বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গত ম্যাচে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। দুরন্ত ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলকে খেলার সুযোগ করে দিতে বিরাট কোহলি ছেড়ে দিয়েছিলেন পছন্দের তিন নম্বর জায়গা। যার ফলে মিডল অর্ডারের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছিল। বিরাটের চার নম্বরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়কও ভুল বুঝতে পেরে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে, রাজকোটে কোহলিকে তাঁর পছন্দের তিন নম্বরেই ব্যাট করতে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
রোহিতের সঙ্গে ধাওয়ানই হয়তো ওপেন করবেন। কারণ, গত ম্যাচে ধাওয়ান করেছিলেন অনবদ্য ৭৪ রান। রোহিত বড় রান না পেলেও ওপেনিং স্লট তাঁর জন্য নির্দিষ্ট। ৩০-৪০ রান করে উইকেটে তিনি যদি সেট হয়ে যান, তাহলে কপালে দুঃখ রয়েছে অজি বোলারদের। তাই মরণ-বাঁচন ম্যাচে রোহিতের পারফরম্যান্সের উপর ভারতের ভাগ্য ঝুলে থাকবে।
চোটের কারণে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে খেলতে পারছেন না ঋষভ পন্থ। তাই উইকেটরক্ষদের দায়িত্ব সামলাবেন লোকেশ রাহুল। বিরাট যদি তিন নম্বরে ব্যাটিং করেন, তাহলে লোকেশ কত নম্বরে নামবেন? ভারতীয় দল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, লোকেশকে চারে নামানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্রেয়াস আয়ার ব্যাট করবেন পাঁচ নম্বরে। তাতে মিডল অর্ডার আরও শক্তিশালী হবে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
ঋষভের পরিবর্ত হিসাবে প্রথম একাদশে জায়গা পেতে পারেন মণীশ পাণ্ডে। কিন্তু অলরাউন্ডার শিবম দুবের খেলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কোহলি যদি স্পিন আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করতে চান, তাহলে কেদার যাদব খুব ভালো অপশন হতে পারেন। আধুনিক ক্রিকেটে লোয়ার অর্ডারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। সেদিক থেকে ভারতের টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানরা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। আর সেই সমস্যা মেটাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে রবীন্দ্র জাদেজাকে।
গত ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও ডুবিয়েছিল ভারতকে। দুই তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সামিকে একেবারেই ফর্মে পাওয়া যায়নি। যা ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া করেছে। বৃহস্পতিবার রাজকোটে অনুশীলনের সময় বোলারদের উপর বাড়তি নজর রেখেছিলেন ভারতের কোচ। নেট সেশনের ফাঁকে শাস্ত্রী আলাদাভাবে কথা বলেন বুমরাহর সঙ্গে। আসলে, চোট সারিয়ে ফেরার পর বুমরাহকে মোটেই ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলিংকে বেশ সাদামাটাই দেখাচ্ছে। প্রতিপক্ষের দুর্বল বোলিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ম্যাচে ২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে দুই অজি ওপেনার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২৫৮ রানের রেকর্ড পাটর্নারশিপ গড়ে দলকে জিতিয়েছিলেন। এই ম্যাচেও ভারতীয় বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
মার্নাস লাবুশানে ঘরের মাটিতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। যার সুবাদে তিনি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক ঝটকায় উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে। এই সিরিজে তাই লাবুশানের উপর বাড়তি নজর থাকবে। এছাড়া স্টিভ স্মিথ, অ্যাস্টন টার্নার, অ্যালেক্স কেরি, অ্যাস্টন অ্যাগর এমনকী প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কও ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। সেকথা মাথায় রেখে বোলিংয়েও কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। বুমরাহ, সামির সঙ্গে শার্দুলের জায়গায় তৃতীয় পেসার হতে পারেন নবদীপ সাইনি। চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবের জায়গায় যুজবেন্দ্র চাহালের খেলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ম্যাচ শুরু দুপুর ১-৩০ মিনিটে। খেলা দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসে।