শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি অনুপ দাস বলেন, আমরা পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমেও ব্লকের কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করি। এখানে কৃষকরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। তাই এই কেন্দ্রে ভালো ফল নিয়েও আমরা আশাবাদী।
কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি হাঁসখালি ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত হয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল বিজেপি প্রার্থীর কাছে ২১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়। তবে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে সেই তুলনায় কম ভোটে হার হয়। এই ব্লকে ৬ হাজার ভোটে তৃণমূলের হার হয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি কৃষক ভোট টানতে নজর দিয়েছে শাসকদল।
২০১৯ সালে রাজ্যে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে কৃষকদের চাষের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়। ১৮-৬০ বছর পর্যন্ত কৃষকরা এই সুবিধা পান। ন্যূনতম চাষযোগ্য জমি থাকলেই বছরে ১০ হাজার টাকা উপভোক্তাদের দেওয়া হয়। খেতমজুর, বর্গাদাররাও ৪ হাজার করে দু’বার টাকা পান। কৃষকের মৃত্যু হলে ২ লক্ষ করে টাকা পাবে তাঁর পরিবার। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ২৫ হাজার ৭৬৫ জন কৃষক এই প্রকল্পের উপভোক্তা।
আদিত্যপুরের মাঝবয়সী চাষি শ্রীমন্ত বিশ্বাস বলেন, কৃষকবন্ধুর টাকা বছরে দু’বার টাকা পাই। এই টাকায় বীজ, সার কিনি। এর আগে কোনও সরকার এই সুবিধা দেয়নি। কৃষিমান্ডি থেকে ফড়ে ছাড়া নিশ্চিন্তে ধান বিক্রি করি। দু’টো পয়সা সরাসরি ঘরে তুলতে পারি।
তালদহ-মাজদিয়া পশ্চিমপাড়ার চাষি প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ধান, পাট, পান এসব চাষ করি। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকার সুবিধা পেয়েছি। মেলায় কৃষকরত্ন পেয়েছি। পানের বরজ করার জন্য ১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ভর্তুকি পেয়েছি। আবার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা পাই। এতে অনেক দুশ্চিন্তা কেটেছে।
কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, এই সরকারের আমলে কৃষকরা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। তাই তাঁদের ভোট আমাদের দিকেই থাকবে। এই কৃষিপ্রধান এলাকায় লিড পেতে আমরা কৃষকদের উপর অনেকটাই ভরসা করছি।