নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ইতিমধ্যে রঘুনাথপুর বিধানসভার প্রার্থীর নামে এলাকার দেওয়ালগুলি প্রচারলিখনে ভরিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল তৃণমূল, বিজেপি এবং জোট শরিক বাম-কংগ্রেস দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি, সেখানে সবার প্রথম এসইউসি দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে একটা আলাদা চমক দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত বিধানসভার মতো এবারের নির্বাচনেও এসইউসি দল এককভাবে লড়াই করছে। তাই দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই সকল কর্মী দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন। রঘুনাথপুর বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষক পশুপতি রায় এলাকাতে প্রচারে জোর পাচ্ছেন।
নিতুড়িয়া এলাকার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তি ও শিক্ষক হিসেবে পরিচিত পশুপতিবাবুকে নিয়ে দলের কর্মী সহ তার বন্ধুসুলভ ব্যক্তিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন। তবে এসইউসি দল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দল না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রতীক চিহ্ন বা সিম্বল পায়নি। তাই প্রতীক চিহ্নর জায়গা ফাঁকা রেখে প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করা হয়েছে।
প্রতীক পাওয়ার বিষয়ে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে যে সব রাজনৈতিক দল লড়াই করে, তাদের মোট ভোটের শতাংশের মধ্যে ৬ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ সারা রাজ্যে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে যদি কোনও দল ৬ লক্ষ ভোট পায়, তাহলে তারা রেজিস্টার্ড দল হিসাবে পরিগণিত হয়। মেলে স্থায়ী প্রতীক চিহ্ন।
এসইউসি দলের ক্ষেত্রে এমনটা না হওয়ায় তারা স্থায়ী প্রতীক পায়নি। পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য বিনয় ভট্টাচার্য বলেন, একসময় টর্চ চিহ্ন আমাদের প্রতীক ছিল। কিন্তু বর্তমানে স্বীকৃত দল না হওয়ায় এখনও কোনও প্রতীক মেলেনি। তাই দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে প্রতীকের জায়গাটি ফাঁকা রেখে প্রার্থীদের নাম লেখা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে অন্যান্য দলের চেয়ে আমরা প্রচারে এবং মানুষের আস্থায় অনেক এগিয়ে রয়েছি।
রঘুনাথপুরের দলের প্রার্থী পশুপতিবাবু বলেন, নীতি, নৈতিকতাহীন ভোটসর্বস্ব দলগুলিকে পরাস্ত করতে এবং সাধারণ মানুষের হয়ে লড়াই করার তথা গণ আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে আমরা প্রচার শুরু করেছি। আশা করছি জনগণ আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।