নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
অন্যদিকে, দুর্গাপুরে বাম আমলের তলোয়ারধারীরাই এখন বিজেপির সামনের সারিতে রয়েছে। প্রচারে নজর কাড়ছে বাহুবলীরা। মাফিয়া থেকে বামেদের ভোট লুটেরাদের নিয়ে রণকৌশল সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির দাবি, তাদের দল সর্বভারতীয়। এখানে এসে কেউ দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপে জড়াবে না।
২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর এলাকার উঠতি বিজেপি নেতা সন্দীপ ঘোষ পিকনিক করতে বের হন। কাঁকসা থানার রূপগঞ্জ থেকে সরস্বতীগঞ্জ গিয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি। একদা তৃণমূল ঘরের ছেলে সন্দীপকেই খুন করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৎকালীন তৃণমূলের এক বড় নেতারও নাম জড়ায় এই খুনে। বিজেপি নেতারা তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে খুনিদের বিচার হবে। কিন্তু দু’বছরে অজয় দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। কিন্তু শাস্তি তো দূরের কথা, এখন সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারাই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা রাখছে বলে অভিযোগ। এমনকী দুর্গাপুরে আয়োজিত এক যোগদান মেলায় তারা যোগদান করতে গিয়েও ছিল। যদিও শেষ মুহূর্তে তা হয়নি। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, কোনওরকম বাছবিচার না করেই তৃণমূল থেকে দলে ঢোকাচ্ছে বিজেপি। জিতেন্দ্র তেওয়ারি যার সর্বশেষ নিদর্শন। যাঁর বেনিময়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে দলকে চাঙ্গা করতেন বিজেপি নেতারা, এখন তাঁরাই তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তাই ছেলের খুনিদের জন্যও বিজেপির দরজা যে কোনওদিন খুলে যেতে পারে আশঙ্কায় রয়েছেন সন্দীপের বাবা বিজয় ঘোষ। তিনি বলেন, আমি জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেছি যে তিনি যেন ছেলের খুনিদের দলে না নেন। কিন্তু এখন যা দেখছি আমার মতো মানুষের কথা রাখা হবে কি? বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অসীম পরামানিক বলেন, কোনও অবস্থাতেই আমরা ওই খুনিদের ঢুকতে দেব না।
বাম আমলে হার্মাদ কথার বহুল প্রচলন ছিল। তাদের দাপট থেকে দুর্গাপুরও বাদ ছিল না বলে প্রবীণ দক্ষিণপন্থী নেতাদের দাবি। এবার সেই হার্মাদ তকমা পাওয়া মানুষরাই ফের শিল্পাঞ্চলে সক্রিয়। সৌজন্যে বিজেপি। জানা গিয়েছে, তূণমূলের জমানায় নিষ্ক্রিয় থাকা এই ভোট ‘মাস্টার’রাই ফের বিজেপির অক্সিজেন পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। যা নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে তৃণমূল।
তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল বলেন, বাম আমলে প্রকাশ্যে নিজের টিম নিয়ে অস্ত্র সহ দাপিয়ে বেড়াত উৎপল রায়। সেই এখন বিজেপির সম্পদ। যদিও উৎপলবাবু বলেন, আমি মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি। তাই তৃণমূল আমাকে ফাঁসিয়েছে।