Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ন্তা শাসক নয়, জনগণই
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখন হবে! বিশেষ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার পক্ষে সেটা নাকি বিশেষ জরুরি। এমনই নির্দেশ এসেছে দেশের শাসক দলের কাছ থেকে।
সঙ্ঘ পরিবারের তরফ থেকে এই প্রস্তাব অবশ্য নতুন নয়। তাঁরা শেখাতে চায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সারির নেতার নাম বিনায়ক দামোদর সাভারকর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, জনসঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টি হল আসল ন্যাশনালিজম-এর প্রবক্তা। ইতিহাস শিখিয়েছে, আমরা পরাধীন হয়েছি ১৭৫৭ সালে। সঙ্ঘ বলে, আমরা পরাধীন হয়েছি তার ঢের আগে। পাঠান-মোঘলদের হাতে। সঙ্ঘের কাছে ব্রিটিশের অধীনতাটা পরাধীনতা নয়, বরং মুসলিম অপশাসনের হাত থেকে মুক্তি। এ সব ভাবনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বাজপেয়ি-আদবানি জমানাতেই। মোদি জমানায় তা উৎকট চেহারা নিয়েছে। সেখানে জনসাধারণের ভাবনা, যুক্তিবোধের কোনও মূল্য নেই। আছে শুধু দেশবাসীর উপর শাসকের ভাবনা চাপিয়ে দেওয়ার ছল-কৌশল!
ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে পূর্ণ স্বরাজের ডাক দিয়ে যাত্রাপথের শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি। স্বাধীনতা দিবসের তকমাও পেয়েছিল সেই দিনটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শাসনের শেকল ভেঙে ভারত যখন সত্যিই স্বাধীনতার মুখ দেখল— দিনটি ঘটনাচক্রে দাঁড়াল ১৫ আগস্ট। ফলে ২৬ জানুয়ারির অভিধাও ক্রমে পাল্টাল। আড়াই বছর পর ১৯৫০ সালে দেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর করার সূত্রে বেছে নেওয়া হয়েছিল ঐতিহাসিক মাহাত্ম্যে পূর্ণ ২৬ জানুয়ারি দিনটিকেই। সেই থেকে বিংশ শতকের ভারতে যেদিনটি ছিল স্বাধীনতা দিবসের প্রথম দাবিদার, সেই ২৬ জানুয়ারির পরিচয় ভারতীয় জনসাধারণের কাছে দাঁড়াল: সাধারণতন্ত্র দিবস।
পরাধীনতার দীর্ঘ অধ্যায় পেরিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন বাস্তব হয়ে উঠেছিল সেই দিন। শুরু হয়েছিল আমাদের গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা। এক নতুন লক্ষ্যের কথা ভেবেই ভারতীয় নাগরিকদের জন্য কাজ করেছিলেন সংবিধান প্রণেতারা। বিবিধের মাঝে মহান মিলনের লক্ষ্যে যাত্রাই ছিল তাঁদের স্বপ্ন। ভারতীয় সংবিধানের উপক্রমণিকায় জানানো হয়েছিল, ‘উই, দ্য পিপ্‌ল অব ইন্ডিয়া’। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, এই সংবিধান ভারতের নাগরিকরা নিজেদের জন্য রচনা করেছিলেন। এই স্বাধীনতা, এই সাধারণতন্ত্র আমাদের প্রত্যেকের। সাধারণের জন্য সাধারণের তৈরি শাসনব্যবস্থা। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের 
এই রাজার রাজত্বে’। সংবিধান নাগরিকদের সেই অধিকার দিয়েছিল।
স্বামী বিবেকানন্দের মতে, স্বাধীনতাই উন্নতির প্রথম শর্ত। যেমন মানুষের চিন্তা ও কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে, তেমনই তার আহার, পোশাক ও অন্য সব বিষয়েই স্বাধীনতার প্রয়োজন। স্বাধীনতা ইট-কাঠ-পাথর নয়, স্বাধীনতা একটা জীবন দর্শন, একটা বাঁচার ভঙ্গিমা। