Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

গায়ে হার্মাদি দুর্গন্ধ, বাঁচতে মুছছে কংগ্রেস?
হারাধন চৌধুরী

‘নির্বাচনের ঠিক ছ’দিন আগে দমদমে পুলিস ও কংগ্রেস একযোগে সশস্ত্র তাণ্ডব চালায়। মুহুর্মুহু বোমা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। হত্যা করা হয় ১২ জন সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থককে। এঁদের মধ্যে সাতজনের মৃতদেহ পুঁতে ফেলা হয় বাগজোলা খালে। নিখোঁজ হন ৫০ জন। গুরুতরভাবে আহত হন অজস্র কর্মী। কংগ্রেস পরিচালিত একটি মিছিল থেকেই চলে এই পরিকল্পিত আক্রমণ। পুলিস সরাসরি কংগ্রেসি গুন্ডাদের পক্ষ নেয়। সিপিআই(এম) এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভস্মীভূত হয় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের শতাধিক বাড়ি-দোকান। নারীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি।’ (সংক্ষেপিত)
—এখানে বক্তার নাম জ্যোতি বসু। রাজনৈতিক আত্মকথন ‘যতদূর মনে পড়ে’ গ্রন্থে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কথাগুলি বলেছেন ‘বাহাত্তরের রিগিং’ প্রসঙ্গে। 
ওই বইতে ‘চতুর্থ পঞ্চায়েত নির্বাচন’ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য এইরকম— 
‘কংগ্রেস প্রথম থেকেই চায়নি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হোক। প্রথমে ওরা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার অজুহাত তুলে বিরোধিতা করেছিল। নির্বাচন এবং ফল ঘোষণা স্থগিত রাখার উদ্দেশ্যে মামলা করেছিল তিনশোর বেশি। বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতাও করেছিল কংগ্রেস। শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতেই প্রায় দশ হাজার আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। ভোটের পর তথাকথিত সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ৭ জুন দু’দল একসঙ্গে বাংলা বন্‌঩ধের ডাক দেয়। কংগ্রেস, বিজেপি, ঝাড়খণ্ডি-সহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলি কিছু আসনে বামফ্রন্টের অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে কার্যত সর্বত্র সিপিআই(এম) বিরোধী মহাজোট গড়ে তোলে। ... এদের সম্মিলিত হামলা-সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে গিয়ে শুধুমাত্র আমাদের পার্টিরই ২৬ জন নেতা-কর্মী শহিদ হন। আহতও হন চার শতাধিক পার্টিকর্মী।’ (সংক্ষেপিত)
রাইটার্সে জ্যোতি বসুর উত্তরসূরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর ‘ফিরে দেখা। দ্বিতীয় পর্ব। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ ১০ বছর’ বইতে কী লিখলেন? পড়ুন—
‘কংগ্রেসের বিকল্প পথের সন্ধান থেকেই বামফ্রন্টের জন্ম। শিল্পপতি, জমিদারদের কর্মসূচির পরিবর্তে দেশের শ্রমজীবী মানুষ অর্থাৎ কল-কারখানায় শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক, দিনমজুর, গ্রামের কৃষক-খেতমজুর, মৎস্যজীবী, তাঁতি, কামার, কুমোর—এঁরাই আমাদের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে। যেখানেই শ্রমিক কর্মচারী শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। গ্রামাঞ্চলেও ভূমি সংস্কার, গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের লক্ষ্য ছিল কৃষক ও গরিবের স্বার্থ রক্ষা এবং তাঁদের জীবনের উন্নয়ন। ... উদারনীতির ফলে সমাজের শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। জনসাধারণেরই একাংশ দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় নেমে আসছে।’ (সংক্ষেপিত)
