যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিসি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় ৪৯ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পে মোট ১৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আগে একটি গোষ্ঠীকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হতো। এখন ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ঋণ নেওয়ার পর সেই টাকা ব্যক্তিগতভাবে ভাগ করে কেউ পশুপালন করছেন, কেউ কাপড়ের ব্যবসা কিংবা শালপাতার থালা তৈরি করছেন। নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন জেলার মহিলারা। ক্রমশই অর্থকষ্ট দূর হচ্ছে জেলার মহিলাদের। গড়বেতা-৩ ব্লকের শ্রীমা গোষ্ঠীর সদস্য সীমা কোটাল বলে, একটা সময় সংসারের অভাব দেখেছি, এখন ঋণ নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করছি। ব্যবসা ভালোই চলছে। এখন আর কারও কাছে হাত পাততে হয় না।
প্রসঙ্গত, সময়মতো পরিশোধ করলে ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের অধীনে বার্ষিক মাত্র দু’শতাংশ হারে ঋণ পায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। একটি গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার ছ’মাস পর পদ্ধতি মেনে তারা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন অ্যাকাউন্টে শুরুতেই দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। পরে ঋণের পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৪৯ হাজার গোষ্ঠী ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ঋণ পেয়েছেন। তবে শুধু ঋণ নেওয়াই নয়, ঋণ পরিশোধেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন জেলা মহিলারা। এনিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই গ্রামে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই বাংলার মহিলারা আজ নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। মন্ত্রীর দাবি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এগিয়ে না এলে ১০০ দিনের টাকা বন্ধের জন্য গ্রামীণ অর্থনীতির হাল আরও শোচনীয় হতে পারত।
এনিয়ে মহিলাদের মধ্যে প্রচারেরে সিদ্ধান্তও নিয়েছে তৃণমূল। মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মামনি মান্ডি বলেন, রাজ্যের মহিলাদের জন্য তৃণমূল সরকার যা করেছে, অন্য কোনও রাজ্যের সরকার তা করেনি। লোকসভা ভোটে এনিয়ে প্রচারের জন্য ‘আমার বুথে আমি সাথী’ নামের একটি কর্মসূচি নিয়েছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য কী কী করেছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারই প্রচার চালাব।