শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বোমা-গুলি-রক্ত- এই তিন শব্দের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে পরিচিত ডোমকল। কংগ্রেস থেকে বাম আমলে ‘বোমকল’ নামে বেশি পরিচিতি ছিল ডোমকল। অতীতের বেশিরভাগ নির্বাচনে রক্ত ঝরেছিল এখানে। ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় খুন হয়েছিলেন ৩৫ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্তস্নাত অঞ্চলটির নাম ছিল ডোমকল। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বদলায়নি ছবিটা। সেবার বাম-কংগ্রেস সংঘর্ষে ভোটের আগে ও পরে ১৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল ডোমকলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও রক্ত ঝরেছিল। গুলি করে খুন করা হয়েছিল এক বামকর্মীকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও ডোমকল পুরসভার কাউন্সিলারের স্বামীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বাদ যায়নি ২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনও।
যুগ যুগ ধরে চলা এই ট্রেন্ড আটকানোই এবার চ্যালেঞ্জ ছিল কমিশনের। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ হল নির্বাচন। ডোমকলের রায়পুর বিশ্বাসপাড়ায় সোমবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বোমবাজিও হয়। যদিও ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ডোমকল থানার পুলিসবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ডোমকল, জলঙ্গি ও রানিনগরের কয়েকটি বুথে ইভিএমে গণ্ডগোল দেখা দেয়। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ভোটপর্ব। তড়িঘড়ি ইভিএম বদলে শুরু হয় ভোট। সকাল ৮টা নাগাদ রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায় পিয়ারুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির পিছনে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।