শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার দুর্গাচকের বাসুদেবপুর খঞ্জনচক এলাকার বাসিন্দা রুকসানা খাতুন অনলাইন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করতে গিয়ে ২২ লক্ষ ৫১ হাজার ৪৩৫ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই তরুণীর কাছে গত ১৬ এপ্রিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক আসে। ব্র্যান্ডিং এক্সপার্টস ডিসকাশন গ্রুপ বি ২২৪ নামে একটি সংস্থা লিঙ্ক পাঠিয়ে তাদের গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। ঋষিমা সিধু নামে তাদের এক এইচআর তরুণীকে গুগল ম্যাপ রিভিউ করার প্রজেক্টে কাজ করার অফার দেয়। আসলে গুগলের নাম করে সাইবার প্রতারকরা প্রথমে ফাঁদ পেতেছিল। প্রতারকদের সংস্থা অফার দেয়, ওই প্রকল্পের মাধ্যমে গুগল তাদের ক্লায়েন্টদের ব্যবসায়িক লেনদেন বিষয়ে পর্যালোচনা, ক্লায়েন্টদের মনোবল বাড়ানোর কাজ করতে হবে। এগুলি টাস্ক জবের আকারে দেওয়া হবে। টাস্ক শেষ করার পর স্ক্রিনশট পাঠাতে হবে, তারপর মিলবে টাকা।
পুলিস জানিয়েছে, রুকসানাকে ওই সংস্থা প্রথমে গুগল ম্যাপ রিভিউ করার কাজ দেয়। এজন্য প্রথমে তাঁকে ১৫০ টাকা পেমেন্ট করে নাম নথিভুক্ত করতে বলে। ওই সময় প্রথমে তাঁর কাছে দ্যা লেমনট্রি প্রিমিয়ার, অ্যাট্রিয়াম আমেদাবাদের নামী হোটেল গ্রুপের রিভিউ করার জন্য লিঙ্ক পাঠায় সাইবার প্রতারকরা। ওই সময়ে নাম, ঠিকানা সহ যাবতীয় ডিটেলস দিতে আপলোড করেন রুকসানা। টাকা লেনদেনের জন্য রুকসানার নামে পেমেন্ট কোড চালু হয় এবং সেই সঙ্গে ওই সংস্থার প্রিমিয়ার টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। তাঁর মতো আরও ৫০০ জনের নাম দেখতে পান সেখান। এরপরই বিশ্বাস তৈরি হয়। এরপর ফাঁদে ফেলতে একাধিক টেলিগ্রাম লিঙ্ক পাঠিয়ে তার মাধ্যমে অনলাইন ট্রেডিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে তাঁকে যুক্ত করে সাইবার প্রতারকদের সংস্থা। প্রথমে ১৫০, ১০০০, ২৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই প্রলোভনে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢালতে শুরু করেন রুকসানা। তাঁকে বাধ্য করানো হয়, লভ্যাংশের টাকা ফেরত পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢালতে। এইভাবে ১৫ দিনে রুকসানা ৩০ বার ট্রানজাকশন করেন। প্রায় প্রতিদিনই ২ বা ৩ লক্ষ করে টাকা বিনিয়োগ করেন। শেষে লভ্যাংশ সহ ২০ লক্ষ টাকা তুলতে ৩ লক্ষ টাকা ট্যাক্স চায় সংস্থাটি। বলা হয়, ওই টাকা পাঠালে রুকসানা তার ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন। রুকসানা টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে ধার করে কোনওরকমে ২ লক্ষ টাকা পাঠাতে সক্ষম হন। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রতারকরা তাঁকে ‘ব্লক’ করে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।