Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্ম বিদ্বেষীরা কখনও
নেতাজিপ্রেমী হতে পারেন না
সন্দীপন বিশ্বাস

১৯৪৩ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের ঘটনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তখন সিঙ্গাপুরে। সেখানকার বিখ্যাত চেট্টিয়ার মন্দিরে যাওয়ার জন্য নেতাজিকে আমন্ত্রণ জানাতে এলেন বিশাল ধনী ব্যক্তি ব্রিজলাল জয়সওয়াল। তিনি মন্দির কমিটির প্রধান। তিনি বললেন, আজাদ হিন্দ বাহিনীর তহবিলে মন্দির কমিটি দশ লক্ষ ডলার দান করতে চায়। তবে একটাই অনুরোধ, নেতাজি যদি একবার মন্দিরে এসে চেকটা নেন, তবে অনেকেই তাঁকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন। 
নেতাজি জানতেন, চেট্টিয়ার মন্দিরে কোনওদিন কোনও অ-হিন্দু ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাই নেতাজি বললেন, ‘আজাদ হিন্দ বাহিনীর একজন সর্বাধিনায়ক হিসেবে কোনও ধর্মস্থানে গিয়ে সেখানকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাটা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।’ 
ব্রিজলালজি তাঁকে বললেন, ‘আপনি তো হিন্দু? অসুবিধা কোথায়?’
নেতাজি উত্তরে তাঁকে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, সুভাষচন্দ্র বসু অবশ্যই একজন হিন্দু। কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়কের একমাত্র পরিচয় তিনি ভারতীয়। তাই সেখানে যদি আমার সহকর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়, তবেই আমি যেতে পারি। আমার বাহিনীতে সব ধর্মের মানুষই আছেন।’ 
ব্রিজলালজি উপায়ন্তর না দেখে ফিরে গেলেন। তখন নেতাজির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্টেনো ভাস্করণ। তিনি বললেন, ‘স্যার, দশ লক্ষ ডলার কম নয় কিন্তু। সেটা আপনি ফিরিয়ে দিলেন?’ 
নেতাজি হেসে বলেছিলেন, ‘আমার বিবেক দশ লক্ষ ডলারের থেকে অনেক বেশি।’ 
পরদিন সকালে ব্রিজলালজি আবার হাজির। সঙ্গে মন্দির কমিটির আরও কয়েকজন লোক। তাঁরা এসে নেতাজির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘আমাদের ভুল আমরা বুঝতে পেরেছি। আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমরা শুধু ঈশ্বরের পুজো করি সামান্য ফুল দিয়ে, কিন্তু নেতাজি, আপনি বুকের রক্ত দিয়ে ভারতমাতার পুজো করেন। আপনারা সবাই চলুন মন্দিরে।’ 
নেতাজি এভাবেই ধর্ম ও সম্প্রদায় নিয়ে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের একশো সঙ্গী নিয়ে চেট্টিয়ার মন্দিরে উপস্থিত হন। সেখানে ছিলেন এস এ আইয়ার, জি এস ধীলন, হবিবুর রহমান, মহম্মদ জামান কিয়ানি, শাহনওয়াজ খান, আবিদ হাসান প্রমুখ। তাঁরা সকলেই মন্দিরে বিগ্রহের সামনে বসলেন। ভক্তিভরে প্রণাম করলেন এবং সমস্বরে বললেন, ‘জয়হিন্দ।’
এই কাহিনিটা বলার বিশেষ উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য রয়েছে। কিছুদিন আগেই গেল ভারতের ইতিহাসে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। একটি নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন। অন্যটি ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস। এই দু’টি দিনকে কেন্দ্র করে ইদানীং বিজেপির মাতামাতি বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নেতাজিকে নিয়ে। যে  মানুষটির একদিন রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার কথা ছিল, সেই শ্রেষ্ঠ পুরুষকে নিয়ে কংগ্রেস এবং হিন্দুত্ববাদী দল শ্রদ্ধা জানানোর নামে রাজনীতি করে গেল। কংগ্রেসের 
