কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
দর্শক যে চ্যানেলগুলি দেখবেন, শুধু সেটুকুর জন্যই পয়সা মেটাবেন, এই নিয়ম দেশজুড়ে চালু করতে তোড়জোড় শুরু হয় গত বছরের শেষের দিকেই। চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় মোটামুটিভাবে সেই নিয়ম চালু হয়। তাতে অশনি সঙ্কেত দেখে কেবল শিল্প। আগে টিভিতে হাজির হতো অজস্র চ্যানেল। তাতে ছেদ পড়ে। বেশিরভাগ দর্শক তাঁদের মাসিক বিলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছেঁটে ফেলে চ্যানেল সংখ্যা। তাতে ক্রমশ দর্শক কমতে থাকে বেশ কিছু চ্যানেলের। তাতেই নড়েচড়ে বসেছে চ্যানেলগুলি। সম্প্রতি তারা, বিশেষত জি এবং স্টার গ্রুপ যে দাম কেবল সংস্থাগুলিকে পাঠিয়েছে, তাতে বহু চ্যানেলের দর একধাক্কায় সাত টাকা কমানো হয়েছে।
কেবল সংস্থাগুলির সবাই অবশ্য ওই সুবিধা মাসিক বিলের উপর দিতে রাজি নয়। তারা বলছে, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কিন্তু কোনও প্যাকেজের দাম কমায়নি। তারা আলাদা আলাদা চ্যানেলের দাম কমিয়েছে। এদিকে, একাধিক কেবল সংস্থা হরেক জনপ্রিয় চ্যানেল নিয়ে নিজেদের মতো করে বোকে বা প্যাকেজ তৈরি করেছে। তাদের একাংশের বক্তব্য, চ্যানেলের দাম কমার ফলে গ্রাহক আর্থিকভাবে যেটুকু সুবিধা পাবেন, তা আমরা বাড়তি চ্যানেল ওই বোকে বা প্যাকেজের মধ্যে দিয়ে দেব। এতে বিলিংয়ের অঙ্কের সমস্যা এড়ানো যাবে। পরবর্তীকালে যদি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ওই অফারগুলি তুলে নেয়, তাহলে নতুন করে আর বিলিংয়ের কাঠামো বদালাতে হবে না। অন্যদিকে, অপারেটরদের একাংশ মনে করছে, একবার চ্যানেলের দাম কমানোর পর, উৎসব মিটে গেলে তা আর বাড়ানোর দিকে এগতে হয়তো সাহস করবে না চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের দর্শক সংখ্যায় ছেদ পড়তে পারে।