পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
প্লে-অফের টিকিট পাকা করতে হলে আরও দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে শ্রেয়স আয়ারদের। হাতে রয়েছে পাঁচটি ম্যাচ। তার মধ্যে দু’বার খেলতে হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। ৩ মে ওয়াংখেড়েতে প্রথম সাক্ষাৎ। ফিরতি লড়াই ইডেনে ১১ মে। আইপিএলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে কেকেআর হল মুম্বইয়ের ‘বোগি’ টিম। ৩২ বারের সাক্ষাতে শাহরুখ খানের দল হেরেছে ২৩বার। কেকেআর সমর্থকদের আশা, এবার চাকা ঘুরবে। কারণ, মুম্বইয়ের অবস্থা শোচনীয়। রীতিমতো ধুঁকছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে নাইট বাহিনী।
শুধু মুম্বই নয়, খেলতে হবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও। ঘরের মাঠে সঞ্জু স্যামসনের দলের কাছে হেরেছিলেন রাসেলরা। বদলার ম্যাচে অনেক অঙ্কও সামনে থাকবে। সেটাই হবে গ্রুপের শেষ ম্যাচ। তাই পয়েন্ট তালিকায় ভালো জায়গায় থেকেও নাইটদের একেবারে চিন্তামুক্ত বলা যাবে না। বাকি দু’টি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ গুজরাত ও লখনউ।
এদিকে, আচমকাই ফিল সল্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেকেআর শিবিরে। দুরন্ত ফর্মে থাকা ওপেনারটি ইংল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছেন। একই দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে। সেটা শুরু হবে ২২ মে। আর আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হবে ১৯ মে। প্লে-অফ শুরু একদিন পর। তাই দেশে ফিরতে হলে সল্টকে প্লে-অফের আগেই বিমান ধরতে হবে। সেটা হলে বড় ধাক্কা খাবে নাইট রাইডার্স। কারণ, এবারের আইপিএলে শাহরুখ খানের দলের সাফল্যের সিংহভাগই ওপেনিং জুটির হাত ধরে। পাওয়ার প্লে’তে সুনীল নারিন ও ফিল সল্টের ধুন্ধুমার ব্যাটিং বিপক্ষকে কার্যত ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে। এক আধটা ম্যাচ নয়, একাধিক লড়াইয়ে তাঁরাই গড়েছেন জয়ের ভিত। সোমবার ইডেনে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে লো স্কোরিং ম্যাচেও সল্টের ঝোড়ো ৩৩ বলে ৬৮ নাইটদের সহজ জয়ে অনুঘটকের কাজ করেছে। তাই ফিল সল্টের অভাব ঢাকা সহজ হবে না, যতই ব্যাক-আপ হিসেবে গুরবাজ থাকুন। সেক্ষেত্রে নীতীশ রানার চোট সারিয়ে ফেরাটাও জরুরি।