চেষ্টা ছিল, নেতাজিকে খাটো করে জওহরলাল এবং গান্ধীজিকে বড় করে দেখানো। আবার অন্যদিকে, বিজেপির পূর্বসূরীরা স্বাধীনতা আন্দোলনের 
সময় নেতাজির বিরুদ্ধাচরণ করে যে পাপ করেছিলেন, তাকে মুছে দিতে বর্তমান নেতারা তাঁরই প্রেমে  গদগদ হয়ে উঠেছেন। নেতাজি-প্রেমের অভিনয়ে মেতেছে গেরুয়া বাহিনী। তাই নেতাজি-কন্যা অনিতা পাফ বসু যখন বলেন, বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদী পার্টির সঙ্গে নেতাজির আদর্শ কখনওই মেলে না, তখন 
পদ্ম-নেতাদের গোঁসা হয় এবং তাঁরা তাঁকে পাল্টা আক্রমণে নামেন। তবে মনে রাখা দরকার, পূর্বের নেতাজি-বিদ্বেষ নিয়ে এখনও বিজেপি নেতারা কিন্তু ভুল স্বীকার করেননি।  
দেশের সাধারণতন্ত্র নিয়েও একই কথা বলা যায়। বিজেপির যত বেশি দেশপ্রেমের ভঙ্গি, তার থেকেও বেশি পদে পদে সংবিধানকে অস্বীকার করার নিত্য চেষ্টা। আমাদের সংবিধানের মূল বার্তাই হল একতা, সাম্য। সব ধর্মের সমান অধিকার, নিজস্ব ধর্ম পালন করার অধিকার, প্রতিটি মানুষের সমানাধিকার। কিন্তু বিজেপির শাসনকালে দেশের সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা আন্দোলন কালে যখন দেশের সমস্ত মানুষ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় আত্মবলিদান দিচ্ছেন, তখন গেরুয়া নেতা ও সমর্থকরা চাইতেন ইংরেজ থাকুক, ওদের তাড়ানোর দরকার নেই। বরং দেশ থেকে মুসলমানদের তাড়ানো হোক। নানা স্বার্থে তাঁরা একের পর এক গোপন নোট পাঠিয়েছেন ইংরেজ প্রভুর কাছে। তাই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নমস্য কোনও আইকন বিজেপির তৈরি হয়নি। দলীয় বৃত্তের বাইরে সাভারকর আজও দেশবাসীর কাছ থেকে সেই স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি। সেই অভাব দূর করতে বিজেপি আজ ভোট-মুনাফার তাগিদে হঠাৎ করে নেতাজিকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। 
বহু অপ্রিয় সত্যকে চাপা দিতে আজ বিজেপির দরকার অনেকগুলি মুখোশের। মোদি জমানার প্রায় নয় বছর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এরা আসলে ধর্মেতে বীর, কর্মেতে ধীর। ধর্ম সংক্রান্ত কাজে 
এদের যে বীরত্ব, আগ্রহ বা আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়, কর্মের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি উধাও। তাই 
কাজের ক্ষেত্রে, দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে ব্যর্থতা তাদের পায়ে পায়ে শিকল হয়ে জড়িয়ে পড়ছে। সেই ব্যর্থতার কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছেন দেশের আপামর জনগণ। নেতাজির ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনার কণাটুকু এরা গ্রহণ করতে পারলে দেশের হাল ফিরে যেত। শুধু নেতাজিকে আঁকড়ে ধরে ভোটজয়ের কড়ি 
জোগাড় করার ছক। একদিন ব্রিজলাল জয়সওয়াল তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু মোদি-ব্রিগেড তা বুঝতে চাইবে না। একই সঙ্গে দেশাত্মবোধের 
পুরিয়ায় এবং ধর্মবিদ্বেষের পাশাখেলায় তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার স্বপ্ন দেখে চলেছে। ক্ষমতায় ফেরা যত কঠিন হয়ে উঠছে, তাদের হিন্দুত্বের আবেগও ততই কট্টর হয়ে উঠছে। 
