শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
উনিশ সালে পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী আমির আলি খান সংঘর্ষে জখম হয়ে মারা যান। বিজেপির তরফে তৃণমূলের ১১ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়। মহকুমার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় জড়িত না থাকার কথা জানানো হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি এই ঘটনায় লাভবান হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিজেপির রাজনৈতিক ষয়যন্ত্রের কথা এদিন সামনে আসে। সাবির আলি খান তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, আমার ভাইকে সেদিন বিজেপির ছেলেরাই মেরেছিল। তৃণমূলের ছেলেদের নামে মিথ্যা খুনের অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। ঘটনার পর আমাদের পরিবারের সকলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিয়েছিল। কালো গাড়িতে করে মুর্শিদাবাদ, তারাপীঠে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল। আমাদের পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করিয়ে বড় বড় পদ দেওয়ার কথা বলেছিল। মাকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর কিছু দেওয়া হয়নি। হিংসামূলক কাজকর্ম করতে বলা হতো। অল্প বয়স ছিল। প্রলোভনে পা দিয়ে ওদের কথামতো চলেছি। বিজেপি ভাইকে নিয়ে লাশের রাজনীতি করেছে। এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে আত্মগ্লানিতে ভুগছি। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। সামনের দিনে সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। তৃণমূল নেতা শেখ টিঙ্ক আলি খান বলেন, বিজেপি আমাদের ১১ জনের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। বিজেপি সেইসময় বনধ ডেকে, প্রচার চালিয়ে ফায়দা লুটেছিল। এতদিন সত্যি প্রকাশ হল। বিজেপি আমির আলির পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করেছিল। এতদিনে মানুষ সত্যিটা জানতে পারছে। চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারী বলেন, বিজেপির ৮ জন কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিজেপি প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদের দলে টেনেছিল। আমির আলি খানের পরিবারকে কীভাবে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছিল এতদিনে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এমন ন্যক্কারজনক রাজনীতি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মেনে নেবে না। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, লাশের রাজনীতি করে আরামবাগে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। আজ তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের অনৈতিক রাজনীতির বিচার মানুষ করবেন। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমির আলি খান বিজেপি করতেন। ওঁর দাদা সাবির আলি তৃণমূলের কর্মী। তৃণমূলের প্ররোচনায় মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। মানুষ এই কথায় বিশ্বাস করবেন না।