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আমরা কি আদৌ পেয়েছি? নাকি তার থেকে ক্রমশ দূর থেকে দূরতর বিন্দুতে সরে যাচ্ছি। ব্যবহারিক রাজনীতিতে ৭৩ বছরের সংবিধানটিকে আজ ক্রমশই যেন দুর্বল, মলিন দেখাতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, স্বাধীনতা মানে কি শুধু সংখ্যাগুরুর ধর্মাচরণেরই স্বাধীনতা? ভারতীয় রাজনীতিতে যাঁরা বর্তমান শিরোনেতা, তাঁদের কাছে সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা যে তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটা ইতিমধ্যে যথেষ্ট স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সত্তরের দশকে জরুরি অবস্থার সময়ে যেমন ভারতীয় গণতন্ত্র ও তার প্রতিষ্ঠানগুলির উপর ‘সরাসরি’ আক্রমণ নেমে এসেছিল, এখনকার পরিস্থিতি সে রকম নয়। এখন যেটা হচ্ছে, তাকে বরং আমরা বলতে পারি সংবিধানের উপর ‘সহস্র কোপ’। 
ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, যদি দেখা যায় সরকার পক্ষ জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে, দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কোনও আইন চাপিয়ে দিচ্ছে তখনই বিঘ্নিত হয় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো। অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে সংগঠিত একনায়কতন্ত্র বা দলতন্ত্রের উত্থান। এই কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত হয় রাষ্ট্রের সব ধরনের কর্তৃত্ব। ঠিক এভাবেই ইতালিতে মুসোলিনি ও জার্মানিতে হিটলারের উত্থান হয়েছিল। প্রথম জীবনে হিটলারও একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৩২ সালে জার্মান সংসদ নির্বাচনে নাৎসি পার্টি গোটা দেশে একক বৃহত্তম দল হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। বহুদলীয় সরকার তৈরি হলেও মতভেদের জেরে তার পতন হয়। পুনঃনির্বাচনেও নাৎসিরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এই অবস্থায় জার্মান সংসদ একটি বিশেষ আইন (এনাবলিং অ্যাক্ট) পাশ করে। পরে প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গকে প্ররোচিত করে হিটলারকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৩৪ সালে হিন্ডেনবার্গের মৃত্যু হলে হিটলার সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজেকে ‘ফ্যুয়েরার’ ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রগবেষকদের অভিমত, ভারতে আজ কর্তৃত্ববাদ, সংখ্যাগুরুবাদ, জনপ্রিয়তাবাদ ইত্যাদি সব মিলেমিশে ভারতীয় সাধারণতন্ত্র এবং তার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে বিপদগ্রস্ত করতে শুরু করেছে। বাক্‌স্বাধীনতা, সাম্যের অধিকার ইত্যাদি সংবিধান-স্বীকৃত বেশ কিছু মৌলিক অধিকারকে ইতিমধ্যেই এমন ভাবে সঙ্কীর্ণ কিংবা লুপ্ত করা হয়েছে, যা এই দেশ আগে কখনও দেখেনি। ইন্দিরা গান্ধীর ‘ইমার্জেন্সি’ ছিল সরাসরি ঘোষিত জরুরি অবস্থা, লুকোছাপা ছিল না। আজকের জরুরি অবস্থা হল সংবিধান-বিরুদ্ধ গুপ্ত ইমার্জেন্সি। এর মূলমন্ত্র জোর নয়, এর মন্ত্র প্রতারণা। তার চেয়েও বড় বিপদ হল এই ইমার্জেন্সি শুধু রাষ্ট্রকেন্দ্রিক নয়, সমাজ-রূপান্তরও এর অন্যতম লক্ষ্য। নতুন রাষ্ট্রের সামাজিক ভিত্তি হবে এক ত্রিকোণ শক্তি— হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্থান। ৭৩ বছর পর আজ পিছন ফিরে তাকাতে গিয়ে মনে হচ্ছে, যে মন্ত্রের মূলে ছিল বহু স্বরের সৌহাদ্যপূর্ণ সহাবস্থান, সেই মন্ত্রোচ্চারণ এখন অস্পষ্ট। বিবিধতার চর্চায় যে সযত্ন প্রয়াস থাকা দরকার, তাতে ফাঁকি দিয়েছি আমরা। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সমাজ-পরিসর হয়ে এখন ব্যক্তিমানসেও অসহিষ্ণুতার ছাপ পড়ছে। দেশের বদলে দ্বেষের মন্ত্রে দীক্ষার কাজ চলছে এখন। পরমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, তীব্র ঘৃণা 