সাভারকর থেকে আজকের বিজেপি—উগ্র হিন্দুত্বের সেই ধারা প্রতিদিন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে রক্তাক্ত করে চলেছে। এই হিন্দুত্ব মোটেই দেশের সিংহভাগ হিন্দুদের নয়। এই হিন্দুত্বকেই দেশাত্ববোধ বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু পাপ যেমন বাপকে ছাড়ে না, তেমনই সত্যকে কখনও চাপা দিয়ে রাখা যায় না। বিবিসির মোদি সংক্রান্ত তথ্যচিত্রে সেই সত্যের আংশিক প্রকাশ হয়েছে মাত্র। সেই আংশিক সত্যকে চাপা দিতে মরিয়া চেষ্টা বিজেপির। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দুই খণ্ডের কড়া ডোজের তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। দুই খণ্ডের তথ্যচিত্রে প্রশাসক মোদির কার্যকলাপ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাঁর উদ্দেশ্য ও ভূমিকা নিয়ে চুলচেরা বিচার করা হয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদির নানা কাজের সমালোচনা করা হয়েছে সেই তথ্যচিত্রে। এর মধ্যে আছে গোধরা কাণ্ড, সিএএ, এনআরসি, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ইত্যাদি। মোদি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে দেশের আবহ বদলে গিয়েছে। তিনি যতটাই জনপ্রিয় হয়েছেন, ততটাই বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।’ এটাই তো বিজেপির মূল এজেন্ডা। সেই এজেন্ডা নিয়েই তারা স্বাধীনতা পূর্ব কাল থেকে একটু একটু করে এগিয়েছে। মুসলিম ইতিহাস মুছে ফেলতে তারা বদ্ধপরিকর। তাই মুসলিম সম্পর্কিত সমস্ত নাম তারা বদলে ফেলছে। কিন্তু এভাবে কি সত্যিই ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায়?
শুধু ইতিহাস নয়, দেশের সংস্কৃতির মধ্যেও জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুত্ব, মিথ্যা ইতিহাস। সম্প্রতি শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ কী খাবেন, মানুষ কী পরবেন ও পড়বেন, মানুষ কী দেখবেন, সরকার যদি তা ঠিক করতে নামে, সেটা হয়ে দাঁড়ায় দেশের সাধারণতন্ত্রের বার্তাকেই অস্বীকার করা। মানুষের এই মৌলিক অধিকার ভাঙার স্পর্ধা দেখান একমাত্র ফ্যাসিস্তরাই। মানুষ সবসময় নিজেই তার বিনোদনের ভাষা খুঁজে নেয়। রাষ্ট্রের খবরদারি বা চোখ রাঙানিকে সে ঘৃণা করে। এতে সবসময় বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শাহরুখের ছবির ক্ষেত্রেও তাই হল। ছবিটি পাঁচদিনে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলল। মানুষের অধিকারকে খর্ব করলে মানুষ পাল্টা রুখে দাঁড়াবেই। ছবিটিকে আটকানোর চেষ্টা না হলে হয়তো পাঁচদিনে ‘পাঠান’ এই ব্যবসা দিতে পারত না। উল্টে তারা ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো প্রোপাগান্ডামূলক ছবি করে মানুষকে গেলানোর চেষ্টা করছে। একেই বলে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজিম। 
সুতরাং নেতাজিকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে গেলে এবং সাধারণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষা করতে গেলে দরকার ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি, মানুষকে ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার না করা, মানুষের সমানাধিকারকে স্বীকতি দেওয়া এবং তার মৌলিক অধিকারগুলিকে যথাযথভাবে পালন করার সুযোগ দেওয়া। সেক্ষেত্রে দেশ এমনিতেই হাসবে। একইসঙ্গে বিদেশিরাও প্রশস্তিমূলক তথ্যচিত্র বানাবেন।
01st  February, 2023
বাজেট ভাষণে আজকের পরিস্থিতি উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

