্ত কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল দুই চা শ্রমিকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও এক চা শ্রমিক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের কমলা চা ...

ঘাটালের দু’বারের সাংসদ দেবের (দীপক অধিকারী) এবারের প্রতিপক্ষ আর এক অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৩৬০ - ফ্রান্সের একদল নাবিক এবং নৌ অভিযাত্রী গিনি উপসাগর আবিষ্কার করেন
১৭৫১: বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা হ্যালহেডের জন্ম
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
১৯৮৯: গর্বাচভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম প্রশাসনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করে
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৩৫/৫ রাত্রি ৬/৫৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১২/০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৬/৪২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৩ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গুজরাতের রাজকোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

09:05:11 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে গাড়ি দুর্ঘটনা, ৪ জনের মৃত্যু, জখম ৩

08:13:53 PM

দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২৬টি ইঞ্জিন

08:10:49 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (ষষ্ঠ দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত দেশে কত শতাংশ ভোট পড়ল
আজ, শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট। এই দফায় দেশের ...বিশদ

07:38:07 PM

২০২৪-এ আরও বেশি ভোটে হারাব: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:32:00 PM

বজবজের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:31:00 PM