বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতীয় দলের ইনিংস। ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টিম ইন্ডিয়ার টপ-অর্ডার পুরোপুরি ধসে যায়। তবে শেষদিকে অভিজ্ঞ ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজার মধ্যে ১১৬ রানের পার্টনারশিপ ভারতীয় শিবিরে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল। ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে ভারতকে ৩১ রান করতে হতো। ক্রিজে ছিলেন স্বয়ং ধোনি। নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসনের করা ৪৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মাহি। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। ফলে খানিকটা চাপ তৈরি হয়েছিল। আর সেটা কাটাতেই পরের বল লেগে হালকা পুশ করে জোড়া রানের লক্ষ্যে ছুটছিলেন ধোনি। কিন্তু তিনি ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই মার্টিন গাপটিলের অসাধারণ থ্রো সরাসরি স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চুরমার হয়ে যায় বিশ্বকাপ ঘিরে ভারতের স্বপ্নও। জয়ের কাছাকাছি এসেও ব্যর্থতার যন্ত্রণা ফুটে উঠেছিল ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ধোনির চোখেমুখে। প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় তাঁর চোখের কোনে জমেছিল অশ্রুবিন্দু। সেই থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ খেলেননি ধোনি। বলেননি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা সংক্রান্ত কোনও কথা।
অবশেষে মুখ খুললেন মাহি। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রান আউট হওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ধোনি বলেছেন, ক্রিজ থেকে মাত্র দুই ইঞ্চির দূরত্বটা মেটাতে না পারার আক্ষেপ আজও তাঁকে ব্যথিত করে। তাঁর কথায়, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রান আউট হয়েছিলাম আমি। তারপর ওই ম্যাচেও রান আউটের শিকার হতে হয়েছিল আমাকে। বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালের কথা মনে পড়লে আজও নিজেকে বলি, কেন আমি ডাইভ দিলাম না! ওই দুই ইঞ্চির দূরত্বটা মেটাতে কেন আর একটু ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লাম না আমি!’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমার এখনও মনে পড়ে, ওই হারের পর একদিন সকালে কেউ একজন আমাদের গ্রুপে লিখেছিল, ওই রকম একটা পরিস্থিতিতে ডাইভ দেওয়া থেকে আমার বিরত থাকাটা ঠিক হয়নি। আমিও ততক্ষণে বুঝে গিয়েছিলাম যে, কী ভুলটাই না আমি করেছি।’ ধোনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পরে স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৫ রান যোগ করেই অল-আউট হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট টিম ইন্ডিয়া।