বাজেট আলোচনার ব্যস্ততায় কেটেছে গত সপ্তাহ। একটা আর্থিক বছরের জন্য সরকারের আনুমানিক আয় এবং ব্যয়ের বার্ষিক খতিয়ানকে ছাপিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট।
বিশদ

06th  February, 2023
বেকারে ছেয়ে গেলে
আয়কর ছাড় কার জন্য?
হিমাংশু সিংহ

 

অদ্ভুত বাজেট। সোনার দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম হীরেকে ছাড় দেওয়া হল। একবারও ভেবে দেখা হল না এই দেশের অলিগলিতে হলুদ ধাতুর কারবারিরা একটা ছোট দোকান খুলে আজও কোনওক্রমে সংসার চালান। সংগঠিত বড় ব্যবসায়ীদের আগ্রাসন সত্ত্বেও সেগুলি আজও টিমটিম করে জ্বলছে। বিশদ

05th  February, 2023
বিশ্বভারতীকে এত নীচে নামাচ্ছেন কেন?
তন্ময় মল্লিক

‘ছাত্রছাত্রীরা সন্তান-সন্ততি তুল্য। তারা ভুল করলে অভিভাবক হিসেবে মাস্টারমশায়দের শাসন করার অধিকার আছে। ব্যামো যদি কঠিন হয় তবে কড়া ওষুধের প্রয়োজন।’ এই অভিমত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কড়া ওষুধ মানে? আন্দোলন মোকাবিলার জন্য ছাত্রদের লক্ষ্য করে উপাচার্যের ইট ছোড়া? বিশদ

04th  February, 2023
কাদের অপমান করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু বারাণসীর শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন বারাণসীর জ্ঞানজগৎ ছেড়ে বোলপুরে গড়ে ওঠা একটি ক্ষুদ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে নারাজ। তিনি বিনীতভাবে নিজের অপারগতা এবং অনিচ্ছার কথা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। বিশদ

03rd  February, 2023
প্রতারক স্যাম, ক্রিপ্টো দুনিয়ার পতন
মৃণালকান্তি দাস

অশরীরী মুদ্রার খেলা দেখেছিল আমেরিকা! গত বছর ঠিক এই সময় ন্যাশনাল ফুটবল লিগ জিতেছিল লস অ্যাঞ্জেলেস র‌্যামস। ফাইনালে হেরে গিয়েছিল সিনসিনাটি বেঙ্গলস।
বিশদ

02nd  February, 2023
উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ, লক্ষ্য
শুধুই কর্পোরেট উন্নয়ন
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এমন একটি বাজেট পেশ করা হল যেটি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ কাউকেই ভালো রাখবে না। সরকারের কোষাগারে নিত্য ঋণ বাড়ছে। সেসব কমিয়ে সরকারের নিজের আয় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। ফলে ঘাটতি কমানোর কথা ভাষণে বলা হলেও তার কোনও দিশা বাজেটে নেই। বিশদ

02nd  February, 2023
মানুষ, মিশন ও ঐক্যের বার্তা
পি চিদম্বরম

একজন রাজনৈতিক নেতা কোনও প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই একটা ‘যাত্রা’ করতে পারেন, এমনটা মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন, আমি জানি। ইতিহাসে মিছিলের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে: আদি শঙ্কর (৭০০ খ্রিস্টাব্দ: বিতর্কিত, ধর্মীয়), মাও সেতুং (১৯৩৪-৩৫, সামরিক) বিশদ

30th  January, 2023
বাজেট আসে যায়, গরিবের দিনবদল হয় না
হিমাংশু সিংহ

কাউন্টডাউন শুরু। লোকসভা ভোটের বাকি ৪০০ দিনেরও কম, আর নির্মলা সীতারামনের বাজেটের দেরি মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তারও আগে পেশ হবে আর্থিক সমীক্ষা।
বিশদ

29th  January, 2023
আইএসএফকে নিয়ে বিরোধীদের
কেন এই টানাটানি?
তন্ময় মল্লিক

শুধু অন্ধ স্নেহই নয়, অন্ধ বিরোধিতাও বিপজ্জনক। অন্ধ পুত্রস্নেহের জন্যই ধৃতরাষ্ট্র সন্তানকে ন্যায়-অন্যায় শেখাতে পারেননি। তাই দুর্যোধনকে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছিল। এই বঙ্গে বিজেপি এবং সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যা঩য়ের অন্ধ বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়ায় হারাচ্ছে পায়ের তলার মাটি। বিশদ

