শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
জেলার রাজনগর ব্লকের ভবানীপুর, চন্দ্রপুর, গাংমুরি-জয়পুর, রাজনগর, তাঁতিপাড়া সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক দক্ষিণের রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছেন। সেই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের বক্তব্য, ঈদের মরশুমে কোনওরকমে যাতায়াতের খরচা জুটিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বেশিরভাগ শ্রমিক। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষ হতেই ফের তাঁরা কর্মস্থলে চলে গিয়েছেন। আগামী ১৩ মে বীরভূমে লোকসভা নির্বাচন। হাতে আর মাত্র সপ্তাহ খানেক সময় আছে। তাই এই কম সময়ের মধ্যে দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে ভোটের জন্য ফিরে আসা বেশিরভাগ শ্রমিকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ শ্রমিক ভোট দেওয়ার জন্য নিজের বাড়িতে ফিরতে চাইলেও সময়মতো ট্রেনের টিকিট না কাটায় তাঁরা আসতে পারছেন না। আবার অনেকে যাতায়াতের বিপুল খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য না থাকায় ফিরতে চাইছেন না। কিন্তু এই শ্রমিকরা যাতে ফিরে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন সব রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোটের সময় বাড়ি ফেরাতে নানান রকম টোপ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কেউ শ্রমিকদের ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়ার কথা বলছেন। আবার কেউ ভোট দিতে বাড়ি ফিরলে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথাও বলছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু শাসক-বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই শ্রমিকদের এই টোপ দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি।
ভবানীপুর পঞ্চায়েতের কুবিলাসপুর গ্রামের বাসিন্দা খগেন মাল এবং তাঁর স্ত্রী, দেবাশিস মাল সহ বহু পরিযায়ী শ্রমিক দক্ষিণের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজে গিয়েছেন। এছাড়াও গাংমুরি-জয়পুর পঞ্চায়েতের সাহাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কটা লোহার, রঞ্জিত লোহার সহ অনেকে চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজে গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই কম সময়ের মধ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে গেলে অনেক খরচ। তাই তাঁরা আসতে পারবেন না ভোট দিতে।
এই প্রসঙ্গে ভবানীপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি জীবন আচার্য বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা বেশির ভাগই আসতে পারবেন না ভোট দিতে। কয়েকদিন আগেই ঈদের ছুটি কাটিয়ে তাঁরা কাজে ফিরেছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোটের আগে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরাও নিরুপায়।
একইভাবে রাজনগরের সিপিএম নেতা শুকদেব বাগদি বলেন, এই ব্লকের বহু শ্রমিক এখানে কাজের সুযোগ না পেয়ে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজে যান। সিংহভাগ শ্রমিকই ভোটের আগে ফিরতে পারবেন না। আমরা ওঁদের ফিরতে বলেছি। কিন্তু ওদের দাবি, শুধু ভোটের জন্য জেলায় ফিরলে সেই খরচ বহন করতে অপারগ তাঁরা।