শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার বিকালে লালবাঁধে স্নান করতে নেমে বিকাশ তলিয়ে যান। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
বিকাশের বাবা কয়েকবছর আগে মারা যান। তাঁর মা কাকলি মাদ্রাজি বিষ্ণুপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ঠিকাকর্মীর কাজ করে সংসার চালান। তাঁর বড় ছেলে ছ’মাস আগে ব্রেন স্ট্রোকে শয্যাশায়ী। ছোট ছেলে বিকাশ রামানন্দ কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর এভাবে জলে ডুবে মারা যাওয়ার খবর শুনে কাকলিদেবী ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপি মাদ্রাজি বলেন, আমাদের পাড়ায় এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ওইদিন দুপুরে শহরের ভাটপুকুর শ্মশানে তাঁর মৃতদেহ সৎকার করা হয়। বিকাশও শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে ছিলেন। বিকাল চারটে নাগাদ দাহকার্য শেষ হওয়ার পর সবাই মিলে লালবাঁধে স্নান করতে যান। বাঁধের পূর্বপ্রান্তে অন্যদের সঙ্গে বিকাশও জলে নামেন। জলে ডুব দেওয়ার পর তিনি আর ওঠেননি। অন্যরা স্নানে ব্যস্ত ছিলেন। তাই বিকাশের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি কেউ খেয়াল করেননি। পরে তাঁর দেখা না পেয়ে জলে নেমে খোঁজাখুঁজি করেন। তখনই জলের তলা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।