নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়েছিল। দু’টি পুর এলাকাতে তারা সবচেয়ে ভালো ফল করেছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের ইস্যুগুলি এবার আর কাজে আসছে না। এলাকার অনেকেই বলছেন, এনআরসি নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেটা বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তৃণমূলের একটা বড় অংশের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে না। এবার তারা এই কেন্দ্রে সাফল্য পাবে। অন্য অংশের মতে, কোন্দল না মিটলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। নিজেদের গণ্ডগোল না থামলে দলের তীরে এসে তরী ডুববে। এখানে বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের গোষ্ঠীর লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে। কর্মীরা অবশ্য বলছেন, এসব কোনও ফ্যাক্টর হবে না। মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দেবে। হাজারদুয়ারির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে এলাকার বাসিন্দা আজাহারউদ্দিন বলেন, মুর্শিদাবাদে সারা বছরই পর্যটক আসেন। আগে রাস্তা ভালো ছিল না। পথবাতিও ছিল না। এখন সন্ধ্যা নামলে পুরো শহর আলোকিত হয়। রাস্তাও উন্নত হয়ে গিয়েছে। এসব কিছু তৃণমূলের জমানায় হয়েছে। নেতারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করতেই পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছেন। তবে বিজেপি এখানে আর ভালো ফল করতে পারবে না।
বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, লোকসভার থেকেও আমাদের ফল ভালো হবে। প্রচারে বেরিয়ে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি তুলে ধরে প্রচার চলছে। রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান প্রকল্প করতে দেয়নি। সেটা হলে কীভাবে মানুষ উপকৃত হতেন তা প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, প্রচারে আমরা উন্নয়নমূলক বিষয়গুলি তুলে ধরছি। আমরা এবার ভালো ফল করব। তবে সবটাই প্রার্থীর উপর নির্ভর করছে।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের হাওয়া বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়েছে। দু’পক্ষের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর আঁচ আরও বাড়বে বলেই স্থানীয়দের দাবি।