28th  January, 2023
দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ন্তা শাসক নয়, জনগণই
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখন হবে! বিশেষ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার পক্ষে সেটা নাকি বিশেষ জরুরি। এমনই নির্দেশ এসেছে দেশের শাসক দলের কাছ থেকে। বিশদ

26th  January, 2023
গণতন্ত্র রক্ষায় মমতা মডেল
হারাধন চৌধুরী

কোভিড বিধি ভেঙে পার্টিতে যোগ দিয়ে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন, তাঁর স্ত্রী এবং ঋষি সুনাক। ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন মোট ৫০ জন। জরিমানার নোটিস ধরানো হয় বাকিদেরও। ঘটনাস্থল ব্রিটেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। সময়টা ২০২০-র ১৯ জুন। বিশদ

25th  January, 2023
প্রত্যাশা যে আপনারই কাছে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দর্শনশাস্ত্রে প্রত্যাশা শব্দের সংজ্ঞা বলা হয়েছে, ‘কোনও কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তীব্র বিশ্বাস’। এখানেই একটু গোল বাধে। প্রত্যাশা আর বিশ্বাস কি এক জিনিস? আমরা আপনার কাছে আশা করি, আপনি কোনও না কোনওদিন আমাদের সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ফেলে দেবেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই কাজটা আপনি কখনও করবেন না। দু’টো কীভাবে এক হয়? বিশদ

24th  January, 2023
একনজরে
ইউনিসেফের সহযোগিতায় কর্পোরেট ও নাগরিক সমাজকে গ্রামাঞ্চলে স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। ...

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মানেই বাড়তি সৌন্দর্য, চোখের আরাম। গ্যারি সোবার্স, ডেভিড গাওয়াররা তাই বরাবর মাঠে টেনে এনেছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। সৌরভ গাঙ্গুলিও সেই পথের পথিক। রাহুল দ্রাবিড়ের মতে, অফ সাইডে ভগবানের পরই তিনি। ...

বন্ধন ব্যাঙ্ক স্থায়ী আমানতের উপর সুদের হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করল। সুদের নতুন হারগুলি ২ কোটি টাকা পর্যন্ত খুচরো আমানতের উপর প্রযোজ্য হবে। বন্ধন ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ৭ দিন থেকে ১৪ দিনের আমানতে সুদ মিলবে ৩ শতাংশ হারে। ...

উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার আকাশেও ‘রহস্যময়’ বেলুনের উপস্থিতির কথা দিন তিনেক আগেই জানিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। এবার এই নয়া বেলুনটিরও ‘মালিকানা’ স্বীকার করল চীন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিশেষ শুভ, উপার্জন বাড়বে দ্রুত। কারও কথায় কাজ করে বিপদে পড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১২: ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্ম
১৮৭১: আমাশা রোগের জীবাণু আবিষ্কর্তা জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির জন্ম
১৮৯৪: বিখ্যাত সুরকার তথা সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্সের মৃত্যু
১৯০৪: চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৭: নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম
২০০৫: সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৩ টাকা ৮৩.৫৭ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৯৫ টাকা ১০১.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৫,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৬,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ মাঘ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। দ্বিতীয়া ৫৫/২৮ রাত্রি ৪/২৯। মঘা নক্ষত্র ২৮/৩৯ সন্ধ্যা ৫/৪৫। সূর্যোদয় ৬/১৭/২৩, সূর্যাস্ত ৫/২৪/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/১১ গতে ৪/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫১ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/০ গতে ৮/৩৭ মধ্যে। 
২৩ মাঘ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/১৪। মঘা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১২। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২১ গতে ১০/৩৯ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৯ মধ্যে ও ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে ও ৮/৫৩ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১ গতে ৮/৩৮ মধ্যে। 
১৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ত্রিপুরায় ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল টাউন গড়তে চাই: মমতা

02:59:57 PM

দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর গিয়ে দেখুন কত কাজ হয়েছে: মমতা

02:59:40 PM

৪১ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:58:11 PM

আগামী দিন আবার দেখা হবে: মমতা

02:52:00 PM

ত্রিপুরার মাতাবাড়ি মন্দির উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি: মমতা

02:49:01 PM

১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না কেন্দ্র, ওদের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই: মমতা

02:47:00 PM