কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
তবে পুজোর গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে পালনের ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলির ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বছর অভিযোগ উঠেছিল মুষ্টিমেয় কিছু পুজো কমিটি বিধি না মেনে দিব্যি পার পেয়ে গিয়েছে। তাই দর্শক ও পুজো কর্তাদের বিধি মানাতে এবারও পুলিস ও স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকজন পথে থাকবেন। পুজোর ভিড় সামলাতে ও বিধি মানাতে চতুর্থীর দুপুর থেকেই প্রতিদিন রাস্তায় নামবে ১৬ হাজার পুলিস। থাকছে ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি, নাইট ভিশন বাইনোকুলার ইত্যাদি। পুলিস প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করবেই, কিন্তু উৎসবে শামিল হতে রাজ্যবাসীর দায়িত্ব কিন্তু কোনও অংশে কম নয়।
অবাধ মেলামেশার মতো অবাধ আনন্দে রাশ টানতে বজ্র আঁটুনির প্রয়োজন আছে। কারণ এখনও রাজ্যে প্রতিদিন ৭০০-র বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্বোপরি কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে গড় আক্রান্তের তুলনায় বেশি। আর যেহেতু পুজোয় ভিড় কলকাতাতেই বেশি হয় সেহেতু সতর্কতা জারির প্রয়োজন ছিলই। করোনা সংক্রমণ যেহেতু দ্রুত ছড়ায় তাই সঠিকভাবেই রাজ্য সরকারের যাবতীয় সতর্কতার প্রয়াস। প্রশাসন চায়, এক জায়গায় বা মণ্ডপে বহু মানুষের জটলা যাতে না হয়। তাই পুজোকে কেন্দ্র করে মণ্ডপের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সরকার। তবে পুজোর কেনাকাটায় গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেট কিংবা মহালয়ার ভোরে তর্পণের অনুষ্ঠানে বিধি ভাঙার যে ছবি উঠে এসেছে তা মোটেও আশাপ্রদ নয়। এই কারণেই সব পক্ষই বিধি মানতে সকলের কাছে বারবার অনুরোধ করছে। গতবছর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই পুজো ছিল বলে কার্যত রাস্তায় লোক ছিল অনেক কম। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় পুজোর দিনগুলিতে রাস্তায় লোক থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। যদিও লোকাল ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ। মহানগরীতে তাই এবারেও অন্য জেলা থেকে আগত মানুষের সংখ্যা কম থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবু সাবধানের মার নেই। কারণ পুজোয় বেলাগাম উচ্ছ্বাস বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমনটা হয়েছে কেরলে ওনাম উৎসবের পর। বঙ্গে যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। তাই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবাসীকে পুজোয় আনন্দ করার সঙ্গে সঙ্গে করোনাবিধি মানতেই হবে। মানতে হবে দূরত্ববিধিও। আনন্দ করুন, কিন্তু তা কখনওই বেলাগাম উচ্ছ্বাস স্ফূর্তিতে গা ভাসিয়ে নয়। আর পথে বেরলে মাস্ক হোক সর্বক্ষণের সঙ্গী।