নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শেষ বাঁশি বাজতেই আকাশে ছুড়ে দিলেন দু’হাত। প্রবল গরমে দরদরিয়ে ঘামছেন তিনি। তাতে কি? মর্যাদার যুদ্ধে যে জিতেছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। যুবভারতীর মেগা ম্যাচে তিনিই নেপথ্য নায়ক। কলিঙ্গ-যুদ্ধে জিতেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী লোবেরা। সুদে আসলে জ্বালা মেটাতে তৈরি ছিল যুবভারতী। ট্যাকটিক্সের লড়াই। স্ট্র্যাটেজির ঝনঝনানি। নাটকীয়তায় ভরা প্রতিটা মুহূর্ত। আশা-আশঙ্কার দোলাচলে পেন্ডুলামের মতো দুলল ম্যাচের গতিপথ। সংযোজিত সময়ে সাহালের গোলের পরেই উৎসবের শুরু। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন মনবীর সিং। পাঞ্জাবি উইং হাফের দৌড়ে ফালাফালা প্রতিপক্ষ। হাবাসের হাতে পড়ে মনবীর যেন খাপ খেলা তরবারি। মেগা মঞ্চে তিনিই সিং ইজ কিং। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি। শেষ লড়াই বাকি। ট্রফি জিততেই হবে।’
বিকেল থেকেই সমর্থকদের ভিড় আছড়ে পড়েছিল স্টেডিয়ামে। কামিংসের লক্ষ্যভেদের পর পারদ আরও চড়ল। রিজার্ভ বেঞ্চে অচঞ্চল সেনাপতি। অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোল তাঁর মস্তিষ্কে। একে ম্যাচের চাপ, তার উপর প্রবল আর্দ্রতা। সময় গড়ানোর সঙ্গেই কাহিল হলেন ফুটবলাররা। আনোয়ারের পেশীতে টান ধরায় তাঁকে তুলে নিতে হয়। অনভিজ্ঞ দীপ্যেন্দুকে নামিয়ে অবস্থা সামাল দেন হাবাস। ম্যাচ শেষে সবুজ-মেরুন সারথির মন্তব্য, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে ছেলেরা উজাড় করে দিয়েছে। ওদের প্রশংসা প্রাপ্য।’