স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
মুরারই-২ ব্লকের মিত্রপুর হাইস্কুলে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বই ফেরত এলাকারই ১৬জন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হয়। রাতে সরকারিভাবে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়। ওই শ্রমিকদের দাবি, রাতেই প্রশাসন থেকে বলা হয় এই ১৪দিন খাবারের ব্যবস্থা নিজ নিজ ঘর থেকে করতে হবে। সরকারিভাবে খাবারের ব্যবস্থার দাবিতে এদিন সকালে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। শ্রমিকরা জানান, যদি বাড়ি থেকে খাবার এনে খেতে হয়, তাহলে বাড়িতে থাকাই ভালো। ফলে তাঁরা সেন্টার থেকে বেরিয়েও চলে আসেন। খবর পেয়ে পুলিস, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিধিরা এসে তাঁদের দাবি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও এদিন দুপুরে সরকারিভাবে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। ফলে, শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা এসে সেন্টারে খাবার পৌঁছে দেন।
এব্যাপারে মিত্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মর্জিনা বিবির স্বামী বাসিরুলজামান মোল্লা বলেন, আলো, পাখা ও জলের ব্যবস্থা করেছি। বিডিও যদি পঞ্চায়েতে টাকা বরাদ্দ করেন তাহলে খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে। অন্যদিকে বিডিও অমিতাভ বিশ্বাসকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ত্রিলোচন হালদার বলেন, শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বোলপুর থানার সিঙ্গি পঞ্চায়েতের স্থানীয় হাইস্কুলে রাখা হয়েছে গুজরাত ফেরত বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে। এদিন তাঁরাও বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের ঘর অত্যন্ত অপরিষ্কার। টিউবওয়েলগুলিও খারাপ। ফলে, পানীয় জল মিলছে না। যদিও পরে পঞ্চায়েত থেকে সমস্যার সমাধান করা হয়। পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জুরি ভাণ্ডারি বলেন, লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন স্কুলগুলি বন্ধ ছিল। তাই বেশকিছু কল খারাপ হয়ে যায় ও ঘরগুলি অপরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার পর সেগুলি সারিয়ে দেওয়া হয়েছে।