শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিন জেলাশাসক তথা জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ৯ মে পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। সমস্ত প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে হয়েছে। এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, জোরকদমে প্রচার চলছে। লড়াই চতুর্মুখী। রাজ্যের প্রথম সারির নেতৃত্ব ভোট প্রচারে আসবেন জেলায়। এদিন জেলায় নয়াগ্রাম ব্লকের বড় নিগুই এলাকায় ৫০ পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, এক সময়ে গোটা জঙ্গলমহল ছিল লালদুর্গ। অবিভক্ত ঝাড়গ্রামে সিপিএমের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও বেলপাহাড়ীর আমলাশোলে অনাহারে মৃত্যু, মাওবাদী আন্দোলন, নেতাই গণহত্যা, লালগড় আন্দোলন সিপিএমের শক্ত ভিত নাড়িয়ে দেয়। সরকার বদলের পর মানুষকে আশা, ভরসা জুগিয়ে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও জঙ্গলমহলে মমতার পায়ের তলার মাটি শক্ত। তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাজুড়ে গেরুয়া ঝড় উঠেছিল। একইসঙ্গে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মোদি হওয়াকে কাজে লাগিয়ে জয়লাভ করে বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রথ মুখ থুবড়ে পড়ে। ঝাড়গ্রাম জেলায় চারটি বিধানসভার মধ্যে চারটিই যায় তৃণমূলের দখলে। পরে পুরসভা ও তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে শেষ হাসি হেসেছিল ঘাসফুল বাহিনী। এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম তিন দলই প্রার্থী দিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই লোকসভা ভোটে হারিয়ে যাওয়া মাটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে একইসঙ্গে চারজন নির্দল প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীরা বেশকিছু আসন পেয়েছিল। তাই এবারের লোকসভায় চতুর্মুখী লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন জঙ্গলমহলের মানুষ। এদিন ক্রুটিনির পর বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মনোনয়ন পত্র গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে কুড়মি, এসটি, এসসি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী বরুণ মাহাত বলেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।