এবং বিবাদের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পথে আমরা ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছি— এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন, তিন থেকে অজস্র। সাভারকর-গোলওয়ালকর-শ্যামাপ্রসাদের রোপণ করে যাওয়া ‘বিষবৃক্ষের’ বীজ থেকে আজ স্বাধীন ভারতের ফুটিফাটা দেওয়ালে যত্রতত্র গাছ গজাচ্ছে, দেওয়াল ভাঙল বলে...।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? ধর্ম বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকা। রাষ্ট্রের সকল নাগরিক যাতে তাঁদের পছন্দমতো ধর্ম পালন করতে পারেন তা দেখা। রাষ্ট্র পাহারাদার। কিন্তু মোদি জমানায় আমরা দেখতে পাচ্ছি ঠিক বিপরীতটাই। রাষ্ট্র যেন সমস্ত ধর্মের বা কোনও কোনও ধর্মের ঠিকাদারি নিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ ধর্মের, আবার কোনও ক্ষেত্রে অনেকগুলি ধর্মের ঠিকাদার। যে রাষ্ট্রের পাহারাদার হওয়ার কথা ছিল, সে হল ঠিকাদার। ধর্মের ভিন্নতা এবং মানুষের দিগ্‌দর্শনহীনতাকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র শক্তি মুঠোয় রাখতে রাজনৈতিক নেতারা চাল দেন, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কথা না ভেবেই। মানুষ দিশাহারা, বিভ্রান্ত হয়ে ফাঁদে পা দেয়। তার সঙ্গে মিশে থাকে আগ্রাসী শক্তির উস্কানি।
এককোণে পড়ে থাকে তিনটি মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। পড়ে থাকে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য। সাধারণতন্ত্র দিবসের হরেকরকম লোভনীয় ছাড়ের জাঁকজমকের আড়ালে সেই একই জং-ধরা গড়িয়ে-গড়িয়ে চলা নিরাপত্তাহীনতা! অপুষ্ট, অশিক্ষিত, নির্যাতনের শিকার দরিদ্র দেশবাসীর সেই অন্তহীন লড়াই। কর্মসংস্থানের বিবিধ সরণি উন্মুক্ত হলেও স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়েই পড়ে থাকল দেশের 
অজস্র মানুষ— কর্মহীন, খাদ্যবস্ত্রহীন। নারী নিরাপত্তা, দুর্নীতি রোধ ইত্যাদি প্রশ্নে লড়াই ফুরায় না সাধারণ মানুষের। শুধু শাসকের রং বদলায়, নীতি বদলায়, কিন্তু দিন বদলায় না!
আজও দিন-আনা দিন-খাওয়া ভারতবাসীর আতঙ্কিত প্রশ্ন— ‘কতবার ভিটে হারাব আর? কোথায় যাব?’ অথচ, আমরা শিখেছি, ভারত মানে অখণ্ড এক চেতনায় বাঁধা কোটি কোটি নাগরিকের একাত্মতা। ঠিক কতটুকু সহিষ্ণুতা আর কতটুকু স্বাধীনতার সীমা টপকে গেলে আচরণ উগ্রতায় রূপান্তরিত হতে পারে, এই সূক্ষ্ম ভেদাভেদটুকু জানা খুবই জরুরি। যাঁদের যাবতীয় প্রাপ্তি, প্রত্যাশা, হতাশা এই ভূখণ্ড ঘিরেই, সংবিধানের প্রতিটি শব্দ তাঁদের জীবনমন্ত্র হতে পারে। আমাদের স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক চেতনা এগিয়েছে, নানা তাত্ত্বিকের হাত ধরে নয়, বরং নানা বিদ্রোহ ও সংগ্রামের পথ ধরে। এই কারণেই ভারতীয় গণতন্ত্রের চরিত্র নির্ধারণ করতে গিয়ে লেখক ভি এস নইপল একসময় বলেছিলেন, ‘আ মিলিয়ন মিউটিনিজ নাও’। ভারতের যে কোনও সময় যেন লক্ষ লক্ষ বিদ্রোহের সমষ্টি।
ভারতীয় গণতন্ত্র শুধুমাত্র ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার যন্ত্রমাত্র নয়। ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি বিশিষ্ট চরিত্র আছে। এটি বহুস্বরের গণতন্ত্র। আমাদের স্বাধীনতা বহুস্বর বজায় রাখার স্বাধীনতা। দেশের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা খর্ব করে ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে কি না, সে কথার উত্তর দেবে ভারতের ‘সাধারণ’ জনগণ। ভারতের ভবিষ্যতের নিয়ন্তা তাঁরাই। শাসককে তাঁদের কাছে জবাবদিহি করতেই হবে। 
গণতন্ত্রে শাসক কখনওই ‘রাজা’ নন, আর তাই প্রশ্নাতীতও নন!
26th  January, 2023
বাজেট ভাষণে আজকের পরিস্থিতি উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