এরই পাশে রাখছি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের ‘টুকরো টুকরো কথা’ গ্রন্থ থেকে কিছু মন্তব্য। ‘কভু কালী, কভু বনমালী’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন—
‘ভারতের কমিউনিস্টরা আশিতেও সাবালক হননি। ... জন্মলগ্ন থেকেই এই প্রাচীন দেশের কোনোকিছুরই সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেননি তাঁরা। তাঁরা গান্ধীকেও চিনতে পারেননি—সাম্রাজ্যবাদ ও ধনতন্ত্রের দালাল বিশেষণে বিদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁদের চোখে বুর্জোয়াদের কবি। সুভাষচন্দ্র অনেক পরে মহান দেশপ্রেমিক হয়েছেন। তবে নেহরুর মূল্যায়নে অপারগ ছিলেন কমিউনিস্টরা। বহু ক্ষেত্রেই তাঁরা পরে ভুল স্বীকার করেছেন অবশ্য! তবে তা কি সত্যিসত্যিই আত্মসমালোচনা, নাকি ভোটের রাজনীতি এবং ক্ষমতা দখলের তাগিদ? স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের সাম্প্রদায়িক দাবি এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের সমর্থক ছিলেন কমিউনিস্টরা। আর এখন এমন হাবভাব যেন ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমাণের জন্য ওঁদেরই শংসাপত্রের প্রয়োজন কংগ্রেসের!’ (সংক্ষেপিত)
‘সন্ত্রাসের ব্লু প্রিন্ট তৈরি’ শিরোনামে প্রদীপ ভট্টাচার্য লিখেছেন (২৮ মার্চ, ২০০৪)—
‘ভোটে জিততে সন্ত্রাসের ছক তৈরি করে ফেলেছে সিপিএম। জেলায় জেলায় বিশেষ রিগিং বাহিনীও তৈরি। এজন্য প্রশাসন ও পুলিসের একাংশকে কাজে লাগাবেন বুদ্ধবাবু। রিগিং বাহিনীর গোপন ট্রেনিংও আছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কেশপুর, গড়বেতা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সিপিএম সন্ত্রাস করে ভোটে জেতে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুর—এই তিন জেলায় বিধানসভা ভোটের দিন পুলিসের সামনেই সিপিএম প্রকৃত ভোটারদের বুথে ঢুকতে না দিয়ে ছাপ্পা ভোট মেরে গিয়েছে। তাই মেদিনীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সিপিএম প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান ছিল এক লাখেরও বেশি! ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কংগ্রেসিদের চরিত্রহনন করেছে সিপিএম। তা থেকে বাদ পড়েননি মহিলারাও। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ... সব মিলিয়ে এটাই বুদ্ধদেববাবুর মরূদ্যান!’ (সংক্ষেপিত)
‘বুদ্ধবাবু, হ্যাঁ, আমরাও বলছি’ (২৫ জানুয়ারি, ২০০৪) শীর্ষক অধ্যায়ে প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য—
