শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এবার ওই কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গত দু’বারের সংসদ সদস্য দীপক অধিকারী (দেব)। তিনি এবারেও তৃণমূল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতবারে বামজোট থেকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়। এবারেও তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসইউসির দীনেশ মেইকাপও ২০১৯ সালের মতো এবারেও মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে বিজেপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস ভারতী ঘোষ। এবার তিনি কোনও কেন্দ্র থেকেই টিকিট পাননি।
বহুজন সমাজ পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচকের বাসিন্দা সৌমেন মাদ্রাজি। গতবারেও ঘাটাল কেন্দ্রে বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সুরজিৎ সেনাপতি নামে অন্য এক যুবক। এছাড়াও এবার নির্দল থেকে দুই যুবক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার হাতিহল্কার বাসিন্দা সাহেব চৌধুরী এবং ঘাটাল থানার রঘুনাথচকের গোপাল মণ্ডল। এবার কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে খড়্গপুর সোনামুখীর বাসিন্দা পাপিয়া চক্রবর্তী দু’দুটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দু’টিই বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে এবারই প্রথম ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী রইল না। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালে শিবসেনা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার এই কেন্দ্র থেকে শিবসেনার কোনও প্রার্থী থাকছে না।
এবারের মোট সাতজন প্রার্থীর মধ্যে এসইউসির দীনেশ মেইকাপ এবং একজন নির্দল প্রার্থী গোপাল মণ্ডল ছাড়া কেউই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা নন। তবে দেবের জন্মস্থান ঘাটাল লোকসভার কেশপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে হলেও তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন।
২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রথমে ছিলেন তৃণমূলের দীপক অধিকারী। তিনি পেয়েছিলেন ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৯টি ভোট, দেবের থেকে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯৭৩ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির ভারতী ঘোষ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬ লক্ষ ৯ হাজার ৯৮৬টি ভোট। ৯৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বামফ্রন্ট ছিল তৃতীয় স্থানে, চতুর্থ স্থানে ছিল কংগ্রেস (৩২ হাজার ৮৩৯টি ভোট)। নোটার (১৩ হাজার ৮১০টি) থেকেও কম ভোট পেয়ে পঞ্চমে ছিল বহুজন সমাজপার্টি (৭৬৫০), ষষ্ঠ স্থানে এসইউসি (৫৩০১) এবং সপ্তম স্থানে ছিল শিবসেনা (৪২১৩)।