মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিশেষ শুভ, উপার্জন বাড়বে দ্রুত। কারও কথায় কাজ করে বিপদে পড়তে ... বিশদ
আর কয়েক মাস পরে হাই ভোল্টেজ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিজেপির কাছে এই নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষার সমান। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই পঞ্চায়েত ভোটই সংগঠনের ভীত পরখ করার আদর্শ মঞ্চ। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে হাল্কাভাবে নিতে চাইছে না বিজেপি। আর এই বৈতরণী পার করার জন্য ফের মতুয়া ভোটকে কাজে লাগাতে চাইছে পদ্ম শিবির।
নদীয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বিরাট ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে, যা বিগত নির্বাচনগুলোতে বিজেপিকে কিছুটা সুফল দিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ভোটই টার্গেট বিজেপির। সেইমতো মতুয়াদের কাছে টানতে তৎপর গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি ভালুকায় কার্যত খালি সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা রাখেন শান্তনু ঠাকুর সহ বাকি নেতারা। সেখানেও সিএএ প্রসঙ্গ উঠলেও তা শোনার লোক ছিল না। এতে চিন্তায় গেরুয়া শিবির। এর থেকে স্পষ্ট যে, ভোট টানার ক্ষেত্রে বিজেপির পুরনো অস্ত্রের ধার কমেছে। তাতে মন মজছে না মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের। তাই যত দিন যাবে, সিএএ নিয়ে বিজেপি নেতারা প্রতিশ্রুতির বান ডাকতে পারেন। এব্যাপারে তৃণমূল ঘেঁষা নদীয়া জেলা মতুয়া সংগঠনের সভাপতি প্রমথরঞ্জন বোস বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিজেপি মতুয়াদের একটা ভুল বার্তা দিয়েছিল। মতুয়া মানুষজন এখন সেটা ধরতে পেরেছেন। তাই তাঁরা এঁদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতে পছন্দ করছেন না, ওঁদের সভাতেও যাচ্ছেন না।
রানাঘাট (দক্ষিণ) বিধায়ক তথা বিজেপির ঘেঁষা মতুয়া সংগঠনের নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মুকুটমণি অধিকারী বলেন, মতুয়াদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে। গত রবিবার নবদ্বীপে মতুয়াদের নিয়ে সভা ছিল। নবদ্বীপে মতুয়ার সংখ্যা কম। তারপরেও সেখানে ভালো লোক হয়েছিল। আমাদের কুড়িটি গাড়িকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সিএএ নিয়ে আমরা বিভিন্ন মুভমেন্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সিএএ করেছেন। নিঃস্বার্থভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সভায় মতুয়াদের ভিড় নেই, চিন্তায় গেরুয়া শিবির। ভালুকা কানাইনগরে তোলা নিজস্ব চিত্র