‘স্বাভাবিক হোক বা অস্বাভাবিক—সব মৃত্যুরই একটা কারণ থাকে—চিকিৎসকের ভাষায় কার্ডিয়াক ফেলিওর। কিন্তু কারণ শুধু এইটুকুই নয়। তাই বন্ধ চা বাগান শ্রমিক পরিবারের অনেকেরই মৃত্যু সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী যে কারণ দেখিয়েছেন, তা সর্বার্থে সত্য নয়। ... দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা, প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাব এই শিল্পকে ধ্বংস করেছে। সঙ্গে রয়েছে দলীয় মদতে বাগান মালিক ও শ্রমিকদের উপর আর্থিক জুলুম। ওই শ্রমিকদের মধ্যে সিপিএমের প্রভাব ছিল খুবই সামান্য। শ্রমিক সংগঠনগুলি মূলত ছিল কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাসী। বাকি কিছু অংশে প্রভাব ছিল ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির। শ্রমিকদের মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে প্রশাসনিক ক্ষমতাকে হাতিয়ার করেছিল সিপিএম। দলসর্বস্ব রাজনীতির কুফল মেলে তখন থেকেই। সিপিএম নেতৃত্ব সেদিন জেনেশুনেই এই শিল্প-ধ্বংসের অভিযান চালায় শুধুমাত্র কংগ্রেস এবং শরিকদের অস্তিত্ব নষ্ট করতে। ... শুধুমাত্র গরিবির সঙ্গে যুদ্ধ করে একবছরে জলপাইগুড়ি জেলায় ১২০০ শ্রমিক মারা গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্লেষণে সেটা অসুখ হলেও তার কারণ কিন্তু অনাহার। আত্মহত্যারও কারণ পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতে না-পারা। বাগানগুলি বন্ধ করে সিপিএমের তাবড় নেতা/ফড়েরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন জমিগুলি প্রোমোটরদের হাতে তুলে দিতে। কংগ্রেসকে স্তব্ধ করার চেষ্টা হলেও হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন কমলবাবু (গুহ)। বুদ্ধবাবু, আমরাও বলছি, যে-কথা আপনি বলেছেন, তা সত্যি নয়। হতভাগ্য শ্রমিকদের খোলা চোখে দেখার চেষ্টা করুন।’ (সংক্ষেপিত)
এখনও কলকাতায় এবং জেলায় জেলায় খাড়া রয়েছে অগুনতি শহিদ বেদি। শহিদের তালিকার নীচে কোনোটিতে বিষোদ্গার নজরে পড়ে ‘সিপিএমের জল্লাদ’ এবং কোনোটিতে ‘কংগ্রেসি খুনিদের’ সম্পর্কে। এছাড়া হাওড়ার কান্দুয়া গ‍্রাম এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে পাঞ্জা থেকে হাত কেটে নেওয়া—এক বেনজির নৃশংসতার চিহ্ন। ‘হাত’ চিহ্নে ভোট দেওয়ার শাস্তি দিয়েছিল জ্যোতি বসুর পার্টির হার্মাদরা। বর্ধমানে পা দিয়ে গাওয়া ঘিয়ে প্রস্তুত সীতাভোগ, মিহিদানার সুবাস নাকে আসার আগেই কারও কারও মনের পর্দায় ভেসে ওঠে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ছবি!  
এ হল তাদের সম্পর্ক-পরম্পরার শো-রুম। গোডাউনের চেহারা অনুমেয়। এরপরও কি মনে হয় না অন্তত বাংলার বুকে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট একটা জবরদস্তি কারবার? তবু চিরকালের সাপ ও নেউল নির্বাচনী মিত্রতার সম্পর্কে আবদ্ধ হল। ‘সিপিএমের বি টিম’ হিসেবে ‘সুনামের সঙ্গেই’ দায়িত্ব পালন করেছিল সোমেন মিত্রদের প্রদেশ কংগ্রেস। এজন্যই আপসহীন সংগ্রামী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস গড়তে বাধ্য হন। সেই দলই যখন সিপিএম নামক জগদ্দল শক্তিকে রাইটার্স থেকে হটাতে বদ্ধপরিকর, তখন তাঁকে সমর্থন করেন রাজ্যের প্রায় সকলেই। