কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
বিজেপির বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, আগে ভাবতাম বিজেপি খুব স্বচ্ছ পার্টি। টাকা পয়সা লেনদেনের কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু পরে দেখলাম, বিজেপির জেলা ও রাজ্যের নেতৃত্ব টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। নিচুতলার কর্মীদের জন্য দেওয়া টাকা ‘হাওয়া’ হয়ে যাচ্ছে। তাই সংগঠনের এই হাল।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, আমাদের প্রতিটি বুথে এজেন্ট থাকবে। লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের পর থেকে জেলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল হতে শুরু হয়। জেলার সর্বত্র গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। ফলস্বরূপ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার প্রতিটি আসন দখল করে তৃণমূল। বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা আরও প্রকাশ্যে চলে আসে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রমের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারীরাও মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেক নেতাকেই বহিষ্কার করে বিজেপি। তাতে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। ফলে ঝাড়গ্রাম পুরসভা ভোটে ও গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও সংগঠন মজবুত করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অনেক বিজেপি নেতা ভেবেছিলেন, লোকসভার আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। এরপর বিজেপি সাংসদ কুনারবাবুও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। যা ভোটের আগে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপি শিবিরকে।
তৃণমূলের এক নেতা বলেন, শুনেছি বিজেপির পার্টিঅফিসে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে টাকা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারছে না নেতৃত্ব। দলটাই গোষ্ঠীকোন্দলে শেষ হয়ে যাবে।
তবে বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বুথ খরচ না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিটি বুথেই আমাদের এজেন্ট থাকবেন। তাঁরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। আমাদের জয় নিশ্চিত।