শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
কাঁথি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাজ্য সড়ক রয়েছে। এই রাস্তায় প্রচুর বাস চলে। কিন্তু এগরা বিধানসভার বড় অংশের বাসিন্দাদের ট্রেন ধরতে হলে সেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কিংবা খড়্গপুর স্টেশনে যেতে হয়। কিছু মানুষ রামনগর স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরেন। কলকাতা কিংবা তমলুক যেতে হলে তাঁদের কাঁথি স্টেশনে এসে ট্রেন ধরতে হয়। এগরার পাশাপাশি পটাশপুর এলাকার একটি বড় অংশের বাসিন্দাদেরও একই অসুবিধায় পড়তে হয়। তাঁরা ট্রেন ধরার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচক স্টেশনে যান। নয়তো প্রায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে কাঁথি স্টেশন। একইভাবে কাঁথির সাতমাইল সহ আশপাশের বাসিন্দাদের প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে কাঁথি রেলস্টেশনে আসতে হয়। এতে যথেষ্ট সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। রেলপথ হলে এগরা, পটাশপুর সহ কাঁথির একাংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধা হতো। তাছাড়া উৎপাদিত পণ্য ভিনজেলাগুলিতে পরিবহণ করতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হতো। রেললাইন হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও পথ খুলে যেত। কিন্তু তা হয়নি।
দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, বিজেপি সরকার আজ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রেল প্রকল্প রূপায়ণ করতে পারল না। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন্য যেটুকু করে গিয়েছেন তার পরে আর কিছুই হয়নি। আমরা এটা নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরছি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মানস করমহাপাত্র বলেন, অধীর চৌধুরী রেল প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কাঁথি-বেলদা রেললাইনের সমীক্ষা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এবং সবকিছুতে দাঁড়ি পড়ে যায়। এতদিন ধরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ ছিলেন শিশির অধিকারী। মেদিনীপুরের পাঁচ বছর সাংসদ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কেউই এই প্রকল্পের জন্য একটি শব্দও খবরচ করেননি। রেললাইন না থাকায় বিশেষ করে কাঁথির সাতমাইল থেকে খাকুড়দা পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। এই বিষয়গুলি আমাদের প্রচারে উঠে আসছে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, রেলদপ্তর একটির পর একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার জনগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। নিশ্চয়ই আগামীদিনে কাঁথি-এগরার মানুষের দাবি পূরণ হবে। তৃণমূল সহ অন্যান্য দলগুলি শুধু বিরোধিতা করতে হয় বলেই বিরোধিতা করছে।