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিএম বিরোধিতা এমন উচ্চতা স্পর্শ করে যে, তার বিরোধিতার অর্থই ‘গণশত্রু’ চিহ্নিত হয়ে যাওয়া। ফলে তখন প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগই ছিল না, সেটা করলে নির্ঘাত আত্মঘাতী পদক্ষেপই হতো। ওই নির্বাচনে অগ্নিকন্যার নেতৃত্বে আসলে জিতেছিল বাংলার মানবাধিকার ও গণতন্ত্র। মমতার বদান্যতায় ৪২টি আসনে জিতে সেবার ওই সরকারেও যোগ দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে তাদের পক্ষে বেশিদিন থাকা সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের ছাতার নীচে থেকে কংগ্রেসের অতিদ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার পিছনে যে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নিরন্তর নষ্টামি সক্রিয় ছিল, তার প্রমাণ পেতে দেরি হয়নি। কংগ্রেস-সিপিএমের মাখামাখি পোক্ত হতে দেখা গেল ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে। প্রদেশ কংগ্রেসে মমতা বিরোধিতার প্রতীক অধীর চৌধুরী। তাঁরই একবগ্গা সিদ্ধান্তে ওই ভোটে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট হয়। 
সেটা নানা পর্যায়ে টিকে থাকলেও দিকে দিকে কংগ্রেসের নিচুতলায় গর্জনই শোনা গিয়েছে নেতৃত্বের অবিমৃশ্যকারিতার বিরুদ্ধে। সেই জনমত উপর্যুপরি উপেক্ষারই দাম মেটাচ্ছে কংগ্রেস। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় তারা এখন ‘মহাশূন্য’! সঙ্গে জিগরি দোস্ত সিপিএমেরও হাল অনুরূপ। মাঝখান থেকে দই মেরেছে নেপোয় (বিজেপি এবং আইএসএফ)! অথচ কংগ্রেসই একমাত্র দল, তামাম ভারতের প্রতিটি গ্রামে যার কিছু কর্মী এবং তেরঙ্গা পতাকা ধরার লোক আছে। নিশ্চিতভাবে তাঁদেরই স্বাভিমান খর্ব হচ্ছিল বাংলায়, অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে। সম্ভবত এজন্যই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে আনা হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ বদল। অধীরের কুর্সিতে এখন শুভঙ্কর সরকার—যিনি মমতা-বিরোধী এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতি করেননি কখনও। অধীরের সিপিএম-পিরিতির কারণে বাংলার যেসব কংগ্রেস কর্মীর দম বন্ধ হয়ে আসছিল, শুভঙ্করকে পাশে পেয়ে তাঁরা হয়তো উজ্জীবিত। জেলায় জেলায় তাঁরাই আওয়াজ তুলেছেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে আর চলব না।’ গা থেকে হার্মাদি দুর্গন্ধ দ্রুত মুছেই কংগ্রেসকে বাঁচাতে মরিয়া তাঁরা। আসন্ন উপনির্বাচনে তাঁরা একক শক্তিতেই লড়াই দিতে চান, সিপিএমের লেজুড় থাকতে চান না কোনোমতেই। অত্যাচার অনাচারে রেকর্ড গড়ে বাংলার ক্ষমতার অলিন্দ থেকে বিতাড়িত মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের অক্সিজেন জোগাবারও দায়িত্ব কেন নেবেন তাঁরা! যারা নিজেদেরকে ভারতের স্বাধীনতার ‘ভগীরথ’ বলে আত্মশ্লাঘা অনুভব করে এসেছে, এই উপনির্বাচনই হয়তো সেই শতবর্ষ প্রাচীন কংগ্রেসকে পুনর্জন্মলাভের আশ্চর্য সন্ধান দিতে পারে। আর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হলে, একবগ্গা মমতা-বিরোধিতার রাজনীতিই কংগ্রেসকে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দেবে—একই করুণ দশা হতে পারে সিপিএমেরও।
23rd  October, 2024
ভক্তি

