হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
শ্রীঠাকুর সত্যানন্দদেব কখনও মিরাকল বা সিদ্ধাই দেখাতেন না। সিদ্ধাই প্রদর্শন তো শ্রীরামকৃষ্ণ-অবতারেই ভর্তসিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেখি অদ্ভুত সব অলৌকিক ঘটনার প্রবাহ শ্রীসত্যানন্দের জীবন-লীলা জুড়ে রয়েছে। তার কারণ, তাঁর করুণাঘন প্রেমমথিত ভক্তবৎসল অন্তঃকরণটিই ছিল অসামান্য, অলৌকিক, অপ্রাকৃত। তাই সেই অন্তঃকরণের স্বাভাবিক প্রেরণায় যা ঘটতো তাই হয়ে যেত অলৌকিক। এটাই ছিল সহজ সমাধিধারী সর্বযুগের বরিষ্ঠ অবতার শ্রীসত্যানন্দদেবের আশ্চর্য্য কৃপার বৈশিষ্ট্য। এই মাধুর্য্যমণ্ডিত কৃপা উপলব্ধিগম্য, বুদ্ধিগম্য নয়। লৌকিক এবং অলৌকিকের ভেদই যেখানে লুপ্ত হয়ে গেছে, সেখানে বুদ্ধিবিশ্লেষণ বৃথা। আমরা শ্রীঠাকুরের অলৌকিক কৃপার বিশেষ প্রকাশ বহুভাবেই দেখতে পাই। ভক্তের যোগক্ষেম পূরণের জন্য তিনি তো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই দেখি ভক্তদের কত শত ছোট বড় প্রার্থনা তিনি অবলীলায় পূরণ করছেন। ভক্তদের এই সব প্রার্থনা পূর্ণ হলে তাদের অধ্যাত্মপথে চলাটা একটু সুগম হয়, অনেক বিঘ্ন অপসৃত হয়। তাই ক্ষেত্র-বিশেষে এই ধরণের অলৌকিক কৃপা তিনি চলতে ফিরতেই করেছেন। আবার বহু বিপদ আপদ দুর্ঘটনা ফাঁড়া ইত্যাদি থেকে ভক্তদের রক্ষা করেছেন তাঁর সহজ অলৌকিক কৃপাশক্তি দিয়ে। আর একটি বিরাট অলৌকিকত্ব প্রকাশিত হয়েছে সাধারণ মানুষের সংসারমুখী মনের মোড় ঘুরিয়ে, তার চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে, তাকে ঈশ্বরমুখী করার অজস্র ঘটনায়।