কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
ঘরের মাঠে মায়াঙ্কের এটা চতুর্থ টেস্ট। তাঁর কেরিয়ারের তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরিই এসেছে ঘরের মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২১৫ ও ১০৮। তার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ দিনের অনবদ্য ২৪৩। যে ছন্দে তিনি রয়েছেন, তাতে বলাই যায়, ওপেনার হিসেবে নিজের জায়গা জাতীয় দলে পাকা করে ফেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে খোশমেজাজেই হাজির হলেন মায়াঙ্ক। জানালেন, ব্যর্থতার ভয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারাই তাঁকে সাফল্যের নতুন পথ দেখিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বছর দুয়েক আগেও আমার ধারাবাহিকতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আর থেকেই মনের মধ্যে অজান্তে চেপে বসেছিল ব্যর্থতার ভয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। তারই সুফল এখন পাচ্ছি।’ মায়াঙ্ক সেই সঙ্গে বলেন, ‘নিজের সক্ষমতার মর্যাদা দেওয়াটা একজন মানুষের কর্তব্য। জীবনে যে কোনও সময় খারাপ সময় আসতেই পারে। আর সেটা মাথায় রেখেই যখন আপনি ভালো ফর্মে রয়েছেন, তখন তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হয়। আপনার জবনেও এমনটা ঘটেছে। বেশ কিছু ম্যাচে রান পাইনি। সেই খারাপ সময় কাটিয়ে এখন সেরা ছন্দ ফিরে পেয়েছি। চেষ্টা করছি, ভালো সময়ে যত বেশি সম্ভব রান করে যাওয়ার। পাশাপাশি আরও একটা লক্ষ্য আমাকে বড় ইনিংস খেলার পথে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর সেটা হল দলকে চালকের আসনে বসানো। মনে হয়, এই টেস্টে নিজের এবং দলের প্রতি দায়িত্ব পালনে আমি সফল হয়েছি।’
এ দিন দ্বিশতরান করার পথে কিছুটা ভাগ্যের সাহায্যও পেয়েছেন মায়াঙ্ক। ৩২ রানে স্লিপে তাঁর ক্যাচ ফেলেন ইমরুল কায়েস। এরপর ৮২ রানে এলবিডব্লু দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ডিআরএস নিয়ে সে যাত্রায়ও বেঁচে যান তিনি। ওই দুটি মুহূর্ত বাদ দিলে গোটা ইনিংসে দারুণ জমাট দেখিয়েছে তাঁকে। বড় রানের জন্য বদ্ধপরিকর লেগেছে আগাগোড়া। ফুটে উঠেছে রানের খিদে। সত্যি বলতে কি মায়াঙ্ক যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ট্রিপল সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন অবলীলায়। কিন্তু ফিরলেন ছয় মারতে গিয়েই। তবে তা নিয়ে কোনও রকম আক্ষেপ নেই বেঙ্গালুরুর তরুণ ওপেনারটির। বলছেন, ‘এদিন কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা আমি পেয়েছি। ক্রিকেট মাঠে এমনটা ঘটতেই পারে। তাই ওটা নিয়ে আমার মধ্যে কোনও রকম অস্বস্তি নেই। বরং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পেরে আমি খুশি। আর শেষ দিকে চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েও বিন্দুমাত্র হতাশ নই আমি। কারণ ততক্ষণে আমি ক্যাপ্টেনের দেওয়া টার্গেট পরিপূর্ণ করে ফেলেছি। দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারাটা দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে আমাকে।’
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে উইকেটের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে বলে মনে করেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর কথায়, ‘আর্দ্রতার কারণে সকালের দিকে উইকেটে পেসাররা ভালোই সহযোগিতা পাচ্ছিল। সেটা কজে লাগিয়ে সকালে ওরা ভালো বল করেছে। তবে আলগা বল পেলে আমরা সেটা মেরেছি। এভাবেই আমরা ওদের ওপর চাপ তৈরি করেছি। পরের দিকে উইকেট থেকে বোলাররা কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছিল না। আমরা তা কাজে লাগিয়েছি।’
ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট খেলে সর্বাধিক শতরানের নজির রয়েছে রহিত শর্মার। চারটি ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর রয়েছেন সুনীল গাভাসকর। সাত ইনিংসে তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন সানি। গাভাসকরের পরেই রয়েছেন লোকেশ রাহুল। তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি করতে তিনি নিয়েছিলেন ন’টি ইনিংস। আর দ্বাদশ টেস্ট ইনিংসে তৃতীয় শতরানের মালিক হয়ে বিজয় মার্চেন্টের সঙ্গে যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থান দখল করলেন মায়াঙ্ক।