একজন চাকরী করে কষ্টে সৃষ্টে কিছু কিছু করে টাকা জমাত। একদিন গুণে দেখে যে হাজার টাকা জমেছে। অমনি আহ্লাদে আটখানা হয়ে মনে করলে তবে আর কেন চাকরী করা? হাজার টাকা ত জমেছে, আর কি? এই বলে চাকরী ছেড়ে দিলে! বিশদ

সাধনভজন

প্রথমে সাধনভজন করতে গেলে আহার ও স্বাস্থ্য অনুকূল হওয়া চাই। কোথায় মন চলে যায়, মাথা-টাথা এক রকম হয়ে যায়। এই সব করতে হলে একটু গাওয়া ঘি, দুধ খেতে হয়। শরীরও সুস্থ হওয়া চাই। ঠাকুরের রাসমণির দেবালয়ে স্থান পেতেই তো সাধনভজনের কত সহায় হলো। বিশদ

23rd  October, 2024
কৃষ্ণানুরাগ

এক ভক্ত চীৎকার করে বলেন, “হায়, আমি মথুরা দর্শন করতে পারলাম না! যে মথুরার নাম শুনলে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, আমি সেই স্থান দর্শন করতে পারলাম না। সুতরাং আমার এই চোখের কি প্রয়োজন?” এই উক্তি থেকে মথুরা দর্শনের তীব্র উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হয়, যার উদয় গভীর কৃষ্ণভক্তি থেকে হয়। বিশদ

22nd  October, 2024
চিঠি

আলমোড়ায় আবস্থানকালে মহাপুরুষজী শ্রদ্ধেয় মাস্টার মহাশয়কে কয়েকখানি চিঠি লিখিয়াছিলেন; তাহার মধ্যে ২৭।১০।১৩ তারিখের চিঠিতে রহিয়াছে, “আপনার চিঠি পাইয়া সাতিশয় আনন্দিত হইয়াছি—বিশেষ করিয়া আপনি মঠেই বাস করিবার সংকল্প করিয়াছেন জানিয়া।
বিশদ

21st  October, 2024
আত্মজ্ঞান

তত্ত্বজ্ঞানের মূল আত্মযোগ, আত্মজ্ঞানের মূল শিবে ভক্তি, ভক্তির মূল ভগবানে প্রেম, প্রেমের মূল শাস্ত্র শ্রবণ, শ্রবণের মূল সৎসঙ্গ, সৎসঙ্গের মূল সদ্‌গুরু, আর জ্ঞান উৎপন্ন হইলে মুক্তি নিশ্চিত। গাছের গোড়ায় জল দিলে যেমন গাছের শাখাগুলি পুষ্ট হয়, তেমনি শিবের পূজায় সমস্ত জগৎ সন্তুষ্ট হয়। বিশদ

20th  October, 2024
হরিনাম-প্রচার

শ্রীচৈতন্যের হরিনাম-প্রচার প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, ‘যিনি পাপ হরণ করেন তিনিই হরি। হরি ত্রিতাপ হরণ করেন। চৈতন্যদেব হরিনাম প্রচার করেছিলেন—অতএব ভাল। দ্যাখ চৈতন্যদেব কত বড় পণ্ডিত—আর তিনি অবতার। তিনি যে-কালে এই নাম প্রচার করেছিলেন এ অবশ্য ভাল।’ বিশদ

19th  October, 2024
সাপ

গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়। ধ্যানে একাগ্রতা হয়, অন্য কিছু দেখাশুনা যায় না, এমন কি স্পর্শবোধ পর্য্যন্ত হয় না। গায়ের উপর দিয়ে যদি সাপ চলে যায় তাহলে যে ধ্যান করে সেও বুঝতে পারে না, সাপটাও জানতে পারে না।
বিশদ

18th  October, 2024
মহাপুরুষ

জনৈক সন্ন্যাসী একদিন কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছেন, “১৯০৮ সালে যখন আমি প্রথম মঠে যোগদান করি তখন দেখেছি মহাপুরুষজী মঠের কাজকর্ম দেখতেন; অথচ সর্বদাই নিজের ভাবে বিভোর হয়ে থাকতেন। আর কি কঠোর জীবনই তাঁর ছিল! পরনে সামান্য হাঁটুপর্যন্ত কাপড়, খালি গা, খালি পা—ঐ ভাবে মঠে বেড়াতেন। বিশদ

17th  October, 2024
ব্রহ্ম

হে বিদেহরাজ! যিনি কর্ত্তব্য কর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া সর্ব্বান্তঃকরণে আশ্রয়পদ ভগবান্‌ মুকুন্দের শরণাপন্ন হয়েন, তিনি দেবগণ, ঋষিগণ, প্রাণিগণ, কুটুম্বগণ, মনুষ্যগণ ও পিতৃগণের নিকটে ঋণী হয়েন না এবং তিনি তাহাদের কিঙ্করও হয়েন না। বিশদ

