শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছিল। নতুন করে সেটি তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে।
হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়া মোড় থেকে হাওড়ার সীমানায় কোটালপাড়া অবধি আট কিমি রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে খুব সহজে আরামবাগ, তারকেশ্বর, পুরশুড়ার মানুষ কম সময়ে মেদিনীপুর ও হাওড়ায় যেতে পারেন। পুরশুড়া ব্লকের হরিহর, শ্রীরামপুর, হেতমচক, ফতেপুর, কুমারচক প্রভৃতি গ্রাম এই পথেই পড়ে। ওই সমস্ত গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই পুরশুড়া ব্লক অফিস, থানা, তারকেশ্বরে যাতায়াত করেন। তাই এই রাস্তাটি এলাকার মানুষের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে রাস্তাটি ভেঙেচুরে গিয়েছিল।
রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত হয়েছিল। বৃষ্টি হলে সেই গর্তে জল জমে থাকত। গর্তের গভীরতা বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনা ঘটত। যানবাহনের যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যেত। অনেকসময়ই এই রাস্তায় বড় বড় লরি, ডাম্পার ব্রেক ডাউন হয়ে মাঝরাস্তায় আটকে পড়ত।
অবশেষে রাস্তাটি নতুন করে তৈরি শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষ খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক দাস বলেন, দামোদর নদের বাঁধের উপর রাস্তাটি আগে ১৭ ফুট চওড়া ছিল। এখন দু’ধারে তিন ফুট করে বাড়িয়ে মোট ২৩ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। নদী বাঁধের যে সমস্ত জায়গা দুর্বল ছিল, সে সমস্ত জায়গায় রাস্তার পাশে গার্ডওয়াল দেওয়া হচ্ছে। এই রাস্তাটি হুগলি ও হাওড়ার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে। আরামবাগের মানুষও এই রাস্তা দিয়েই সহজে মেদিনীপুর, দীঘা যেতে পারেন। তাই রাস্তাটি নতুন করে তৈরি হওয়ায় আমাদের পাশাপাশি তাঁরাও উপকৃত হবেন।
এবিষয়ে পুরশুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি খোকন মল্লিক বলেন, আমাদের সরকার সবসময় উন্নয়নের পথে চলে। বিভিন্ন গ্রামে নতুন রাস্তা হয়েছে। এই রাস্তাটিও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।