বাজেট আলোচনার ব্যস্ততায় কেটেছে গত সপ্তাহ। একটা আর্থিক বছরের জন্য সরকারের আনুমানিক আয় এবং ব্যয়ের বার্ষিক খতিয়ানকে ছাপিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট।
বিশদ

06th  February, 2023
বেকারে ছেয়ে গেলে
আয়কর ছাড় কার জন্য?
হিমাংশু সিংহ

 

অদ্ভুত বাজেট। সোনার দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম হীরেকে ছাড় দেওয়া হল। একবারও ভেবে দেখা হল না এই দেশের অলিগলিতে হলুদ ধাতুর কারবারিরা একটা ছোট দোকান খুলে আজও কোনওক্রমে সংসার চালান। সংগঠিত বড় ব্যবসায়ীদের আগ্রাসন সত্ত্বেও সেগুলি আজও টিমটিম করে জ্বলছে। বিশদ

05th  February, 2023
বিশ্বভারতীকে এত নীচে নামাচ্ছেন কেন?
তন্ময় মল্লিক

‘ছাত্রছাত্রীরা সন্তান-সন্ততি তুল্য। তারা ভুল করলে অভিভাবক হিসেবে মাস্টারমশায়দের শাসন করার অধিকার আছে। ব্যামো যদি কঠিন হয় তবে কড়া ওষুধের প্রয়োজন।’ এই অভিমত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কড়া ওষুধ মানে? আন্দোলন মোকাবিলার জন্য ছাত্রদের লক্ষ্য করে উপাচার্যের ইট ছোড়া? বিশদ

04th  February, 2023
কাদের অপমান করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু বারাণসীর শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন বারাণসীর জ্ঞানজগৎ ছেড়ে বোলপুরে গড়ে ওঠা একটি ক্ষুদ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে নারাজ। তিনি বিনীতভাবে নিজের অপারগতা এবং অনিচ্ছার কথা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। বিশদ

03rd  February, 2023
প্রতারক স্যাম, ক্রিপ্টো দুনিয়ার পতন
মৃণালকান্তি দাস

অশরীরী মুদ্রার খেলা দেখেছিল আমেরিকা! গত বছর ঠিক এই সময় ন্যাশনাল ফুটবল লিগ জিতেছিল লস অ্যাঞ্জেলেস র‌্যামস। ফাইনালে হেরে গিয়েছিল সিনসিনাটি বেঙ্গলস।
বিশদ

02nd  February, 2023
উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ, লক্ষ্য
শুধুই কর্পোরেট উন্নয়ন
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এমন একটি বাজেট পেশ করা হল যেটি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ কাউকেই ভালো রাখবে না। সরকারের কোষাগারে নিত্য ঋণ বাড়ছে। সেসব কমিয়ে সরকারের নিজের আয় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। ফলে ঘাটতি কমানোর কথা ভাষণে বলা হলেও তার কোনও দিশা বাজেটে নেই। বিশদ

02nd  February, 2023
ধর্ম বিদ্বেষীরা কখনও
নেতাজিপ্রেমী হতে পারেন না
সন্দীপন বিশ্বাস

১৯৪৩ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের ঘটনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তখন সিঙ্গাপুরে। সেখানকার বিখ্যাত চেট্টিয়ার মন্দিরে যাওয়ার জন্য নেতাজিকে আমন্ত্রণ জানাতে এলেন বিশাল ধনী ব্যক্তি ব্রিজলাল জয়সওয়াল। তিনি মন্দির কমিটির প্রধান। বিশদ

01st  February, 2023
মানুষ, মিশন ও ঐক্যের বার্তা
পি চিদম্বরম

একজন রাজনৈতিক নেতা কোনও প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই একটা ‘যাত্রা’ করতে পারেন, এমনটা মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন, আমি জানি। ইতিহাসে মিছিলের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে: আদি শঙ্কর (৭০০ খ্রিস্টাব্দ: বিতর্কিত, ধর্মীয়), মাও সেতুং (১৯৩৪-৩৫, সামরিক) বিশদ

30th  January, 2023
বাজেট আসে যায়, গরিবের দিনবদল হয় না
হিমাংশু সিংহ

কাউন্টডাউন শুরু। লোকসভা ভোটের বাকি ৪০০ দিনেরও কম, আর নির্মলা সীতারামনের বাজেটের দেরি মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তারও আগে পেশ হবে আর্থিক সমীক্ষা।
বিশদ

29th  January, 2023
আইএসএফকে নিয়ে বিরোধীদের
কেন এই টানাটানি?
তন্ময় মল্লিক

শুধু অন্ধ স্নেহই নয়, অন্ধ বিরোধিতাও বিপজ্জনক। অন্ধ পুত্রস্নেহের জন্যই ধৃতরাষ্ট্র সন্তানকে ন্যায়-অন্যায় শেখাতে পারেননি। তাই দুর্যোধনকে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছিল। এই বঙ্গে বিজেপি এবং সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যা঩য়ের অন্ধ বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়ায় হারাচ্ছে পায়ের তলার মাটি। বিশদ

28th  January, 2023
গণতন্ত্র রক্ষায় মমতা মডেল
হারাধন চৌধুরী

কোভিড বিধি ভেঙে পার্টিতে যোগ দিয়ে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন, তাঁর স্ত্রী এবং ঋষি সুনাক। ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন মোট ৫০ জন। জরিমানার নোটিস ধরানো হয় বাকিদেরও। ঘটনাস্থল ব্রিটেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। সময়টা ২০২০-র ১৯ জুন। বিশদ

25th  January, 2023
প্রত্যাশা যে আপনারই কাছে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দর্শনশাস্ত্রে প্রত্যাশা শব্দের সংজ্ঞা বলা হয়েছে, ‘কোনও কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তীব্র বিশ্বাস’। এখানেই একটু গোল বাধে। প্রত্যাশা আর বিশ্বাস কি এক জিনিস? আমরা আপনার কাছে আশা করি, আপনি কোনও না কোনওদিন আমাদের সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ফেলে দেবেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই কাজটা আপনি কখনও করবেন না। দু’টো কীভাবে এক হয়? বিশদ

24th  January, 2023
একনজরে
ইউনিসেফের সহযোগিতায় কর্পোরেট ও নাগরিক সমাজকে গ্রামাঞ্চলে স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। ...

‘সাত মণ তেল পুড়েছে, কিন্তু রাধা নাচল কই!’ বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার অন্দরে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। গত দু’মাস ধরে জেলার সিংহভাগ পঞ্চায়েতে মানুষের দাবিদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ...

বন্ধন ব্যাঙ্ক স্থায়ী আমানতের উপর সুদের হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করল। সুদের নতুন হারগুলি ২ কোটি টাকা পর্যন্ত খুচরো আমানতের উপর প্রযোজ্য হবে। বন্ধন ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ৭ দিন থেকে ১৪ দিনের আমানতে সুদ মিলবে ৩ শতাংশ হারে। ...

এবার এনভায়র্নমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটির ছাড়পত্র ছাড়া মিলবে না বালি খাদানের লিজ। প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিবেশ আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের মাইনিং ও মিনারেল কর্পোরেশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিশেষ শুভ, উপার্জন বাড়বে দ্রুত। কারও কথায় কাজ করে বিপদে পড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১২: ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্ম
১৮৭১: আমাশা রোগের জীবাণু আবিষ্কর্তা জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির জন্ম
১৮৯৪: বিখ্যাত সুরকার তথা সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্সের মৃত্যু
১৯০৪: চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৭: নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম
২০০৫: সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৩ টাকা ৮৩.৫৭ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৯৫ টাকা ১০১.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৫,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৬,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ মাঘ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। দ্বিতীয়া ৫৫/২৮ রাত্রি ৪/২৯। মঘা নক্ষত্র ২৮/৩৯ সন্ধ্যা ৫/৪৫। সূর্যোদয় ৬/১৭/২৩, সূর্যাস্ত ৫/২৪/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/১১ গতে ৪/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫১ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/০ গতে ৮/৩৭ মধ্যে। 
২৩ মাঘ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/১৪। মঘা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১২। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২১ গতে ১০/৩৯ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৯ মধ্যে ও ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে ও ৮/৫৩ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১ গতে ৮/৩৮ মধ্যে। 
১৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ত্রিপুরায় ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল টাউন গড়তে চাই: মমতা

02:59:57 PM

দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর গিয়ে দেখুন কত কাজ হয়েছে: মমতা

02:59:40 PM

৪১ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:58:11 PM

আগামী দিন আবার দেখা হবে: মমতা

02:52:00 PM

ত্রিপুরার মাতাবাড়ি মন্দির উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি: মমতা

02:49:01 PM

১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না কেন্দ্র, ওদের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই: মমতা

02:47:00 PM