15th  October, 2024
দেবীর পূজায় চণ্ডীপাঠ

দুর্গাপূজায় শ্রীশ্রীচণ্ডীপূজা ও পাঠ অবশ্যকর্তব্য। এই দেবী মাহাত্ম্য পাঠ কল্পারম্ভের দিন থেকেই আরম্ভ হয়। কল্পারম্ভ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। নবম্যাদি কল্পারম্ভ হয় ভাদ্র পূর্ণিমার পর কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে। প্রতিপদাদি কল্পারম্ভ হয় মহালয়া অমাবস্যার পরের তিথি শুক্লাপ্রতিপদ থেকে। বিশদ

10th  October, 2024
অকাল-বোধন

দেবতা ও মানুষ। ইহাদের মধ্যে ভেদ বহুবিধ। তন্মধ্যে একটি হইল দিন ও রাত্রির পরিমাপে। মানুষের দিন বারো ঘণ্টায়, রাত্রি বারো ঘণ্টায়। দেবতার দিবা ছয় মাস, রাত্রি ছয় মাস। আমাদের মাঘ মাস হইতে আষাঢ় মাস এই ছয় মাস দেবতাদের দিন, শ্রাবণ হইতে পৌষ মাস দেবতাদের রাত্রি। বিশদ

09th  October, 2024
গুরু

গুরুই ব্রহ্ম, গুরুই বিষ্ণু, গুরুদেবই মহেশ্বর এবং গুরুই পরব্রহ্ম; সেই শ্রীগুরুদেবকে নমস্কার। বিশদ

08th  October, 2024
ভক্ত

ঈশ্বর মন দেখেন। তিনি ভাবগ্রাহী জনার্দন। ভক্তের অন্তরের আকুতিটি তাঁর বড় প্রিয়। সেটি তাঁর চরণে ঠিক মত সমর্পিত হলে, তা সে যত দীনই হোক না কেন, তিনি প্রসন্ন হয়ে সে দীন নিবেদন গ্রহণ ক’রে ভক্তকে ধন্য করেন। আর তাঁর সেই প্রসন্নতাই ভক্তের অন্তরে সঞ্চার করে দিব্য আনন্দের স্পন্দন।
বিশদ

07th  October, 2024
দেবী দুর্গা

ভারতবর্ষে হিন্দুদিগের দুর্গাপূজা সকল পূজা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই পূজাকে হিন্দুমাত্রেই অতিশয় শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। ইহাকে হিন্দুদের জাতীয় উৎসব বলা যাইতে পারে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে জগন্মাতা শ্রীশ্রীদুর্গাদেবী ভিন্ন ভিন্ন নামে পূজিতা হইয়া থাকেন। বিশদ

06th  October, 2024
ধ্যান

গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়। ধ্যানে একাগ্রতা হয়, অন্য কিছু দেখাশুনা যায় না, এমন কি স্পর্শবোধ পর্য্যন্ত হয় না। গায়ের উপর দিয়ে যদি সাপ চলে যায় তাহলে যে ধ্যান করে সেও বুঝতে পারে না, সাপটাও জানতে পারে না। গভীর ধ্যানে মন বহির্ম্মুখ থাকে না, ইন্দ্রিয়ের কাজ সব বন্ধ হয়ে যায়; যেন বার বাড়ীতে কপাট পড়ল। বিশদ

05th  October, 2024
দেবী দুর্গা

ভারতবর্ষে হিন্দুদিগের দুর্গাপূজা সকল পূজা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই পূজাকে হিন্দুমাত্রেই অতিশয় শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। ইহাকে হিন্দুদের জাতীয় উৎসব বলা যাইতে পারে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে জগন্মাতা শ্রীশ্রীদুর্গাদেবী ভিন্ন ভিন্ন নামে পূজিতা হইয়া থাকেন। বিশদ

04th  October, 2024
একনজরে
মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM